কাস্টমার অ্যাভাটার ওয়ার্কশিট (উদাহরণ সহ): শনাক্ত করুন বিজনেসের সঠিক কাস্টমার কে?

কাস্টমার অ্যাভাটার ওয়ার্কশিট (উদাহরণ সহ): শনাক্ত করুন বিজনেসের সঠিক কাস্টমার কে?
শেয়ার করুন

কাস্টমার অ্যাভাটার কেন বিজনেসের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে যে কথাটি মনে রাখা প্রয়োজন সেটি হলো, 

যদি পৃথিবীর সেরা প্রোডাক্টটি আপনার কাছে থাকে কিন্তু আপনি যদি এটি ভুল ব্যক্তির কাছে বিক্রি করার চেষ্টা করেন, তবে আপনার সফল হবার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। 

একজন ব্যবসায়ী কি সেল করছেন সেটিকে বেশি ফোকাস করতে গিয়ে ভুলে যান কাদের কাছে সেটি সেল করছেন। আর এটি তার মার্কেটিং ক্যাম্পেইনকে বিফল করে দেয়। 

কার্যকরভাবে যে কোনও কিছু বিক্রি করতে পারার আগে বুঝতে হবে … 

  • আপনার আদর্শ কাস্টমার কে? 
  • তারা অনলাইনে কোথায় সময় কাটায়?  
  • তাদের চ্যালেঞ্জগুলো কি? 

তাহলে কিভাবে আপনি এই প্রশ্নগুলোর সমাধান করবেন? 

চিন্তা করবেন না – এই আর্টিকেলে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। প্রথমত, কাস্টমার অ্যাভাটার কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন এটিকে মার্কেটিং এর “সুইস আর্মি নাইফ” হিসাবে উল্লেখ করা হয় সে বিষয়ে বলি। 

মার্কেটিং এর “সুইস আর্মি নাইফ”

ডিজিটাল মার্কেটিং অনেকগুলো আলাদা শাখা নিয়ে গঠিত। যেমনঃ কন্টেন্ট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, প্রোডাক্ট ক্রিয়েশন, পেইড ট্র্যাফিক,সোশ্যাল মিডিয়া, কপিরাইটিং, আনালিটিক্স ইত্যাদি। 

এই প্রতিটি শাখায় মাস্টার হতে কিছু স্কিল সেট দরকার। 

আপনার  কাস্টমার অ্যাভাটার সঠিকভাবে শনাক্ত করার দক্ষতা এর মধ্যে একটি যা মার্কেটিং এর প্রতিটি শাখার জন্য সমান প্রযোজ্য। এই দক্ষতা আপনার মার্কেটিংকে “সুইস আর্মি নাইফ” করে তোলে। আপনি মার্কেটিং এর প্রতিটি ক্ষেত্রে এটিকে ব্যবহার করতে পারেন।

উদাহরণ স্বরূপ,

কন্টেন্ট মার্কেটিংঃ কাস্টমার অ্যাভাটার আপনাকে বুঝতে সাহায্য করে কি ধরনের ব্লগ পোস্ট বা সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট তৈরি করলে কাস্টমার আকৃষ্ট হবে। 

পেইড ট্র্যাফিকঃ এটি বুঝতে সাহায্য করে যে আপনার কাস্টমার কোন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া বেশি ব্যবহার করে এবং তাদের টার্গেট করতে হলে কোন টার্গেটিং কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। 

কপি রাইটিং: কাস্টমার অ্যাভাটার জানতে সহায়তা করে আপনার দেয়া অফারগুলিকে কিভাবে বর্ণনা করতে হবে যা আপনার সম্ভব্য কাস্টমারদের সমস্যার সাথে কথা বলে এবং তাদের সেই প্রোডাক্ট ও সার্ভিস কেনার সিধান্ত নিতে প্রভাব বিস্তার করে।

ইমেইল মার্কেটিংঃ বেশি ইমেইলে ওপেন রেট ও কনভার্সন পেতে কাস্টমার অ্যাভাটার সহায়তা করে।কাস্টমার সেগমেন্ট করতে এটি আপনার অডিয়েন্স সম্পর্কে ধারনা দেয়। 

মার্কেটিং এবং সেলস প্রসেস এর মধ্যে  যে সকল অংশে কাস্টমারদের সাথে টাচ পয়েন্ট রয়েছে সেই সব জায়গাতে আপনি আপনার কাস্টমাদের কি অফার করবেন সে বিষয়ে পরিস্কার ভাবে ধারণা পেতে কাস্টমার অ্যাভাটার সহায়তা করে।

যখন আপনি পরিষ্কারভাবে সেসকল মানুষের ক্যারেক্টারিস্টিক সম্পর্কে ধারনা পাবেন যা আপনার প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস কিনতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। ঠিক সে সময় সঠিক কাস্টমারদেরকে খুঁজে পাওয়া এবং তাদের সামনে উপযুক্ত মার্কেটিং মেসেজ প্রদান করার মাধ্যমে তাকে ক্লাইন্টে কনভার্ট করা সহজ হবে। 

কাস্টমার অ্যাভাটারের উদাহরণ

এরিক এজেন্সি একটি ডিজিটাল মার্কেটিং ট্রেনিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। তাদেরকে আমরা এখানে উদাহরণ হিসাবে ধরে নিয়ে কাস্টমার অ্যাভাটার তৈরি করার প্রক্রিয়া বিস্তারিত বর্ণনা করার চেষ্টা করবো।

তাহলে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের জন্য সঠিক কাস্টমার কারা? আমরা এখানে চার ধরনের বায়ার পারসোনা নির্ধারণ করেছি। 

মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সারঃ যারা ট্রেনিং এবং সার্টিফিকেশন প্রোগ্রামের ব্যাপারে আগ্রহী। 

মার্কেটিং এজেন্সি ওনারঃ যারা ট্রেনিং এবং সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম গুলোর মাধ্যমে তাদের ডিজিটাল মার্কেটিং দক্ষতাকে আরো বেশি উন্নত করতে চায়।

চাকুরীজীবীঃ যারা ডিজিটাল মার্কেটিং ট্রেনিং এবং সার্টিফিকেশন গুলোর মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে নিজের অবস্থানকে আরো শক্ত করতে এবং প্রমোশনের জন্য নিজেকে আরও বেশি দক্ষ করতে ইচ্ছুক। 

ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তাঃ যারা ডিজিটাল মার্কেটিং ট্রেনিং এবং সার্টিফিকেশন গুলোর মাধ্যমে মার্কেটিং স্কিল বাড়িয়ে তুলে তার মার্কেটিং টিম ম্যানেজমেন্টের দক্ষতাকে বাড়াতে চায়। 

এখানে প্রতিটি বায়ার পারসনার জন্য আলাদা আলাদা কাস্টমার অ্যাভাটার তৈরি করা প্রয়োজন। তবে উদাহরণ হিসেবে আমরা শুধুমাত্র মার্কেটিং এজেন্সি ওনারকে  বেছে নিচ্ছি যার নাম দিয়েছি, “এজেন্সি এরিক”

এবার কাস্টমার অ্যাভাটার ওয়ার্কশীট step-by-step আমরা বোঝার চেষ্টা করছি। 

কাস্টমার অ্যাভাটারের মধ্যে কি রয়েছে? একটি কাস্টমার অ্যাভাটারের ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে।

  1. লক্ষ্য উদ্দেশ্য
  2. সোর্স অফ ইনফরমেশন
  3. ডেমোগ্রাফিক ইনফর্মেশন
  4. চ্যালেঞ্জ এবং পেইন পয়েন্ট
  5. অবজেকশন এবং রোলস

কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাস্টমারদের সাথে কথা বলার মাধ্যমে তথ্যগুলো আপনি তুলে নিয়ে আসতে পারেন। আবার আপনি যদি ইতিপূর্বে এ তথ্যগুলো সম্পর্কে অবগত থাকেন তবে একজন কাস্টমারকে আদর্শ হিসেবে বেছে নিয়ে তার ক্যারেক্টারিস্টিক গুলো কে আপনি লিপিবদ্ধ করতে পারেন। 

কাস্টমার সার্ভে করার পরে কাস্টমার অ্যাভাটার তৈরি করবেন সেই আশায় সীমাহীন সময় পর্যন্ত কখনোই বসে থাকবেন না। আপনার কাস্টমার সম্পর্কে আপনার কাছে যে পরিমান তথ্য রয়েছে সেটি দিয়ে শুরু করুন।   

লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য

শুরুতেই বোঝার চেষ্টা করুন আপনার আদর্শ কাস্টমারদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য কি? এজেন্সি এরিকের ক্ষেত্রে তার বিজনেসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। 

আপনার কাস্টমারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে আপনার প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসের সামঞ্জস্যতা কোথায়?  সেগুলো নোট রাখুন যা পরবর্তী সময়ে আপনাকে সাহায্য করবে, 

  • নতুন প্রোডাক্ট তৈরিতে
  • কপিরাইটিং এর ক্ষেত্রে
  • কনটেন্ট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে
  • ইমেইল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে

উদাহরণস্বরূপ, এজেন্সি এরিকের কাস্টমার অ্যাভাটারে আমরা দেখতে পাচ্ছি, তারা তাদের টিমের দক্ষতা উন্নয়নে আগ্রহী।  

এখন আমরা যদি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে একটি ইমেইল মার্কেটিং প্রমোশন চালাতে চাই তাহলে সেই ইমেইল এর সাবজেক্ট লাইন হতে পারে এমন, 

আপনার টিম মেম্বারদের কন্টেন্ট মার্কেটিং দক্ষতাকে বাড়াতে আমরা সাহায্য করি 

এবং এই হেডলাইন বা সাবজেক্ট লাইনটি নিঃসন্দেহে এজেন্সি এরিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। 

সোর্স অফ ইনফর্মেশন

কাস্টমার অ্যাভাটারের এই অংশে আপনার কাস্টমার কোথায় অবস্থান করছে সে বিষয়ে জানা যায়।

  • অনলাইনে অথবা অফলাইনে তারা কোথায় বেশি সময় কাটায়? 
  • তারা কি ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে পড়াশোনা করে? 
  • তারা প্রশিক্ষক হিসেবে কাদের কে ফলো করে? 

এই ইনফরমেশন গুলো আপনাকে পরিষ্কারভাবে বুঝতে সাহায্য করে আপনার কাস্টমারদের আকৃষ্ট করতে হলে বা খুঁজে পেতে হলে অনলাইনের কোথায় কোথায় এড দিতে হবে। 

কাস্টমার অ্যাভাটারের সোর্স অফ ইনফর্মেশন অংশটি পূরণ করার ক্ষেত্রে আপনি যেভাবে লিখতে পারেন,

  • আমার আদর্শ কাস্টমার বই পড়তে ভালোবাসে কিন্তু অন্যরা সেটি পছন্দ করেনা
  • আমার আদর্শ কাস্টমার অনলাইন ম্যাগাজিন সাবস্ক্রাইব করে রেখেছে কিন্তু অন্যরা সেটি করেনি
  • আমার আদর্শ কাস্টমার মার্কেটিং সংক্রান্ত কনফারেন্স গুলো এটেন্ড করে কিন্তু অন্যরা সেটি করে না

আপনার আদর্শ কাস্টমার কোন বইগুলো পড়ে?  

কি ধরনের ম্যাগাজিন বেশি পড়ে?  

কোন ধরনের ব্লগ পড়ে?  

কি ধরনের কনফারেন্স অ্যাটেন্ড করছে?  

তারা কাদের শিক্ষক হিসেবে ফলো করে? 

এ বিষয়গুলো আপনাকে বুঝতে সাহায্য করে আপনার সার্ভিস সেল করার জন্য সম্ভাব্য যে সকল কাস্টমারকে খুঁজছেন তারাও একই ধরনের বিষয়ে আগ্রহী। 

উদাহরণস্বরূপ ধরুন, আপনি বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহ রাখেন।  সে ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কযুক্ত বিষয়গুলোর প্রতি আপনি আগ্রহী হবেন। 

যদি আরো নিস অডিয়েন্স খুঁজে পেতে চাই তবে আপনাকে এমন একজন সেরা বিজ্ঞান বিষয়ে মাস্টারকে খুঁজে বের করতে হবে যাকে এভারেজ বিজ্ঞান প্রেমী মানুষ চেনে না।

কোয়ান্টাম থিউরির কথা বলা হলে সবার প্রথমে আইনস্টাইনের নাম মনে আসে কিন্তু সমসাময়িক সময়ে এই থিউরি নিয়ে গবেষণা করছেন এর মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী হলেন “অ্যালাইন অ্যাস্পেক্ট”

তাই আপনি যদি বিজ্ঞান বিষয়ে নিস অডিয়েন্স খুঁজে পেতে চান তবে অ্যালাইন অ্যাস্পেক্ট বিষয়ে জানে এদের খুঁজে বের করুন। 

যখন ফেসবুকের মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আমরা এড দিচ্ছি তখন যত স্পেসিফিক নিস অডিয়েন্স টার্গেট করতে পারবো, ততো বেশি সঠিক কাস্টমারের কাছে পৌঁছানো যাবে এবং সঠিক কাস্টমারদের কাছে পৌঁছতে নিস অডিয়েন্সের টার্গেট ইন্টারেস্ট গুলো আমাদেরকে সঠিক কৌশল বেছে নিতে সাহায্য করবে।

 

 

ডেমোগ্রাফিক ইনফর্মেশন

আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের ডেমোগ্রাফিক ইনফর্মেশন যেমনঃ তাদের বয়স, লিঙ্গ, ম্যারিটাল স্ট্যাটাস, ইনকাম রেঞ্জ, জব টাইটেল, ইত্যাদি ইনফর্মেশন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। 

সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে এড দেওয়ার সময় ইন্টারেস্ট টার্গেটিং করতে এই ইনফর্মেশন গুলো সহায়তা করে। 

এখন “এজেন্সি এরিক” যদি চায় এমন মানুষের কাছে তার ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স গুলো বিক্রি করবে যাদের বার্ষিক ইনকাম দশ লক্ষ টাকার উপরে তাহলে টার্গেটিং অপশন গুলোকে আরো বেশি ন্যারো ডাউন করার ক্ষেত্রে সেই ডেমোগ্রাফিক ইনফরমেশনগুলো কে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

কন্টেন্ট তৈরির সময় কাস্টমারদের ডেমোগ্রাফিক ইনফরমেশন গুলো আরো সুচারুভাবে তথ্যগুলোর উপস্থাপন এবং তাদের সাথে কন্টেন্টের কমিউনিকেশনে সাহায্য করে।

চ্যালেঞ্জ এবং পেইন্ট পয়েন্ট

আপনার প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসগুলো তাদের কোন কোন সমস্যা গুলোর সমাধান করে দেয়? 

আপনি যখন জানবেন আপনার সম্ভাব্য কাস্টমারের চ্যালেঞ্জগুলো কি? তাদের পেইন পয়েন্ট গুলো কি?  তখন আপনার এড কপিগুলো তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তৈরি করতে পারবেন।  

উদাহরণ স্বরূপ, “এজেন্সি এরিক” যদি তার কাস্টমারদের পেইন্ট পয়েন্টগুলো মাথায় রেখে অ্যাড কপি ডিজাইন করে তাহলে তারা কি বলবে?  দেখুন,

আপনার বিজনেস কি কাস্টমারদের জন্য কনটেন্ট মার্কেটিং অফার করে না?  এই কারণে আপনি কি কাস্টমার হারাচ্ছেন? তাহলে শিখুন কিভাবে কনটেন্ট মার্কেটিং করতে হয়। 

এ কোর্সের মাধ্যমে আপনি আপনার কাস্টমারের জন্য কনটেন্ট মার্কেটিং সার্ভিস প্রদান করতে পারবেন, যা আপনার কাস্টমারদের ধরে রাখতে সাহায্য করবে। 

অথবা সে বলতে পারে, 

কন্টাক্ট মার্কেটিং বিষয়ে আপনার ক্রিয়েটিভ টিম কি ভালো করছে না ? তাহলে এখুনি সাইন আপ করুন আমাদের কন্টেন্ট মার্কেটিং ট্রেনিং কোর্স এবং লেটেস্ট মার্কেটিং স্ট্রাটেজি সম্পর্কে আপডেট থাকুন। 

এ ধরনের মার্কেটিং মেসেজ নিঃসন্দেহে এজেন্সি এরিকের নজরে আসবে, কারণ তারা এই সমস্যার মোকাবেলা করছে এবং তাদের মতো আরো যে সকল এজেন্সি রয়েছে যারা ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস প্রদান করছে এবং কন্টেন্ট মার্কেটিং এ দক্ষতা বৃদ্ধি করতে আগ্রহী  তারাও নিশ্চিতভাবে এই মেসেজগুলো দেখে আগ্রহী হবে। 

অবজেকশনস এবং রোল

সবশেষে কেন আপনার কাস্টমার আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস কিনছে না?  সে বিষয়গুলোকে এখানে অবজেকশন বলা হচ্ছে। 

আপনি যদি জেনে থাকেন এজেন্সি এরিক তার টিম মেম্বারদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং ট্রেনিং করাতে বেশি পরিমাণ সময় খরচ করতে চান না তাহলে আপনার লেখা সাবজেক্ট লাইনটি হতে পারে এমন, 

মাত্র ১ দিনে সম্পন্ন করুন কনটেন্ট মার্কেটিং এর উপর বিশেষ শর্ট কোর্স

এখানে “একদিন” শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে যেহেতু এজেন্সি এরিক তার এমপ্লয়ীদের বেশি সময় তাঁর কাজের বাইরে রাখতে চায় না সেক্ষেত্রে এই “এক দিনের ট্রেনিং প্রোগ্রাম” শব্দটি তাকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। 

আপনাকে আরো নির্ধারণ করতে হবে প্রোডাক্ট ও সার্ভিস কেনার ক্ষেত্রে আপনার কাস্টমার অ্যাভাটারের রোল কি? 

  • তারা কি প্রাইমারি ডিসিশন মেকার
  • অথবা তারা শুধু মাত্র ডিসিশন নিতে প্রভাবকের কাজ করে 

আপনার কাস্টমার আবার যদি প্রাইমারি ডিসিশন মেকার হয়ে থাকে, তাহলে আপনার মার্কেটিং এর ম্যাসেজের ভয়েস টোন  হবে এমন যা তার সাথে সরাসরি কথা বলে।

আর যদি তারা শুধু মাত্র ডিসিশন নিতে প্রভাবকের কাজ করে তবে আপনি যাকে এই সার্ভিস নিতে উৎসাহিত করুন বা ভিন্ন কৌশল বেছে নিন যেন সে আপনার সার্ভিসকে সঠিক বলে মনে করে। 

পরিশেষে

শুধুমাত্র একটি কাস্টমার অ্যাভাটার তৈরি করে থেমে গেলে চলবে না। একের অধিক আদর্শ কাস্টমারদের ক্যারেক্টারিস্টিক গুলো নিয়ে আপনাকে কয়েকটি কাস্টমার অ্যাভাটার তৈরি করতে হবে। 

একের অধিক কাস্টমার অ্যাভাটার গুলো নিয়ে আপনি ভিন্ন ভিন্ন কাস্টমার সেগমেন্ট তৈরি করবেন।

প্রতিটি কাস্টমার সেগমেন্টের জন্য লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, ইনফর্মেশন সোর্স, পেইন পয়েন্ট এবং অবজেকশন ও রোল উল্লেখ করতে হবে।

এবারে আপনি আপনার বিজনেসের মার্কেটিং এর জন্য নির্ভয় এগিয়ে যান।  কারণ এখন আপনি জানেন ঠিক কোন কাস্টমারের কাছে আপনি আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস সেল করতে যাচ্ছেন। আপনি এটিও জানেন কি বললে তারা আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস কিনবে। 

হতে পারে একটি কাস্টমার সেগমেন্ট থেকে ভালো সেল আসেনি কিন্তু অন্য কাস্টমার সেগমেন্ট সেই কমতি পূরণ করে দিতে পারে। ফলে আর আপনি কখনোই ব্যবসায় লস করবেন না।

আরো পড়ুনঃ

কিভাবে ‘অফার’ ডিজাইন করবেন যা কাস্টমার গ্রহণ না করে পারবে না
শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

সবার আগে মন্তব্য করুন

আপনার মূল্যবান মতামত দিন