ইন্টারনেট নির্ভর ডিজিটাল এই যুগে ওয়েব ব্রাউজার ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবন যেন অচল। আপনি যখন কোনো কিছু গুগলে সার্চ করেন কিংবা কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করেন- এর সবকিছুই হয় ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে।
কিন্তু আপনি কি জানেন, এই ওয়েব ব্রাউজার আসলে কীভাবে কাজ করে? এর পেছনের ইতিহাস কতটা পুরনো? আর বর্তমানে কোন কোন ব্রাউজার সবচেয়ে জনপ্রিয়?
এই ব্লগে আমরা সহজ ভাষায় তুলে ধরব ওয়েব ব্রাউজার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। এছাড়াও থাকছে আজকের দিনের সবচেয়ে সেরা ৭টি ওয়েব ব্রাউজারের তালিকা।
ওয়েব ব্রাউজার কি?
ওয়েব ব্রাউজার মূলত একটি সফটওয়্যার প্রোগ্রাম। এটি আমাদেরকে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। আপনি মূলত একটি ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমেই গুগল ব্যবহার করেন, ইউটিউবে ভিডিও দেখেন বা কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন।
ব্রাউজার কাকে বলে, এটি আরো সহজভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে, এটি এমন একটি ডিজিটাল টুল যা ওয়েব সার্ভার থেকে তথ্য এনে আপনার স্ক্রিনে ওয়েবপেজ হিসেবে উপস্থাপন করে।
ওয়েব ব্রাউজারের ধারণাটি প্রথম আসে ১৯৯০ সালে, যখন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী টিম বার্নার্স-লি ‘WorldWideWeb’ নামের প্রথম ওয়েব ব্রাউজার তৈরি করেন। এটি কেবল একটি ব্রাউজারই ছিল না, বরং একইসাথে একটি ওয়েব এডিটর হিসেবেও কাজ করত। সেই শুরু থেকেই ওয়েব ব্রাউজারের ক্রমশ উন্নয়ন ঘটে এবং পরবর্তীতে Netscape Navigator, Internet Explorer, Mozilla Firefox, Google Chrome, Safari, Opera সহ নানা জনপ্রিয় ব্রাউজার তৈরি হতে থাকে।
অনেকে জিজ্ঞেস করেন, ইন্টারনেট ব্রাউজার এবং ওয়েব ব্রাউজার কি এক জিনিস? বাস্তবে, এই দুই শব্দ এক অর্থেই ব্যবহৃত হয়, তাই এখানে কোনো পার্থক্য নেই। ইন্টারনেট ব্রাউজার বা ওয়েব ব্রাউজারের মূল কাজ হচ্ছে, ইউজারের রিকোয়েস্ট অনুযায়ী ইন্টারনেট থেকে প্রয়োজনীয় ডেটা এনে তা পাঠযোগ্যভাবে প্রদর্শন করা।
ওয়েব ব্রাউজারের বাংলা অর্থ
ওয়েব ব্রাউজার শব্দটির বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় “ওয়েব দেখার সফটওয়্যার” বা “ইন্টারনেট পেজ দেখার যন্ত্র।” এখানে “ওয়েব” মানে হলো ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা পেজ, আর “ব্রাউজার” অর্থ খোঁজাখুঁজি বা ব্রাউজ করা অর্থাৎ কোনো কিছু দেখা বা অনুসন্ধান করা। তাই, ওয়েব ব্রাউজার বলতে বোঝানো হয় এমন একটি প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন, যার মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেটে থাকা যেকোনো তথ্য খোঁজাখুঁজি করতে পারি।
ওয়েব ব্রাউজারের ইতিহাস
ওয়েব ব্রাউজারের ইতিহাস শুরু হয় ১৯৯০ সালে, যখন ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী টিম বার্নার্স-লি (Tim Berners-Lee) প্রথম ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (World Wide Web) নামের ওয়েব ব্রাউজারটি তৈরি করেন। এটি ছিল বিশ্বের প্রথম ওয়েব ব্রাউজার এবং একসাথে প্রথম ওয়েব এডিটরও।
এরপর ১৯৯৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সুপারকম্পিউটিং অ্যাপ্লিকেশনস (NCSA), Mosaic নামের একটি গ্রাফিক্যাল ব্রাউজার রিলিজ করে। এটি ওয়েব ব্রাউজিংকে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য আরও সহজ করে তোলে। Mosaic এতটাই সফল হয়েছিল যে এর ভিত্তিতেই ১৯৯৪ সালে বাজারে আসা Netscape Navigator তৈরি হয় এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এটি ইন্টারনেট দুনিয়ায় আধিপত্য বিস্তার করে।
এরপর ১৯৯৫ সালে Windows 95 এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাজারে আসে Microsoft Internet Explorer এবং এটি ধীরে ধীরে Netscape কে টপকে যায়। পরবর্তীতে ইউজার সিকিউরিটি ও ব্রাউজিং স্পিড এক্সপ্রেরিয়েন্সকে উন্নত করতে ২০০৪ সালে Mozilla Firefox আত্মপ্রকাশ করে।
২০০৮ সালে Google Chrome আসার পর ব্রাউজারের জগতে নতুন যুগের সূচনা হয়। এই ব্রাউজারে ইউজাররা স্পিড, ইজি টু ইউজ এবং এক্সটেনশন ব্যবহারের সুবিধা একত্রে পায়। বর্তমানে Google Chrome বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত ওয়েব ব্রাউজার হিসেবে পরিচিত।
এই দীর্ঘ ইতিহাসে ওয়েব ব্রাউজারের অনেক পরিবর্তিত হয়েছে, কিন্তু মূল উদ্দেশ্য একই থেকে গেছে। আর তা হলো ইন্টারনেটের তথ্যকে আমাদের চোখের সামনে সহজভাবে উপস্থাপন করা।
ওয়েব ব্রাউজার কিভাবে কাজ করে?
ওয়েব ব্রাউজার এমন একটি সফটওয়্যার, যা ব্যবহারকারীর রিকোয়েস্ট অনুযায়ী ওয়েব সার্ভার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এবং তা পড়ার উপযোগীভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করে। আপনি যখন ব্রাউজারের অ্যাড্রেস বারে একটি ওয়েব এড্রেস (URL) টাইপ করেন, তখন ব্রাউজার সেই ওয়েব সার্ভারে একটি রিকোয়েস্ট পাঠায়। একে বলা হয় HTTP বা HTTPS রিকোয়েস্ট।
HTTP Hypertext Transfer Protocol) হচ্ছে সাধারণ প্রোটোকল। এখানে ডেটা এনক্রিপ্ট করা হয় না। আর HTTPS (Hypertext Transfer Protocol Secure) প্রোটোকলে ডেটাকে নিরাপদ রাখতে SSL বা TLS এনক্রিপশন ব্যবহৃত হয়। এজন্য ব্রাউজার যখন একটি সিকিউর ওয়েবসাইট খোলে তখন HTTPS ব্যবহার করে।
ওয়েব ব্রাউজারকে মুলত HTTP ক্লায়েন্ট বা “User Agent” বলা হয় কারণ এটি ব্যবহারকারীর পক্ষে ওয়েব সার্ভারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং প্রয়োজনীয় ডেটা রিকোয়েস্ট করে। রিকোয়েস্ট একসেস পেয়ে গেলে ব্রাউজার একটি ওয়েব পেজ লোড করে। এসময় ব্রাউজার HTML ফাইলসহ, CSS (স্টাইলিং ফাইল), JavaScript (ইন্টারঅ্যাকটিভ এলিমেন্ট), ছবি (JPG, PNG), ফন্ট এবং ভিডিওসহ অন্যান্য ডেটা সার্ভার থেকে ডাউনলোড করে। এগুলো লোড হওয়ার পর ব্রাউজার একটি রেন্ডারিং প্রসেস চালায়, যার ফলে ওয়েবপেজটি ব্যবহারকারীর স্ক্রিনে যথাযথ স্ট্রাকচারে পূর্ণরূপে দৃশ্যমান হয়।
পাশাপাশি আপনি যখন একটি ওয়েব পেজে থাকা হাইপারলিঙ্কে ক্লিক করেন তখন ব্রাউজার নতুন একটি HTTP/HTTPS রিকোয়েস্ট পাঠায় এবং নতুন পেজের জন্য আবার একই ডেটা কালেক্ট ও রেন্ডার প্রসেস চালায়। এই পুরো প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত ঘটে, তাই আমাদের কাছে এটি অনেকটাই তাৎক্ষণিক বলে মনে হয়।
তাছাড়া ব্রাউজারগুলি সাধারণত একটি ইন্টারনাল ক্যাশ (cache) ম্যামোরি ব্যবহার করে, যেখানে পূর্বে লোড করা ওয়েবপেইজের এলিমেন্টগুলো অস্থায়ীভাবে স্টোর হয়। এর ফলে যদি আপনি একই ওয়েবপেজ পুনরায় ভিজিট করেন, তখন ব্রাউজার পুনরায় অনেক এলিমেন্ট সার্ভার থেকে না নিয়ে সরাসরি ক্যাশ থেকে লোড করে। এতে করে পেজ ব্রাউজিং স্পিড বেশ ফাস্ট হয়।
ওয়েব পেজের সাথে ব্রাউজারের সম্পর্ক
ওয়েব ব্রাউজার এবং ওয়েব পেজের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ব্রাউজার হলো সেই সফটওয়্যার, যা সার্ভারে থাকা একটি ওয়েব পেজকে ব্যবহারকারীর স্ক্রিনে দৃশ্যমান করে তোলে। এটি HTML, CSS, JavaScript এবং অন্যান্য ফাইল ও কোডকে এনালাইসিস করে একটি পূর্ণাঙ্গ ও ইন্টারঅ্যাকটিভ পেজে রূপান্তরিত করে। এক্ষেত্রে ব্রাউজার শুধু উপস্থাপনকারী নয়, এটি ওয়েবপেজের কার্যকারিতার একটি কেন্দ্রবিন্দুও।
এছাড়াও একটি ব্রাউজার প্রাইভেরি ও সিকিউরিটিও রক্ষা করে। যেমন ধরুন, আপনি যখন ব্রাউজারের মাধ্যমে একটি ভিডিও স্ট্রিমিং ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন (যেমন YouTube), তখন ব্রাউজার কেবল ভিডিও দেখানোই নয় বরং সেই ভিডিওর কপিরাইট সুরক্ষায়ও একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
এখানেই আসে ডিজিটাল রাইটস ম্যানেজমেন্ট (DRM) এর বিষয়টি। DRM হলো একটি টেকনিক্যাল সিকিউরিটি সিস্টেম। এটি ডিজিটাল কন্টেন্ট যেমনঃ ভিডিও, অডিও বা ই-বুক-এর অবৈধ কপি, শেয়ার বা ব্যবহার রোধ করে। ওয়েব ব্রাউজার DRM সাপোর্ট করে বলেই নির্ধারিত ব্যবহারকারীরাই সেই কন্টেন্ট দেখতে পারে, কিন্তু অন্য কেউ তা সহজে কপি বা ডাউনলোড করতে পারে না।
এই DRM সিস্টেমকে আরো কার্যকর করতে, ব্রাউজার ব্যবহার করে কন্টেন্ট ডিক্রিপশন মডিউল (CDM) নামক একটি টেকনোলজি। এটি একটি বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার কম্পোনেন্ট, যা এনক্রিপ্টেড কন্টেন্টকে ডিক্রিপ্ট করে ব্রাউজারে প্রদর্শনের উপযোগী করে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, Google Chrome-এ ব্যবহৃত CDM হচ্ছে Widevine, এবং Microsoft Edge-এ ব্যবহৃত CDM হলো PlayReady। এদের কাজ হলো ব্যবহারকারীর অনুমতিসাপেক্ষে ভিডিও কন্টেন্টকে এমনভাবে ওপেন করা, যাতে তা DRM নীতির বাইরে গিয়ে ছড়িয়ে না পড়ে।
ওয়েব ব্রাউজারের গুরুত্ব
ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ওয়েব ব্রাউজার হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ই-মেইল পাঠানো, অনলাইন কেনাকাটা, ভিডিও দেখা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার বা শুধু সাধারণ তথ্য অনুসন্ধান- সব কিছুই মূলত ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমেই ঘটে। আজকের ডিজিটাল যুগে একজন ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট-নির্ভর প্রতিটি কাজের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ওয়েব ব্রাউজার।
বাস্তবে, ওয়েব ব্রাউজারের গুরুত্ব অনেকগুলো দিক থেকেই অনস্বীকার্য। যেমনঃ
তথ্য অ্যাক্সেসের প্রধান মাধ্যম: ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহার করে আমরা কয়েক সেকেন্ডেই পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের তথ্য খুঁজে পেতে পারি।
ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস: ব্রাউজার আমাদের জন্য জটিল ওয়েব কোডকে সরল, ছবি ও লেখাসমৃদ্ধ ওয়েব পেজে রূপান্তর করে দেখায়।
নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা: আধুনিক ব্রাউজারগুলোতে ইনবিল্ট সিকিউরিটি ফিচার, পপআপ ব্লকার, প্রাইভেট মোড, এবং ফিশিং প্রটেকশন যুক্ত থাকে।
ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুযোগ: গুগল ডকস, জিমেইল বা ফেসবুকের মতো অ্যাপগুলো আলাদা সফটওয়্যার ছাড়াই ব্রাউজারের মাধ্যমে চলে।
ডিজিটাল লার্নিং মেথড: শিক্ষার্থীরা এখন অনলাইন ক্লাস, ভিডিও লেকচার এবং ই-লাইব্রেরি ব্রাউজারের মাধ্যমেই ব্যবহার করতে পারছে।
ডেভেলপারদের জন্য প্ল্যাটফর্ম: ওয়েব ডেভেলপারদের কোড টেস্ট করতে ব্রাউজার একটি টেস্টিং ও অপ্টিমাইজেশনের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।
বর্তমান সময়ের সেরা ওয়েব ব্রাউজারসমূহের তালিকা
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী টেক এক্সপার্ট এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের ভিত্তিতে নিচের ওয়েব ব্রাউজারগুলোকে সেরা হিসেবে বিবেচনা করা হয়ঃ
- Google Chrome
- Mozilla Firefox
- Microsoft Edge
- Apple Safari
- Opera
- Brave
- Vivaldi
সব ব্রাউজার সমানভাবে কার্যকর নয়। এই ব্রাউজারগুলোকে তালিকাভুক্ত করার পেছনে রয়েছে কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ। ভালো ওয়েব ব্রাউজার বলতে আমরা বুঝি এমন একটি ব্রাউজার, যার স্পিড ফাস্ট, বেস্ট সিকিউরিটি সিস্টেম, ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস এবং আপডেটেড ওয়েব স্ট্যান্ডার্ড সাপোর্ট করে এমন ব্রাউজার। অর্থাৎ অসংখ্য ওয়েব ব্রাউজারের মধ্যে যেটি তথ্য ব্রাউজ করার অভিজ্ঞতাকে সহজ, স্মার্ট ও নিরাপদ করে তোলে সেগুলোই সেরা।
এই তালিকাভুক্ত প্রতিটি ব্রাউজারই কিছু না কিছু দিক থেকে আলাদা। আপনি যদি জানতে চান কোন ব্রাউজার আপনার ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে উপযোগী, তাহলে চলুন আমরা পরবর্তী অংশে প্রতিটি ব্রাউজার নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানি।
Google Chrome
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার হলো Google Chrome। এটি ২০০৮ সালে গুগল কর্তৃক Chromium ওপেন-সোর্স প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। Chrome এর সবচেয়ে বড় ফিচার হলো এর ফাস্ট লোডিং স্পিড, এডভ্যান্সড এক্সটেনশন সাপোর্ট, এবং গুগলের সাথে ডিপ ইন্টিগ্রেশন। এটি অটোমেটেড আপডেট হয় এবং ফিশিং ও ম্যালওয়্যার থেকে ইউজারকে সিকিউর রাখে। যারা ভারি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ইউজ করেন কিংবা নিয়মিত অনেক ট্যাব খোলা রাখেন, তাদের জন্য Chrome একটি পারফরম্যান্স-ফ্রেন্ডলি ব্রাউজারদল
Mozilla Firefox
Mozilla Foundation দ্বারা পরিচালিত Firefox হলো একটি ওপেন সোর্স ব্রাউজার। এটি প্রাইভেসি রক্ষার দিক থেকে জনপ্রিয়, কারণ Firefox ডিফল্টভাবে থার্ড-পার্টি ট্র্যাকার ও এডভার্টাইজমেন্ট ব্লক করে। এছাড়াও এই ব্রাউজার কম RAM ব্যবহার করে, যার ফলে পুরোনো বা লোয়ার স্পেসিফিকেশন যুক্ত কম্পিউটারেও স্মুথলি রান করে।
Microsoft Edge
Edge মূলত Internet Explorer-এর লেটেস্ট ভার্সন। এখন এটি Chromium ভিত্তিক হওয়ায় স্পিড, পারফরম্যান্স এবং এক্সটেনশন সাপোর্টে Chrome-এর সমতুল্য হয়ে উঠেছে। এটি Windows 10 এবং Windows 11-এর ডিফল্ট ব্রাউজার, এবং Microsoft Bing ও Office 365-এর সাথে ইন্টিগ্রেটেড। Edge-এ রয়েছে Collections, Sleeping Tabs, এবং PDF রিডার এর মতো অসাধারণসব ফিচার।
Apple Safari
Apple ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জন্য Safari হলো ডিফল্ট এবং সবচেয়ে উপযুক্ত ব্রাউজার। এটি ম্যাক, আইফোন ও আইপ্যাডে দুর্দান্ত ব্যাটারি পারফরম্যান্স দিয়ে থাকে। পাশাপাশি Apple-এর Intelligent Tracking Prevention এর মত শক্তিশালী সিকিউরিটি ফিচার একটিভ করে। Safari অন্যান্য ব্রাউজারের তুলনায় কম রিসোর্স ব্যবহার করে Apple-এর ইকোসিস্টেমে seamless ভাবে কাজ করে থাকে।
Opera
Opera অনেক পুরনো ব্রাউজার হলেও এর কিছু আধুনিক ফিচার একে আলাদা করে তোলে। এর মধ্যে রয়েছে ইনবিল্ট VPN, অ্যাড ব্লকার, ফ্রি মেসেঞ্জার অ্যাক্সেস (WhatsApp, Facebook Messenger), এবং Turbo Mode। প্রাইভেসি ও ডেটা সাশ্রয়ের জন্য যারা একটি অল-ইন-ওয়ান ব্রাউজার চান, তাদের জন্য Opera একটি কার্যকর সমাধান।
Brave
Brave হলো একটি প্রাইভেসি বেসড ওয়েব ব্রাউজার। এটি ডিফল্টভাবে বিজ্ঞাপন ও ট্র্যাকার ব্লক করে এবং পেজ লোডিং টাইম কমিয়ে আনে। এটিও Chromium ভিত্তিক হওয়ায় Chrome-এর এক্সটেনশন এতে চলে। যারা প্রাইভেসি ও বিজ্ঞাপনমুক্ত এক্সপেরিয়েন্স চান, Brave তাদের জন্য উপযোগী।
Vivaldi
Vivaldi হলো টেক ইউজারদের জন্য তৈরি একটি হাই কাস্টোমাইজেবল ব্রাউজার। এটি Tab Stacking, Split-Screen Browsing, Custom Themes এবং Keyboard Shortcut Personalization এর মতো অগণিত কাস্টোমাইজেশন অপশন দিয়ে থাকে। যারা একদম নিজের মতো করে ওয়েব ব্রাউজিং কাস্টমাইজড করতে চান, তাদের জন্য Vivaldi একটি পরিপূর্ণ টুল।
ওয়েব ব্রাউজারের বাজার শেয়ার
বর্তমানে (২০২৫ সালের এপ্রিলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী) ওয়েব ব্রাউজারগুলোর বাজার শেয়ার প্রায় নিম্নরূপঃ
- Chrome 66.2% (প্রায়)
- Safari 17.2% (প্রায়)
- Edge 5.2% (প্রায়)
- Firefox 2.6% (প্রায়)
- Samsung Internet 2.2% (প্রায়)
- Opera 2.1% (প্রায়)
- Brave, Vivaldi and Others 4.5% (প্রায়)
শুরু থেকেই ব্রাউজার কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এসব প্রতিযোগীতার ইতিইহাস ও সার্বিক অবস্থান নিয়ে নিম্নে কিছু উল্লেখযোগ্য ফ্যাক্ট দেয়া হলো।
ব্রাউজার যুদ্ধ
“ব্রাউজার যুদ্ধ” (Browser Wars) বলতে বোঝায় ১৯৯০-এর দশকের শেষ এবং ২০০০-এর দশকের শুরুর সময়টিতে ইন্টারনেট ব্রাউজার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাজার দখলের প্রতিযোগিতা। প্রথম ব্রাউজার যুদ্ধ হয়েছিল Netscape Navigator বনাম Internet Explorer-এর মধ্যে। এরপর দ্বিতীয় যুদ্ধ শুরু হয় Internet Explorer বনাম Google Chrome এর মধ্যে, যেখানে Chrome আধিপত্য স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে বাজার দখল
Internet Explorer প্রথমে Windows অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে ফ্রি বিল্ট-ইন হিসেবে আসায় এটি খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ২০০২ সালের মধ্যে এটি প্রায় ৯৪% মার্কেট শেয়ার দখল করে নেয়। এভাবেই Netscape এর বিপরীতে এটি Microsoft-এর আধিপত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।
মোজিলা ফাউন্ডেশনের অবদান
২০০৩ সালে Netscape এর প্রজেক্ট থেকে জন্ম নেওয়া ওপেন সোর্স উদ্যোগ হিসেবে Mozilla Foundation গঠিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল মুক্ত এবং স্বাধীন ওয়েব ব্রাউজার তৈরি করা। এর সবচেয়ে বড় অবদান হলো Mozilla Firefox, যা ২০০৪ সালে মুক্তি পেয়ে প্রাইভেসি ও ওপেন সোর্স ব্রাউজিংয়ের প্রতীক হয়ে ওঠে। Gecko Rendering Engine ব্যবহার করে এই Mozilla Firefox নির্মান করা হয়েছে। ২০২৫ সাল নাগাদ Firefox-এর বাজার শেয়ার প্রায় ২.৫% এর মধ্যে রয়েছে।
Safari ব্রাউজারের শুরু
Apple-এর নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার Safari প্রথম চালু হয় ২০০৩ সালে। এটি macOS, iOS এবং iPadOS ডিভাইসে ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যার ফলে Apple ব্যবহারকারীদের মধ্যে এটি বেশি জনপ্রিয়। Safari নির্মিত হয়েছে WebKit রেন্ডারিং ইঞ্জিনের উপর ভিত্তি করে, এবং বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এর বাজার শেয়ার প্রায় ১৮%।
Google Chrome ব্রাউজারের জনপ্রিয়তা
Google Chrome চালু হয় ২০০৮ সালে। গুগল ক্রোম ব্রাউজারটি ওপেন-সোর্স Chromium ভিত্তিক নির্মিত। এটি ফাস্ট স্পিড, ক্লিন ডিজাইন এবং Google ইকোসিস্টেমের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশনের কারণে খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। ২০১২ সালের মধ্যেই এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত ওয়েব ব্রাউজারে পরিণত হয়।
Chrome ভিত্তি করে তৈরি কয়েকটি জনপ্রিয় ব্রাউজার হলোঃ
- Microsoft Edge (নতুন সংস্করণ)
- Brave
- Opera (বর্তমানে Chromium ভিত্তিক)
- Vivaldi
Microsoft Edge রিপ্লেসড Internet Explorer
Windows 10-এর সঙ্গে ইন্ট্রিগ্রেটেড হয়ে Microsoft Edge প্রথম চালু হয় ২০১৫ সালে। এটি প্রথমে EdgeHTML ইঞ্জিন ব্যবহার করলেও, ২০১৯ সালে Chromium বেসড ভার্সন চালু হয়। এরপর থেকেই এটি Internet Explorer-এর উত্তরসূরি হিসেবে Windows প্ল্যাটফর্মে দখল নিতে শুরু করে এবং Internet Explorer ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২০০০ সালের পর থেকে ব্রাউজারগুলোর ক্ষমতা বৃদ্ধি
২০০০ সালের গোড়ার দিক থেকে ব্রাউজারগুলোতে HTML5, CSS3 ও JavaScript ইঞ্জিনের বিশাল উন্নয়ন ঘটে। এই প্রযুক্তিগুলোর প্রসার এবং মাল্টিমিডিয়া API-এর ডেভেলপমেন্টের ফলে ভিডিও, অডিও, এনিমেশন এবং রেসপনসিভ ডিজাইনও ব্রাউজারেই সাপোর্ট পেতে শুরু করে। এতে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলো ডেস্কটপ সফটওয়্যারের বিকল্প হয়ে ওঠে।
হেডলেস ব্রাউজার বলতে কী বোঝায়?
হেডলেস ব্রাউজার মূলত এমন একটি ওয়েব ব্রাউজার যা ব্যবহারকারীর জন্য দৃশ্যমান (Graphical User Interface বা GUI) অংশ ছাড়াই কাজ করে। সাধারণত আমরা যেসব ব্রাউজার ব্যবহার করি, যেমন Chrome বা Firefox, সেগুলোর একটি ইন্টারফেস থাকে যেখানে আমরা ওয়েবসাইট দেখি, স্ক্রল করি বা ক্লিক করি। কিন্তু হেডলেস ব্রাউজার শুধুমাত্র ব্যাকএন্ডে কাজ করে এবং কোনো দৃশ্যমান পেজ দেখায় না। এটি প্রোগ্রামেটিকভাবে ওয়েব পেজকে লোড করে এবং কমান্ড প্রসেস করে।
এটি মূলত অটোমেশন, ওয়েব স্ক্র্যাপিং, ইউজার ইন্টারফেস টেস্টিং, SEO অ্যানালাইসিস ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি জানতে চান একটি ওয়েবসাইটে কতগুলো লিংক আছে বা কোনো বাটন সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, তাহলে হেডলেস ব্রাউজার দিয়ে সেটি প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করা যায়।
সর্বাধিক ব্যবহৃত হেডলেস ব্রাউজারগুলোর মধ্যে রয়েছে Headless Chrome, Puppeteer, Selenium WebDriver, PhantomJS ইত্যাদি। এগুলো মূলত JavaScript বা Python ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের সাথে ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাব ওয়েব পেজকে প্রসেস করে।
ওয়েব ব্রাউজিং আর ইন্টারনেট ব্রাউজার কি এক জিনিস?
ওয়েব ব্রাউজিং এবং ইন্টারনেট ব্রাউজার শব্দ দুটি একসাথে ব্যবহৃত হলেও এরা এক নয়। ওয়েব ব্রাউজিং বলতে বোঝায় ইন্টারনেট ব্যবহার করে এক ওয়েবসাইট থেকে আরেক ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়ানো, বিভিন্ন পেজ পড়া, লিংকে ক্লিক করা, তথ্য অনুসন্ধান করা ইত্যাদি ।
এই ব্রাউজিং কার্যক্রম সম্পন্ন করতে যে সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়, সেটিই হলো ইন্টারনেট ব্রাউজার বা ওয়েব ব্রাউজার। Google Chrome, Mozilla Firefox, Microsoft Edge, Safari প্রভৃতি হচ্ছে সেইসব সফটওয়্যার যেগুলোর মাধ্যমে আমরা ওয়েব ব্রাউজিং করি। অর্থাৎ ব্রাউজার হচ্ছে হাতিয়ার, আর ব্রাউজিং হচ্ছে সেই হাতিয়ার ব্যবহার করে তথ্য অনুসন্ধানের কাজ।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি যখন Google Chrome ওপেন করে একটি আর্টিকেল পড়েন বা ইউটিউবে ভিডিও দেখেন, তখন আপনি “ওয়েব ব্রাউজিং” করছেন, আর এই কাজটি করতে আপনি ব্যবহার করছেন “ওয়েব ব্রাউজার”।
একটি ওয়েব ব্রাউজার এবং একটি সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলো কী?
অনেকেই মনে করেন ওয়েব ব্রাউজার ও সার্চ ইঞ্জিন একই জিনিস। কিন্তু বাস্তবে দুটো একেবারেই আলাদা। ওয়েব ব্রাউজার হলো একটি সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন, যার মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেটে থাকা যেকোনো ওয়েবসাইটে যেতে পারেন। অন্যদিকে, সার্চ ইঞ্জিন হলো একটি ওয়েবসাইট বা অনলাইন টুল, যা আপনাকে ইন্টারনেটের বিভিন্ন তথ্য খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
নিচের ছকটিতে বিষয়টি আরও পরিষ্কারভাবে বোঝানো হলোঃ
ওয়েব ব্রাউজার | সার্চ ইঞ্জিন |
এটি একটি সফটওয়্যার বা অ্যাপ। | এটি মূলত ওয়েবসাইট বা অনলাইন টুল। |
এর কাজ ওয়েবসাইটকে ইউজারের কাছে ভিজ্যুয়াল করা। | এর কাজ ইন্টারনেট থেকে তথ্য খুঁজে দেওয়া। |
উদাহরণঃ Chrome, Firefox, Edge, Safari | উদাহরণঃ Google, Bing, Yahoo, DuckDuckGo |
এটি অফলাইনে ওপেন করা যায়। (ক্যাশড ডেটা সহ) | সার্চ ইঞ্জিন অফলাইনে কাজ করে না। |
ব্রাউজারে সার্চ ইঞ্জিন খোলা হয়। | সার্চ ইঞ্জিন ব্রাউজার ছাড়া খোলা যায় না। |
ধরুন, আপনি যদি Chrome ব্রাউজার ব্যবহার করেন এবং তার মাধ্যমে Google.com ওয়েবসাইটে যেয়ে “ডিজিটাল মার্কেটিং” লিখে সার্চ দেন, তাহলে আপনি একসাথে দুই জিনিস ব্যবহার করছেনঃ ব্রাউজার (Chrome) এবং সার্চ ইঞ্জিন (Google)।
প্রগতিশীল ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন (PWA) কী? এটি কখন থেকে ব্রাউজারগুলোতে সমর্থন পেতে শুরু করে?
প্রগতিশীল ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন (Progressive Web Application – PWA) হচ্ছে এমন এক ধরনের ওয়েব অ্যাপ যা ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপের মধ্যবর্তী একটি স্মার্ট সমাধান। সাধারণ ওয়েবসাইটের মতো এটিও ব্রাউজারে ওপেন করা যায়, আবার মোবাইল অ্যাপের মতোও ইউজার ফোনে ইনস্টল করতে পারে।
২০১৫ সাল থেকে, যখন Google এটি নিয়ে কাজ শুরু করে তখন PWA ধারণাটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। প্রাথমিক পর্যায়ে এটি শুধু Google Chrome-এ এটি সাপোর্ট করলেও এরপর ধীরে ধীরে Firefox, Microsoft Edge এবং Safari-তেও এটি চালু হয়। বিশেষ করে ২০১৮ সালের পর থেকে বেশিরভাগ আধুনিক ব্রাউজার PWA-কে পূর্ণাঙ্গভাবে সাপোর্ট দিতে শুরু করে।
বর্তমানে অনেক বিখ্যাত কোম্পানি যেমন Twitter (Twitter Lite), Pinterest, Starbucks, Uber ইত্যাদি তাদের প্রগতিশীল ওয়েব অ্যাপ তৈরি করেছে। এগুলো ইউজারদের অ্যাপের মতো এক্সপেরিয়েন্স দেয়। ফলে, ব্রাউজারের কাজ দিন দিন শুধু ওয়েব পেজ দেখানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, বরং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের বিকল্প হিসেবেও কাজ করছে।
PWAs ব্যবহারের সুবিধাগুলো কী কী?
প্রগতিশীল ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন (PWA) প্রযুক্তি আধুনিক ওয়েব ব্রাউজিং এক্সপেরিয়ন্সে নতুন মাত্রা দিয়েছে। PWA ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলোঃ এটি ইনস্টল না করেও অ্যাপের মতো কাজ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াও ব্যবহার করা যায়।
এছাড়াও PWA-এর উল্লেখযোগ্য সুবিধাসমূহ হলোঃ
- দ্রুত লোডিং টাইম: PWA-তে ক্যাশিং টেকনোলজি ব্যবহৃত হয়, যার ফলে দুর্বল নেটওয়ার্কেও ওয়েব পেজগুলো খুব দ্রুত লোড হয়।
- অফলাইন অ্যাক্সেস: Service Worker ব্যবহারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কনটেন্ট অফলাইনেও দেখা যায়।
- ইনস্টলেশন সুবিধা: আপনি চাইলে ব্রাউজার থেকেই “Add to Home Screen” এর মাধ্যমে অ্যাপটি ফোনে ইনস্টল করতে পারেন, কোনো অ্যাপ স্টোর ছাড়াই।
- পুশ নোটিফিকেশন: মার্কেটিং এবং ইউজার এনগেজমেন্টের জন্য PWA ব্যবহার করে আপনি ইউজারদের ডিভাইসে সরাসরি রিয়েল-টাইম নোটিফিকেশন পাঠাতে পারেন।
- ডেটা এবং ব্যাটারি সাশ্রয়ী: সাধারণ মোবাইল অ্যাপের তুলনায় PWA অনেক লাইট এবং লোয়ার রিসোর্স ব্যবহার করে।
- ক্রস-প্ল্যাটফর্ম সাপোর্ট: একটি PWA একই কোডবেসে মোবাইল, ট্যাবলেট ও ডেস্কটপে কাজ করে।
এসব সুবিধার কারণে বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান PWA ব্যবহার শুরু করেছে। বিশেষ করে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের ধীরগতির ইন্টারনেট এবং সীমিত স্টোরেজ সম্পন্ন মোবাইল ইউজারদের জন্য এটি বেশ ভালো সমাধান।
সবার আগে মন্তব্য করুন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন
মন্তব্য করতে হলে আপনাকে লগ ইন করতে হবে।