আমার ব্যবসা ছোট, আমার কি কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইট প্রয়োজন আছে?

আমার ব্যবসা ছোট, আমার কি কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইট প্রয়োজন আছে?
শেয়ার করুন

একটা গল্প শেয়ার করি । একজন বিজনেস কনসালটেন্ট গল্পটা একটা ব্লগে লিখেছিলেন ।

ছোট একটা বার । দুই বন্ধু বারে ঢুকলো। তারা দুইজনই নতুন বিজনেস শুরু করেছে । উদ্দেশ্য সেটা উদযাপন করা…

পাঁচ বছর পর…

সেই একই বারে দুই বন্ধুর দেখা হলো । একজন আরেকজন জনকে বললো, “জানো, আমি এইমাত্র আমার ২৫ নম্বর কর্মীকে নিয়োগ দিয়েছি । ”

ওপর বন্ধু বিষন্ন মুখে বললো, ” আমি কেবলমাত্র আমার বিজনেস দেউলিয়া ঘোষণা করেছি!”  

এটা গল্প নয়, সত্যি! কনসালটেন্ট ভদ্রলোকের দুই পরিচিত লোকের সাথে ঘটেছিলো । 

 দুই বন্ধুর বিজনেস স্ট্রাটেজিতে কী এমন পার্থক্য ছিল যেটা একজনকে সফল আর বিফল বানালো?

শুনলে অবাক হবেন, একটিমাত্র ওয়েবসাইট!

সফল বন্ধুটি তাঁর ব্যবসার শুরুতেই একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করেছিলেন। তারপর প্রতিনিয়ত সেটি আপডেট এবং সেটার অনলাইন মার্কেটিং করতে থাকেন। ফলে তার দোকানে লোকাল কাস্টমাররা ছাড়াও অন্যান্য জায়গা থেকেও অনলাইনে অর্ডার আসতে থাকে এবং সেলস বাড়তে থাকে।

অন্যদিকে, বিফল বন্ধুটি বিজনেসের কাস্টমার পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ এবং বিভিন্ন মেলা বা ইভেন্ট এর উপর নির্ভরশীল ছিল । ইকমার্স ওয়েবসাইটের গুরুত্ব সে অনুভব করেনি। ফলাফল, প্রথম দিকে তার সেলস ভালো থাকলেও একসময় তিনি নিয়মিত নতুন কাস্টমার খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন। ফলে তার বিজনেস দেউলিয়া হয়ে যায়।

এখন আপনিই সিদ্ধান্ত নিন আপনি কাকে অনুসরণ করবেন! আপনার বিজনেস যদি ছোট হয়, তবে একটি  ই-কমার্স ওয়েবসাইট আপনার জন্য আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

প্রযুক্তির এই বিশাল সম্ভবনার যুগে বিজনেসের জন্য একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট অবশ্যই দরকার। আপনার বিজনেস শুরুর প্রথম দিনটি থেকেই এটি প্রয়োজন। 

আমরা সবাই চাই আমার অনলাইন বিজনেস লাভজনক হোক।  এই লেখা থেকে আপনি যে বিষয়গুলো জানতে পারবেন:

  • ইকমার্স ওয়েবসাইট থাকার বিশেষ কিছু সুবিধা
  • ইকমার্স ওয়েবসাইট নিয়ে প্রচলিত কিছু অহেতুক ধারনা
  • ঠিক কত খরচ হয় একটা ভালো মানের ইকমার্স ওয়েবসাইট বানাতে
  • কোন ফিচারগুলো ইকমার্স ওয়েবসাইটে থাকা জরুরি
আপনার বিজনেসের জন্য ইকমার্স ওয়েবসাইটের গুরুত্ব কতটুকু?

যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণা সংস্থা ডেলয়েট, অনলাইন বিজনেস পরিচালনার জন্য ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারের বেশকিছু সুবিধা খুঁজে পেয়েছে:

  • ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্যবহারে বিজনেসের লাভ চার গুন পর্যন্ত এমনকি তার বেশিও বৃদ্ধি করা সম্ভব 
  • অনলাইন বিজনেসে পূর্বের বছরের তুলনায় প্রায় তিনগুন নতুন চাকরি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে
  • অনলাইন বিজনেসে গড় কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ছিল ছয় গুণ বেশি

অনলাইন বিজনেসে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয় একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট দিয়ে। তবে শুধুমাত্র একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট লাভজনক বিজনেস পরিচালনা করতে যথেষ্ট না এর জন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত ইকমার্স ওয়েবসাইটটি সমৃদ্ধ করে এর সর্বোচ্চ উপযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।

৩০% কাস্টমার ই কমার্স ওয়েবসাইট ছাড়া অনলাইন বিজনেসকে গুরুত্ব দেয় না

আমরা ডিজিটাল যুগে বাস করি আর এই সময়ে আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট অনলাইন বিজনেসের একনম্বর সম্পদ ।

BTRC (Bangladesh Telephone Regulatory Commission) এর তথ্যানুসারে,  জুন ২০১৯ এ বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯৬.১৯৯ মিলিয়ন বা প্রায় ৯ কোটি ৬০ লক্ষ।

তথ্যপ্রযুক্তির এই সময়ে, কাস্টমাররা আশা করে যে কোনো বিজনেসের একটি অনলাইন উপস্থিতি (একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট সহ)। যাদের সেটা নাই তারা ননপ্রফেশনাল হিসাবে  বিবেচিত হয়।

নিজের ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করুন মাত্র ৫ মিনিটে

ব্যবহারে সহজ

কোডিং এর ঝামেলা নেই

খরচ সাধ্যের মধ্যে

সাইন আপ

গ্রাহক আপনার পণ্য অনলাইনে অনুসন্ধান করে

অনলাইন বিজনেসের জন্য একটি ই কমার্স ওয়েবসাইট থাকার সুবিধা হল যেকোনো জায়গা থেকে কাস্টমার আপনার পণ্য দেখতে ও কিনতে পারে।

৯৩% কাস্টমারদের অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতার শুরু হয় সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারের মাধ্যমে দিয়ে।

বিশ্বাস করুন আর নাই  করুন, প্রতি দিনে Google এ ৩.৫ বিলিয়ন মানুষ বিভিন্ন বিষয় ও পণ্য অনুসন্ধান করছে এবং এই মুহুর্তে আপনার এলাকার কেউ না কেউ অনলাইনে আছেন এবং আপনার পণ্যটি সন্ধান করছেন। তারা অনলাইনে এই মুহূর্তে কাকে খুঁজে পাচ্ছে?

ঠিক ধরেছেন, যার একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট আছে ।

৬৩% কাস্টমার আপনার পণ্য ও প্রতিষ্ঠান খুঁজে পেতে ওয়েবসাইট খোঁজ করে

এপ্রিল ২০১৭ এর  এলএসএর (স্থানীয় অনুসন্ধান সংস্থা) প্রতিবেদন অনুযায়ী,  “ডিজিটাল কনজিউমার স্টাডি”,  ৬৩% কাস্টমার প্রাথমিকভাবে অনলাইন শপ অনুসন্ধান এবং তাঁর থেকে কেনাকাটা করার  জন্য ই কমার্স ওয়েবসাইট খোঁজ করে।

যে ৯৩ শতাংশ কাস্টমারদের অনলাইন অভিজ্ঞতা একটি সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে শুরু হয় তাঁদের একটি  বড় অংশ এটি।

আপনার ব্যবসার জন্য ই কমার্স ওয়েবসাইট থাকার আরেকটি বাধ্যতামূলক কারণ হল –

ইয়েলো পেজেস এবং এলএসএর গবেষণায় দেখা গেছে যে, কাস্টমার ব্যক্তিগত ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সাধারণত তিনটি উৎস শর্টলিস্ট করে  এবং ৩০ শতাংশ কাস্টমার – যাদের ইকমার্স ওয়েবসাইট নাই – তাদের এই শর্টলিস্টের বাইরে রাখে ।

৪৮% গ্রাহক একটি অনলাইন বিজনেসকে বিশ্বাস করে হয় তাঁদের একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট থাকে

ই-কমার্স ওয়েবসাইট না থাকাটা কাস্টমারদের কাছে আপনাকে কম বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে।  ৪৮ শতাংশ মানুষ মনে করে একটি ই কমার্স ওয়েবসাইট অনলাইন বিজনেসের বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষেত্রে এক নম্বর ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করে।

মানুষ এমন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসা করতে ও কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে  যাদের একটি ই কমার্স ওয়েবসাইট আছে। কাস্টমাররা ওয়েবসাইট থেকে সহজেই ওই বিজনেসের  প্রয়োজনীয় সকল তথ্য যেমন প্রশংসাপত্র, পর্যালোচনা, পুরষ্কার কাস্টমার রিভিউ ইত্যাদি দেখে নিতে পারে ।

সোশ্যাল মিডিয়া রিচ ক্রমে কমে যাচ্ছে

আপনি মনে করতে পারেন যে আপনার কোন ওয়েবসাইটের প্রয়োজন নেই, কারণ আপনি ফেসবুকে দিয়ে ভালো বিজনেস করছেন।

প্রত্যেকটি বড় এবং সফল বিজনেসের একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট এবং একই সাথে একটি ফেসবুক পেজও রয়েছে।

সর্বশেষ ফেসবুক অ্যালগরিদম আপডেটের পর বিজনেস পেজের অরগানিক রিচ আগের চেয়ে অনেকাংশে কমে গেছে।এখন বুস্টিং ছাড়া পোস্ট রিচ হয় না বললেই চলে ।

তথাপি, বর্তমানে মানুষ ২০১৭ সালের চেয়ে ৫০ মিলিয়ন ঘণ্টা কম সক্রিয় থাকছে ফেসবুকে।

যদিও সোশ্যাল মিডিয়া আপনার বিজনেস বাড়িয়ে তুলতে ভুমিকা রাখে তবে এটিকে একমাত্র সেলস এবং মার্কেটিং চ্যানেল হিসাবে ব্যবহার করা মোটেও বুদ্ধিমানের পরিচয় নয়। ঠিক এই ভুলটি ঐ দেওলিয়া বন্ধুটি করেছিলেন।

[ps2id id=’ভুল_ধারণা’ target=”/]

ইকমার্স ওয়েবসাইট নিয়ে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা

যারা অনলাইন বিজনেস  করেন আমরা তাঁদের সাথে কাজ করি । যখন ইকমার্স ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে কথা হয়, তখন আমরা প্রায়ই ইকমার্স নিয়ে কিছু ভুল ধারনা শুনি ।

কেন এই ধারণাগুলো ভুল নিচে আমরা তা ব্যাখ্যা করেছি 

আমার বিজনেস ছোট, আমার এই মুহূর্তে ওয়েবসাইট দরকার নাই

ছোট ব্যবসায়ীরা প্রায়ই এই কথাটি বলে থাকেন । 

একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট আপনার বিজনেসের মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এটির জন্য আপনার কাছে বাজেট নেই বলা মানে হল আপনার ব্যবসার লাইসেন্সের জন্য বাজেট নেই এমনটি বলা।

আপনি যদি প্রাথমিক এই বিনিয়োগের উপর নজর না দেন তবে পরবর্তীতে আপনি বড় সমস্যায় পড়তে যাচ্ছেন।

একটি ওয়েবসাইট খুব দামি আর আহামরি কিছু হতে হবে এমনটা না, কিন্তু সুনির্দিষ্ট কিছু ফিচারসহ এটি অবশ্যই থাকতে হবে যাতে কাস্টমাররা আপনাকে সহজেই অর্ডার করতে পারে এবং কারা আপনার পণ্য সম্পর্কে আগ্রহী সেটা আপনি জানতে পারেন। 

কোনো ছোট বিজনেসে ওয়েবসাইট না থাকার অর্থ হলো – আপনি বর্তমানে বিজনেস মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টুল টি ব্যবহার করছেন না। ফলে

– আপনার বিজনেস এর উপর কাস্টমারদের আস্থা তৈরী হচ্ছে না
– আপনি প্রতিনিয়ত নতুন কাস্টমার পাচ্ছেন না
– আপনার বর্তমান কাস্টমারদের বায়িং প্যাটার্ন এর সাথে তাল মেলাতে পারছেন না

সর্বোপরি আপনার বিজনেস বড় করার সম্ভাবনাকে আপনি নিজেই নষ্ট করছেন! এক্ষেত্রে Bill Gates এর একটি উক্তি স্মরণযোগ্য:

বেচাকেনা ভালো । ওয়েবসাইট না করলেও চলবে। 

আপনি হয়তো এই মুহূর্তে ভালো বেচাকেনা করছেন। তবুও আপনার ই কমার্স ওয়েবসাইট প্রয়োজন আছে।

জানতে চান, কেন?

কারন – আজ যারা আপনার থেকে সরাসরি প্রোডাক্ট কিনছে তাদের ‘বায়িং প্যাটার্ন’ বদলে যাচ্ছে। মানুষ এখন তার পছন্দের/প্রয়োজনীয় জিনিসটি কয়েকটি ক্লিক করেই পেতে চায়।

আপনার বর্তমান কাস্টমাররাই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনার পণ্য অর্ডার করতে বা আপনার নতুন পণ্য সম্পর্কে জানতে চাইবে।

বাংলাদেশে প্রতি মাসে ইকমার্স এর মাধ্যমে খুচরা বিক্রি বাড়ছে প্রায় ৭২% এবং ২০২১ সাল নাগাদ ইকমার্স এর মাধ্যমে লেনদেনের পরিমান হবে প্রায় ৭০০০ কোটি টাকা!

যদিও আপনার এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত গ্রাহক থাকে তবুও কেউ জানে না ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে।

তাই এখনি উপযুক্ত সময় ডিজিটাল যুগে প্রবেশের যা ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য।

আমার পরিচিত লোক আছে যে আমাকে বিনামূল্যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে পারবে।

যদি লোকটি প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইনার না হয় এবং ইকমার্স কাস্টমারদের সম্পর্কে তার ভালো ধারণা না থাকে, তাহলে এই ওয়েবসাইট আপনার কোনো কাজে আসবে না । বরং একটা নিন্মমানের ওয়েবসাইট আপনার বিজনেস সম্পর্কে ক্রেতাদের মনে খারাপ ধারণা তৈরী করবে ।

যদি আপনার কোনও বন্ধু একজন পেশাদার ওয়েব ডিজাইনার হন এবং আপনি তার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি তৈরী করতে চান, তবে ভালো করে তার কাজ সম্পর্কে জেনে নিন । কারন ভালো ডিজাইনার হলেই যে ভালো ইকমার্স ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন এমনটা নাও হতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট একটি স্বাস্থ্যসেবামুলক ওয়েবসাইটের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন স্ট্রাকচারের হয়ে থাকে ।

ইকমার্স ওয়েবসাইটে কিছু দরকারি ফিচার থাকতে হয়। যেমন – শপিং কার্ট, স্টক ম্যানেজমেন্ট, অর্ডার ম্যানেজমেন্ট, অফার/ডিস্কাউন্ট/ কুপন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ও বিভিন্ন এনালিটিক্স রিপোর্ট । এই জিনিসগুলো একটি ইকমার্স বিজনেসের সাফল্য ও ব্যর্থতার মধ্যে বিশাল পার্থক্য তৈরী করে দিতে পারে। 

আরো একটি ব্যাপার গুরুত্বপূর্ণ – ইকমার্স ওয়েবসাইট ভালোভাবে পরিচালনার জন্য এটা নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষনের দরকার হয়। এটি কোন ‘one time’ ব্যাপার নয় যে আপনি একবার সেটআপ করে ফেললেই এটা চলতে থাকবে।

আপনার পরিচিত কেউ বিনামূল্যে আপনার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষন করবে কি? সম্ভবত, না! তাই এ ব্যাপারে প্রফেশনালদের সাহায্য নেয়াই ভালো ।

কাস্টমাররা কম্পিউটার ব্যবহারকারী না।

আপনার কাস্টমাররা “কম্পিউটার ব্যবহারকারী” নয়? আপনি কি জানেন, কাস্টমাররা কেবলমাত্র কম্পিউটার নয়, মোবাইল ডিভাইস দ্বারাও ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজ করে? 

BTRC এর তথ্যানুসারে, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা ছিল প্রায় ৯৬ মিলিয়ন বা ৯ কোটি ৬০ লক্ষ্য। এর মধ্যে প্রায় ৯ কোটি মানুষই মোবাইল ফোন থেকে ইন্টারনেট করে ।

তাই আপনার কাস্টমাররা কম্পিউটার ব্যবহার না করলেও তারা ইন্টারনেট এ আপনার পণ্য খুঁজতে বা কিনতে পারে । ওয়েবসাইট না থাকার কারণে আপনি নিশ্চিতভাবে এই কাস্টমারদের একটা বড় অংশকে হারাচ্ছেন!  

পরিশেষে,

আপনার বিজনেসটি লাভজনক ও সফল দেখতে চান? তাহলে যত দ্রুত সম্ভব তৈরী করে ফেলুন এমন একটি ওয়েবসাইট যেটি কাস্টমারের সামনে আপনার পণ্যকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরবে, কাস্টমারদের ডাটা সংরক্ষণ করবে এবং আপনাকে আপনার পণ্য এবং কাস্টমারদের সম্পর্কে বিভিন্ন ধরণের তথ্য দিয়ে বিজনেস বাড়াতে সাহায্য করবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

আপনার মূল্যবান মতামত দিন

মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। আবশ্যক ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত *

আগের মন্তব্য গুলো পড়ুন

সবার আগে মন্তব্য করুন