ফেসবুক বুস্টিং – এর নিয়ম, সুবিধা ও খরচ

ফেসবুক বুস্টিং – এর নিয়ম, সুবিধা ও খরচ
শেয়ার করুন

ফেসবুকে বুস্ট পোস্ট (boost post) মানে কি?

ফেসবুকে Boost Post হলো এমন একটি ফিচার যা আপনাকে নির্দিষ্ট একটি পোস্টকে বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। এটি মূলত পেইড মার্কেটিং টুল, যেখানে আপনি কিছু টাকা খরচ করে আপনার পোস্টের রিচ (reach) বাড়াতে পারেন। এই ফিচারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট বয়স, লোকেশন, আগ্রহ বা অন্যান্য ডেমোগ্রাফিক অনুযায়ী টার্গেট করা যায়।

ফেসবুক বুস্টিং/ক্যাম্পেইনে এ কয়টি প্লেসমেন্ট পাওয়া যায়?

ফেসবুক বুস্টিং করার সময় বিভিন্ন প্লেসমেন্ট (যেখানে আপনার পোস্ট দেখানো হবে) নির্ধারণ করা যায়:

  • Facebook News Feed
  • Facebook Stories
  • Instagram Feed
  • Instagram Stories
  • Messenger
  • Audience Network

এই প্লেসমেন্টগুলো সঠিকভাবে বাছাই করলে বুস্টিং আরও কার্যকর হয়।

ফেসবুক পেজ বুস্ট বা এড ক্যাম্পেইন চালু করতে কত টাকা লাগে?

ফেসবুকে পোস্ট বা পেজ বুস্ট করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট মূল্য নেই। এটি সম্পূর্ণ আপনার বাজেটের উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণত ফেসবুক বুস্টিংয়ের ক্ষেত্রে:

  • সর্বনিম্ন বাজেট: প্রতিদিন $1 থেকে শুরু করা যায়।
  • বাংলাদেশের ক্ষেত্রে: সাধারণত ১০০-২০০ টাকা দিয়েও বুস্ট শুরু করা সম্ভব।
  • বাজেট নির্ধারণ: আপনি চাইলে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী দৈনিক বাজেট সেট করতে পারেন অথবা নির্দিষ্ট সময় ধরে নির্দিষ্ট বাজেটে বুস্ট চালাতে পারেন।

ফেসবুক পেজ বুস্ট বা এড ক্যাম্পেইন চালু করতে কত টাকা লাগে?

ফেসবুকে পোস্ট বা পেজ বুস্ট করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট মূল্য নেই। এটি সম্পূর্ণ আপনার বাজেটের উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণত ফেসবুক বুস্টিংয়ের ক্ষেত্রে:

  • সর্বনিম্ন বাজেট: প্রতিদিন $1 থেকে শুরু করা যায়।
  • বাংলাদেশের ক্ষেত্রে: সাধারণত ১০০-২০০ টাকা দিয়েও বুস্ট শুরু করা সম্ভব।
  • বাজেট নির্ধারণ: আপনি চাইলে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী দৈনিক বাজেট সেট করতে পারেন অথবা নির্দিষ্ট সময় ধরে নির্দিষ্ট বাজেটে বুস্ট চালাতে পারেন।

ফেসবুকে বুস্টিং বা এড ক্যাম্পেইনের খরচ অপ্টিমাইজেশনের নিয়ম

যারা বিজনেসের জন্য ফেসবুক অ্যাড চালাতে চান, তাদের একটি কমন প্রশ্ন হলো, ফেসবুকে বিজনেস অ্যাড দিতে কেমন খরচ হয়?

বিষয়টি বুঝতে হলে প্রথমে জানতে হবে, কিভাবে ফেসবুক অ্যাডের জন্য চার্জ করে?

ফেসবুক বিজনেস অ্যাড বা বিজ্ঞাপনের অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে যা একটি ফেসবুক অ্যাডের খরচকে প্রভাবিত করে। এর মধ্যে আমরা পাঁচটি মেজর ফ্যাক্টর সম্পর্কে আলোচনা করবো যেগুলোর উপর ভিত্তি করে অ্যাডের খরচ কম বেশি হয়।
বিষয় পাঁচটি হলো,

  1. Ads বিড – Bidding
    প্রতিবার ফেসবুকে অ্যাড দেখানোর জন্য আপনি কত টাকা খরচ করতে ইচ্ছুক।
  2. আপনার টার্গেট শ্রোতা- Target Audience
    যাদের অ্যাডটি দেখাতে চান
  3. অ্যাডের গুণগত মান এবং প্রাসঙ্গিকতা- Ad Quality and Relevance
    আপনার দেয়া অ্যাডটি টার্গেট অডিয়েন্স পছন্দ করছে কি না এবং অ্যাডটির সাথে কিভাবে তাঁরা সম্পৃক্ত হচ্ছে।
  4. আনুমানিক অ্যাকশন রেট (CTR)
    Impression/link click অর্থাৎ ফেসবুকে অ্যাডটি দেখানোর মোট পরিমানের বিপরীতে কতজন অ্যাডটি দেখার জন্য ক্লিক করেছে তাঁর অনুপাত।
  5. ফেসবুকের কোন অংশে ও কতগুলো স্থানে অ্যাডটি দেখানো হবে – Ads Placement
    অ্যাডটি ফেসবুকের কোন কোন অংশে ও স্থানে দেখানো হচ্ছে অর্থাৎ অ্যাড প্লেসমেন্টের স্থানের ভিন্নতা।

 

প্রথম কথা,
বিজনেস অ্যাড দেবার জন্য ফেসবুকের নির্ধারিত কোন চার্জ নেই। একটি অ্যাডের জন্য আপনার ঠিক কত টাকা খরচ হতে পারে তা উপরে উল্লিখিত ৫ টি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।

উল্লেখকৃত ৫ টি বিষয়ের সঠিক অপটিমাইজেশন আপনার ফেসবুক অ্যাডের খরচ নিয়ন্ত্রণে ভুমিকা রাখে। অপটিমাইজেশন সঠিক না হলে অ্যাড খরচ বেড়ে যেতে পারে।

কিছু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এজেন্সি তাদের দীর্ঘদিনের অ্যাড চালানোর অভিজ্ঞতা থেকে ফেসবুক অ্যাডের একটি আনুমানিক গড় খরচ হিসেব করেছেন। সেখানে প্রোডাক্ট, ইন্ডাস্ট্রি, দেশ, কাস্টমার গ্রুপ ভেদে অ্যাডের খরচের ভিন্নতা দেখা গেছে।

নিচের চিত্রটি দেখুনঃ

Source :marketerknows 

মূল ৫ টি বিষয় যেভাবে ফেসবুক অ্যাডের খরচ নিয়ন্ত্রন করে

1. Ads বিড -Bidding

মনে করুন, আপনি একটি সংবাদপত্রে অ্যাড দিবেন। সংবাদপত্রে প্রথম পাতা বা ভিতরের পাতাগুলির জন্য একটি নির্ধারিত মূল্য রয়েছে। যদি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সবাই প্রথম পাতায় অ্যাড দিতে চায় তবে তাদের মধ্যে মূল্য নিয়ে একটা প্রতিযোগিতা হবে।কারণ সবার অ্যাড একই সময়ে প্রথম পাতায় দেখানো সম্ভব না। প্রথম পাতায় স্থান পেতে যে সবার থেকে বেশি অর্থ পরিশোধ করবে তার অ্যাড প্রথম পাতায় স্থান পাবে। এই প্রক্রিয়াটিকে বিডিং বলে।

ফেসবুক ও এই bidding প্রক্রিয়াতে অ্যাড দেখায়। কিন্তু ফেসবুকে শুধুমাত্র অ্যাড বিডিং-এর মূল্য বিচারে একটি অ্যাড বিজয়ী হয় না। মানে বেশি টাকা দিলেই আপনার অ্যাড ফেসবুক দেখাবে – এমনটা নাও হতে পারে।

যার অ্যাড গুণগত মানসম্পন্ন, প্রাসঙ্গিক এবং ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে সর্বাধিক পছন্দের হয় ( যেটি ব্যবহারকারীদের আনুমানিক ক্রিয়াকলাপ দ্বারা নির্ধারিত) সেই অ্যাডটি বিজয়ী হয়। বিজয়ী অ্যাডের জন্য ফেসবুক অন্যদের চেয়ে কম মূল্য চার্জ করে।

“গুণমান, প্রাসঙ্গিকতা এবং ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আনুমানিক ক্রিয়াকলাপ দ্বারা বিডে বিজয়ী অ্যাড নির্ধারণ হয়।” 

নিজের ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করুন মাত্র ৫ মিনিটে

ব্যবহারে সহজ

কোডিং এর ঝামেলা নেই

খরচ সাধ্যের মধ্যে

সাইন আপ

2. অ্যাডের গুণগত মান এবং প্রাসঙ্গিকতা

অ্যাড কনটেন্ট বা বিষয়বস্তুর গুনগত মান ও প্রাসঙ্গিকতা যত ভালো হবে সেই অ্যাডের খরচ তত কম হবে।

বিজনেস অ্যাড এর মান এবং প্রাসঙ্গিকতা বলতে ফেসবুক বোঝে টার্গেট অডিয়েন্স কীভাবে সেটি গ্রহন করছে তাঁর উপর। দর্শকের কাছে এটি কতটা প্রাসঙ্গিক তার ভিত্তিতে ফেসবুক আপনার অ্যাডকে ১ থেকে ১০ এর মধ্যে একটি স্কোর দেয়। প্রাসঙ্গিকতার এই স্কোর যত বেশি, অ্যাড খরচ তত কম।

প্রাসঙ্গিকতা হলো অ্যাডটিতে দর্শকদের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক ক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে লাইক কমেন্ট শেয়ার করার গড় অনুপাত। যদি বেশি পরিমাণ দর্শক আপনার অ্যাডের বিষয়বস্তু লাইক করে, শেয়ার করে বা পজিটিভ কমেন্ট করে, তবে ফেসবুক সেই অ্যাড ইতিবাচক বা প্রাসঙ্গিক মনে করে। আর যদি কম সংখ্যক দর্শক লাইক করে, শেয়ার বেশি না হয় বা কেউ নেগেটিভ কমেন্ট করে বা আপনার পোস্ট হাইড করে বা আপনি কারো কমেন্ট ডিলিট করেন তবে ফেসবুক সেটি নেতিবাচক মনে করে। যার অর্থ দাঁড়ায় অ্যাডটি অডিয়েন্সদের জন্য প্রাসঙ্গিক নয়।

প্রাসঙ্গিকতা এবং গুণগত মান পোস্ট ক্লিকের হার দ্বারা গণনা করা হয়। অর্থাৎ এটি যতবার ফেসবুকে দেখানো হয়েছে তাঁর বিপরীতে কতবার ক্লিক করা হয়েছে তার অনুপাত দ্বারা অ্যাডের প্রাসঙ্গিকতা নির্ণয় করা হয়। যাকে CTR বলে।

“তাহলে দর্শক অ্যাডের বিষয়বস্তু যত বেশি ইতিবাচক ভাবে নেবে, অ্যাডটি তত প্রাসঙ্গিক বলে ফেসবুকের কাছে বিবেচিত হবে এবং সেই অ্যাডের জন্য খরচ তত কম হবে।” 

3. আনুমানিক অ্যাকশন রেট (CTR)

ফেসবুক অ্যাডের খরচকে প্রভাবিত করা তৃতীয় ফ্যাক্টরটি হ’ল অ্যাডের অডিয়েন্সদের আনুমানিক অ্যাকশনগুলির গড়।

ফেসবুক অনুমান করে বের করে, কোনো ব্যক্তি আপনার অ্যাডের সাথে এঙ্গেজ হলে তার জন্য এই অ্যাডের বিষয়বস্তুটি কতটা কার্যকর হতে পারে।
ফেসবুক এই অনুমান করে সেই ব্যক্তির অতীত ফেসবুক কার্যকলাপ থেকে। এরপরে আপনার টার্গেট করা অডিয়েন্সদের মধ্যে কোন কোন মানুষের কাছে আপনার অ্যাডটি প্রদর্শন হবে ফেসবুক সেই সিদ্ধান্ত নেয়।

মনে করুন, আপনি চান মানুষ আপনার প্রোডাক্ট ই-কমার্স ওয়েবসাইটে এসে কেনাকাটা করুক। এখন আপনার অ্যাড দেখে মানুষ যদি আপনার লিংক করে দেয়া ই-কমার্স ওয়েবসাইটে আসে, তবে ফেসবুক দর্শকদের (অডিয়েন্স) অ্যাড দেখা ও লিংক ক্লিক করে ওয়েবসাইটে আসার সংখ্যার অনুপাতের একটি গড় বের করবে।

এটি যত বেশি হবে ফেসবুক তত বেশি সমগোত্রীয় মানুষের কাছে আপনার অ্যাডটি পৌঁছে দিবে। আপনার অ্যাডের খরচ কমবে।

যদি প্রোডাক্ট বিক্রয়ের জন্য আপনি কনভার্সন অ্যাড চালান আর বেশি বেশি ফেসবুকে অ্যাড দেন কিন্তু কোন ল্যান্ডিং পেজ বা ই কমার্স ওয়েবসাইট লিংক না থাকে, তবে অডিয়েন্স পোস্টে ক্লিক করে ল্যান্ডিং পেজ পায় না । ফেসবুক মনে করে আপনার অ্যাডটি দর্শক পছন্দ করছে না।

ফলে আপনার অ্যাডটির জন্য বেশি বাজেট দিলেও ভালো ফলাফল আসবে না। অ্যাডটি কম সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছায়, অ্যাড খরচ বেড়ে যায়।

“ফেসবুকের যে অবজেক্টিভ নিয়ে অ্যাড দিচ্ছেন তাঁর সকল শর্ত পুরন ও সে মাফিক অ্যাড কনটেন্ট অপ্টিমাইজ করা না হলে আপনার ফেসবুক অ্যাড খরচ বাড়বে।”

আর শর্ত পুরন করে দর্শকদের পছন্দমতো অ্যাড কনটেন্ট তৈরি ও অপ্টিমাইজ করা হলে অ্যাডের খরচ কম হবে।

4. আপনার টার্গেট দর্শক (Targeted Audience)

চতুর্থ প্রভাবক হলো, টার্গেট অডিয়েন্স। আপনি কোন শ্রেণী/পেশার মানুষ আর কত সংখ্যক মানুষকে অ্যাডটি দেখাবেন সেটির উপর খরচের পরিমাণ নির্ভর করে ।

টার্গেট অডিয়েন্স যত বড় হবে মোট খরচ বা মোট বাজেট তত বেড়ে যাবে। কিন্তু এটি অ্যাড দেখানোর জন্য বিডের খরচকে প্রভাবিত করবে না ।
যাদের টার্গেট করেছেন যদি অন্য সকল অ্যাডদাতারাও একই শ্রেণীর অডিয়েন্স টার্গেট করে অ্যাড দেয় তবে টার্গেট অডিয়েন্সদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সবার মধ্যে প্রচুর প্রতিযোগিতা হয়। যা অ্যাডের বিডিং খরচ বাড়িয়ে তোলে । বিডের জন্য খরচ বেড়ে যাওয়া মানে অ্যাডের খরচ বেড়ে যাওয়া।

ধরুন, আপনি X টার্গেট গ্রুপকে লক্ষ্য করে অ্যাড দিয়েছেন। আপনি হলেন A অ্যাড দাতা, অন্যদিকে B,C,D অ্যাড দাতারাও আপনার টার্গেট করা একই গ্রুপ X কে লক্ষ্য করে অ্যাড দিয়েছেন।

এখন অ্যাডের বিষয়বস্তুর মানের উপর নির্ভর করে ফেসবুক অ্যাডগুলির স্কোর করবে। সেই স্কোর অনুযায়ী বিড হবে (অটোমেটিক) এবং অ্যাডের খরচ নির্ধারিত হবে ।

ধরুন স্কোরের ধরণ হলো, A এর জন্য=2, B এর জন্য=3, C এর জন্য= 4, D এর জন্য=6 । যেহেতু, স্কোর বেশি হলে ফেসবুক এটিকে দর্শকদের জন্য প্রাসঙ্গিক মনে করে, তাই D এর অ্যাড খরচ হবে সবথেকে কম , C এর খরচ হবে D থেকে বেশি , B এর খরচ হবে C থেকে বেশি আর A এর খরচ হবে সবার থেকে বেশি।

তাহলে বিজয়ী হবে D কিন্তু আরো চারজন অ্যাডদাতা বিড করায় (competition) তাঁর খরচ বাড়বে। যদি অ্যাডদাতা ২ জন হতো তবে D এর সামগ্রিক খরচ আগের চেয়ে কম হতো।

“যে অডিয়েন্স গ্রুপকে লক্ষ্য করে অ্যাডদাতারা বেশি বেশি অ্যাড দেয়, যে অডিয়েন্স গ্রুপের জন্য competition বেশি, সেই অডিয়েন্স গ্রুপের জন্য ফেসবুক অ্যাডের খরচ বেশি হবে।”

5. ফেসবুকের কোন অংশে ও কতগুলো স্থানে অ্যাডটি দেখানো হবে – Ads Placement

পাঁচ নম্বর ফ্যাক্টরটি হলো, বিজনেস অ্যাড ফেসবুকের কোন কোন স্থানে প্রদর্শিত হচ্ছে ।

ফেসবুকে একটি অ্যাড – নিউজ ফিড, ডান-হাতের কলাম, মোবাইল অ্যাপ , ইনস্টাগ্রাম এবং অডিয়েন্স নেটওয়ার্ক, মেসেঞ্জার – এমন অনেকগুলি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে দেখানো হয়। এগুলোকে প্লেসমেন্ট অপসন বলা হয়।

প্রতিটি প্লেসমেন্ট অপশনে ভিন্ন ভিন্ন অ্যাড দেখানোর জন্য ক্লিক রেট ভিন্ন। তবে কোন একটি অ্যাড প্লেস বাদ দিলেই আপনার খরচ কমবে এমনটি নয়। অ্যাডটি সম্পূর্ণ হবার পর সকল প্লেসের ক্লিক রেটের গড় থেকে অ্যাডের খরচ নির্ণয় হয়। যেহেতু কিছু প্লেসের অ্যাড খরচ বেশি আর কিছু প্লেসের জন্য কম তাই এটি কিছুটা হলেও খরচের উপর প্রভাব ফেলে।

“তাহলে, অ্যাডের প্লেসমেন্টও খরচকে প্রভাবিত করতে পারে।” 

পরিশেষে,

ফেসবুক অ্যাডের মূল লক্ষ্য হলো আপনার ব্যবসা প্রসার করা এবং বিক্রি বৃদ্ধি করা। তাই যত কম খরচে “যত বেশি উপযুক্ত মানুষের” (eligible target audience) কাছে আপনার অ্যাড পৌঁছাতে পারবেন তত আপনার লাভ।

তাই, অ্যাডের খরচ নিয়ন্ত্রণে এই পাঁচটি ফ্যাক্টরের সঠিক অপটিমাইজেশন প্রয়োজন।

 

ফেসবুক পেজ বুস্ট করার নিয়ম

১. ফেসবুক পেজে প্রবেশ করুন।

  1. যে পোস্টটি বুস্ট করতে চান সেটি নির্বাচন করুন।
  2. Boost Post বাটনে ক্লিক করুন।
  3. অডিয়েন্স সেট করুন: আপনি টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করতে পারেন, যেমন:

 

  • লোকেশন (বাংলাদেশ, নির্দিষ্ট জেলা বা শহর)
  • বয়স ও লিঙ্গ
  • আগ্রহ বা পছন্দ
  1. বাজেট ও সময়সীমা নির্ধারণ করুন:
  • প্রতিদিন কত টাকা খরচ করবেন?
  • কতদিন বুস্ট চালাবেন?
  1. পেমেন্ট পদ্ধতি নির্বাচন করুন।
  2. বুস্ট নিশ্চিত করুন এবং ফেসবুকের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করুন।

 

ফেসবুক পোস্ট বুস্ট করার নিয়ম

ফেসবুক পোস্ট বুস্ট করার নিয়ম প্রায় একই রকম:

  • পোস্ট নির্বাচন করুন।
  • Boost Post অপশনে ক্লিক করুন।
  • অডিয়েন্স নির্ধারণ করুন।
  • বাজেট ও সময় নির্ধারণ করুন।
  • পেমেন্ট করুন ও বুস্ট চালু করুন।

 

ফেসবুক বুস্ট করলে কি লাভ হয়?

ফেসবুকে বুস্ট করলে নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো পাওয়া যায়:

  • ব্র্যান্ডের ভিজিবিলিটি বাড়ে।
  • অনেক বেশি মানুষ আপনার পোস্ট দেখবে।
  • টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে পোস্ট পৌঁছানো সম্ভব হয়।
  • সেলস ও লিড জেনারেশন বাড়ানো সম্ভব।
  • ওয়েবসাইট বা অন্য সোর্সে ট্রাফিক আনা যায়।


বুস্টিং নাকি এড ক্যাম্পেইন- কিভাবে বুস্টিং করলে বেশি সেলস ও কাস্টমার পাওয়া যাবে?

ফেসবুকে মার্কেটিং করতে চাইলে দুটি প্রধান অপশন আছে:

১. Boost Post: এটি সহজতর এবং দ্রুততর, তবে লিমিটেড কাস্টমাইজেশন অপশন রয়েছে।

২. Facebook Ad Campaign: এটি অ্যাড ম্যানেজার থেকে করা হয় এবং আরও উন্নত টার্গেটিং ও কন্ট্রোল পাওয়া যায়।

কখন Boost Post করবেন?

১. যদি আপনি অল্প সময়ে বেশি মানুষকে রিচ করতে চান।

২. যদি আপনি শুধু ব্র্যান্ডিং ও এঙ্গেজমেন্ট চান।

কখন Ad Campaign করবেন?

১. যদি আপনার নির্দিষ্ট কাস্টমার টার্গেট করা দরকার।

২. যদি আপনি লিড, মেসেজ বা ওয়েবসাইট কনভার্শন চান।

 

বেস্ট রেজাল্ট পেতে Ad Campaign বেশি কার্যকর কারণ এটি ডিটেইল টার্গেটিং, মাল্টিপল প্লেসমেন্ট ও অ্যানালিটিক্স সুবিধা দেয়।

বারবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলি

ভিসা কার্ড দিয়ে ফেসবুক বুস্ট করা যায়?

হ্যাঁ, আপনি ভিসা কার্ড দিয়ে ফেসবুক বুস্ট করতে পারেন। আন্তর্জাতিক ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড যেমন Visa, MasterCard, American Express ব্যবহার করা যায়।

বুস্ট করার জন্য কি কার্ড ব্যবহার করা হয়?

ফেসবুক বুস্টিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করা যায়:

১. ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড (Visa, MasterCard, American Express)
২. PayPal (যদি অ্যাভেইলেবল থাকে)
৩. ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট (প্রোমো কোডের মাধ্যমে পাওয়া যায়)

সর্বনিম্ন কত ডলার বুস্ট করা যায়?

ফেসবুকে পোস্ট বুস্ট করার জন্য সর্বনিম্ন $1 (প্রতিদিন) বাজেট সেট করা যায়। তবে বাংলাদেশে ১০০-২০০ টাকা দিয়েও বুস্ট করা সম্ভব।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

আপনার মূল্যবান মতামত দিন

মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। আবশ্যক ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত *

আগের মন্তব্য গুলো পড়ুন

সবার আগে মন্তব্য করুন