আপনার বিজনেসের জন্য ই-কমার্স ওয়েবসাইট কি খুব প্রয়োজন? নাকি ফেসবুক নির্ভর বিজনেস আপনার জন্য যথেষ্ট?
আজ এই প্রশ্নটির উত্তর খুজবো।
ই-কমার্স বিজনেস এতটাই সহজ নয় যতটা আমরা মনে করি। সফলতা পেতে এক্ষেত্রে আপনাকে কৌশলী হতে হবে।
যেহেতু কাস্টমারদের ফেইস টু ফেইস ডিল করার সুযোগ অনলাইন প্ল্যাটফরমে নেই, এক্ষেত্রে তাদের কার্যকলাপ যত বেশি ট্র্যাক করতে পারবেন, অনলাইন বিজনেসে সফলতার মাত্রা ঠিক তত বেশি।
একটি ই-কমার্স বিজনেসে কয়েকটি অংশ থাকে, যেমন প্রডাক্ট শো-কেস, অর্ডার রিসিভ, অর্ডার ফুলফিলমেন্ট, পেমেন্ট রিসিভ ইত্যাদি।
যদি চান, আপনার বিজনেসটিকে পরিপূর্ণভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করবেন যেখানে আপনার বিনিয়োগকৃত টাকার বিপরীতে সঠিক রিটার্ন আসবে। তবে বিজনেসে ই-কমার্স ওয়েবসাইট থাকা প্রথম শর্ত।
ই-কমার্স ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন?
এই প্রশ্নটি কয়েকটি ভাগে ভাগ করে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বিষয়গুলো একজন ই কমার্স উদ্যোক্তার জানা একান্ত প্রয়োজন।
শপ ডিজাইন
ধরুন, আপনি জুতো কিনতে গেছেন। একটি দোকানে ঢুকে দেখলেন তার দোকানের সমস্ত জুতোগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।
মূল্য তালিকা লিখা নেই, নেই প্রোডাক্টটি সম্পর্কে ধারণা দেবার মত কেউ? এমন একটি দোকান থেকে কি আপনি জুতো কিনতে চাইবেন?
নিশ্চয়ই কিনবেন না?
কারণ আপনি মনে করেন অগোছালো ও তথ্যের স্বল্পতা একটি অপেশাদার ব্যবসার লক্ষণ।
এছাড়া এমন এলোমেলো দোকান থেকে আপনি আপনার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসটাও ঠিকমতো খুঁজে পাবেন না।
এবার চিন্তা করুন, আপনি এমন একটি দোকানে ঢুকেছেন যেখানে প্রোডাক্টগুলো সুসজ্জিত ভাবে ক্যাটাগরি অনুসারে সাজানো রয়েছে। প্রতিটা প্রোডাক্ট এর সাথে তার মূল্য দেওয়া আছে, সাথে রয়েছে প্রোডাক্ট এর ফিচারের বর্ণনা।
এমন একটি দোকানে আপনার পছন্দের জিনিসটি খুব সহজে খুঁজে পাবেন এবং সেটি আপনার প্রয়োজন মেটাবে কিনা সেটিও বুঝতে পারবেন।
এটা কেনার আগে সিদ্ধান্ত নিতে আপনার জন্য যথেষ্ট সহায়ক হবে।
ই-কমার্স বিজনেস এর ক্ষেত্রেও একই রকম হয়।
ফেইসবুক বিজনেস পেজ বর্তমান সময়ে অনেকটাই কেনাবেচার উপযোগী করে তৈরি করা।
কিন্তু সেখানে ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর মত category-wise সুসজ্জিত ভাবে প্রোডাক্ট সাজিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
ফেসবুক বিজনেস পেজ মূলত আপনার বিজনেস এর প্রচারের জন্য।
কিন্তু আপনার যখন একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট থাকবে সেটি আপনার প্রোডাক্ট এর ধরন অনুযায়ী আপনার সুবিধা মত এর ডিজাইন কে ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।
যদি প্রোডাক্ট রেঞ্জ অনেক বেশি হয়, প্রোডাক্ট ভ্যারাইটি যদি অনেকগুলো থাকে এবং যদি চান আপনার বিজনেসের প্রোডাক্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ডিজাইন বেছে নিতে, তবে অবশ্যই আপনার একটি কমার্স ওয়েবসাইট প্রয়োজন।
এটি পছন্দের ক্ষেত্রে আপনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়।
প্রোডাক্ট শোকেস
আপনি হয়তো ফেসবুক দিয়ে বিজনেস শুরু করেছিলেন। কিন্তু এখন আপনার বিজনেস ধীরে ধীরে বড় হতে চলেছে।
প্রোডাক্টের সংখ্যাও বেড়েছে। যত বেশি প্রোডাক্টের সংখ্যা বাড়বে ফেসবুক পেইজে প্রোডাক্ট সিঙ্গেল স্ক্রিনে ম্যানেজ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।
সবগুলো প্রোডাক্ট দেখতে স্ক্রল করে করে নিচের দিকে যাওয়া লাগবে এবং কাস্টমার যদি আবার পূর্বের প্রোডাক্টে ফিরে যেতে চান তবে কোন অবস্থানে ছিলেন সেটি হারিয়ে ফেলবেন।
একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে ক্যাটেগরি ও সাব-ক্যাটাগরি অনুসারে হোমস্ক্রিনে একটি পূর্ণ নেভিগেশন দেওয়া থাকে।
কাস্টমার প্রোডাক্ট দেখতে দেখতে অনেক ভিতরে ঢুকে গেলে চাইলেই একটা ক্লিকে পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসতে পারবেন অথবা ইচ্ছেমতো পছন্দের প্রোডাক্ট এর অবস্থানে যেতে পারবেন।
প্রোডাক্টের ছবি ই-কমার্স বিজনেস এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
হাই রেজুলেশনের ছবি আপনার প্রোডাক্টের মেটেরিয়ালকে সঠিকভাবে প্রদর্শন করে।
ফেসবুক পেজে হাই রেজুলেশনের ছবি ইউজ করা যায় না। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবির কোয়ালিটি অপটিমাইজ করে ফেলে।
ই-কমার্স ওয়েবসাইট থাকলে আপনার প্রোডাক্টের হাই রেজুলেশন ছবি ব্যবহার করতে পারবেন। বর্তমান সাইটগুলো আধুনিক প্রজুক্তি সম্বলিত, যেখানে প্রোডাক্টের ছবির উপর কার্সর নিয়ে গেলে অটোমেটিক ভাবে জুম হয়ে দেখা যায়।
প্রোডাক্ট এর বর্ণনা, মূল্য, স্টক এর পরিমান সবকিছু একটি পেজে চমৎকারভাবে ম্যানেজ করা যায়।
শুধু তাই নয়, সেই প্রোডাক্ট এর রিলেটেড আর কি কি প্রোডাক্ট রয়েছে, সিস্টেম অটোমেটিক ভাবে কাস্টমারদের সাজেশন দেয়।
এতে করে ই-কমার্স শপিং এর ক্ষেত্রে কাস্টমার এক অনন্য অভিজ্ঞতা লাভ করে।
Check-out প্রসেস
প্রোডাক্ট পছন্দ হয়ে গেলে সেটি অর্ডার করতে হবে। f-commerce দ্বারা বিজনেস করলে কাস্টমার যখন প্রোডাক্ট অর্ডার করে, তখন প্রোডাক্টের স্কিনশট অথবা কোড দিয়ে আপনাকে ইনবক্স করে। জানতে চায় সেটি এভেলেবেল আছে কিনা।
24/7 কম্পিউটার কিংবা মোবাইল ফোন নিয়ে কখন কাস্টমার অর্ডার করবে এবং তাকে আপনি রিপ্লাই দিবেন সে আশায় থাকা অসম্ভব।
কিন্তু ইকমার্স ওয়েবসাইটে কাস্টমার ইচ্ছে করলেই পছন্দের প্রোডাক্টটি কার্টে অ্যাড করে সেখান থেকে চেক আউট অপশনে গেলেই পুরো অর্ডার প্রক্রিয়া তার সামনে চলে আসে।
প্রোডাক্ট কেনার জন্য সে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।
যদি চান কাস্টমার তার পছন্দের প্রোডাক্টটি তার সুবিধামতো সময়ে কেনাকাটা করুক এবং পুরো বিক্রয় প্রক্রিয়াটি অটোমেটিক ভাবে সম্পন্ন হোক, এক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের কোনো বিকল্প নেই।
পেমেন্ট রিসিভ
বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ ই-কমার্স কেনাবেচা ক্যাশ অন ডেলিভারিতে হয়।
বর্তমান সময়ের দৃশ্য কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।
কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে এর অর্থ অনলাইন পেমেন্ট এর সুযোগ বেড়ে যাচ্ছে।
কাস্টমার তার পছন্দের প্রোডাক্ট কেনার পর যেকোনো পেমেন্ট অপশন বেছে নিয়ে মূল্য পরিশোধ করতে পারছে। একটি নিদৃষ্ট পেমেন্ট অপশন এর মধ্যে সে সীমাবদ্ধ থাকছে না।
ভিসা কার্ড, মাষ্টার কার্ড, বিকাশ, রকেট যে যেই ধরনের পেমেন্ট অপশন ব্যবহার করে সেটা দিয়েই সে কেনাকাটা সম্পন্ন করতে পারবে।
পেমেন্ট আপনি রিসিভ করবেন সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে। লেনদেনের জন্য এটি অত্যন্ত নিরাপদ মাধ্যম।
যদি চান আপনার পেমেন্ট কালেকশন ক্যাশলেস হোক, কাস্টমার প্রডাক্ট অর্ডার করার সাথেই পেমেন্ট করুক। সে ক্ষেত্রে আপনার পেমেন্ট গেটওয়ে যুক্ত ইকমার্স ওয়েবসাইট প্রয়োজন।
স্পিড
অনলাইন কেনাকাটায় স্লো সিস্টেম কেউই পছন্দ করে না। ই-কমার্স ওয়েবসাইটের স্পিড অপটিমাইজেশন করার মাধ্যমে এটি কে অনেক দ্রুত গতির করা যায়।
এতে একজন কাস্টমার যে কোন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করে বা যেকোন ধরনের নেটওয়ার্কে দ্রুততার সাথে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তার ডিভাইসে রান করতে পারে। পছন্দের প্রোডাক্ট অনলাইনে ওপেন করে দেখতে পারে এবং কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই আপনার শপের সমস্ত প্রোডাক্ট ঘুরে আসতে পারে।
থার্ড পার্টি সেলিং সিস্টেমগুলো অনেক ধীর গতির হয়ে থাকে কারণ তাদের ইউজার অনেক এবং সেটি আপনার আদর্শ কাস্টমারদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি না।
আর যদি সেই সিস্টেমগুলো আপনি ফ্রিতে ব্যবহার করে থাকেন, তবে তারা কখনোই আপনার ইচ্ছে মত সিস্টেমের গতি অপ্টিমাইজেশন করার সুবিধা প্রদান করবে না।
যদি চান আপনার কাস্টমার সব ধরনের ডিভাইস অথবা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে দ্রত গতিতে কেনাকাটা করুক, স্লো গতির জন্য তারা যেন বিরক্ত না হয়।
তবে আপনার বিজনেস এর জন্য নিজস্ব ইকমার্স ওয়েবসাইট খুবই প্রয়োজন।
বিশ্বব্যাপী বিজনেস
বাংলাদেশের অধিকাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বর্তমানে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের বাইরে তাদের প্রোডাক্ট কেনাবেচা করছে।
এ ক্ষেত্রে বিদেশি বায়ারদের এ দেশে আসতে হয়। আপনার সাথে যোগাযোগ করতে হয়, আপনার প্রোডাক্ট দেখার পরে তারা সেগুলো অর্ডার করেন।
এটি অনেক ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া। এ ধরনের ফিজিক্যাল কমিউনিকেশন রেগুলার বিজনেসের জন্য খুব বেশি সুবিধা প্রদান করে না।
আবার অনেক সময় প্রাকৃতিক বিপর্যয় ফিজিক্যাল বিজনেস কে ব্যাহত করে যার জলজ্যান্ত উদাহরণ কোভিড-১৯ মহামারি কালীন অবস্থা ।
যদি চান আপনার প্রডাক্ট দেশের বাইরের বায়ার দেশে না এসেই অর্ডার করুক। তবে বিজনেসে ই-কমার্স ওয়েবসাইট অত্যন্ত প্রয়োজন।
ই-কমার্স বিজনেস এর সীমানা এখন বিশ্বব্যাপী। আপনি ছোট্ট একটা ঘরে বসে সারা বিশ্বের যেকোন প্রান্তে আপনার প্রোডাক্ট কেনাবেচা করতে পারেন।
যোগাযোগ করতে পারেন বায়ারদের সাথে। আপনার সমস্ত প্রোডাক্ট অরগানাইজ ভাবে তাদের দেখাতে পারেন এবং প্রয়োজনমতো আপনার বায়ার অনলাইনে আপনাকে অর্ডার করতে পারে।
কাস্টমারদের ডেটা ম্যানেজমেন্ট
কাস্টমারদের তথ্য বিজনেসের মূলধন। এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হলে সেগুলো লম্বা সময় ধরে আপনার বিজনেসের অনলাইন সেল নিশ্চিত করে।
বিজনেস এর অনলাইন মার্কেটিংয়ে এই ডেটা অত্যন্ত মূল্যবান। ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাস্টমারদের নাম, ঠিকান, ইমেইল, ফোন নাম্বার সহ এ ধরনের সকল ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।
পরবর্তী সময়ে বিজনেস এর ইমেইল মার্কেটিং, এসএমএস মার্কেটিং এর জন্য এই তথ্য ব্যবহার করা সহজ হয়।
একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট সুসজ্জিত ভাবে কাস্টমারদের ডেটা ম্যানেজ করার সুবিধা প্রদান করে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
সমসাময়িক সময়ে বিজনেসের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং-এ ফেসবুক সবার প্রথমে। ফেসবুকের এডভান্স লেভেলের এডভার্টাইজিং এর ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট জরুরী।
আমরা অনেকেই ফেসবুক পিক্সেল এর নাম শুনেছি। এটি ফেসবুকের একটি এনালাইটিক্যাল টুলস। যার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া ও ওয়েবসাইটের ভিজিটর ট্রেকিং করা যায়।
ফেসবুক বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে এই টুলস ব্যবহার করে রি-টার্গেটিং করা সম্ভব অর্থাৎ যারা একবার আপনার অ্যাড দেখেছে তাদেরকে পরবর্তী সময়ে আবার আপনার অ্যাড সফল ভাবে দেখানো যায়।
আপনি কি কখনো খেয়াল করেছেন, ফেসবুকে একটি এড দেখার পর সেখানে আপনি ক্লিক করেছেন এবং পরবর্তী সময়ে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম যেখানেই গেছেন সে এড আপনি বারবার দেখেছেন।
এমনটা হয় এর কারণ ফেসবুকের পিক্সেল ব্যবহার করে রি-টার্গেটিং অ্যাড চালানো হয়েছে।
ফেসবুক পিক্সেল এর সাহায্যে একটি এড কে আরো বেশি সুনিদৃষ্ট ও এফেক্টিভ করা যায়।
তাই মার্কেটিং বাজেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং অনলাইন এডভার্টাইজিং কে আরো বেশি সুনির্দিষ্ট এবং কার্যকারী করতে ই-কমার্স ওয়েবসাইট অবশ্যই প্রয়োজন।
ব্র্যান্ড পরিচিতি ও আস্থা
ফেসবুকে বিনামূল্যে পেইজ তৈরীর মাধ্যমে বিজনেস করার এই সুবিধার কারণে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে অনেক অনলাইন শপ।
যাদের নেই কোন পেশাদারিত্ব ও কাস্টমার সার্ভিস। তারা কোন রকম অর্থ বিনিয়োগ করা ছাড়াই ফেইসবুক এর দ্বারা বিজনেস করতে চায়।
অনলাইনের এই আগাছাদের ভিড়ে নিজের অস্তিত্ব ও স্বকীয়তাকে জানান দিয়ে সুনামধন্য ব্র্যান্ড হিসেবে কাস্টমারদের আস্থা অর্জন করে বিজনেস পরিচালনা করতে হলে ই-কমার্স ওয়েবসাইট প্রয়োজন।
প্রয়োজন তার সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবহার। একজন অনলাইন উদ্যোক্তা কোন কারণ ছাড়া ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর পেছনে এবং তার মানোন্নয়নে অর্থলগ্নি করবে না।
এটি কাস্টমারদের কাছে আপনার বিজনেসটিকে আস্থাশীল করে তোলে।
পরিশেষে
ই-কমার্স ওয়েবসাইট একটি বিজনেসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
ব্র্যান্ড হিসেবে বেড়ে উঠতে, কাস্টমারদের আস্থা অর্জন করতে, সঠিক মার্কেট এবং কাস্টমার ইন্সাইট পেতে চাইলে আপনার প্রয়োজন একটি মানসম্মত ই-কমার্স ওয়েবসাইট।
আপনার কাস্টমারদের অনলাইন কেনাকাটায় যত ভালো অভিজ্ঞতা প্রদান করবেন, তারা তত বেশি আপনার বিজনেসের প্রতি অনুগত হবে।
একটি লম্বা সময়ের বিজনেস পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে বিজনেসের প্রকৃত অবস্থা বিবেচনা সাপেক্ষে সঠিক পথে অগ্রসর হতে হলে ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর কোন বিকল্প নেই।
উপরের আলোচিত বিষয়গুলোর প্রেক্ষাপটে আপনার বিজনেসটিকে চিন্তা করে দেখুন।
যদি মনে হয়, আপনার বিজনেসটিকে এখন পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার সময় হয়েছে তবে আপনার ইকমার্স ওয়েবসাইট এর জন্য দরকারি ডিজাইন ও ফিচারের একটি খসড়া তৈরি করে ফেলুন।
আপনার বিজনেসের ই কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির অভিজ্ঞতা কেমন ছিলো? শেয়ার করুন আমাদের সাথে।
সবার আগে মন্তব্য করুন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন
মন্তব্য করতে হলে আপনাকে লগ ইন করতে হবে।