অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী? ই-কমার্স বিক্রি বাড়িয়ে টাকা আয় করার পদ্ধতি

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী? ই-কমার্স বিক্রি বাড়িয়ে টাকা আয় করার পদ্ধতি
শেয়ার করুন

পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি এবং নিজ প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি জানান দেয়ার মোক্ষম পন্থা খুঁজে বের করা- বর্তমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার বাজারে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর এই দু’টোই মূল লক্ষ্য। এই দুই লক্ষ্য অর্জনে ই-কমার্সের একেবারে শুরুর দিনগুলো থেকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রভাব বেশ উল্লেখযোগ্য। এই আর্টিকেলে এর কার্যকর কিছু দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যার সফল প্রয়োগ সম্ভবপর হলে একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিজেদের নিয়ে যেতে পারে অনন্য উচ্চতায়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এক বিশেষ ধরণের মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি, যেখানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েটদের (ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান) নিযুক্ত করে নিজেদের পণ্য বা সেবার অনলাইন মার্কেটিং-এর জন্য। প্রতিটি পণ্য বিক্রয়ের সাপেক্ষে উক্ত অ্যাফিলিয়েট ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে একটি কমিশন পান। কমিশন মেলে ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোর জন্য লিড বা ক্লিক জেনারেট করে দিলেও।

পণ্য বিক্রয়ের উপর কমিশন প্রদান করার এই আইডিয়া প্রথম উদ্ভাবন করেন উইলিয়াম জে টবিন নামক এক আমেরিকান উদ্যেক্তা, ১৯৮৯ সালে। এর কয়েক বছরের মাথায় অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর ধারণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসে। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের মিলিয়নের উপর পণ্যের প্রচারণার জন্য নিযুক্ত করে অ্যাফিলিয়েটদের, এবং সেই শুরু। এখন পর্যন্ত ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি এবং অনলাইন মার্কেটিং-এ গ্রহণযোগ্যতার মানদণ্ডে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর অবস্থান প্রথম সারিতে।

কীভাবে কাজ করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আবর্তিত হয় মূলত মার্চেন্ট, অ্যাফিলিয়েট এবং কাস্টোমার- এই তিন শ্রেণীকে নিয়ে। এখানে-

১. মার্চেন্টঃ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, যারা নিজেদের পণ্য বা সেবার প্রচারণা চাচ্ছেন।

২. অ্যাফিলিয়েটঃ যারা বিভিন্ন মার্চেন্টের প্রোডাক্ট প্রমোশন করছেন।

৩. কাস্টোমারঃ যারা অ্যাফিলিয়েটদের শেয়ার করা রেফারেল লিঙ্কের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করছেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রক্রিয়া

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর ধরণ

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মানে নেহায়েত কোনো ই-কমার্স পণ্যের প্রচারণা চালানোই নয়, বরং এর ধারণাটি আরো বিস্তৃত। একটি প্রতিষ্ঠান ব্যবসার বিভিন্ন পর্যায়ে অনলাইন মার্কেটিং-এর জন্য বিভিন্ন ধরণের অ্যাফিলিয়েটদের শরনাপন্ন হতে পারে। 

ধরা যাক, কোনো একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ফিটনেস প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছে। প্রাথমিক পর্যায়ে বিক্রয় বৃদ্ধি করতে তারা গুগল অ্যাডে পারদর্শী এবং পেইড অ্যাডভার্টাইজিং-এর মাধ্যমে ট্রাফিক আনতে সক্ষম এমন একজন অ্যাফিলিয়েটের সাথে কাজ করতে পারে। 

পরবর্তীতে, ব্যবসার প্রসারের সাথে সাথে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হবে এমন একজন অ্যাফিলিয়েটের, যিনি ফিটনেস বিষয়ে একজন এক্সপার্ট, কিন্তু নিজে সরাসরি এই প্রতিষ্ঠানের ভোক্তা নন। 

এবং সর্বশেষ, উক্ত প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে হবে এমন একজন অ্যাফিলিয়েটের সাথে যিনি সরাসরি তাদের পণ্য ব্যবহার করেন, যেমন কোনো ফিটনেস ট্রেইনার। সর্বশেষ এই ধাপটি বিশ্বস্ততা অর্জন এবং ক্রেতাদের সাথে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক বিনির্মানে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করে।

এছাড়াও, প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী অনলাইন মার্কেটিং-এ বিভিন্ন ধরণের অ্যাফিলিয়েটরা নিয়োগ পেয়ে থাকেন। গুগল অ্যাডস বা এসইও ব্যবহার করে যারা ট্রাফিক আনতে সক্ষম, তারা পে-পার-ক্লিক মার্কেটিং নিয়ে কাজ করেন। আবার পণ্যের বিক্রয় বাড়াতে এক্সপার্ট এবং প্রতিটি পণ্যের বিক্রয়ে ১০% পর্যন্ত কমিশন নিয়ে থাকেন এমন যারা আছেন, তারা কাজ করেন পে-পার-সেলস মার্কেটিং নিয়ে। লিড জেনারেশন নিয়েও কাজ করে থাকেন অনেক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার। 

এছাড়াও অ্যাফিলিয়েটরা কাজ করেন রেফারেল মার্কেটিং, কুপন মার্কেটিং বা ইমেইল মার্কেটিং নিয়ে। তবে আমরা সবচেয়ে বেশি যে ধরণের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দেখতে পাই, তা হলো ইনফ্লুয়েন্সার এবং কনটেন্ট মার্কেটিং।  

মোবাইল এবং ল্যাপটপে ই-কমার্স দোকানে প্রোডাক্ট দেখা হচ্ছে

ই-কমার্স বিক্রয় বৃদ্ধিতে এর কার্যকর প্রয়োগ

১. নিশ (niche) অ্যাফিলিয়েটদের সাথে পার্টনারশিপঃ একজন অ্যাফিলিয়েট সব ধরণের niche নিয়ে কাজ করেন না, ভিন্ন ভিন্ন অ্যাফিলিয়েটরা ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির সাথে যুক্ত। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে খুজে বের করতে হয় তাদের প্রদানকৃত পণ্য বা সেবার বিষয়ে অভিজ্ঞ এমন অ্যাফিলিয়েটদের।

২. যথাযথ কমিশন প্রদানঃ সেই নব্বই দশকের শেষ দিকে সদ্য ব্লগিং শুরু করা ব্লগারেরাও মাসে হাজার দশেক ডলার উপার্জন করতে শুরু করেন শুধু বই, গ্যাজেট আর সফটওয়্যার প্রোমোট করেই। অ্যামাজনের বিপুল সাফল্যই প্রমাণ করে, কেন মার্কেটারদের ন্যায্য কমিশন প্রদান করা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিতে অত্যন্ত জরুরী। পুরো গ্লোবাল মার্কেটে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এ প্রতি ১ ডলার খরচ করার সাপেক্ষে আয় করছে ৬.৫০ ডলার করে। এমন সাফল্য পেলে কেন একটি প্রতিষ্ঠান অ্যাফিলিয়েটদের পেছনে বিনিয়োগ করবে না!

৩. মার্কেটিং ম্যাটারিয়েলঃ প্রতিষ্ঠানের ব্যানার, প্রোডাক্টের ছবি, প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য প্রমোশনাল কপি- অ্যাফিলিয়েটদের মাধ্যমে ব্র্যান্ডিং বাড়াতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর এ সমস্ত বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরী। শপিফাই এর সফল ব্র্যান্ডিং-এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল তাদের তৈরী করা কনটেন্ট কিট।

৪. পারফরম্যান্স ট্র্যাকিংঃ গুগল অ্যানালিটিকস, হাবস্পট বা সিজে অ্যাফিলিয়েটের মতো টুলগুলো পণ্যের বিক্রয় এবং কনভার্সন ট্র্যাক করার জন্য বেশ কার্যকর। প্রতিষ্ঠানের টপ পারফর্মিং অ্যাফিলিয়েটদের চিহ্নিত করার জন্যও এই টুলগুলোর সহায়তা নেয়া যায়।

৫. কনটেন্ট মার্কেটিংঃ পণ্য বা সেবার প্রতি গ্রাহকের আগ্রহ ধরে রাখবে, এমন টিউটোরিয়াল, রিভিউ বা আনবক্সিং ভিডিও তৈরী করতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যাফিলিয়েটদের উৎসাহিত করতে পারে। ইনস্টাগ্রামে নামী-দামী ইনফ্লুয়েন্সারেরা এ ধরণের প্রোডাক্ট ক্যাম্পেইন থেকে ২০,০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর সুবিধা কী কী?

সাশ্রয়ীঃ সেলস, ক্লিক বা লিড- প্রতিষ্ঠানের চাহিদা যা-ই হোক না কেন, অ্যাফিলিয়েট তা আদায় করে না দেয়া পর্যন্ত যেহেতু কমিশন গুনতে হচ্ছে না, সেহেতু প্রতিষ্ঠানের জন্য এ ধরণের বিনিয়োগে ঝুঁকি অত্যন্ত কম।

গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিঃ অ্যাফিলিয়েটরা তাদের নিজস্ব অডিয়েন্সের কাছে একটি পণ্য বা সেবার প্রচারণা চালান। এর সহায়তায় উক্ত অডিয়েন্সের কাছে সরাসরি পৌঁছানো যায়, এবং ই-কমার্সের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।

গ্রাহকের বিশ্বস্ততা অর্জনঃ ফোর্বসের প্রদান করা তথ্য অনুযায়ী, সমগ্র বিশ্বে ৫৩% নারী এবং ২৬% পুরুষ ক্রেতারা ই-কমার্স পণ্য ক্রয় করার ক্ষেত্রে নির্ভর করে থাকে ইনফ্লুয়েন্সারদের করা প্রোডাক্ট রিভিউ-এর উপর।

ব্যবসায়িক অগ্রগতিঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নেটওয়ার্ক বৃদ্ধিতে একটি প্রতিষ্ঠান যত বেশি মনোযোগী হবে, ভবিষ্যৎ ক্রেতা শ্রেণীর কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সফলতাও ততো বাড়তে থাকবে- প্রতিষ্ঠানের লাভের পরিমাণের মতোই।

কীভাবে শুরু করবো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী এবং কীভাবে এটি কাজ করে তা বোঝা সহজ হলেও, শুরু করার জন্য প্রয়োজন একটি যথাযথ কর্মপরিকল্পনার। এক্ষেত্রে, সবার প্রথম কাজটি কী হতে পারে?

শুরুতেই, একজন মার্কেটারকে তার নিশ (niche) ঠিক করে নিতে হয়। সাধারণত ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে আগ্রহী বা অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন, এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার ক্ষেত্রে মার্কেটার তার অভিজ্ঞতা বা অভ্যস্ততা থেকেই একটি নিশ বেছে নিতে পারেন। 

বিশ্বব্যাপী এই মুহূর্তে জনপ্রিয়তার নিরিখে এগিয়ে আছে ফিটনেস, টেকনোলজি, ট্যুর-ট্র্যাভেলস এবং ফ্যাশনের মতো নিশ-গুলো। এর বাইরে ক্রেডিট কার্ড, হোম এপ্লায়েন্স, বেবি প্রোডাক্ট, গেমিং-এর মতো নিশগুলোও বেশ জনপ্রিয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা যেতে পারে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে বিক্রয় হয় এমন যেকোনো পণ্য দিয়েই, তবে উক্ত পণ্যের জন্য পর্যাপ্ত অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আছে কি না এবং মার্কেটে এই পণ্যের চাহিদা কেমন- এই বিষয়গুলো শুরুতেই বিবেচ্য।

অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম ড্যাশবোর্ড

কোন কোন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম ভালো

জনপ্রিয়তাঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অ্যামাজন এসোসিয়েটস জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের বিস্তৃত প্রোডাক্ট মার্কেট, জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা এটিকে সমস্ত অ্যাফিলিয়েটদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছে বছরের পর বছর। যদিও অ্যামাজনের কমিশন রেট অন্যান্য অনেক ই-কমার্সের থেকেই এখন বহুলাংশে কম, কিন্তু শুরু করার জন্য এটি সবথেকে ভালো প্ল্যাটফর্মগুলোর একটি। 

ব্র্যান্ড মার্কেটিংঃ শেয়ার আ সেল, সিজে অ্যাফিলিয়েট এবং রাকুটেন অ্যাডভার্টাইজিং এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের নামকরা সব ব্র্যান্ডের সাথে মার্কেটারদের অ্যাফিলিয়েট করার সুযোগ দিচ্ছে। এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গ্লোবাল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এ শেয়ার আ সেল এই মুহূর্তে সর্ববৃহৎ (৫৫.৭%) শেয়ার ধরে রেখেছে। 

কমিশনঃ  ব্লুহোস্ট, শপিফাই বা হাবস্পট এর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলো দিচ্ছে বেশ ভালো পরিমাণ কমিশন। তবে একেবারে নতুনদের জন্য ক্লিকব্যাংক, ফাইভার, ক্যানভা, ইউডেমি বা ই-বে’র অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলো দিয়ে শুরু করাই আদর্শ, কেননা এই প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করা সহজ, এবং কমিশনও বেশ আকর্ষনীয়।

সারা বিশ্বে প্রতিদিন ই-কমার্সে যে পরিমাণ বিক্রয় হয়, তার ১৬%-ই আসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে। বর্তমানে ১৭ বিলিয়ন অর্থমূল্যের এই গ্লোবাল মার্কেট ২০২৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১০% হারে প্রবৃদ্ধি পেতে শুরু করবে বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত। ২০২৪ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী একজন অনলাইন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার গড়ে বার্ষিক ৫৬,৯৭৫ ডলার উপার্জন করেন। 

ই-কমার্স ব্যবসার প্রসার, গ্রহণযোগ্যতা এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রভাব বেশ সুদূরপ্রসারী, এবং ঠিক এ কারণেই বিশ্বের ৮০% ব্র্যান্ডেরই এই মুহূর্তে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম চলমান আছে। সঠিক অ্যাফিলিয়েট নির্বাচন এবং মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি প্রয়োগ করার মাধ্যমে মাধ্যমে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিনিয়োগের সর্বোচ্চ রিটার্ন তুলে আনতে পারে। যে কারণে সদ্য শুরু করা ই-কমার্স স্টার্টআপ হোক বা অনলাইন মার্কেটে সিদ্ধহস্ত কোনো প্রতিষ্ঠান – এই মার্কেটিং সমানভাবে জনপ্রিয় ও কার্যকর থাকবে সামনের দিনগুলোতেও, এই ধারণা করাই যায়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

সবার আগে মন্তব্য করুন

আপনার মূল্যবান মতামত দিন