একচেটিয়া বাজার বলতে এমন এক বাজার ব্যবস্থাকে বোঝানো হয় যেখানে একটি প্রতিষ্ঠান বা বিক্রেতা সম্পূর্ণ বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। এবং সেই পণ্যের কোনো বিকল্প থাকে না। এই একচেটিয়া বাজারকে মূলত ইংরেজিতে মনোপলি (Monopoly) বলা হয়।
ধরুন, একটি শহরে শুধু একটি প্রতিষ্ঠানই বিদ্যুৎ সরবরাহ করে – অন্য কেউ সেই শহরে বিদ্যুৎ দিতে পারে না। সেক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠান পুরো বিদ্যুৎ বাজারে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ রাখে। মানুষ বিদ্যুৎ প্রয়োজন হলেও বিকল্প প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে পারে না। এই অবস্থাকে একচেটিয়া বাজার বলা হয়।
একচেটিয়া বাজার কাকে বলে?
সাধারণত বাজার বলতে এমন এক জায়গাকে বোঝায় যেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতা একত্রিত হয়ে অর্থের বিনিময়ে পণ্য বা সার্ভিস পেয়ে থাকেন। বাজার বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। একই বাজারে একই পণ্য নিয়ে একাধিক বিক্রেতা থাকতে পারে আবার একটি পণ্যের শুধু একটি মাত্র বিক্রেতা বা কোম্পানি থাকতে পারে। এ ধরণের বাজারকেই একচেটিয়া বাজার বা মনোপলি মার্কেট বলা হয়। এধরণের বাজারে বিক্রেতারা পণ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারে এবং পণ্যের দাম ও বেশি রাখতে পারে। যেমন একটি দেশের বিদ্যুৎ, রেল, পানি ইত্যাদি পরিষেবা সাধারণত সরকার একচেটিয়া ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে এবং দাম নির্ধারণ করে।
একচেটিয়া বাজার সম্পর্কে অধ্যাপক পল স্যামুয়েলসন (Paul Samuelson) বলেছেন,
“একচেটিয়া বাজার হলো এমন এক বাজার পরিস্থিতি যেখানে একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান এমন একটি পণ্য বিক্রি করে যার কোনও কাছাকাছি বিকল্প নেই এবং যেখানে নতুন প্রতিযোগীদের প্রবেশ বাধাগ্রস্ত বা অসম্ভব।”
অর্থনীতিবিদ জোয়ান রবিনসন (Joan Robinson) বলেছেন, “একচেটিয়া বাজার বলতে এমন একটি পরিস্থিতিকে বোঝায়, যেখানে একজন একক উৎপাদক এমন একটি পণ্যের সম্পূর্ণ সরবরাহের নিয়ন্ত্রণ করে, যার কোনো বিকল্প নেই।”
একচেটিয়া বাজারের শর্ত ও বৈশিষ্ট্য
যেকোনো বাজারকে একচেটিয়া বাজার বলা যাবে না এব্যাপারটি আমরা ইতোমধ্যে বুঝতে পেরেছি। একচেটিয়া বাজারের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি পণ্যের একের অধিক প্রতিদ্বন্দী বা বিক্রেতা থাকা যাবে না।
এছাড়াও আরো বেশ কিছু শর্ত ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে একচেটিয়া বাজারের যা নীচে আলোচনা করা হলো-
একক বিক্রেতা
একচেটিয়া বাজারের ক্ষেত্রে পণ্যের শুধু একজন বিক্রেতা বা উৎপাদক বা সরবরাহকারী থাকতে হবে, একের অধিক বিক্রেতা থাকলে তা একচেটিয়া বাজার হিসেবে গণ্য হবে না।
বিকল্প পণ্যের অভাব
মনোপলি পণ্যের সাধারণত কোনো বিকল্প থাকে না বা আনা সম্ভব হয়না একক বিক্রেতার কারণে। ফলে একচেটিয়া বাজারে বিকল্প পণ্যের অভাব থাকে।
বাজারে প্রবেশের বাধা
নতুন প্রতিষ্ঠান বাজারে প্রবেশ করতে পারে না – এটি আইনি বাধা, পেটেন্ট, প্রযুক্তিগত দক্ষতা বা বিশাল মূলধন সংক্রান্ত হতে পারে।
বিক্রেতার দাম নির্ধারণের ক্ষমতা
যেহেতু একচেটিয়া বাজারে একজন বিক্রেতাই বিদ্যমান তাই পণ্যের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিক্রেতার প্রভাব লক্ষনীয়।
অসম্পূর্ণ বাজার তথ্য
ভোক্তা ও প্রতিযোগীদের কাছে সম্পূর্ণ তথ্য থাকে না, ফলে বিকল্প খোঁজার সুযোগ সীমিত।
বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন কম
যেহেতু একচেটিয়া বাজারে প্রতিযোগী থাকে না তাই পণ্যের সেরকম কোনো মার্কেটিং এর প্রয়োজন হয়না।
অর্থনৈতিক স্কেল লাভ
বৃহৎ উৎপাদন ব্যবস্থার কারণে মনোপলি প্রতিষ্ঠান তুলনামূলকভাবে কম খরচে উৎপাদন করতে পারে।
সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ
যেহেতু সরবরাহকারী একজন তাই পণ্যের সরবরাহ নিয়ন্ত্রনের পূর্ণ ক্ষমতা থাকে। এক্ষেত্রে অনেক সময় বিক্রেতারা পণ্যের কৃত্রিম অভাব তৈরী করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ফেলে।
দীর্ঘমেয়াদে অতিরিক্ত মুনাফা
প্রতিযোগিতা না থাকায় মনোপলি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় ধরে অস্বাভাবিক (extra) মুনাফা করতে পারে।
একচেটিয়া বাজারে সাধারণত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান প্রবেশের সুযোগ তূলনামূলকভাবে কম থাকে। কারণ অনেক সময় সরকার কোনো প্রতিষ্ঠানকে একচেটিয়া বাজারের স্বত্ব দিতে পারে। যেমন রেলপথ বা বিদ্যুৎ। আবার বাজারে প্রবেশের জন্য যে প্রযুক্তি বা মূলধন প্রয়োজন তা অনেকের ক্ষেত্রে সম্ভব না।
একচেটিয়া বাজারের ইতিহাস ও উদ্ভবের কারণ
অনেকে ভাবতে পারেন একচেটিয়া বাজার হয়তো বর্তমান সময়ে শুরু হয়েছে কিন্তু আসলে এই বাজার ব্যবস্থা নতুন কোনো ধারণা নয়। বরং প্রাচীন যুগ থেকেই কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট পণ্যের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে বাজারে আধিপত্য বিস্তার করত।
তবে আধুনিক একচেটিয়ার ধারণা বেশি বিকশিত হয়েছে শিল্প বিপ্লবের পর, বিশেষ করে ১৮শ শতকের শেষভাগ থেকে ১৯শ শতকের মধ্যে।
ইতিহাসে একচেটিয়া বাজারের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ-
- British East India Company (1600–1874):
এই কোম্পানিকে ব্রিটিশ সরকার ভারত ও পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায় একচেটিয়া অধিকার দিয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন চা, কাপড়, মশলা ইত্যাদির বাণিজ্যে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ চালায়। - Standard Oil Company (USA, late 1800s):
জন ডি. রকফেলারের কোম্পানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তেল বাজারে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল। একসময় মার্কিন তেলের প্রায় ৯০% তারা নিয়ন্ত্রণ করত। - De Beers (Global Diamond Trade):
দীর্ঘদিন ধরে ডি বিয়ার্স কোম্পানি বিশ্বজুড়ে হীরার বাজারে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল - AT&T (USA, 1900s): টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক সময় AT&T একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিল।
একচেটিয়া ব্যবসার প্রধান কারণ সমূহ
একচেটিয়া ব্যবসার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে তবে এর প্রধান কিছু কারণ নীচে তুলে ধরা হলো –
- আইনি অধিকার ও সরকারি লাইসেন্স (Legal Rights): কখনো কখনো সরকার কোনো প্রতিষ্ঠানকে একচেটিয়া ব্যবসা করার স্বত্ব দিয়ে থাকে।
- পেটেন্ট ও কপিরাইট (Patent & Copyright): যদি কেউ কোনো পণ্যের উৎপাদক বা উদ্ভাবক হয় তবে তিনিও একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ পেয়ে থাকেন।
- বড় মূলধন বা বিনিয়োগ প্রয়োজন (High Capital Requirement): অনেক শিল্প আছে যেখানে প্রবেশ করতে বিশাল মূলধন বা বিনিয়োগ প্রয়োজন যা সাধারণত সবার পক্ষে করা সম্ভব না। সেক্ষেত্রে যিনি এই মূলধন কাজে লাগাতে পারে তিনিই এই একচেটিয়া বাজারে প্রবেশ করতে পারেন।
- প্রাকৃতিক সম্পদের দখল (Ownership of Resources): কোন কোম্পানি যদি গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামালের একচ্ছত্র মালিক হয়, তবে তারাই একমাত্র উৎপাদক হয়ে ওঠে। যেমন: তেল, গ্যাস, ইউরেনিয়াম ইত্যাদি।
- প্রযুক্তিগত দক্ষতা বা গোপন ফর্মুলা (Technological Superiority): কোনো কোম্পানির হাতে এমন প্রযুক্তি থাকলে যা অন্যদের নেই, তবে তারাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। যেমনঃ Coca -Cola-এর গোপন ফর্মুলা।
- প্রাকৃতিক একচেটিয়া (Natural Monopoly): এমন কিছু পরিষেবা যেমন রেলপথ, বিদ্যুৎ বিতরণ যেখানে একাধিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম অপ্রয়োজনীয় বা অসম্ভব, সেখানে স্বাভাবিকভাবেই একচেটিয়া গড়ে ওঠে।
একচেটিয়া বাজারের সুবিধা
একচেটিয়া বাজার বা Monopoly Market হল এমন একটি বাজার কাঠামো, যেখানে একটি মাত্র বিক্রেতা পুরো বাজারে একটি নির্দিষ্ট পণ্যের সরবরাহ ও দামের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। যদিও এটি প্রতিযোগিতার অভাবজনিত কারণে সমালোচিত, কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে একচেটিয়া বাজার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাও প্রদান করে থাকে—বিশেষ করে উৎপাদন দক্ষতা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ক্ষেত্রে। নিচে এর উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো:
- দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে উৎসাহ
- গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে সহায়ক
- পণ্য উৎপাদনের দক্ষতা বৃদ্ধি
- দামের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব
- অপরিকল্পিত প্রতিযোগিতা থেকে মুক্তি
- সামাজিক কল্যাণমুখী উদ্যোগ সম্ভব
সব দিক বিবেচনায় দেখা যায়, যদিও একচেটিয়া বাজার প্রতিযোগীবিহীন কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে এটি সমাজে ও রাষ্ট্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম। তবে, সুবিধাগুলো টিকে থাকে তখনই, যখন একচেটিয়তা অপব্যবহার না করে ভোক্তার স্বার্থের দিকটিও বিবেচনায় রাখা হয়।
একচেটিয়া বাজারের অসুবিধা
যদিও একচেটিয়া বাজার কিছু সুবিধা প্রদান করে, তবে এর অপব্যবহার ভোক্তা, সমাজ ও সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠান যেমন ইচ্ছা তেমন আচরণ করার সুযোগ পায়, যার ফলে নিচের অসুবিধাগুলো দেখা যায়।
- দামের উপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ
- ভোক্তাদের পছন্দের সীমাবদ্ধতা
- দুর্বল গুণগত মান
- অদক্ষতা ও অপচয়
- উচ্চ মুনাফা কিন্তু কম উৎপাদন
- অন্য প্রতিদ্বন্দীদের প্রবেশে বাধা
- সামাজিক কল্যাণ হ্রাস পায়
একচেটিয়া বাজার প্রাথমিকভাবে কিছু সুবিধা দিলেও দীর্ঘমেয়াদে এটি ভোক্তা অধিকার, বাজারের স্বাভাবিক প্রবাহ এবং সামাজিক কল্যাণের জন্য এক বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
একচেটিয়া বাজারে দামের উপর বিক্রেতার প্রভাব
একচেটিয়া বাজারে দামের উপর বিক্রেতার প্রভাব সবচেয়ে বেশি। যেহেতু উৎপাদনকারী একজন তাই ক্রেতারা চাইলেই বাজার যাচাই করতে পারে না এবং বাধ্য হয়ে বিক্রেতার নির্ধারিত দামেই পণ্য কিনতে হয়।
মূল প্রভাবগুলো:
- মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা সম্পূর্ণ বিক্রেতার হাতে
- ভোক্তার বিকল্প নেই
- দামের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে উৎপাদনের পরিমাণ
- নতুন প্রতিষ্ঠান প্রবেশ করতে না পারায় প্রতিযোগিতা বাধাগ্রস্ত হয়
একচেটিয়া বাজারে দ্রব্যের দাম কি স্থির থাকে?
একচেটিয়া বাজারে দ্রব্যের দাম সাধারণত স্থির থাকে না। কারণ এখানে একমাত্র বিক্রেতা তার সুবিধা অনুযায়ী উৎপাদনের পরিমাণ ও দাম নির্ধারণ করতে পারে। প্রতিযোগিতা না থাকায়, চাহিদা ও সরবরাহের পরিবর্তনের সাথে সাথে সে দাম বাড়াতে বা কমাতে পারে। ফলে বাজারে স্বাভাবিক দামের ভারসাম্য বজায় থাকে না এবং দাম প্রায়শই পরিবর্তনশীল হয়।
একচেটিয়া বাজারে বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব কতটা?
একচেটিয়া বাজারে বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব তুলনামূলকভাবে কম হলেও তা পুরোপুরি অপ্রয়োজনীয় নয়। প্রতিযোগী না থাকলেও, প্রতিষ্ঠানটি ভোক্তার মধ্যে পণ্যের মান, ব্যবহারবিধি ও ব্র্যান্ড ইমেজ তুলে ধরতে বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে। এতে ভোক্তার আস্থা বাড়ে এবং বাজারে পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা স্থির থাকে। বিশেষ করে নতুন পণ্য বা পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
একচেটিয়া বাজারে উৎপাদনের ভারসাম্য কীভাবে নির্ধারিত হয়?
একচেটিয়া বাজারে উৎপাদনের ভারসাম্য নির্ধারিত হয় মুনাফা সর্বাধিক করার লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে। এখানে বিক্রেতা চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনের পরিমাণ নির্ধারণ করে, যাতে সীমিত সরবরাহের মাধ্যমে সর্বোচ্চ মূল্য আদায় করা যায়। উৎপাদন তখনই স্থির হয় যখন প্রান্তিক ব্যয় (MC) ও প্রান্তিক আয় (MR) সমান হয়। এই ভারসাম্য ভোক্তার চাহিদা নয়, বরং বিক্রেতার কৌশলের ওপর নির্ভর করে।
একচেটিয়া বাজারে মুনাফার পরিমাণ দীর্ঘকালে কেমন হতে পারে?
একচেটিয়া বাজারে সাধারণত মুনাফার পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে। যেহেতু এখন আর কোনো প্রতিদ্বন্দী নেই তাই উচ্চ মুনাফা রেখে পণ্য বিক্রি করা যায় এবং ভোক্তারাও বিকল্প না পেয়ে সেই দামেই কেনে। ফলে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘমেয়াদে অতিরিক্ত বা অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করে। তবে সরকারী নিয়ন্ত্রণ বা নীতিনির্ধারণী হস্তক্ষেপ থাকলে এই মুনাফা কিছুটা সীমিত হতে পারে।
পরিশেষে এটাই বলা যায়, একচেটিয়া বাজারে যেমন কিছু সুবিধা আছে তেমন অসুবিধাও রয়েছে। যদি সুষ্ঠভাবে বাজার নিয়ন্ত্রন করে ভোক্তার সন্তুষ্টি লাভ করা যায় তবে একচেটিয়া বাজার লাভবান একটি ব্যবসা
সবার আগে মন্তব্য করুন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন
মন্তব্য করতে হলে আপনাকে লগ ইন করতে হবে।