নিরাপদে অনলাইন শপিং | বাংলাদেশে ই-কমার্স কেনাকাটার গাইড

নিরাপদে অনলাইন শপিং | বাংলাদেশে ই-কমার্স কেনাকাটার গাইড
শেয়ার করুন

বাংলাদেশে অনলাইন শপিং দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ঘরে বসে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার সুবিধা অনেকেই গ্রহণ করছেন। তবে ই-কমার্স কেনাকাটায় সুবিধার সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে কিছু নিরাপত্তা ঝুঁকিও। ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, আলেশা মার্ট এবং ধামাকা শপিং শুধু এই ৪ টি প্রতিষ্ঠান লোভনীয় অফার দিয়ে গ্রাহকের ৬০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে

নিরাপদে অনলাইন শপিং করার জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। আজকের এই গাইডে আমরা আলোচনা করব আপনি কিভাবে বাংলাদেশে নিরাপদে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারেন।

নির্ভরযোগ্য অনলাইন শপ নির্বাচন

বাংলাদেশে নিরাপদে অনলাইন কেনাকাটা করার প্রথম ধাপ হল একটি ভালো অনলাইন শপ নির্বাচন করা। অনলাইন শপ যদি নিরাপদ না হয় তাহলে আর কোন ভাবেই ই-কমার্স শপিং নিরাপদ করা সম্ভব নুয়।

সুনামধারি ব্র্যান্ডেড অনলাইন শপ

বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ব্র্যান্ডের সপ চালু হয়েছে। যেমন জুতার ক্ষেত্রে বাটা, এপেক্স সুনামের সাথে বহু বৎসর যাবত ব্যবসা করে আসছে। তাদের পণ্য দামে কিছু বেশি হলেও এইসব অনলাইন দোকান থেকে কেনাকাটা করা তুলনামুকভাবে নিরাপদ। 

আপনি যদি নন-ব্র্যান্ড পণ্য কিনতে চান তাহলে বহুল পরিচিত পুরানো ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেমন ইলেক্রনিক্স এর ক্ষেত্রে স্টারটেক, রায়নাস ইত্যাদি থেকে পণ্য কেনার চেষ্টা করা তুলনামূলকভাবে অধিক নিরাপদ।

প্রফেশনাল ওয়েবসাইট ডিজাইন ও পরিষ্কার যোগাযোগ তথ্য 

প্রথমেই দেখে নিতে হবে ওয়েবসাইটের ডিজাইন পরিস্কার এবং পেশাদার কিনা। ভাঙ্গা-চোরা ওয়েবসাইট পেশাদারিত্বের অভাব প্রকাশ করে। এতে বোঝা যায় তারা গ্রাহক ও ব্যবসা সম্পর্কে কতটুকু আন্তরিক। 

এছাড়াও, সাইটে স্পষ্টভাবে যোগাযোগের তথ্য প্রদান করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। প্রথমবারের মত যেকোনো অনলাইন শপ থেকে কেনাকাটা করার আগে ফোন দিয়ে কথা বলুন। তাদের কথা যদি বিন্দুমাত্র সন্দেহজনক লাগে তাহলে, ঐ অনলাইন শপ থেকে নিরাপদ দূরত্ব থাকুন। 

গ্রাহক পর্যালোচনা ও রেটিং  

স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্মে (যেমনঃ গুগল বিজনেস) গ্রাহকের মতামত ও রেটিং দেখে নিন। এটি আপনাকে ওয়েবসাইটটির বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করতে সাহায্য করবে। রিভিউ যাচাইয়ের ক্ষেত্রে নতুন রেটিং এর প্রতি অধিক গুরুত্ব দিন। কারন অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান শুরুতে ভালো করলেও পরে গ্রাহক সেবায় পিছিয়ে পরে। 

নিরাপত্তা সার্টিফিকেট

ওয়েবসাইটটির URL বারে SSL এনক্রিপশন সার্টিফিকেট রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করুন। এই শংসাপত্রটি সাইটটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। পেশাদার ই-কমার্স ওয়েবসাইটে এই নিরাপত্তা সার্টিফিকেট অবশ্যই থাকবে। যদি না থাকে তাহলে ঐ ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটা করা হতে বিরত থাকাই শ্রেয়।

ব্রাউজারের এড্রেস বারের পাশে এস এস এল সার্টিফিকেটের আইকন

আপনার অনলাইন শপিং লেনদেন নিরাপদ করুন

ব্যক্তিগতভাবে অনলাইন শপিংকে আপনি নিজে আরও নিরাপদ করে তুলতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে লিরাপদ কেনাকাটা করার জন্য কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সে সম্পর্কে নিচে কিছু টিপস ও আলোচনা করা হল।

শক্তিশালী ও অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার  

অনলাইন শপিং অ্যাকাউন্টের জন্য শক্তিশালী ও বিভিন্ন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। নতুন পাসওয়ার্ড সেট করার সময় বড়-ছোট হাতের অক্ষর, নাম্বার ও সংকেত মিলয়ে নুন্যতম ৮ অক্ষরের পাসওয়ার্ড দিন। কখনও ডিকশনারিতে পাওয়া যায় শুধুমাত্র এমন একটি শব্দ দিয়ে পাসওয়ার্ড সেট করবেন না।

একই পাসওয়ার্ড বিভিন্ন সাইটে ব্যবহার করবেন না। গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড মনে রাখার জন্য একটি নোটবুকে লিখে রিখে রাখতে পারেন।

পাবলিক ওয়াই-ফাই এড়িয়ে চলুন  

কফি শপ, এয়ারপোর্ট এর মত পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে কখনোই অনলাইন লেনদেন করবেন না। সেখানে অনেক ব্যবহারকারি একই অরক্ষিত নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। এই ব্যবহারকারিদের মধ্যে হ্যাকার থাকার সম্ভবনাও আছে। এটি আপনার তথ্য চুরির ঝুঁকি বাড়ায়।

বিপদজনক হ্যাক হওয়া সাইটে ব্রাউজ করছে একজন

সন্দেহজনক অফার এড়িয়ে চলুন

যেসব অফারগুলো খুব বেশি লোভনীয় মনে হয়, সেগুলো থেকে সাবধান থাকুন। অনেক সময় এগুলো প্রতারণামূলক হতে পারে। মাত্র ৫০,০০০ টাকায় আসল আইফোন ১৪ দিয়ে কোনভাবেই ব্যবসায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। কেই যদি এই অসম্ভব কিছু দাবি করে তাহলে নিশ্চিতভাবেই প্রতারক।

মনে রাখবেন অফার যদি অবিশ্বাস্য হয় তাহলে, বিশ্বাস না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

অনলাইন শপিং পেমেন্ট মেথড

অনলাইন শপগুলোতে সাধারনত বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট ব্যবস্থা থাকে। নিরাপদে কেনাকাটা করার জন্য  আপনার জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক পদ্ধতি বেছে নিতে হবে।  

ক্যাশ অন ডেলিভারি (COD)

ক্যাশ অন ডেলিভারি একটি নিরাপদ পেমেন্ট মেথড হতে পারে কারণ আপনি পণ্য হাতে পাওয়ার পরে ভালো করে দেখে টাকা প্রদান করবেন। বাংলাদেশের অনলাইন সেলার দের মধ্যে পেশাদারিত্তের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই ক্যাশ অন ডেলিভারিকেই সবচেয়ে নিরাপদ পেমেন্ট মাধ্যম বলা যায়। তবে এতে কিছু অসুবিধাও থাকতে পারে, যেমন অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যেমন ফুডপান্ডা ক্যাশ অন ডেলিভারির জন্য অতিরিক্ত চার্জ আদায় করে।

মোবাইল ওয়ালেট ও পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার 

বিকাশ, নগদ, রকেট ইত্যাদি মোবাইল ওয়ালেট ও নিরাপদ পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এটি দ্রুত ও নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করে। মোবাইল ওয়ালেটগুলো বহু বছর ধরে বাংলাদেশে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে, এরা যথেষ্ট নিরাপদ বলেই গ্রাহকের আস্থা এবং সুনাম অর্জন করেছে।

ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড ব্যবহার

অনলাইন কেনাকাটার জন্য আলাদা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুন। এতে যদি কোনো নিরাপত্তা সমস্যা হয়, তবে আপনার মূল অ্যাকাউন্ট রক্ষা পাবে। ডেবিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে কেনাকাটা না করাই ভালো। কারন ডেবিট কার্ডের সাথে আপনার ব্যাংক একাউন্টের সংযোগ থাকে। ডেবিট কার্ডের কোনো নিরাপত্তা সমস্যা হলে আপনার ব্যাংকের সমস্ত টাকা ঝুকিতে পরে যাবে।

ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করার সময় PCI DSS (Payment Card Industry Data Security Standard) মেনে চলা ওয়েবসাইটে লেনদেন করুন। অনেক বড়-বড় ই-কমার্স শপ এবং অ্যাপ আপনকে ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের নাম্বার এবং পিন-পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখতে বলবে। কিন্তু এসব বড় সাইটের নিরাপত্তা ভেদ করে গ্রাহকের ডাটা চুরি নতুন ঘটনা নয়। নিরাপদ থাকার জন্য এসব সাইটে কার্ডের নাম্বার এবং পিন-পাসওয়ার্ড সেভ না করে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।

অনলাইনে কেনাকাটা করার জন্য ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড থেকে দিয়ে পেমেন্ট করছে

রিটার্ন ও রিফান্ড পলিসি যাচাই করুন

বাংলাদেশে প্রত্যেক ই-কমার্স ওয়েবসাইটে রিটার্ন এবং রিফান্ড নীতি থাকা আইনত বাধ্যতামূলক। কোন পণ্য কেনার আগে ওয়েবসাইটটির রিটার্ন ও রিফান্ড পলিসি ভালোভাবে দেখে নিন। কোন পণ্য রিটার্ন করা যাবে, কত দিনের মধ্যে করা যাবে এবং কীভাবে রিফান্ড পাওয়া যাবে তা স্পষ্টভাবে জানুন। ওয়েবসাইটে যদি রিটার্ন ও রিফান্ড পলিসি না থাকে তাহলে ওখান থেকে না কেনাই শ্রেয়। কারন স্পষ্টত ওই বিক্রেতা আইনের ব্যপারে শ্রদ্ধাশীল না, তাই সে গ্রাহকের সেবা ও নিরাপত্তায় শ্রদ্ধাশীল হবে এমন ভাবার কন কারন নেই।

 

 

ব্যক্তিগতভাবে ই-কমার্স শপিং এ সতর্কতা অবলম্বন করুন

ব্যক্তিগতভাবে আপনি অনলাইন কেনাকাটায় সতর্কতা অবলম্বন করলে অনেক বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

ফিশিং ইমেইল ও ওয়েবসাইট থেকে সাবধান 

ফিশিং ইমেইল ও ওয়েবসাইট থেকে সাবধান থাকুন। এসব ইমেইল বা সাইটগুলি সাধারণত বৈধ অনলাইন শপের মতো হুবহু দেখতে হয় এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার চেষ্টা করে। যেমন daraz.com.bd কে কপি করে daraz.co বা অন্য কোন সাইট আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার চেষ্টা করতে পারে।

প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান  

অনলাইনে কেনাকাটা করার সময় প্রয়োজনীয় তথ্য ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না। যেই তথ্যের ব্যবহারে পরিষ্কার কোন কারন নেই সেই তথ্য চাওয়ারও কোন কারন নেই।

ওটিপি ব্যবহার

ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা অটিপি আপনার অনলাইন শপিং অ্যাকাউন্টকে নিরাপদ করে তুলবে। যেসব ই-কমার্স ওয়েবসাইটে অটিপি ব্যবস্থা আছে সেই সব ই-কমার্স শপ তুলনামুকভাবে বেশি নিরাপদ।

অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারিত হলে করনীয়

অনলাইন শপিংয়ের সময় প্রতারণার শিকার হলে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। প্রতারিত হলে আপনি নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন:

প্রমাণ সংরক্ষণ করুন

প্রতারণার শিকার হলে প্রথমে সমস্ত প্রমাণ সংগ্রহ এবং সংরক্ষন করুন। যেমন অর্ডার ইমেইল, পেমেন্টের রসিদ, মেসেজ, এবং পণ্যের ছবি। এগুলো পরবর্তীতে অভিযোগ দায়েরের সময় প্রয়োজন হবে।

অর্থ ফেরতের জন্য বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করুন

প্রতারণার শিকার হলে প্রথমেই সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স সাইটের গ্রাহক সেবায় যোগাযোগ করুন। তাদেরকে আপনার সমস্যা সম্পর্কে জানিয়ে অর্থ ফেরত অথবা পণ্য পরিবর্তনের দাবি করুন। অনেক সময় সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করুন

যদি বিক্রেতার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে সমাধান না হয়, তাহলে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। বাংলাদেশের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (DNCRP) এই ধরনের অভিযোগ গ্রহণ করে থাকে। আপনি তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে অভিযোগ ফর্ম পূরণ করতে পারেন অথবা [email protected] ইমেইলে অভিযোগ পাঠাতে পারেন।

পুলিশের কাছে জিডি (জেনারেল ডায়েরি) করুন

প্রতারণার পরিমাণ বড় হলে বা যদি অর্থ ফেরত না পান, তাহলে স্থানীয় থানায় গিয়ে অথবা অনলাইনের একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে পারেন। জিডির মাধ্যমে পুলিশ আপনার অভিযোগ রেকর্ড করবে এবং তদন্ত শুরু করবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ প্রকাশ করুন

অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ প্রকাশ করলে ই-কমার্স সাইটগুলো দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়। আপনার প্রতারণার অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজে স্ট্যাটাস এবং দিয়ে পাবলিক গ্রুপে পোস্ট দিয়ে শেয়ার করুন এবং সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স সাইটটিকে বা পেজকে ট্যাগ করুন।

কাস্টমার রিভিউ ও ফোরামে অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন

গুগল বিজিনেসে এবং অন্যান্য অনলাইন শপিং সাইটগুলোর রিভিউ সেকশনে আপনার প্রতারণার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। এতে অন্যরা সতর্ক হবে এবং আপনিও আপনার সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।

পরিশেষ

নিরাপদ অনলাইন শপিং নিশ্চিত করতে হলে উপরোক্ত টিপসগুলি মেনে চলুন। অনলাইনে কেনাকাটা করতে গেলে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। প্রতারণার শিকার হলে দ্রুত এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আপনার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

সঠিক তথ্য ও সতর্কতার মাধ্যমে আপনি অনলাইন শপিংয়ের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন এবং প্রতারণার শিকার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারবেন। নিরাপদে অনলাইন শপিং করুন এবং নির্ভয়ে আপনার পছন্দের পণ্য কিনুন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

আপনার মূল্যবান মতামত দিন

মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। আবশ্যক ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত *

আগের মন্তব্য গুলো পড়ুন

সবার আগে মন্তব্য করুন