বিজ্ঞাপনের প্রাচীন যুগ থেকেই বিক্রেতারা কিভাবে তাঁর প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য কাস্টমার খুঁজে পাবে সেই কৌশল নিয়ে ক্রমাগত গবেষণা করে চলেছে।
১৮৯৮ সালে এলিয়াস সেন্ট এলমো লুইস তিনি একজন আমেরিকান অ্যাডভেটাইজিং এডভোকেট, বিজ্ঞাপনের নীতি সম্পর্কিত বিষয়ে বলেন যে, একটি সফল বিজ্ঞাপন নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলে।
পরবর্তী সময়ে তাঁর এই বিজ্ঞাপন নীতি কার্যকর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সফলতায় এই বিজ্ঞাপন নীতি ব্যাপক ভাবে ব্যবহার হচ্ছে। এটি AIDA মডেল হিসেবে পরিচিত।
AIDA মডেল কি?
একজন কাস্টমার কেনাকাটা সম্পন্ন করতে যে কয়েকটি পর্যায়ক্রমিক ধাপ যা অতিক্রম করে এবং প্রতি ধাপে বিজনেসের বিজ্ঞাপনের সাথে যেভাবে এঙ্গেজ হয় সেটিকেই AIDA (Attention, Interest, Desire, Action) মডেল বলে।
AIDA মডেল, কাস্টমার ক্রয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যে চারটি ধাপ অতিক্রম করে তার বর্ণনা দেয়। ধাপগুলো হলো, মনোযোগ আকর্ষণ, আগ্রহ তৈরি, ইচ্ছা প্রকাশ এবং একশন ।
এই চারটি ধাপে আপনার বিজনেস বা প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি কাস্টমারদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে, আপনার প্রোডাক্ট বা পরিষেবায় তাদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলবে, কেনার জন্য তাদের আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তুলবে, এবং এটি কেনার প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করবে।
কাস্টমার জার্নির প্রতিটি পর্যায়ে একটি ব্র্যান্ড তাদের টার্গেট অডিয়েন্সদের কাছে বিজ্ঞাপনের মেসেজ কীভাবে প্রদান করবে তা নির্ধারণ করতে AIDA মডেল ব্যবহার করে ।
বিজ্ঞাপনের কাজ কি?
কোনও একটি বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য হলো পাঠককে আকৃষ্ট করা, যাতে তিনি বিজ্ঞাপনটি দেখেন এবং এটি পড়তে শুরু করেন।
তারপরে তাকে আগ্রহী করে তোলা, যাতে সে এটি পড়া চালিয়ে যেতে থাকে। তারপরে তাকে বোঝানো, যাতে তিনি বিজ্ঞাপনটি দেখলে ও পড়লে বিশ্বাস করবেন।
যদি একটি বিজ্ঞাপনের এই তিনটি গুণ থাকে তবে এটি একটি সফল বিজ্ঞাপন।
কারন কাস্টমার এরপরের ধাপেই আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিসটি কিনতে চাইবে।
আরো পড়ুনঃ
ফেসবুক বিজনেসে সফল হতে আপনাকে কী কী করতে হবে?
কীভাবে আপনার বিজনেসের বিজ্ঞাপনে এইডা মডেল প্রয়োগ করবেন
AIDA মডেলটি মাথায় রেখে বিজ্ঞাপন তৈরি ও পরিকল্পনা করলে আপনি কাস্টমারদের কেনাকাটার সিদ্ধান্ত গ্রহনকে নিয়ন্ত্রিত ভাবে প্রভাবিত করতে পারবেন।
এই মডেলটির প্রতিটি পর্যায়ে এগিয়ে যাবার সাথে সাথে কাস্টমার আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে আরো জানতে থাকে। তারা আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস সম্পর্কে অনুভুতি প্রকাশ করে যা শেষ পর্যন্ত তাদের সেটি কিনতে বাধ্য করে।
প্রথমঃ মনোযোগ আকর্ষণ করুন
বিজ্ঞাপনের প্রথম উদ্দেশ্য সফল হয় যদি কাস্টমার আপনার বিজনেস সম্পর্কে জানার ইচ্ছে প্রকাশ করে।
কাস্টমারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হলে এবং তাদের গভীর ভাবে আপনার বিজনেস মেসেজের সাথে এঙ্গেজ করতে পারলে তারা আপনার বিজনেস সম্পর্কে জানতে কৌতূহলী হয়ে উঠবে।
একটি পর্যায়ে আপনার বিজনেস নিয়ে কাস্টমারের মনে নানান প্রশ্নের জন্ম হবে। তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে, আপনার বিজনেসটি আসলে কি?
কাস্টমার তখনি আপনার কাছে বিজনেস সম্পর্কে জানতে চাইবে, যখন আপনার বিজনেসের ইনফরমেশন আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনের দ্বারা তাদের সামনে উপস্থাপন করবেন।
মার্কেটিং এর ভাষায় যেটিকে আমরা (brand awareness) ব্র্যান্ড সচেতনতা বলি।
তবে এটি কেবল কাস্টমারদের সাথে আপনার বিজনেসের সম্পর্কের শুরু। এখুনি সেল পাবার আশা মোটেও করবেন না। যদি কিছু সেল পেয়েও থাকেন তবে সেটি দ্বারা আপনার বিজনেসের ভবিষ্যৎ সম্ভবনা বিচার করা মোটেই সঠিক নয়।
কি করবেন এ সময়
কমপক্ষে ৩ মাসের একটি বিজ্ঞাপন বাজেট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল, এসএমএস ও সম্ভব্য সকল প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করে আপনার কাস্টমারদের কাছে আপনার বিজনেসের উপস্থিতি সম্পর্কে জানান দিবেন।
আপনার বিজনেস রিলেটেড বিষয়ে কাস্টমারদের সমস্যাগুলি নিয়ে এই পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে থাকুন।
দ্বিতীয়ঃ আগ্রহ তৈরি করুন
আপনার টার্গেট অডিয়েন্স একবার আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠলে আপনার ব্র্যান্ড কিভাবে সেটি সমাধান করতে সহায়তা করে এবং সেটি তাদের জন্য উপযুক্ত হবে কিনা সেটি তারা জানতে চাইবে ।
এই পর্যায়ে, টার্গেট কাস্টমারদের চিন্তা হচ্ছে, “এটি আমার পছন্দ হয়েছে “
এই ধাপে কাস্টমার আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস থেকে লাভবান হবার উপায় অনুসন্ধান করে। তাই আপনাকে এমন ধরনের কন্টেন্ট পরিকল্পনা করতে হবে যা তাদের মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম হয় ও আপনার দেয়া বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিজনেসের সাথে এঙ্গেজ থাকে।
এই সময়ও কাস্টমার আপনার থেকে কেনাকাটা সম্পন্ন করবে না। কিন্তু আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস সম্পর্কে সে আগ্রহ প্রকাশ করবে বিভিন্ন প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসার মাধ্যমে।
কি করবেন এই ধাপে
আপনার টার্গেট কাস্টমার পছন্দ করবে এমন এঙ্গেজিং কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। হতে পারে সেটি গ্রাফিক বা ভিডিও কন্টেন্ট বা কপি রাইটিং।
আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস নিয়ে গল্প তৈরি করুন। মানুষ গল্প পছন্দ করে কারণ গল্প দ্বারা তারা মনে মনে সেই প্রোডাক্ট ও সার্ভিস এর বাস্তব চিত্র কল্পনা করতে পারে।
এই ধাপের মুল লক্ষ্য হচ্ছে ইন্টারেস্টিং ও ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট দিয়ে কাস্টমারদের এঙ্গেজ করে রাখা। মার্কেটিং এর ভাষায় এটিকে কাস্টমার এঙ্গেজমেন্ট বলে।
তৃতীয়ঃ কেনার আকাঙ্খা তৈরি করুন
এখন আপনার টার্গেট অডিয়েন্স আপনাকে চেনে ও পছন্দ করে। একজন কাস্টমার তাদের থেকেই কেনাকাটা করে যাদের সে পছন্দ করে, বিশ্বাস করে ও আস্থা পায়।
মনোযোগ আকর্ষণ ও আগ্রহ তৈরি করার ধাপ গুলোতে কাস্টমারদের মনে এই দুটি অবস্থার তৈরি হয়।
এর পরেই কাস্টমারদের আপনার প্রোডাক্ট কেনার আকাঙ্খা তৈরি করতে হবে। কাস্টমার আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস দেখে কাস্টমার যেন ইচ্ছে প্রকাশ করে, “হুম এটি আমি চায়”।
কাস্টমারের অবচেতন মনে এমন একটি অবস্থার তৈরি হবে যাতে সে বিশ্বাস করবে আপনার প্রোডাক্টই কেবলমাত্র তার সমস্যার সমাধানে সক্ষম ও তাঁর জন্য উৎকৃষ্ট।
কোন কাস্টমারগুলো আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস পছন্দ করছে সেটি বুঝবেন, যখন কাস্টমার সামাজিক মাধ্যমগুলোতে আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে দেয়া অ্যাডে লাইক, শেয়ার বা কমেন্ট করে।
কাস্টমার যখন ইমেইলের মাধ্যমে দেয়া আপনার বিজনেসের নিউজলেটার সময় নিয়ে পড়ে ও তাদের মতামত প্রকাশ করে।
অর্থাৎ কাস্টমার বেশি বেশি আপনার অ্যাড এর সাথে যুক্ত হবে কারণ এটি তারা পছন্দ করছে, আর তত বেশি তাদের মধ্যে কেনার আকাঙ্খা তৈরি হবে।
চতুর্থঃ একশন গ্রহন
প্রোডাক্ট ও সার্ভিস নিয়ে কাস্টমারের আগ্রহের জায়গা তৈরি হলে এর পরের ধাপে তাদের সেটি কেনার বা উপভোগ সুযোগ করে দিন।
কাস্টমারদের ব্র্যান্ড সচেতনতা, ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানার ইচ্ছে পোষণ, তাদের মনে প্রোডাক্ট কেনার আকাঙ্ক্ষা তৈরি করার উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা যেন বলে, “হ্যাঁ আমি এই প্রোডাক্টটি পেতে চাই”।
একজন কাস্টমারের একটি ব্র্যান্ডের সাথে যুক্ত হওয়া ও প্রোডাক্ট কেনার মধ্যবর্তী সময়ে যে বিষয়টি তাকে সিদ্ধান্ত নিতে প্ররোচিত করে, তা হচ্ছে কাঙ্খিত প্রোডাক্টটি নিশ্চিতভাবে তার সমস্যার সমাধান করবে এই আস্থা পাওয়া।
কাস্টমার কিভাবে আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস টি পেতে পারে অথবা সেটি কিভাবে কিনবে সেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।
আপনার টার্গেট কাস্টমার এখন জানে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে, আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে, আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস কিভাবে তার সমস্যার সমাধান করবে সে সম্পর্কে।
এখন আপনার শেষ কাজ হচ্ছে কাস্টমারকে কেনার সুযোগ করে দেয়া।
কি করবেন এই ধাপে,
আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস এর সেলিং অ্যাড দিন। কল টু একশন বাটন ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে যান। ফেসবুক মেসেঞ্জার কনভার্সন অ্যাড দিন। ইত্যাদি পন্থা অবলম্বন করে কাস্টমারদের কিনতে উৎসাহিত করুন।
অফার ও ডিসকাউন্ট দেয়ার জন্য এই স্টেপ আদর্শ কারণ এটি কেনাকাটাকে প্রভাবিত করে। অনেক উদ্যোক্তাদের দেখা যায় তারা একটি প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন শুরুই করেন অফার দেবার মাধ্যমে। এটি একটি ভুল এপ্রোচ।
AIDA মডেল অনুসরনে কোকাকোলার তৈরি মার্কেটিং ক্যাম্পেইন
কোকাকোলার তুমুল জনপ্রিয়তা ও লাভজনক বিজনেসের মুলে এর পরিকল্পিত মার্কেটিং কৌশল। তাদের একটি বিজ্ঞাপনে AIDA মডেল অনুসরনে ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করা হলো।
হলিস্টিক মার্কেটিং এপ্রোচে তৈরি এই বিজ্ঞাপনটিতে AIDA মডেল অনুসরন করে টার্গেট অডিয়েন্সদের ক্রয় সম্পন্ন করার মাধ্যমে কাস্টমারে পরিনিত করেছে।
কোকাকোলার মার্কেটিং কৌশল নিয়ে আরো পরুনঃ
UGC Campaign: বিনা খরচে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
AIDA (Attention, Interest, Desire, Action)
Attention
ব্র্যান্ড সচেতনতা (brand awareness) অর্জনের জন্য কোকা-কোলা (কোক, ডায়েট কোক এবং কোক জিরো) এর বিজ্ঞাপনগুলি টিভি বিজ্ঞাপন, ইন্টারনেট, পেইড সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়। এটি করতে কোকা-কোলা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞাপন প্রচারে ৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
Interest
টার্গেট কাস্টমারদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য, কোক তার বিজ্ঞাপনে নির্দিষ্ট সফট ড্রিংকসে ব্যবহার করা উপাদানগুলি উল্লেখ করেছেন। বিশেষ করে “জিরো সুগার কোক” এই ম্যাসেজটি হাইলাইট করেছে, তারা বলেছে যে এটি ক্যালরি ছাড়া কোকের মতো স্বাদযুক্ত। যা ওজন সচেতন ভক্তদের জন্য একটি বিশাল আগ্রহের বিষয়।
Desire
দীর্ঘ সময় ধরে কোকা-কোলা তাদের বিজ্ঞাপনে প্রচার করে আসছে পরিবার, বন্ধু স্বজনদের সাথে উপভোগ করা আনন্দময় মুহূর্ত গুলি। তারা মানুষকে একত্রিত করার কথা বলে। জিরো সুগার কোক তরুন ও বয়স্ক সবার জন্য নিরাপদ এবং আনন্দময় সময়ে একসাথে দারুন উপভোগ্য।
এই মেসেজ টার্গেট কাস্টমারদের মনে কোক নিয়ে একটি খুশির অনুভুতি তৈরি করে যা তাদের কাছে আকাঙ্খিত হয়ে উঠে। আনন্দঘন পারিবারিক ও সামাজিক মুহূর্তে কাস্টমারদের মনে কোকাকোলা পান করে এই সুখানুভূতি অর্জনের প্রবল আকাঙ্খা তৈরি হয়।
Action
আপনি যেকোনো রেস্তোঁরা, ক্যাফে, ক্যাফেটেরিয়া, মুদি দোকান, কর্নার স্টোরে কোক পাবেন। মূলত যে সকল জায়গায় সফট ড্রিংকস পাবার সম্ভবনা রয়েছে সেখানে আপনি নিশ্চিত ভাবে কোক কিনতে পারবেন।
ব্র্যান্ডটি তাঁর প্রোডাক্টের ব্যাপক এক্সপোজার এবং সকল বিক্রয় পয়েন্টে এভেইলেবল প্রোডাক্ট নিশ্চিত করে বেশি পরিমানে সেল করতে সফল হয়।
এ কারণে, কোকা-কোলা বিশ্বের অন্যতম বেস্ট সেলিং সফট ড্রিঙ্ক ব্র্যান্ড হিসাবে নিজের অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।
পরিশেষে,
আপনার প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপনে এই মডেলটি ব্যবহার করে সম্ভাব্য টার্গেট কাস্টমারদের ক্লাইন্টে রূপান্তরিত করার সম্ভাবনাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারেন।
তবে শুধুমাত্র মডেল অনুসরণ করলেই হবে না, একটি শক্তিশালী ও সৃষ্টিশীল কন্টেন্ট এই মডেল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
AIDA মডেল ত্যার সাথে সৃষ্টিশীল কন্টেন্ট এই দুটির ভারসাম্য রক্ষা করে অ্যাড তৈরি ও পরিচালনা করলে আপনি নিশ্চিতভাবে বিজনেসের কাঙ্খিত সেল নিয়ে আনতে সফল হবেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন
আগের মন্তব্য গুলো পড়ুন