একটি প্রফিটেবল ই-কমার্স বিজনেস শুরুর কমপ্লিট গাইডলাইন

একটি প্রফিটেবল ই-কমার্স বিজনেস শুরুর কমপ্লিট গাইডলাইন
শেয়ার করুন

আপনি যদি উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন বা আপনার বিশেষ কোনো স্কিল থাকে (যেমন – ছবি আঁকা, কাস্টম ড্রেস তৈরী করা, সৌখিন জিনিস তৈরী করা ইত্যাদি ) – তাহলে আপনি একবার হলেও ই-কমার্স বিজনেস শুরু করার চিন্তা করেছেন! সহজ মনে হলেও একটা ই-কমার্স বিজনেস শুরু করা কিন্তু কোন সহজ বিষয় নয়! 

আপনাকে পরিষ্কারভাবে জানতে হবে – একটি প্রফিটেবল ই-কমার্স বিজনেস গড়ে তুলতে কোন কোন বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ।

এই আর্টিকেলে আমরা জানবো সেই সকল বিষয়গুলো যা বছরের পর বছর ধরে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি স্পেশালিস্টরা বিজনেস পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন এবং যে বিষয়গুলো একটা ই-কমাস বিজনেসের জন্য অবশ্যই থাকতে হয়।

মনে রাখবেন, ই-কমার্স বিজনেস মূলত ট্র্যাডিশনাল বিজনেসের একটি ডিজিটাল ফর্ম। তাই ট্রেডিশনাল বিজনেসের কোর ফাংশনগুলোর সাথে ই-কমার্স বিজনেস ফাংশনের অনেক মিল থাকলেও এদের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। 

ট্রেডিশনাল বিজনেস এবং ই-কমার্স বিজনেসের মধ্যে পার্থক্য:

বিস্তারিত পড়ুন: Difference between Traditional Commerce and E-commerce

এখন একটি  ই-কমার্স বিজনেস শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় স্টেপ গুলো কী ও প্রতিটি স্টেপে আপনাকে কী করতে হবে সেই বিষয়ে জানবো 

১।আইডিয়া জেনারেশন ও মার্কেট রিসার্চ 

এই ধাপে আপনাকে এমন একটি নিশ প্রডাক্ট বেছে নিতে হবে যে প্রোডাক্ট সম্পর্কে আপনি খুব ভালোভাবে জানেন এবং বোঝেন। সেই প্রোডাক্টের মার্কেট ডিমান্ড কেমন সেটি নিয়ে রিসার্চ করতে হবে।

এই পর্যায়ে আপনার রিসার্চ এর বিষয়গুলো হবে,

  1. আপনার টার্গেট অডিয়েন্স (Target Audience)
  2. কম্পিটিটর  (Competitor)
  3. ইন্ডাস্ট্রি ট্রেন্ডস (Industry Trends)
  4. মার্কেট ল্যান্ডস্কেপ (Market Landscape)

চিত্র: market landscape 

মার্কেট রিসার্চ করার জন্য অনলাইনে অনেকগুলো টুলস রয়েছে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী টুলস ব্যবহার করে এ রিসার্চ গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কিছু মার্কেট রিসার্চ  টুলস উল্লেখ করা হয়েছে,

SurveyMonkey: এটি একটি অনলাইন সার্ভে এবং ফ্রম বিল্ডার টুলস। 

Google Analytics: এটি ওয়েব এনালিটিক্স টুলস যা কোন একটি বিষয় বস্তুর ওপরে  অনলাইন সার্চ সংক্রান্ত  পরিসংখ্যানগত ডেটা প্রদান করে। 

Moz Keyword Explorer: এটি একটি অনলাইন কি অর রিসার্চ টুল যা কোন একটি বিষয়বস্তুর ওপর সার্চ টার্মগুলো ও ভলিউম গুলোর  হিস্টোরিক্যাল ডাটা আপনাকে প্রদান করে। 

অনলাইন টুলস গুলো ব্যবহার করে আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেস করতে চান সেটির মার্কেট  ডিমান্ড টার্গেট গ্রুপের আইডিয়া এবং কাস্টমার কুইরি গুলোর হিস্টরিকাল ডেটা এনালাইসিস করে আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেস করছেন সেটি আপনাকে যথেষ্ট প্রফিট করতে সাহায্য করবে কিনা জানতে পারবেন। জানতে পারবেন টার্গেট অডিয়েন্সরা আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে কি ধরনের ইন্টারেস্ট রাখে। 

২।বিজনেস প্ল্যান 

hubspot.com এর একটি রিসার্চ মতে প্রায় ২০% Startup business ফেইল করে কারণ তাদের একটি পরিষ্কার বিজনেস প্ল্যান নেই। তাই একটি উইনিং বিজনেসের সবচেয়ে ক্রুশিয়াল পার্ট হচ্ছে একটি ক্লিয়ার বিজনেস প্ল্যান।

বিজনেস প্ল্যান একটি কোম্পানির বিজনেস অবজেক্টিভ কী সেটি নির্ধারণ করে।  সেই কোম্পানির কাঙ্ক্ষিত বিজনেস গোল অ্যাচিভ করার জন্য কিভাবে প্ল্যানিং করতে হবে সেটি  উল্লেখ থাকে। 

আপনি যদি ক্লিয়ার ভাবে না জানেন আপনার বিজনেসে আপনি কি করতে চলেছেন? তাহলে কিভাবে সেটি করবেন সে বিষয়ে আপনি ধারণা পাবেন না। তাই বিজনেস শুরুর আগে বিজনেসের প্ল্যান নিয়ে একটি প্রপার ডকুমেন্টেশন অত্যন্ত জরুরী। 

কিভাবে বিজনেস প্ল্যান করবেন? একটি বিজনেস প্ল্যান এর জন্য কি কি প্রয়োজন? এটি তৈরি করার জন্য দরকারি টিপস এবং টেমপ্লেট গুলো জানতে নিচে দেয় লিংকে ক্লিক করে বিস্তারিত পড়ুন।

 What is a Business Plan? Definition, Tips, and Templates  

চিত্র: বিজনেস প্ল্যান 

৩। লিগ্যাল এন্ড লজিস্টিক

বিজনেস এর এই ধাপে এসে আপনাকে বিজনেসের ধরন অনুযায়ী একটি মানানসই নাম পছন্দ করতে হবে।  নাম সিলেকশন হয়ে গেলে সেই নামের সাথে মিলিয়ে একটি বিজনেস ডোমেন কিনে ফেলতে হবে। বিজনেস ডোমেইন মূলত একটি বিজনেসের ইউনিক আইডি। গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে সহজেই অডিয়েন্স আপনার বিজনেস কে খুঁজে পেতে পারে।

আপনার বিজনেসের জন্য ডোমেন নেইম অ্যাভেলেবল আছে কিনা নিচের ওয়েবসাইটে গিয়ে চেক করুন, 

https://www.godaddy.com/en-ie

পছন্দের নামটি available থাকলে সেটি আপনার নিজের ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট কার্ড দ্বারা কিনে ফেলতে পারেন অথবা ডোমেন রিসেলারদের সাহায্য নিতে পারেন। কিংবা ডোমেইন কেনার জন্য প্রয়োজনে নিচের উল্লেখিত ওয়েবসাইটে রিকুয়েস্ট করতে পারেন,

https://deshicommerce.com/ 

DesiCommerce মূলত ই-কমার্স সলিউশন প্রোভাইডার, যেখানে আপনি একটি ই-কমার্স বিজনেস শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সেবা একটি সিঙ্গেল প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে পাবেন।

Domain Name পছন্দ করার সময় অবশ্যই নিম্ন উল্লিখিত বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিবেন,

  • নামটি যেন ছোট এবং শ্রুতি মধুর হয়।
  • আপনি যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে কাজ করছেন নামটি যেন তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। 
  • প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর জন্য যে কিওয়ার্ডগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডোমেইনে সেই কিওয়ার্ড থাকলে ভালো হয়। 

বিজনেস নাম সিলেকশন এর ক্ষেত্রে আপনি অনলাইন বিজনেস নেম জেনারেটরের সাহায্য নিতে পারে। https://namelix.com/   এই অনলাইন নেইম জেনারেটর আপনাকে একটি আদর্শ Business Name  কেমন হয় সে বিষয়ে প্রাসঙ্গিক ধারণা দেবে।  প্রয়োজন বোধে আপনি সেখান থেকেও নাম সিলেক্ট করতে পারেন। 

আপনার বিজনেসের জন্য আদর্শ ডোমেন নেইম কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে পরামর্শ পেতে, 

এরপরে আপনার বিজনেসের জন্য একটি ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করতে হবে। যদি পার্টনারশিপ বিজনেস হয় তাহলে পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট তৈরি করে নিবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন ভালো লইয়ারের সাথে পরামর্শ করে নিতে পারেন।

এবারে প্রয়োজন পড়বে একটি ব্যাংক একাউন্ট। আপনার সুবিধামতো কোন একটি ব্যাংকে একটি বিজনেস একাউন্ট খুলে ফেলবেন।  সেই সাথে মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা গুলো থাকাটা অতি জরুরী,  বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে বিকাশ রকেট এবং নগদ সবচেয়ে বেশি পপুলার।

৪। প্রোডাক্ট সোর্সিং

যদি আপনি নিজে প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচার না করেন তবে আপনাকে সাপ্লায়ার সোর্সিং করার প্রয়োজন পড়বে। সাপ্লাইয়ার সিলেকশন এর ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে মাথায় রাখবেন যেমন,

  • অর্ডার দিলে সে কত সময়ের মধ্যে সেটি আপনাকে ডেলিভার করবে।  
  • যে প্রোডাক্টটি নিয়ে কাজ করছেন সেই প্রোডাক্টটি সাপ্লাইয়ারের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে মজুদ রয়েছে কিনা অথবা যদি মজুদ না থাকে তবে প্রয়োজনে সে প্রোডাক্টগুলো সে এনে দিতে পারবে কিনা।  
  • তার বিজনেসের বয়স কত দিন ইত্যাদি। 

সাপ্লাইয়ার এর সাথে বিজনেসের ক্ষেত্রে অবশ্যই চেষ্টা করবেন ক্রয় সংক্রান্ত সকল রিসিভ ও ইনভয়েসগুলো যথাযথভাবে মেইনটেইন করতে। প্রোডাক্ট কোয়ালিটি যাচাই করে নিবেন। রিটার্ন বা রিফান্ড পলিসি কি হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে নিবেন।

এবং অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সাপ্লাইয়ের উপর নির্ভর করবেন না। ব্যাকআপ হিসাবে আরো দুই থেকে তিনজন সাপ্লাইয়ারকে পাইপ লাইনে রাখবেন।

সাপ্লাইয়ারের পছন্দের ক্ষেত্রে তার কমিউনিকেশন এবং প্রোডাক্ট কোয়ালিটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে। মনে রাখবেন দিনশেষে কোয়ালিটি প্রোডাক্ট দিয়েই মার্কেটে আপনাকে টিকে থাকতে হবে। আপনি যত ভালই কাস্টমার সার্ভিস দেন না কেন প্রোডাক্ট কোয়ালিটি যদি আপটু দা মার্ক না হয় তবে আপনি কোনভাবেই বিজনেস ধরে রাখতে পারবেন না।

৫। ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট 

ওয়েবসাইট একটি ই-কমার্স বিজনেসের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য টুলস।  মূলত ই-কমার্স মার্কেটিংয়ের প্রসেস ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট থেকেই শুরু হয়। ই-কমার্স বিজনেস পরিচালনা করতে হলে আপনার একটি অবশ্যই ইউনিক ওয়েবসাইট থাকতে হবে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেমন হতে হবে সেই ওয়েবসাইটটি? 

টেকনোলজি:

মার্কেটে দুই ধরনের মডেলে ই-কমার্স ওয়েবসাইট পাওয়া যায়।  

  • একটি হচ্ছে কাস্টম ডেভেলাপ ওয়েবসাইট,  
  • অন্যটি হচ্ছে SaaS ecommerce website।

কাস্টম ই-কমার্স ওয়েবসাইট বলা হয়, যে ওয়েবসাইটটি আপনি আপনার পছন্দ মত ফিচার, ডিজাইন, টেকনোলজি, ডেটাবেজ দিয়ে তৈরি করেন। কাস্টম ওয়েবসাইট অনেকগুলো টেকনোলজি ব্যবহার করে তৈরি করা যায় তার মধ্যে অত্যন্ত পপুলার ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) ও লারাভেল (laravel) । 

ডিজাইন ও  ডেভেলপমেন্ট চার্জ বা খরচ  

ডিজাইন ও ফিচার এর ভিন্নতা অনুযায়ী WordPress দিয়ে কাস্টম ওয়েবসাইট তৈরি করতে ২০ থেকে ৪০ হাজার পর্যন্ত খরচ পড়ে।  

লারাভেল টেকনোলজি দিয়ে তৈরি করলে এক লাখ থেকে শুরু হয় এবং ডিজাইন এবং  ফিচারের ভিন্নতা অনুযায়ী এটি বাড়তে পারে । তবে স্ট্যান্ডার্ড ফিচার সহ একটি লারাভেল ই-কমার্স ওয়েবসাইট ৫ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা বা এর চেয়েও বেশি হতে পারে।

হোস্টিং 

ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ডেভেলপমেন্ট চার্জ  ছাড়াও আরো অনেক ধরনের খরচ আছে।  যেমন: আপনাকে একটি হোস্টিং নিতে হবে। কত জিবি হোস্টিং আপনার জন্য আদর্শ সেটি নির্ভর করবে ওয়েবসাইট ডিজাইন এলিমেন্ট কি ধরনের এবং কতগুলো প্রোডাক্ট আপনার ওয়েবসাইটে থাকবে। ওয়েবসাইটে যদি ছবি এবং ভিডিওর সংখ্যা বেশি হয় তবে আপনাকে বেশি পরিমাণ হোস্টিং নিতে হবে।

প্রতি জিবি হোস্টিংয়ের জন্য বাৎসরিক ১৫০০-২০০০ টাকা খরচ হবে। এই খরচটি প্রতিবছর আপনাকে বহন করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের উঠানামার কারণে এই খরচ কম বা বেশি হতে পারে।

মেইনটেনেন্স

এরপরে রয়েছে মেইনটেনেন্স চার্জ । ওয়েবসাইট থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সচল রাখতে যেকোনো ধরনের ভাইরাস ও হ্যাকিং অ্যাটাক থেকে রক্ষা করতে এই মেন্টেনেন্স আবশ্যিকভাবে জরুরী।  কোম্পানি পলিসি এবং কাস্টমার রিকোয়ারমেন্ট ভেদে বিভিন্ন ধরনের মেনটেনেন্স ফি হতে পারে। এটি মাসিক হতে পারে, বাৎসরিক হতে পারে অথবা অর্ধ বাৎসরিক হতে পারে। 

সাধারণত ৩ হাজার থেকে ২০ হাজার পর্যন্ত মেনটেনেন্স ফি লক্ষ্য করা যায়।  ওয়েবসাইটের পরিধি এবং  ওয়েবসাইটে আপডেট  এর প্রকারভেদে এই খরচ বাড়তে বা কমতে পারে যা উল্লেখিত খরচের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।

কাস্টম ডেভেলাপ ওয়েবসাইট নাকি  SaaS Ecommerce Website? আপনার বিজনেসের জন্য কোনটি আদর্শ?

আপনার যদি একটি রানিং ই-কমার্স বিজনেস থাকে এবং তার সেলস ভলিউম যথেষ্ট ভালো থাকে, আপনি টেকনোলজি সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা রাখেন আপনার ওয়েবসাইটে কোন ফিচারগুলো থাকতে হবে কি ধরনের ডিজাইন আপনি চান সেসব বিষয়ে আপনার স্পষ্ট ধারণা থাকে  এবং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর জন্য ভালো পরিমাণ বাজেট থাকে, তাহলে কাস্টম ওয়েবসাইট ডেভেলপ করতে পারেন।  

কাস্টম ওয়েবসাইট ডেভেলপ করলে এর জন্য রেগুলার মেনটেনেন্স এবং ভবিষ্যৎ আপডেটের জন্য কোন একটি টেকনিক্যাল টিমের সাথে আপনাকে কানেক্ট থেকে কাজ করতে হবে।

তাই আমরা বলতে পারি আপনার বিজনেস টি যদি বড় হয়ে থাকে তবে কাস্টম ডেভেলপ ওয়েবসাইট আপনার জন্য আদর্শ হতে পারে।

আপনার বিজনেসটি যদি ছোট পরিসরে হয়ে থাকে বা আপনি কেবল শুরু করেছেন তাহলে আপনার জন্য SaaS Ecommerce Website আদর্শ। কারণ বিজনেসের শুরুতেই আপনি জানেন না আপনি ঠিকঠাক ভাবে সেটি পরিচালনা করতে পারবেন কিনা।  

আপনি জানেন না কাঙ্খিত প্রফিট লক্ষ্য অর্জনে আপনাকে কতদিন অপেক্ষা করতে হবে। যে ওয়েবসাইটটি তৈরি করবেন সেটি ব্যবহার করে বিজনেস পরিচালনায়  ফলাফল পাবেন কিনা – সে বিষয়ে আপনি নিশ্চিত নন।  

আর এগুলো নিশ্চিত না হয়ে যদি ওয়েবসাইট তৈরির পিছনে একটি মোটা অংকের টাকা ইনভেস্ট করে ফেলেন তাহলে ব্যবসার অন্যান্য ফাংশন যেমন: মার্কেটিং, প্রোডাকশন, লজিস্টিক এ সকল বিষয়ে আপনাকে বাজেট কমাতে হবে।  যা আপনার ব্যবসা পরিচালনাকে সীমিত করে ফেলবে।

তাই বিজনেস শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি যদি SaaS Ecommerce Website ব্যবহার করে ই-কমার্স বিজনেস শুরু করেন তবে খুবই স্বল্প খরচে একটি অ্যাডভান্স ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন।  এবং বর্তমান সময়ের SaaS Ecommerce Website গুলো যথেষ্ট পাওয়ারফুল যা আপনার বিজনেসকে বিগ ব্র্যান্ডে রূপান্তর হওয়া পর্যন্ত সাপোর্ট দিতে সক্ষম।  

এখানে বিশ্বের বিখ্যাত পাঁচটি ই-কমার্স ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইট লিংক উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো তাদের বিজনেস পরিচালনার জন্য SaaS মডেলের ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন,

ওপরের ওয়েবসাইটগুলো  পর্যালোচনা করলে দেখা যায় SaaS ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্র্যান্ডগুলো ইন্টারন্যাশনালি বেশ ভাল রকম ব্যবসা পরিচালনা করছেন।  তারা যদি সেটি করতে সক্ষম হন তাহলে আপনি নিজেও সেটি করতে পারবেন।

একটি মানসম্মত SaaS Ecommerce Website বেছে নিতে কোন কোন বিষয় কন্সিডারেশনে রাখবেন? 

একটি মানসম্মত ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। নিচে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো যেগুলো একটি মানসম্মত ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুঁজে নিতে আপনাকে সাহায্য করবে।

সহজ ইউজার ইন্টারফেস এবং ইজি টু ইউজ

সর্বপ্রথম যে বিষয়টি খেয়াল করবেন তা হলো ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি যেন ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়। আপনার মার্কেটিং এবং অপারেশনাল টিম কোন প্রকার টেকনিক্যাল নলেজ ছাড়াই ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি খুব ভালোভাবে ম্যানেজ করতে পারেন।

কাস্টমাইজেশন এবং ফ্লেক্সিবিলিটি

আপনার ওয়েবসাইটটি কি আপনাকে ডিজাইন লেআউট ফিচার আপনার ব্র্যান্ড আইডেন্টিটির সাথে কাস্টমাইজ করার সুযোগ দিচ্ছে কিনা এ বিষয়টিও আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।  কারণ প্রতিটি বিজনেসের  ধরন আলাদা সেজন্য তার অনলাইন স্টোর টি হতে হবে ইউনিক।

স্কেলেবিলিটি 

আপনার বিজনেসটি একসময়  ধীরে ধীরে বড় হবে। ভবিষ্যতে ই-কমার্স ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স কে কোনভাবেই কনসিডার না করে ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি কি স্কেলআপ করার সুযোগ দিবে কিনা  এ বিষয়টি আপনাকে  খেয়াল রাখতে হবে। 

মোবাইল রেস্পন্সিভনেস 

যে ওয়েবসাইটটি আপনি পছন্দ করবেন সেটিকে মোবাইল রেস্পন্সিভ হতে হবে।  কারণ বর্তমান সময়ের ম্যাক্সিমাম  অনলাইন শপিং মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে হয়। তাই আপনার কাস্টমার যেন ফোন থেকে আপনার ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করে অর্ডার প্লেস করতে কোনভাবেই সমস্যা বোধ না করে, সেটি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

ফিচারস এন্ড ফাঙ্কশনালিটি

এই অংশটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি  বিষয়। কিছু বেসিক ফিচার আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আবশ্যিক। এর বাইরেও অনেক এডভান্স লেভেলের ফিচার রয়েছে যেগুলো আপনার বিজনেসের জন্য গেম চেঞ্জার হতে পারে।  

তাই একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে বেসিক টু  অ্যাডভান্স কোন কোন ফিচার সেই ই-কমার্স ওয়েবসাইট আপনাকে অফার করছে সেটি দেখতে হবে। 

  1. প্রোডাক্ট শোকেসিং,  
  2. অর্ডার ম্যানেজমেন্ট,  
  3. ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট,  
  4. কাস্টমার লিস্ট,  
  5. এবান্ডেন্ড কার্ট , 
  6. অফার এন্ড ডিসকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট,  
  7. শিপিং এন্ড ডেলিভারি ম্যানেজমেন্ট,  
  8. ক্যাটেগরি ম্যানেজমেন্ট,  
  9. রিপোর্টিং,  
  10. SEO,  
  11. এনালিটিক্স,  
  12. ইউজার এক্সেস ম্যানেজমেন্ট,  

ইত্যাদি ফিচার গুলো সহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার রয়েছে যেগুলো একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো আপনাকে এনসিওর করতে হবে।

ওয়েবসাইটের জন্য ফিচার এন্ড ফাংশনালিটি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং ই-কমার্স স্পেশালিস্ট এর সাথে কথা বলতে ভিজিট করুন,

ইন্টিগ্রেশন ক্যাপাবিলিটি

দেখতে হবে ই-কমাস ওয়েবসাইটটি আপনাকে থার্ড পার্টি টুলস এন্ড API  ইন্ট্রিগেট করার সুযোগ দেয় কিনা যেমন: সিআরএম, একাউন্টিং সফটওয়্যার, পজ,ইমেল মার্কেটিং টুলস, এসএমএস মার্কেটিং টুলস ইত্যাদি। 

পেমেন্ট গেটওয়ে

অনলাইন পেমেন্ট রিসিভ করার জন্য পেমেন্ট গেটওয়ে থাকতে হবে।  যে কোন ব্যাংকের কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কাস্টমার যেন আপনাকে পেমেন্ট করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

কাস্টমার সাপোর্ট

ওয়েবসাইটি ব্যবহারকালীন সময়ে কোন টেকনিক্যাল প্রবলেম ফেস করলে কত দ্রুত সেটি সলভ করার জন্য সার্ভিস সাপোর্ট আপনি পাচ্ছেন সে বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। 

ট্রেনিং এন্ড এডুকেশন

ওয়েবসাইট আপনি তৈরি করেছেন কিন্তু সেটি  ব্যবহার করলে এর থেকে সর্বোচ্চ আউটপুট আপনি বের করে নিয়ে আসতে পারবেন এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ট্রেনিং দিচ্ছে কিনা সেটি কনসিডারেশনে নিতে হবে। 

SEO  ফ্রেন্ডলি

ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য ক্যাপাবল কিনা সেটি নিশ্চিত করতে হবে। একটি ভালো মানের SEO  ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট অর্গানিক ট্রাফিক  জেনেরেট করতে দারুণ রকম সহায়তা করে।  অর্গানিক ট্রাফিক একদিকে যেমন আপনার মার্কেটিং খরচ কমিয়ে দেয় একই সাথে কনভার্শন রেট বৃদ্ধি করে। 

লোডিং স্পিড

ওয়েবসাইট নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটি কত দ্রুত আপনার ডিভাইসে লোড হচ্ছে সেটি দেখতে হবে। ওয়েবসাইট লোডিং স্পিড স্লো হলে আপনি কাস্টমার হারাবেন। নিল প্যাটেলের মতে একটি আদর্শ ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম দুই থেকে তিন সেকেন্ডের মধ্যে।

ডেটা  পোর্টেবিলিটি

 আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটের সকল রকম ডেটা বিশেষ করে কাস্টমার এবং প্রডাক্ট রিলেটেড ডাটা গুলা আপনি ডাউনলোড করতে পারছেন কিনা, অথবা একটি সিস্টেম থেকে অন্য সিস্টেমে মাইগ্রেট করার সুবিধা দিবে কিনা এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

ট্রায়াল পিরিয়ড

একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট আপনার জন্য আদর্শ কিনা সেটি জানতে হলে প্রথমে এটি ব্যবহার করতে হবে। এটি একদিন কিংবা এক সপ্তাহ ব্যবহার করে আপনি বুঝতে পারবেন না আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাকি ভুল। কমপক্ষে তিন মাস থেকে ছয় মাসের একটি ট্রায়াল পিরিয়ড অফার করছে এমন একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটকে ভালোমত বুঝতে সাহায্য করে। 

ফিউচার আপডেট এন্ড ইনোভেশন

যে SaaS  ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি আপনি পছন্দ করবেন তারা কি ভবিষ্যতে এটিতে আরো  নতুন নতুন ফিচার যোগ করছে?  তারা কি নতুন ট্রেন্ড এন্ড টেকনোলজিকে এই ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত করছে?  এই বিষয়গুলো কন্সিডারেশনে রাখতে হবে। 

মনে রাখবেন একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট পছন্দ করার ক্ষেত্রে আপনার বিজনেস গোল টার্গেট অডিয়েন্স এবং কিছু স্পেসিফিক রিকোয়ারমেন্ট এর উপর নির্ভর করে।  তাই অবশ্যই একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে  এক্সপার্টদের পরামর্শ নিবেন।

আপনার বিজনেসের জন্য একটি আদর্শ ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে আমাদের ই-কমার্স কনসালটেন্ট এর সাথে যোগাযোগ করুন: 

৬। ব্র্যান্ডিং এবং ডিজাইন

বিজনেসের জন্য লোগো কাভার ফটো এবং প্রফেশনাল ডিজাইন পোস্ট সেই ব্র্যান্ডের ভিসিবিলিটি এবং এঙ্গেজমেন্ট বাড়িয়ে দেয়।  তাই এ সকল ব্র্যান্ডিং ম্যাটেরিয়ালসগুলো তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রফেশনালদের সহায়তা দিতে হবে। 

আপনার বিজনেসের ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিং স্ট্রেটেজি নিয়ে এক্সপার্টদের সাথে পরামর্শ পেতে,  

৭। মার্কেটিং স্ট্রাটেজি

আপনার যখন ব্র্যান্ড এলিমেন্ট ওয়েবসাইট এবং বিজনেস প্ল্যান তৈরি হয়ে গেছে এবারে আপনাকে মার্কেটিং স্ট্রেটেজিতে ফোকাস  করতে হবে। কোন কোন চ্যানেলে আপনি প্রমোশন করবেন সেগুলো নির্ধারণ করতে হবে, যেমন  ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইমেইল মার্কেটিং, এসএমএস মার্কেটিং প্লাটফর্ম ইত্যাদি।

প্রতিটি ইন্ডিভিজুয়াল মার্কেটিং প্লাটফর্মের জন্য আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন স্টাডিজি নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ একটি প্ল্যাটফর্মের জন্য যে স্ট্রেটেজি কাজ করবে সেটি অন্যটির জন্য নাও করতে পারে। 

ফোকাস করতে হবে কন্টেন্ট  মার্কেটিংয়ে।  বর্তমান সময়ে অডিও ভিজুয়াল কনটেন্ট অনেক বেশি এনগেজমেন্ট পাচ্ছে। মার্কেটিং স্ট্রেটেজি তৈরির ক্ষেত্রে আপনি এর উপরে ট্রেনিং গ্রহণ করে নিজে করতে পারেন অথবা কোন পরামর্শক নিয়োগ দিতে পারেন।  আপনি চাইলে কোন একটি মার্কেটিং এজেন্সির সাথে কোলাবরেট করে কাজ করতে পারেন। 

একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, আপনি যত বেশি থার্ড পার্টি এজেন্সির সাথে যুক্ত হবেন আপনার মার্কেটিং খরচ তত বাড়বে। 

৮। কাস্টমার সার্ভিস

ই-কমার্স বিজনেসের জন্য কাস্টমার সার্ভিস অপরিহার্য এবং অত্যাবশ্যকীয় একটি বিষয়। কাস্টোমারদের কুইরি, অবজেকশন, ফিডব্যাক, রিটার্ন ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে যতটা দ্রুত সম্ভব অরগানাইজ ভাবে সেবা নিশ্চিত করতে হবে। কাস্টমার যেন তার অ্যাভেলেবেল কমিউনিকেশন চ্যানেলগুলো ব্যবহার করে আপনাকে রিচ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। যেমন:  Messenger chat, Whatsapp, Email, Phone ইত্যাদি। 

৯।স্কেলিং এন্ড গ্রোথ

আপনাকে ক্রমাগত মার্কেট ট্রেন্ড সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। নতুন নতুন স্ট্রেটেজি,  প্রমোশনাল ট্রিক্স, advertising টেকনিক, প্রোডাক্ট ইনোভেশন ইত্যাদি বিষয়ে লার্নিং চালু রাখতে হবে। 

খুঁজে বের করতে হবে নতুন নতুন মার্কেট অপরচুনিটি এবং কলাবরেশনের মাধ্যমে ব্যবসাকে নতুন স্তরে নিয়ে যেতে হবে। 

পরিশেষে

মনে রাখবেন, নিজের একটি বিজনেস তৈরী করা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ, আনন্দদায়ক কিন্তু কষ্টসাদ্ধ একটা কাজ। একটি সফল ই-কমার্স বিজনেস গড়ে তুলতে আপনাকে ক্রমাগত শিখতে হবে, পাশাপাশি  প্রয়োজন হবে ডেডিকেশন এবং অ্যাডাপটিবিলিটি। আপনার বিজনেস গোলের প্রতি ফোকাস থাকতে হবে এবং প্রতিনিয়ত কাস্টমারদের ভ্যালু প্রোভাইড করতে হবে । তবেই আপনি একটি প্রফিটেবল বিজনেস করতে পারবেন। 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

বিজনেসের জন্য ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) গাইড:  কি, কেন, কীভাবে?

বিজনেসের জন্য ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) গাইড: কি, কেন, কীভাবে?

শেয়ার করুনফেসবুক লাইভ (Facebook Live) কি? ফেসবুক লাইভ ফেসবুকের এমন একটি ফিচার যা একজন ইউজারকে তার বন্ধু, ফলোয়ার এবং পাবলিকদের...

ব্যবসার জন্য ফেসবুক পেজ নাকি ই-কমার্স ওয়েবসাইট – কোনটা ভালো?

ব্যবসার জন্য ফেসবুক পেজ নাকি ই-কমার্স ওয়েবসাইট – কোনটা ভালো?

শেয়ার করুনকামাল একজন ফেসবুক সেলার – ফেসবুক এর মাধ্যমে তিনি ফ্যাশন আইটেম বিক্রি করেন।  ইদানিং ব্যবসা নিয়ে কামাল বেশ দুশ্চিন্তার...

ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১ বিশ্লেষণ

ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১ বিশ্লেষণ

শেয়ার করুনবাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রনালয় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স(সংশোধিত) নীতিমালা ২০২০ এর পদক্রম অনুসারে ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১’ (Digital Commerce Operation...

আপনার মূল্যবান মতামত দিন

মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। আবশ্যক ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত *

আগের মন্তব্য গুলো পড়ুন

সবার আগে মন্তব্য করুন