ব্লগ কী-বিজনেস ব্লগ লিখার ৭ টি নিয়ম

ব্লগ কী-বিজনেস ব্লগ লিখার ৭ টি নিয়ম
শেয়ার করুন

মনে করুন আপনার জুতার ব্যবসা আছে, তো আপনি এবার হয়তো ঈদ উপলক্ষে নতুন ডিজাইনের জুতা লঞ্চ করবেন এখন আপনি কীভাবে এটি আপনার অডিয়েন্সকে জানাবেন? হয়তো আপনার ওয়েবসাইটে জুতা লঞ্চের প্রিভিউ দিয়ে? এছাড়া আর কীভাবে করা যেতে পারে? বিজনেস ব্লগের মাধ্যমে।

আপনার ওয়েবসাইটে যারা আপনার এক্টিভ রিডার আছেন তাদেরকে খুব সহজেই আপনার পণ্য সম্পর্কে ধারণা দিতে পারেন ব্লগের মাধ্যমে। যা বর্তমান সময়ে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই করে থাকে।

আপনার ই-কমার্স সাইটে খুব সহজেই ব্লগ সেকশন তৈরী করে আপনার পণ্য বা সেবার মার্কেটিং করতে পারবেন কোনো কোডিং ছাড়াই!

ব্লগ কী?

অনেকেই নিজেদের বিজনেসের মার্কেটিং কীভাবে আরো অভিনব পদ্ধতিতে করা যেতে পারে সেটা নিয়ে ভাবেন। ২০২৫ সালে এসে অনেকেই হয়তো জানেন মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো ব্লগিং।  

ব্লগ যা ওয়েবব্লগের শর্ট ফর্ম, হলো এক ধরণের অনলাইন জার্নাল অথবা ইনফোরমেশনাল ওয়েবসাইট যার মাধ্যমে অডিয়েন্সকে পণ্য বা বিভিন্ন সার্ভিস সম্পর্কে ইনফোটিভ তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিনিয়ত আপডেট রাখা হয়। সেটা হতে পারে আপনার পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত কিংবা হতে পারে আপনার পণ্যের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ইনফোরমেটিভ তথ্য। 

ব্লগ বিভিন্ন ধরণের হতে পারে, তবে সাধারণভাবে যদি বলতে চাই তাহলে ব্লগকে আমরা ২ ভাবে ভাগ করতে পারি।

১। পার্সোনাল ব্লগ – যেখানে একজন নিজের পার্সোনাল লাইফস্টাইল অথবা সার্ভিস অথবা কোনো জ্ঞানমূলক তথ্য জার্নাল আকারে শেয়ার করে।

২। বিজনেস ব্লগ – যেখানে কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নিজের পন্য বা সার্ভিসের মার্কেটিং এর উদ্দেশ্যে ব্লগ লিখে।

ব্লগিং কি?

ব্লগিং হল ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত বা পেশাদার তথ্য, অভিজ্ঞতা, মতামত, বিশ্লেষণ বা টিউটোরিয়াল শেয়ার করার প্রক্রিয়া। এটি একটি ব্লগ (Blog) নামক ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজে লেখা আকারে প্রকাশ করা হয়।

মূল বৈশিষ্ট্য-

  • নিয়মিত কনটেন্ট প্রকাশ (পোস্ট আকারে)
  • ব্যক্তিগত, শিক্ষা, প্রযুক্তি, ভ্রমণ, রেসিপি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে লেখা হতে পারে
  • পাঠকের কমেন্ট বা মতামত জানানোর সুযোগ থাকে
  • ব্লগ থেকে আয় করা সম্ভব (যেমন: বিজ্ঞাপন, স্পনসর, অ্যাফিলিয়েট)

বিজনেস ব্লগ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

আপনার বিজনেসে ব্লগ কেনো গুরুত্বপূর্ণ সেটা জানার আগে চলেন কিছু পরিসংখ্যান দেখি-

  • ইন্টারনেট ইউজারদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ও ব্লগের মাধ্যমে বিজনেসের সাথে যোগাযোগ করে।
  • ৫৯ শতাংশ মার্কেটার ব্লগিংকে কার্যকরী মার্কেটিং হিসেবে বিবেচনা করেন।
  • যেসব ওয়েবসাইটে নিয়মিত ব্লগ পাবলিশ করা হয়, সাধারণত সেসব ওয়েবসাইটের ইন্ডেক্স পেইজ ৪৩৪% বেশি হয় এবং ইনবাউন্ড লিংক ৯৭% বেশি হয়। এখানে ইন্ডেক্স পেইজ বলতে ওয়েবসাইটের পেইজ সংখ্যাকে বোঝায়। অর্থ্যাৎ, যত বেশী ব্লগ হবে তত বেশী পেইজ হবে এবং গুগলে র‍্যাংক করা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য তত বেশি সহজ।
  • যেসব কোম্পানি প্রতি মাসে ব্লগ পাবলিশ করে সাধারণত সেসব কোম্পানি ৬৭% বেশি লিড জেনারেট করে অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় যাদের ব্লগ সাইট নেই।

এবার হয়তো অনেকটাই ক্লিয়ার যে কেনো বিজনেস ব্লগ আপনার বিজনেসের জন্য প্রয়োজন? সাধারণত মার্কেটাররা এসইও (SEO) এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা ব্লগগুলো গুগলে র‍্যাংক করাতে চেষ্টা করে।

আচ্ছা এটা তো গেলো গুগলে আপনার ওয়েবসাইটকে র‍্যাংক করাতে ব্লগের ভূমিকা, এটা ছাড়াও ব্লগের মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের সাথে কানেক্টেড থাকতে পারবেন একই সাথে নতুন অডিয়েন্সকে এই ব্লগের মাধ্যমেই আপনার ব্লগের মাধ্যমে এট্রাক্ট করতে পারবেন। 

আপনার যদি এমন কোনো পণ্য বা সার্ভিসের বিজনেস হয় যেখানে অডিয়েন্সকে আপনার পণ্যের ম্যানুয়াল বা ব্যবহারিতা বোঝাতে হবে সেক্ষেত্রেও কিন্তু ব্লগ অত্যন্ত কার্যকরী। 

বিজনেস ব্লগ কোথায় লিখবেন?

এবার প্রশ্ন করতে পারেন, সব তো বুঝলাম কিন্তু ব্লগ পাবলিশ করবো কোথায়? ফেসবুকে? মিডিয়ামে? নাহ, করবেন আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে। এটাই সবচেয়ে ভালো উপায় নিজের ওয়েবসাইটে নিজের সার্ভিস বা পণ্যের ব্লগ দেয়ার। 

কারণ, এতে করে আপনার ব্র্যান্ড অথোরিটি বৃদ্ধি পাবে, এসইও করা আরো সহজ হবে, পুরো কন্ট্রোল আপনার হাতে থাকবে। এছাড়া ট্রাফিক ধরে রাখা সহজ হয়, যেহেতু অডিয়েন্স আপনার ব্লগ সাইটে আসবে আপনি সহজেই সেখানে থেকে আপনার পণ্য বা সার্ভিস পেইজে তাদের নিতে পারবেন। 

তবে এখানে বলে রাখা ভালো, একটা নজস্ব ই-কমার্স সাইট তৈরী করা সহজ কোনো ব্যাপার না। যেমন টাকা দরকার তেমনই যদি ভালো ডেভোলপার না পান তাহলে ওয়েবসাইট ও কিন্তু ভালো হবে না। সাধারণত অডিয়েন্স লো কোয়ালিটির ওয়েবসাইটে ঢুকতে পছন্দ করে না আবার যেসব সাইট লোড হতে সময় লাগে সেক্ষেত্রেও দেখবেন অডিয়েন্স সাইট থেকে বের হয়ে যায় বিরক্ত হয়ে। 

এখন এই সব সমস্যা ফেইস সাধারণত সবাই করতে চায় না। এছাড়া ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে শুরুতেই একটা ওয়েবসাইট বিল্ড করার আর্থিক অবস্থা থাকে না। তাহলে সমধান?

সহজ সমাধান হলো, দেশিকমার্সের মাধ্যমে নিজস্ব বিজনেস সাইট বিল্ড করা।

সুবিধা হলো –

  • কম খরচে আপনি নিজের একটি ই-কমার্স প্লাটফর্ম পাচ্ছেন
  • কোনো কোডিং ছাড়াই তৈরী হবে আপনার কাস্টমাইজড ওয়েবসাইট
  • পাচ্ছেন নিজস্ব ব্লগ পাবলিশ ফিচার
  • এসইও ফ্রেন্ডলি টেমপ্লেট
  • ছবি, টেক্সট, ভিডিও, কাস্টম CTA যোগ করার সুযোগ!

বিজনেস ব্লগ লিখার আগে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে

বিজনেস ব্লগ লিখার আগে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে

এবার তো জানলাম ব্লগ কোথায় পাবলিশ করবো, এখন চলুন আরেকটু বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। ব্লগ লেখা মানেই যে কিবোর্ডে বসে লিখে গেলাম এমন কিন্তু না। আপনি বিজনেস শুরুর আগে যেভাবে প্ল্যান করেছিলেন সেভাবেই কিন্তু আপনার বিজনেস ব্লগ লেখার আগেও দরকার একটি স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান। 

নিচে এমন ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ নিয়েই আলোচনা করবো –

১. টার্গেট অডিয়েন্স চিহ্নিত করুন

যেকোনো কিছু শুরু করার আগে আপনার অডিয়েন্স কারা সেটা ঠিক করা জরুরী। আপনি যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজনেস ব্লগ লিখবেন, তাহলে আগে ভাবুন তো কাদের জন্য লিখছেন? আপনার অডিয়েন্স কারা?

আপনি কি অনলাইন উদ্যোক্তার জন্য লিখছেন নাকি আপনার বিজনেসের পণ্যের সাথে রিলেটেড এমন অডিয়েন্সের জন্য লিখছেন যারা আপনার ব্লগ পড়ে বা ওয়েবসাইটে এসে কেনাকাটা করবে? অবশ্যই আপনার পণ্য বা সার্ভিসের সাথে সংশ্লিষ্ট এমন অডিয়েন্সকে মাথায় রেখেই ব্লগ লিখবেন। 

এক্ষেত্রে আপনার অডিয়েন্স কারা, কী চায়, কীভাবে তাদের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব সবকিছুই আপনি ব্লগে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। 

২. কীওয়ার্ড রিসার্চ করুন

কিওয়ার্ড হলো এক কথায় আপনার ব্লগের প্রাণ। আপনি যদি সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ করে আপনার ব্লগে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইট খুব সহজেই গুগলে র‍্যাংক করা সম্ভব। কীভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন? 

প্রথমেই বুঝতে হবে আপনি যে টপিক টা লেখার জন্য সিলেক্ট করেছেন সেটা মানুষের জানার প্রয়োজন আছে কি না বা এই শব্দ গুলো ব্যবহার করে মানুষ গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে কি না। 

এছাড়াও –

  • গুগল সাজেস্ট/People also ask এই অপশনগুলো দেখে আপনার টপিকের সাথে প্রাসঙ্গিক শব্দ বা প্রশ্নগুলো সংগ্রহ করুন।
  • Ubersuggest, AnswerThePublic বা Google Keyword Planner ব্যবহার করুন।
  • শর্ট টেইলের পরিবর্তে লং টেইল কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

সঠিক কিওয়ার্ড শুধু আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিকই বাড়াবে না বরং আপনার ব্লগকে আরো প্রাসঙ্গিক করবে। 

৩. বিজনেস উদ্দেশ্য ও কনভার্সন গোল নির্ধারণ করুন

এবার সবচেয়ে জরুরী ধাপ, আপনার ব্লগটি কেমন হবে? মানে, আপনি আপনার ব্লগের মাধ্যমে কী করতে চাচ্ছেন?

  • আপনি ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়াতে চান?
  • আপনি কি একজন রিডার বা অডিয়েন্সকে আপনার পণ্য বা সার্ভিস এর ব্যাপারে জানাতে চান?
  • আপনি কি ইমেইল সাবস্ক্রাইবার চান?

আপনার টার্গেটের উপর নির্ভর করে আপনার ব্লগের টোন বা CTA, স্ট্রাকচার ঠিক করুন। এরপর আপনার ব্লগের জন্য আউটলাইন তৈরী করুন। দেশীকমার্সের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট তৈরী করে খুব সহজেইন ব্লগ পাবলিশ করতে পারবেন একই সাথে রয়েছে অন পেইজ এসইও এর সুবিধাও! আমাদের প্ল্যানগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেন এখানে। 

বিজনেস ব্লগ লিখার ৭টি কার্যকর নিয়ম

আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে চাইলে এবং অডিয়েন্সকে সফল লিডে পরিণত করতে চাইলে একটি স্ট্রাকচার্ড বিজনেস ব্লগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে লিখবেন এমন একটি ব্লগ? 

ব্লগ কী

এ বিষয়েই ৭ টি কার্যকর নিয়ম আলোচনা করবো নিচে- 

১️. আকর্ষণীয় ও SEO-ফ্রেন্ডলি টাইটেল লিখুন

টাইটেল হলো আপনার ব্লগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। টাইটেল যদি আকর্ষণীয় ও এসইও ফ্রেন্ডলি না হয় তবে আপনার ব্লগটি যতই ভালো হোক না কেনো অডিয়েন্সের চোখে পরবে না। তাই টাইটেল হতে হবে এমন যা আগ্রহও তৈরী করবে একই সাথে কিছুটা হিন্টস ও দিবে। 

যেমন- “অর্গানিক রীচ বৃদ্ধি করুনঃ ১০ টি কার্যকরী পদ্ধতি যা সত্যিই কাজ করে!

অবশ্যই মূল কিওয়ার্ড টাইটেলে ব্যবহার করুন, সংখ্যাযুক্ত করুন কিংবা প্রশ্নভিত্তিক টাইটেল ব্যবহার করুন। টাইটেল ৫০-৫৫ ক্যারেক্টারের মধ্যে রাখুন।

২. ইউজার ও গুগল দু’জনের জন্যই কনটেন্ট লিখুন

যেকোনো ব্লগ লেখার ক্ষেত্রে এটা মাথায় রাখবেন যে আপনি যেমন অডিয়েন্সের জন্য ব্লগ লিখবেন তেমনই গুগলের জন্যও লিখবেন। কারণ আপনার কন্টেন্ট যদি গুগলের কোয়ালিটি ম্যাচ না করে তবে কিন্তু সেটা র‍্যাংক করার সম্ভাবনা কমে যাবে। 

মানুষের জন্য হলে –

  • সহজ ভাষা, গল্পের টোনে লিখুন
  • ইনফোরমেটিভ কন্টেন্ট দিন।

গুগলের জন্য কী করবেন?

  • কিওয়ার্ড ঠিকভাবে বসানো
  • মেটা ট্যাগ, ট্যাগ, ইন্টারলিংকিং ব্যবহার

৩. মূল কীওয়ার্ড এবং লং-টেইল কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন

ব্লগের জন্য শুধু একটি বা দুটি কিওয়ার্ড সিলেক্ট করবেন না। কয়েকটা সাব কিওয়ার্ড ও সিলেক্ট করবেন এবং অবশ্যই শর্ট টেইল কিওয়ার্ডের পরিবর্তে লং টেইল কিওয়ার্ডের দিকে ফোকাস করবেন। 

কারণ লং টেইল কিওয়ার্ডের ক্ষেত্রে এসইও করা ও র‍্যাংক করানো সহজ। এছাড়া শর্ট কিওয়ার্ডে যেমন প্রতিযোগীতা বেশি আবার লং কিওয়ার্ডে প্রতিযোগিতা কম।

৪. সহজ ভাষায় অথেনটিক তথ্য দিন

অডিয়েন্সকে সাময়িকভাবে এট্রাক্ট করার জন্য কখনো ভুল তথ্য বা এমন কোনো শব্দ ব্যবহার করবেন না যা আপনার ব্লগের সাথে প্রাসঙ্গিক নয় কিংবা অবাস্তব। এতে করে আপনি পটেনশিয়াল অডিয়েন্স যেমন হারাবেন তেমনই আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি মানুষের যে বিশ্বস্ততা তৈরী হয়েছে তা ও খারাপ হবে। তাই সবসময় সহজ এবং সত্য তথ্য যাচাই করে লিখবেন।

৫. ইমেজ, লিস্ট ও সাবহেডিং ব্যবহার করে স্ক্যানযোগ্য রাখুন

সবসময় মনে রাখবেন, অনলাইনে খুব বেশী সংখ্যক মানুষ সম্পূর্ণ ব্লগ পড়ে না, তারা সেটা স্ক্যান করে। অর্থ্যাৎ, হেডিং-সাবহেডিং দেখে বোঝার চেষ্টা করে ব্লগে কী বলা হয়েছে। তাই হেডিং-সাবহেডিং গুলো যেনো আপনার মূল বিষয়বস্তুকে ফুটিয়ে তুলতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। 

এছাড়াও ব্লগে শুধু প্যারাগ্রাফই নয় বরং বুলেট পয়েন্ট ও ব্যবহার করতে হবে। পুরো ব্লগ জুড়ে অন্তত ৩ টা ছবি যেনো থাকে একই সাথে প্যারাগ্রাফ গুলো ৩-৪ লাইনের বেশি বড় করবেন না।

৬. কল টু এ্যাকশন (Call to Action) যুক্ত করুন

এবার ধরুন আপনার ব্লগ পড়ে পাঠক আপনার ব্লগের সাথে সংশ্লিষ্ট কিছুর ক্ষেত্রে আগ্রহী হলো, এবার তাহলে আপনার কাজ কী? আপনার ব্লগে কল টু একশন যোগ করা। 

অর্থাৎ, আপনি পাঠককে কী করাতে চাচ্ছেন তা বলে দেয়া। যেমন, আজই DeshiCommerce-এ ফ্রি একাউন্ট খুলে আপনার ওয়েবসাইট শুরু করুন!

৭. নিয়মিত ব্লগ আপডেট করুন

আপনার পুরোনো ব্লগে যদি আপনি নতুন  তথ্য যোগ করেন তবে গুগল সেটাকে নতুন ব্লগ হিসেবেই গণ্য করে। তাই নিয়মিত আপনার পুরোনো ব্লগপগুলোকে আপডেট করুন, নতুন তথ্য যোগ করুন। 

পরিশেষে, আপনার ব্যবসা যদি এখনো নতুন বা ছোট পরিসরে হয়ে থাকে তবে এখনই সুবর্ণ সুযোগ আপনার ব্যবসাকে ব্লগের মাধ্যমে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। কারণ, এই ব্লগের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই বিশাল অডিয়েন্সের কাছে আপনার ব্র্যান্ডকে তুলে ধরতে পারেন। দেশিকমার্সের মাধ্যমে কোনো ঝামেলা ছাড়াই খুব অল্প খরচে আপনার ই-কমার্স সাইট তৈরী করে ফেলুন!

নিজের ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করুন মাত্র ৫ মিনিটে

ব্যবহারে সহজ

কোডিং এর ঝামেলা নেই

খরচ সাধ্যের মধ্যে

সাইন আপ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

আপনার মূল্যবান মতামত দিন

মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। আবশ্যক ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত *

আগের মন্তব্য গুলো পড়ুন

সবার আগে মন্তব্য করুন