৪ টি অনলাইন মার্কেটিং সাকসেস স্টোরি যা ব্র্যান্ড তৈরিতে অনুপ্রেরনা যোগায়

৪ টি অনলাইন মার্কেটিং সাকসেস স্টোরি যা ব্র্যান্ড তৈরিতে অনুপ্রেরনা যোগায়
শেয়ার করুন

সফলতা পেতে চাইলে সফলদের দিকে তাকাতে হয়। আজ আপনাদের সাথে এমনই ৪ টি মার্কেটিং সাকসেস স্টোরি শেয়ার করবো যা অনলাইন মার্কেটিং বিষয়ে আপনাকে নতুন ভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করবে।   

সাফল্য এত সহজ বিষয় নয় যতটা সহজ আমরা মনে করি. লেখাপড়া, জীবন অথবা বিজনেস আপনি যেখানেই সফল হতে চাইবেন, তার বিপরীতে আপনাকে প্রচুর শ্রম দিতে হবে।

প্রশ্ন আসে – শুধু পরিশ্রম করলেই কি সফলতা আসবে? উত্তর: না! আপনাকে সঠিক উপায়ে পরিশ্রম করতে হবে। 

আমরা এমন কিছু ব্র্যান্ডের সাকসেস স্টোরি নিয়ে আলোচনা করবো, যারা তাদের ব্র্যান্ডকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন ক্রমাগত পরিবর্তন, পরিশ্রম এবং ট্রেন্ডকে ফলো করে। 

Kylie Cosmetics

 

 

কাইলি জেনার বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড Kylie Cosmetics এর প্রতিষ্ঠাতা। বিশ্ব বিখ্যাত ম্যাগাজিন Forbs এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী কাইলি জেনার ২০০৮ সালের বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বিলেনিয়ার। 

যদিও এই তথ্য নিয়ে কিছুটা মতবিরোধ আছে তারপরও ধারনা করা হয়  তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার। 

কিভাবে তিনি শুরুটা করলেন? 

গেইম অফ পার্সোনাল ব্র্যান্ডি

একটি ফ্যামিলি রিয়েলিটি শো থেকে তার এগিয়ে চলা শুরু।  ব্যক্তিগত রিয়ালিটি শো Keeping Up with the Kardashians তাকে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে আনতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। 

একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায় তিনি সেই শো এর জন্য প্রতি এপিসোডে ৫ লক্ষ ডলার পারিশ্রমিক নিতেন। 

তিনি তার ব্র্যান্ডের স্ট্যাটিজিক মার্কেটিং এক্টিভিটিস এর অংশ হিসাবে তিনি পুমার সাথে কলাবরেশন করেন। এটি তার ইনস্টাগ্রাম একাউন্টকে ওয়ার্ল্ডের টপ ফাইভ পপুলার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট এর মর্যাদা নিয়ে এসে দেয়। 

বর্তমানে তিনি বিয়োন্সি, নাইকি এবং লিওনেল মেসির চেয়েও এগিয়ে রয়েছেন ফলোয়ার এর দিক থেকে।

পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং কেইলি জেনারের ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায় উন্নতির একটি অন্যতম স্ট্র্যাটেজিক ভিউ পয়েন্ট।  তার প্রমোদ ভ্রমণ এবং লাক্সারি প্রোডাক্টের শো অফ ধীরে ধীরে তার ব্র্যান্ড ইমেজকে ওয়ার্ল্ড এর অন্যতম লাক্সারি ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি করতে সহায়তা করেছে। 

কেইলি জেনার ওয়ার্ল্ডের মধ্যে কসমেটিক এন্ড ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে একজন শক্তিশালী নাম, যার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট ২১৫ মিলিয়নের ও বেশি ফলোয়ার রয়েছে। 

কেইলি জেনার এর সফলতার সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে তার শক্ত অবস্থান। কিন্তু অনেক উদ্যোক্তা মনে করেন শুধুমাত্র ব্র্যান্ড পেইজের পপুলারিটি ব্র্যান্ড বিল্ডিংএর শেষ কথা তবে এই ধারনা ভুল।  

যদি কেইলি জেনারের দিকে খেয়াল করি, তবে একটা বিষয় অত্যন্ত পরিষ্কার ভাবে বোঝা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ার ফ্যান ফলোয়ার ও তার পার্সোনাল ব্র্যান্ড ইমেজ কেইলি জেনারের বিজনেসের উত্থানের জন্য সবচেয়ে যে বিষয়টি শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছে। 

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও এমন অনেক পার্সোনাল ব্র্যান্ড আমরা খুঁজে পায়। যাদের বিজনেসের  উত্থানে  পার্সোনাল ব্র্যান্ডি ভূমিকা রেখেছে।  

জিম শার্ক 


জিম শার্ক একটি ব্রিটিশ ক্লথিং মেনুফেকচারিং কোম্পানি। তারা ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের জন্য স্পোর্টস ক্লথ তৈরি করে থাকেন। যেমনঃ লেগিংস, টি-শার্ট, স্পোর্টস ব্রা, হ্যাট, ক্যাপ ইত্যাদি। তাদের প্রোডাক্ট বিশ্বের ১৩১  টি দেশে সেল করা হয়। 

জিম শার্কের প্রতিষ্ঠাতা বেন ফ্রান্সিস একটি নির্দিষ্ট টার্গেট অডিয়েন্সকে নিয়ে কাজ শুরু করেন। তিনি ১৮ থেকে ২৫ বছরের এমন ছেলে মেয়েদের টার্গেট করেছেন, যারা ফিজিক্যাল ফিটনেস ভালোবাসে। 

বেন ফ্রান্সিস শুধুমাত্র প্রোডাক্ট সেল করার উদ্দেশ্যে তৈরি করেননি, তিনি টার্গেট অডিয়েন্সদের ফিজিক্যাল ফিটনেসে উৎসাহিত করেছেন।

“It takes zero talent to work hard and zero talent to stay humble. If you get those things right, you will always do well in your journey.”

Steve Hewitt, Gymshark’s CEO

বিশ্বে ফিটনেস মার্কেট শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত, তারপরেও Influencer Marketing স্ট্রাটেজি এই বিজনেসের জন্য দারুণ প্রভাব বিস্তার করে। 

medium.com এর একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ৪৯ শতাংশ কনজিউমার ইনফ্লুয়েন্সারদের রিকমেন্ডেশন এর ওপরে নির্ভর করে এবং ৪০ শতাংশের বেশি কাস্টমার পারচেজ করে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউবে তাদের পোস্ট দেখে। 

আর ঠিক এই কারনে ইনফ্লুয়েন্সার কোলাবরেশনের জন্য জিম শার্ক ইন্ডাস্ট্রির অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে ছিল। বেন ফ্রান্সিস এবং তার বন্ধুরা এমন সব মানুষদের খুঁজে বের করা শুরু করলো যারা বডিবিল্ডিং এর জন্য বিখ্যাত। যেমন, Lex Griffin and Chris Lavado

বেন ফ্রান্সিস প্রোডাক্টের ফ্রী সিম্পল তাদের পাঠালো এবং তাদের অনুরোধ করলো সেগুলো পরে ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল আসতে।  

বেন ফ্রান্সিস এই বিষয়ে তার একটি ভিডিওতে বলেন,  

“At the time, no one else was doing [influencer marketing]. It came totally naturally to us because we were just fans of the guys.”

জিম শার্ক  ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ডেভলপ করার জন্য কন্টিনিয়াসলি সেই সকল সেলিব্রেটিদের প্রোডাক্ট স্যাম্পল পাঠাচ্ছিল যারা ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে অনেক বেশি পপুলার। তাদের এই কৌশল জিম শার্ক ব্র্যান্ডটিকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।  

জিম শার্ক এর কন্টাক্ট মার্কেটিং এর কিছু উদাহরণ,

এছাড়াও জিম শার্ক অফিশিয়াল ব্লগের মাধ্যমে তাদের কনজিউমারদের  সাথে একটি কমিউনিকেশন ব্রিজ তৈরি করেছিল। ব্লগে হেলদি লাইফ স্টাইল, ফুড রেসিপি, ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি সংক্রান্ত হাই কোয়ালিটি আর্টিকেল শেয়ার করার মাধ্যমে আরও বেশি ট্রাফিক তাদের ওয়েবসাইটে নিয়ে আসছিল।

এটি তাদের ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস তৈরি করে এবং ফলাফল হিসেবে তাদের পজিটিভ সেলস গ্রোথ নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়।

ফিটনেস ইন্ডাস্ট্রির জন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং প্ল্যান খুব সিম্পল। কিছু নির্দিষ্ট টপিক এর ওপরে আপনি যদি নিয়মিত কাজ করে যান তাহলে দিন শেষে কাঙ্খিত ফলাফল পাবেন।  

Ikea

আমাদের রুমে থাকা সোফাটি কি দিয়ে তৈরি বা কিভাবে তৈরি এই বিষয়ে আমাদের খুব বেশি আগ্রহ নেই। কিন্তু তারপরেও আমাদের প্রায় প্রত্যেকের রুমে একটি সোফা সেট রয়েছে। 

তাহলে কিভাবে একটি ফার্নিচার কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট এর অ্যাডভার্টাইজ করবে যা তাদের বিজনেস বাড়াতে সাহায্য করবে? 

এই জায়গাতেই বিশ্বের এই সেরা ফার্নিচার প্রস্তুতকারক কোম্পানি বাজিমাত করেছে। তারা বুঝতে পেরেছে সাধারণ প্রচলিত পন্থায় ফার্ণিচারের বিজ্ঞাপন কাস্টমার খুব বেশি আকৃষ্ট করে না।  

প্রয়োজন কাস্টমারের সমস্যাগুলো সমাধান করা এবং সমস্যার সমাধান গুলো ইন্টারেস্টিং উপায়ে অডিয়েন্সদের সামনে তুলে ধরা। তাই তারা অ্যাডভান্স টেকনোলজি ট্রেন্ডস ফলো করার পরিকল্পনা করে অডিয়েন্সদের সাথে এঙ্গেজ হওয়ার জন্য। 

তাদের একটি বিজ্ঞাপন “স্কয়ার মিটার চ্যালেঞ্জ” এই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে কিভাবে ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসা পরিবারগুলো একটা রুমের মধ্যে তাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অরগানাইজ ভাবে রাখতে পারে।

ভিডিও দেখুন, 

Square Metre Challenge 

 

অর্থাৎ কাস্টমার যেন তাদের রুমের প্রতিটি স্কয়ার মিটার ইফেক্টিভলি ব্যবহার করতে পারেন এবং তাদের এই ভিডিওগুলো সিরিজ আকারে তাদের ইউটিউব চ্যানেল, ব্লগ পোস্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে গেছে। 

Augmented Reality (AR)

Ikea তাদের প্রোডাক্ট মার্কেটিং করার জন্য অগমেন্টেড রিয়েলিটি কে ব্যবহার করেছে। এই টেকনোলজি কয়েকটি ছবিকে একসাথে জুড়ে আপনার সামনে তিনি 3D ভার্চুয়াল ইমেজ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারে। 

যেখানে আপনি একটি পার্টিকুলার ফার্নিচার আপনার রুমে বাস্তবে কেমন দেখাবে সেটি ফিল করতে পারবেন। এছাড়াও 3D ইমেজ আপনাকে রিয়েল সাইজ এর ধারণা দিবে। 

Ikea  এই  অগমেন্টেড রিয়েলিটি অ্যাপ কাস্টমারদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে তোলে এবং তাদের পছন্দ কে সহজতর করে তোলে। আর এভাবেই একটি বোরিং ইন্ডাস্ট্রির মার্কেটিং ও এডভারটাইজিং কে টেকনোলজির সাহায্যে আরও বেশি ইন্টারেস্টিং করে তুলতে সক্ষম হয়। 

এটি তাদের সেলস অনেকগুলে বাড়িয়ে তোলে।    

রোলেক্স

রোলেক্স বিশ্বের অন্যতম লাক্সারি ব্র্যান্ডের মধ্যে অন্যতম যারা লাক্সারি ঘড়ি তৈরির জন্য বিখ্যাত। আপনারা জেনে খুশি হবেন এই লাক্সারি সুইস ব্র্যান্ড ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি তাদের মার্কেটিং প্ল্যানে যুক্ত করে। 

কিভাবে তারা ব্র্যান্ড পারসোনালিটি তৈরি করেছে? 

কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নির্বাচনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে। যেহেতু তাদের ব্র্যান্ড লাক্সারি এবং লাইফ স্টাইলকে প্রমোট করে, তাই তারা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে বেছে নিয়েছে বিখ্যাত টেনিস তারকা রজার ফেদেরারকে।

কিন্তু কেন তারা এতো সেলিব্রেটি থাকতে টেনিস তারকা রজার ফেদেরারকে বেছে নিলেন? 

 

রজার ফেদেরার খেলার মাঠের বাইরে অত্যন্ত ক্লাসি এবং স্টাইলিশ একজন মানুষ। তার ইমেজ এই বিখ্যাত ব্র্যান্ডের সাথে যায়। 

রোলেক্স ১৯৩০ সালে থেকে মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানের সময় পর্বতারোহীদের স্পন্সর করেছে। এছাড়াও ব্র্যান্ডের লোগো মোটরস্পোর্টস, ইয়টিং ইভেন্টে স্পন্সর করে তাদের ব্র্যান্ড ভিজিবিলিতি বজায় রাখে। 

এইভাবে রোলেক্স তার দর্শন এবং মূল্যবোধের প্রতি কোন ছাড় না দিয়ে তাদের মার্কেটিং কার্যক্রম চালিয়ে যান।

Rolex Social Media Channels

রোলেক্স তাদের ব্র্যান্ডের কোর মেসেজ মাথায় রেখে মডার্ন মার্কেটিং স্ট্রাটেজিকে বেছে নিয়েছে।

ইনস্ট্রাগ্রামে রোলেক্স ঘড়ির গুলোর ছবি শোকেস করার মাধ্যমে আরো বেশি ডিটেলস এবং ডিজাইন এলিমেন্ট গুলো ভিন্ন ভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে প্রেজেন্টে করেছে। 

ইমেজগুলো মডার্ন স্টাইলে তৈরি করা যা সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে দারুণভাবে ম্যাচ করছে। 

কনটেন্ট মার্কেটিং-এ ক্ষেত্রে রোলেক্স ভাষাগত ব্যবহারের দিকে গুরুত্ব দিয়েছে। যেহেতু এটি একটি লাক্সরি ব্র্যান্ড তাই তারা অনেক সফিস্টিকেটেড ভকাবুলারি ব্যবহার করে যা কিনা হেরিটেজ এবং ট্র্যাডিশন কে ফলো করে। 

এছাড়াও তাদের মিনিমালিস্টিক ক্লাসিক ফ্রন্ট এবং ব্যাকগ্রাউন্ড কালার এর এক্সক্লুসিভনেস আরো বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে। এই মুহূর্তে তাদের ফেসবুক ফলোয়ারের সংখ্যা ৭.৫ মিলিয়নেরও বেশি।

ব্র্যান্ড তৈরির জন্য শুধু অ্যাড দিলেই হয় না। প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ আর রোলেক্স তাদের সেই কাজটি খুব ভালভাবেই করতে সক্ষম হয়েছে। 

পরিশেষে, 

কেস স্টাডি গুলো থেকে আপনি অনুপ্রেরণা নিতে পারেন কিভাবে ব্র্যান্ড বিল্ডিং এর জন্য নতুন কৌশল অবলম্বন করবেন। কাস্টমারদের সমস্যার জায়গাগুলো ফোকাস করে কন্টেন্ট তৈরি করে তাদের সাথে  কমিউনিকেট করবেন। যা আপনার বিজনেসের ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস তৈরীর ক্ষেত্রে আরো সুবিধা প্রদান করে।

আর্টিকেল থেকে যা শিক্ষা নেবার আছে, 

লেসন ১ঃ  অপারচুনিটি সাপোর্ট। 

নিজের পারিবারিক আর্থিক সুবিধা কেইলি জেনারকে একটি বড় জায়গায় নিজেদের সাহায্য করেছে।  অন্যভাবে বললে, কেইলি জেন তার পারিবারিক সুবিধাকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছেন, যেটা সবাই পারে না।  

লেসন ২ঃ  পার্সোনাল ব্র্যান্ড ইমেজ ম্যাটার। 

কেইলি জেনার বিজনেস ব্র্যান্ডের বাইরে নিজের পার্সোনাল ব্র্যান্ড ইমেজ ক্রিয়েট করতে পেরেছেন এবং তার ব্র্যান্ড ইমেজকে বিজনেসের জন্য কাজে লাগিয়েছেন।  

লেসন ৩ঃ পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেয়া। 

 আপনি যদি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের মাধ্যমে লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন, যে অবস্থানে থেকে শুরু করেন না কেন কেউ আপনাকে থামিয়ে রাখতে পারবে না। 

লেসন 8ঃ  বিজনেসের জন্য সঠিক নিস মার্কেট খুঁজে বের করা জরুরি। 

লেসন ৫ঃ  ট্রেন্ড এবং টেকনোলজি সম্পর্কে আপডেট । 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ট্রেন্ড এবং টেকনোলজি দুটিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তবে তার চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ আপনার বিজনেসের ভ্যালু ও কোম্পানির ইমেজ। 

লেসন ৬ঃ  কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসা। 

কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড প্রতিনিয়ত উন্নত হচ্ছে। প্রতিযোগিতার এই সময়ে আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। প্রয়োজন অনুসারে দরকারি চ্যানেলগুলোতে উপস্থিত থাকতে হবে, যাতে করে আপনি একটি বড় অডিয়েন্স গ্রুপকে রিচ করতে পারেন। 

আমরা বিশ্বাস করি উপরে উল্লেখিত কেস স্টাডি গুলো থেকে অনুপ্রানিত হয়ে ও শিক্ষা নিয়ে বিজনেসের ইমপ্রুভমেন্ট এর জন্য কাজ করেন তবে নিশ্চিতভাবে আপনি সফলকাম হবেন। 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

বিজনেসের জন্য ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) গাইড:  কি, কেন, কীভাবে?

বিজনেসের জন্য ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) গাইড: কি, কেন, কীভাবে?

শেয়ার করুনফেসবুক লাইভ (Facebook Live) কি? ফেসবুক লাইভ ফেসবুকের এমন একটি ফিচার যা একজন ইউজারকে তার বন্ধু, ফলোয়ার এবং পাবলিকদের...

একটি প্রফিটেবল ই-কমার্স বিজনেস শুরুর কমপ্লিট গাইডলাইন

একটি প্রফিটেবল ই-কমার্স বিজনেস শুরুর কমপ্লিট গাইডলাইন

শেয়ার করুনআপনি যদি উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন বা আপনার বিশেষ কোনো স্কিল থাকে (যেমন – ছবি আঁকা, কাস্টম ড্রেস তৈরী...

ব্যবসার জন্য ফেসবুক পেজ নাকি ই-কমার্স ওয়েবসাইট – কোনটা ভালো?

ব্যবসার জন্য ফেসবুক পেজ নাকি ই-কমার্স ওয়েবসাইট – কোনটা ভালো?

শেয়ার করুনকামাল একজন ফেসবুক সেলার – ফেসবুক এর মাধ্যমে তিনি ফ্যাশন আইটেম বিক্রি করেন।  ইদানিং ব্যবসা নিয়ে কামাল বেশ দুশ্চিন্তার...

আপনার মূল্যবান মতামত দিন

মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। আবশ্যক ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত *

আগের মন্তব্য গুলো পড়ুন

সবার আগে মন্তব্য করুন