বিজনেসের জন্য ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) গাইড: কি, কেন, কীভাবে?

বিজনেসের জন্য ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) গাইড:  কি, কেন, কীভাবে?
শেয়ার করুন

ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) কি?

ফেসবুক লাইভ ফেসবুকের এমন একটি ফিচার যা একজন ইউজারকে তার বন্ধু, ফলোয়ার এবং পাবলিকদের সাথে  লাইভ ভিডিও ব্রডকাস্ট করার সুবিধা প্রদান করে। এটির জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে যেখানে ফেসবুক এক্সেস থাকবে এবং আপনার ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। 

ফেসবুক অ্যাপ এবং ওয়েব ব্রাইজার দিয়ে “লাইভ” করা যায়। এক্ষেত্রে অ্যাপ ও  ব্রাউজার এর জন্য ফেসবুক লাইভ করার ধরন ভিন্ন হয়ে থাকে। আমরা স্টেপ বাই স্টেপ সেগুলো শিখবো। কেউ যখন ফেসবুক লাইভে ব্রডকাস্ট করে তখন  রিয়েল টাইমে তার ফলোয়ারগণ সেখানে রিয়াক্ট, কমেন্টস ও শেয়ার করতে পারে। 

ফেসবুক  লাইভ শেষ হবার পর সেটি রেকর্ডেড ভার্সন হিসেবে পেজে আপলোড করতে পারেন। পরবর্তী সময়ে  আপনার ফলোয়ার  বা ফ্রেন্ডস এটি দেখতে পারে। ফেসবুক লাইভ রিয়েল টাইমে অডিয়েন্সের সাথে যুক্ত হবার জন্য সেরা মাধ্যম। এটি ভিন্ন ভিন্ন পারপাসে ব্যবহার করা হয়ে থাকে যেমন,   

  • প্রশ্ন উত্তর পর্ব  
  • লাইভ ইভেন্ট ব্রডকাস্টিং  
  • প্রোডাক্টেড ডেমো দেখানো বা টিউটোরিয়াল দেখানো  
  • লাইভ মিউজিক বা কমেডি শো  সরাসরি প্রচার করতে  
  • বন্ধু বা পরিবারের সাথে সরাসরি অডিও ভিডিও কলে যুক্ত থাকতে  
  • এবং বর্তমান সময়ে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করার জন্য এটি বহুল ব্যবহৃত একটি ফিচার আর আজকের আলোচনার বিষয় মূলত এটি। 

ফেসবুক লাইভে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করার বেনিফিট কি? 

প্রথম,  বড় টার্গেট অডিয়েন্সকে রিচ করা যায়। ফেসবুকে ২.৯ বিলিয়ন এক্টিভ ইউজার রয়েছে আর আপনি এই বিশাল পরিমাণ অডিয়েন্সকে রিচ করতে পারেন লাইভের মাধ্যমে।   

দ্বিতীয়ত, ফেসবুক লাইভ ট্রেডিশনাল প্রি-রেকর্ডেড ভিডিও-র চেয়ে  অনেক বেশি এনগেজিং হয়ে থাকে। ভিউয়ার আপনাকে প্রশ্ন করতে পারে,  তার মতামত জানাতে পারে,  কমেন্ট এবং রিয়েক্ট করার মাধ্যমে  তাদের পছন্দ বা অপছন্দগুলো প্রকাশ করতে পারে সবার সম্মুখে।   

তৃতীয়ত, অডিয়েন্স দেখে আপনি সত্যিকার অর্থে আপনার বিজনেস দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন কিনা। আপনি তাদের  জন্য নতুন  কী প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অফার করছেন। প্রোডাক্ট ও সার্ভিস নিয়ে আপনার এক্সপার্টিজ তারা দেখে যা কাস্টমারদের আরো কেনাকাটার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। 

চতুর্থ,  আপনার যদি একটি দোকান থাকে অথবা আপনি ই-কমার্স বিজনেস করে থাকলে আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তবে সেখানে  ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারেন।

পঞ্চম,  ফেসবুক লাইভে নতুন প্রোডাক্ট দেখানো, সে বিষয়ে ডিটেলস  কাস্টমারদের জানানো, তাদের অবজেকশনগুলোকে  হ্যান্ডেল করে তাদেরকে আরো বেশি কেনাকাটায় উৎসাহিত করতে পারেন। 

প্রশ্ন হলো, কেন আপনি এটি ব্যবহার করবেন?

কারণ এটি সম্পূর্ণরূপে ফ্রী, ফলে এই ফিচারটি ব্যবহার করে বিশাল অডিয়েন্সদেরকে রিচ ও এনগেজ করতে আপনাকে একটি পয়সাও ব্যয় করা লাগেনা। 

এটি ব্যবহারে সহজ ফলে, যে কোন শ্রেণী পেশার মানুষ সহজে এর সুবিধা নিতে পারেন  এবং এর জন্য স্পেশাল কোন  ইকুপমেন্টের প্রয়োজন পড়ে না।

এটি দারুণ ইন্টারেক্টিভ, ফলে আপনি কাস্টমারদের আগ্রহ গুলো সম্পর্কে রিয়েল টাইমে অবগত হন যা কিনা  আপনার টার্গেট অডিয়েন্সদের সম্পর্কে বা মার্কেট সম্পর্কে একটি সম্মুখ ধারণা প্রদান করে। 

এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এটি পরিকল্পিত কোন রেকর্ড করা ভিডিও না।  যেহেতু সবকিছু রিয়েল টাইমে হচ্ছে বিধায়  কাস্টমার এটিকে বিশ্বাস করে। 

Facebook লাইভ সেলিং এর বেস্ট প্র্যাকটিস গুলো কি?

ফেসবুক লাইভ শুরু করার পূর্বে আপনাকে যা করতে হবে,

কন্টেন্ট প্ল্যানিং: 

কোন প্রোডাক্টগুলো আপনি লাইভে দেখাবেন সে প্রোডাক্টগুলোর ফিচার এবং বেনিফিটসগুলো কি কি,  আপনি অফার বা ডিসকাউন্ট দিচ্ছেন কিনা – সেগুলো নির্ধারণ করে নিবেন। প্রয়োজন মত একটি স্ক্রিপ্ট তৈরি করে নিবেন এবং লাইভ করার পূর্বে একটু রি-হার্শেল করে নিতে পারেন। ফলে লাইভ চলাকালীন সময়ে অনেক ইনফরমেশন আপনি গুছিয়ে বলতে পারবেন।

লাইভ করার সময় আগেই জানিয়ে দিতে পারেন: 

ফেসবুক লাইভে আপনি কি দেখাতে চলেছেন এবং কোন সময়ে লাইভ শুরু করবেন সেটি জানিয়ে একটি পাবলিক পোস্ট করতে পারেন। এছাড়াও সেই পোষ্টটি আপনি প্রমোট করতে পারেন যাতে একটি বড় অডিয়াস গ্রুপ আপনার লাইভের সময়সূচি জানতে পারে।

প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট সেটআপ করা:

যে ডিভাইস ব্যবহার করে আপনি লাইভ করবেন সে ডিভাইসের ক্যামেরা এবং সাউন্ড যেন সঠিকভাবে কাজ করে, একই সাথে লাইটিং টা যেন ঠিকঠাক থাকে। ভিডিও লাইভ স্টার্ট করার জন্য প্রয়োজন আপনি ট্রাইপড ব্যবহার করতে পারেন।

লোকেশন:

যেখানে আপনি লাইফ স্টিমিং পারফর্ম করবেন সে লোকেশনটি হইতে হবে নিরব এবং ব্যাকগ্রাউন্ড হতে হবে ভালো। এমন কোন ব্যাকগ্রাউন্ডে দাঁড়াবেন না যেটি আপনার প্রোডাক্টগুলোকে হাইলাইট করতে সমস্যা সৃষ্টি করে। 

লাইভ চলাকালীন সময়ে কি করবেন;

বি ইউরসেলফ:

আপনি জেনুইন থাকবেন, মানুষ আপনার  অথেন্টিসিটি এবং আপনার পার্সোনালিটি উপর নির্ভর করে আপনার ব্রান্ডের সাথে কানেক্ট ফিল করবে।

এঙ্গেজ থাকুন:

যখন ভিউয়ার লাইভের সাথে ইন্টারাক্ট করছে কমেন্টস এর মাধ্যমে, তাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন লাইভ এর মধ্যেই ।

ভ্যালুয়েবল ইনফরমেশন প্রোভাইড করুন:

যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসটি আপনি লাইভের মাধ্যমে সেল করছেন সেটির বেনিফিটস ফিচার হাইলাইট করুন। দেখেন আপনার প্রোডাক্টটি কিভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে এর বিল্ট কোয়ালিটি কতটা ভাল, এটি কিভাবে কাজ করে যা আপনার কাস্টমারকে তার চাহিদা সম্পর্কে সচেতন করবে।

লাইভ করার শেষে কি করবেন

রেকর্ডেড লাইভটি পাবলিশ করুন:

লাইভ শেষ হয়ে গেলে রেকর্ডেড লাইভ হিসেবে পোস্টটি পেজে পাবলিশ করে দিবেন এতে পরবর্তী সময়ে আপনার অডিয়েন্স সেটি দেখার সুযোগ পাবে।

কাস্টমার কুইরি ফলোআপ:

পাবলিশ করা লাইভটিতে পরবর্তী সময়ের কাস্টমার কমেন্ট করতে পারে সেগুলো প্রপার ফলোআপ করুন অথবা লাইভ দেখে কাস্টমার আপনার ইনবক্সেও মেসেজ করতে পারে – সেগুলো নিয়মিতভাবে চেক করুন এবং তাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন।

লাইভের রেজাল্ট এবং পারফরম্যান্স এনালাইসিস করুন: 

লাইভ শেষ করার পরবর্তী সময় অথবা কয়েকদিন পরে সে লাইভটির পারফরম্যান্স কেমন ছিল তা জানতে ভিউয়ার কত লম্বা সময় লাইভ টি দেখেছে, তারা লাইভে কি ধরনের প্রশ্ন করছে, কি ধরনের অডিয়াস এনগেজমেন্ট সেখানে হচ্ছে সেগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করুন। এবং পরবর্তী লাইভ করার সময় এই বিষয়গুলো কনসিডার করুন।

কিছু অ্যাডিশনাল টিপস,

ফেসবুক লাইভে সরাসরি প্রোডাক্ট ট্যাগ করে সেটি কাস্টমারদের কেনার সুযোগ করে দেবার জন্য ফেসবুক লাইভ শপিং ফিচার রয়েছে। আপনি একটু এডভান্স লেভেলে কাজ করতে গেলে এই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন। যা কাংখিত সেল জেনারেট করতে অনেক হেল্প করবে। 

কিভাবে ফেসবুক লাইভ শপিং ফিচারটি ব্যবহার করবেন তা নিয়ে বিস্তারিত গাইড বুক নিচের লিংকে ক্লিক করে ডাউনলোড করুন।

ডাউনলোড করতে লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/business/tools/live-shopping/get-started

অন্য ব্র্যান্ড বা বিজনেসের সাথে কোলাবারেশন করুন:

আপনি কো হোস্ট হিসাবে অন্য বিজনেসের সাথে কোলাবরেট করে লাইভ করতে পারেন। এটি ক্রস প্রমোশনাল অ্যাক্টিভিটির মধ্যে ধরা হয় যা আপনাকে আরো বড় অডিয়েন্সের কাছে নিয়ে যাবে।

কিভাবে ফেসবুক লাইভ করবেন?

ফেসবুক লাইভ মোবাইলের ফেসবুক অ্যাপ অথবা ডেক্সটপে ওয়েব ব্রাউজার থেকেও করতে পারেন। ক্রিয়েটর তার ফেসবুক পেজ, প্রোফাইল, গ্রুপ অথবা ইভেন্ট পেজ থেকেও লাইভ স্ট্রিম করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে মোবাইল এবং ওয়েব ব্রাউজারের লাইভ মেকিং প্রসেসের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।

ফোন ব্যবহার করে কিভাবে লাইভ করবেন?

স্টেপ ওয়ান:  

প্রথমে আপনার ফেসবুক পেজ, প্রোফাইল অথবা ইভেন্ট যেখান থেকে আপনি লাইক করতে চান সেখানে যান।

স্টেপ টু:

ক্লিক করুন “হোয়াটস ওয়ান ইওর মাইন্ড” লিখা এই অপশনে।

স্টেপ থ্রি: 

এবারে লাইভ ভিডিও অপশনটিতে ক্লিক করুন।

স্টেপ ফোর: 

ট্যাপ করার পরে দেখবেন সেখানে একটি অপশন রয়েছে, যেখানে আপনাকে ডেসক্রিপশন দিতে বলা হচ্ছে। সেখানে আপনার পছন্দমত ডেসক্রিপশন লিখুন। কোন ফ্রেন্ডকে ট্যাগ করতে চাইলে তাকে ট্যাগ করুন অথবা কোন পেজকে ট্যাগ করতে চাইলে ট্যাগ করতে পারবেন। লোকেশন দিতে পারবেন এবং আপনার ফিলিং এবং এক্টিভিটিজ সেখানে অ্যাড করতে পারবেন।

স্টেপ ফাইভ:

এবারে স্টার্ট লাইভ ভিডিও এই বাটনে ক্লিক করে লাইভ শুরু করুন।

স্টেপ সিক্স:  

যখন ভিডিওটি লাইভ হয়ে যাবে এরপরে আপনার লাইভ সেশনটি শেষ করতে চাইলে ফিনিশ নামে একটা অপশন আসবে সেখানে ক্লিক করে আপনি লাইভ শেষ করবেন। 

ওয়েব ব্রাউজার থেকে কিভাবে ফেসবুক লাইভ করবেন?

ওয়েব ব্রাউজার থেকে ফেসবুকে লাইভ করার জন্য আপনি যে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটারটি ব্যবহার করছেন সেটিতে যদি বিল্ট ইন ক্যামেরা থাকে তবে ভালো, না থাকলে একটি এক্সটার্নাল ক্যামেরা আপনাকে লাগিয়ে নিতে হবে। একই সাথে অডিও এর  জন্য যদি মাইক্রোফোন বিল্ট ইন থাকে তাহলে ভালো। যদি না থাকে তবে আপনাকে একটা অডিও ডিভাইস লাগিয়ে নিয়ে নিতে হবে। 

স্টেপ ওয়ান: 

ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ দিয়ে আপনার ফেসবুক হোম পেজ থেকে যদি লাইভ করতে চান তবে যেখানে ক্যাপশন বা স্ট্যাটাস দেওয়া হয় সেখানে ক্লিক করলে লাইক বা লাইক ভিডিও অপশন নামে একটি অপশন পাবেন।

টেপ টু:

সেখান থেকে গো লাইভ বা ক্রিয়েট লাইভ ভিডিও ইভেন্ট এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।

টেপ থ্রি:

লাইভ ভিডিওর ডিটেলস ক্যাপশনে দিবেন এবং  স্টার্ট করার টাইম সিলেক্ট করে দিবেন আপনি যদি কো হোস্ট  হিসেবে লাইভ ভিডিওটিতে কাউকে নিতে চান, তবে তাকে ইনভাইট করবেন।

স্টেপ ফোর:  

গো লাইভ  ভিডিওতে ক্লিক করলে লাইভটি স্টার্ট  হয়ে যাবে।

লাইভ ভিডিও টুলস

লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে অডিওসদের কানেক্ট করার জন্য অনেকগুলো ফিচারস বা টুলস রয়েছে। যেগুলো আপনার লাইভ ভিডিওকে আরও এনগেজিং এবং মিনিংফুল করে তুলতে সহায়তা করে। সেগুলো বিষয়ে জেনে নেয়া যাক,

লাইভ পোল:  

অনলাইন পোল বা জনমত জরিপের জন্য এই ফিচারটি  ব্যবহার করতে পারেন।

ফিচার্ড লিংক: 

আপনি একটা লাইভ স্ট্রিমে মাল্টিপল অথবা সিঙ্গেল ফিচার লিংক ব্যবহার করে ওয়েবসাইট বা অন্য কোন সোর্স কে প্রমোট করতে পারেন। 

লাইভ ইন স্টোরি:  

সমসাময়িক সময়ে ফেসবুক সরাসরি ফেসবুক স্টোরিতে লাইফ স্টিম করার সুবিধা দিচ্ছে যেটি কাস্টমারদের এঙ্গেজ করার জন্য দুর্দ্রান্ত একটি মাধ্যম।

লাইক কমেন্ট মডারেশন:

লাইভ স্ট্রিম চলাকালীন সময়ে কারা কমেন্ট করতে পারবে বা পারবে না তাদের কমেন্ট আপনি এলাও করবেন বা করবেন না এ সকল বিষয়ে আপনি মডারেট করতে পারবেন।  পাশাপাশি আপনার পক্ষ হয়ে অন্য কাউকে সেই কমেন্ট মডারেশন করার সুযোগ আপনি করে দিতে পারেন।

ফ্রন্ট রো:   

এই ফিচারটির মাধ্যমে আপনার পেইজের টপ ফ্যানদেরকে স্পেশাল একটা সেকশনে হাইলাইট করতে পারবেন।

ব্যাচ:  

কনটেন্টের সাথে এনগেজমেন্টের প্যাটার্ন অনুযায়ী আপনার ফ্যানরা ব্যাচ আর্ন করতে পারবে। 

ডোনেশন: 

আপনি ফেসবুক লাইভের এই ফিচারটি ব্যবহার করে ডোনেশন সংগ্রহ করতে পারবেন। ডোনেট বাটনে ক্লিক করে মানুষ নন প্রফিট অর্গানাইজেশনের জন্য অথবা কোন এমার্জেন্সি ইভেন্টের জন্য ডোনেশন দিতে পারবেন 

লাইভ উইথ:  

একি আপনাকে কো ব্রডকাস্টিং এর সুবিধা দেয় অর্থাৎ আপনি অন্য একজন গেস্ট  বা মাল্টিপল হোস্ট  নিয়ে লাইভ করতে পারবেন। 

লাইভ শপিং:  

এটি ফেসবুকের লিস্টেড  প্রোডাক্টগুলো নিয়ে ডিরেক্ট লাইভ স্ট্রিম এর মাধ্যমে সেল করার সুবিধা প্রদান করে।

সাবস্ক্রিপশন:

SaaS মডেলের কোন সফটওয়্যার এর জন্য অথবা কনটেন্ট, ব্লগ বা চ্যানেল সাবস্ক্রিপসনের জন্য আপনি এই স্পেশাল ক্যাটাগরি লাইফ টা করতে পারেন।

লাইভ ভিডিও পারফরমেন্স

ফেসবুক লাইভ ভিডিও পারফরম্যান্স এনালাইসিস টুলস আপনার লাইভ ভিডিওর পারফরম্যান্স সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে। এ তথ্যগুলো আপনাকে বুঝতে সহায়তা করে কিভাবে পরবর্তী ভিডিওগুলোর জন্য আপনি প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন এবং রেজাল্ট নিয়ে আসবেন।

ফেসবুক লাইভ ভিডিও পারফরম্যান্স এনালাইসিস গুলোর মধ্যে আপনি যে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেবেন তা হচ্ছে,

  • ভিউ:  আপনার ভিডিওগুলো কতবার দেখা হয়েছে সেগুলো
  • অডিয়েন্স: কারা আপনার ভিডিও গুলো দেখছে এবং তাদের সংখ্যা কত
  • এনগেজমেন্ট:  ভিডিওটিতে আপনি কতগুলো লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার অর্জন করেছেন
  • ইম্প্রেশন:  কতবার ভিডিওগুলো আপনার অডিয়েন্সের সামনে প্রদর্শিত হয়েছে

আপনার লাইভ ভিডিওটি কতটা জনপ্রিয় এবং এটি কতটি কার্যকর ভাবে অডিয়েন্সদের এনগেজ করতে পারছে সে সম্পর্কে ধারণা দেয়। এ তথ্যগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ভিডিও গুলোর জন্য আইডিয়াল টাইম এবং ডেট নির্ধারণ করতে পারবেন আপনাকে আরো বেশি রিচ সাহায্য করবে।

ফেসবুক লাইভ ভিডিও পারফরমেন্স এনালাইসিস করতে আপনাকে ফেসবুক পেজে যেতে হবে > এবং সেখান থেকে ক্রিয়েটর  স্টুডিওতে ক্লিক করতে হবে > এখন ভিডিওটাতে ক্লিক করে >  লাইভ ভিডিওতে ক্লিক করতে হবে>  এখানে আপনার লাইভ ভিডিওগুলি লিস্ট দেখতে পাবেন। প্রতিটি ভিডিওর জন্য ইনসাইট পেতে হলে আপনাকে ইনসাইট বাটনে > ক্লিক করতে হবে।

কিছু দরকারি টিপস

ভিডিও অ্যানিলিটিক্স বা ইনসাইট থেকে পরবর্তী ভিডিওতে আরো ভালো করতে হলে আপনাকে নিয়মিত এনালিটিক্স  গুলো পর্যালোচনা করতে হবে। আপনাকে আপনার KPI গুলো নির্ধারণ করতে হবে। দলগতভাবে প্রতিটি বিষয় পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি পরবর্তীতে কি করতে চলেছেন। 

পরিশেষে 

ফেসবুক লাইভ বেচাকেনার জন্য নতুন নতুন  কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে এবং সেল বাড়াতে একটি শক্তিশালী ফিচার ।এটি আপনার অডিয়েন্সের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার এবং রিয়েল টাইমে তাদের সামনে আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস শোকেস করার একটি দুর্দান্ত উপায়।

ফেসবুক লাইভ ব্যবহার করে সফল হতে, সঠিক পণ্য নির্বাচন করুন, প্রস্তুত থাকুন, এনগেজিং  হন, আকর্ষণীয়  অফার দিন এবং লাইভ স্ট্রিমের পরে ফলোআপ করুন।

এই টিপসগুলি সঠিক ভাবে অনুসরণ করলে আপনি নিশ্চিত করতে পারেন যে আপনার ফেসবুক লাইভ সেলিং সফল হবে এবং আপনার বিজ্নেসকে আরো বড় করে তুলতে সহায়ক হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

একটি প্রফিটেবল ই-কমার্স বিজনেস শুরুর কমপ্লিট গাইডলাইন

একটি প্রফিটেবল ই-কমার্স বিজনেস শুরুর কমপ্লিট গাইডলাইন

শেয়ার করুনআপনি যদি উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন বা আপনার বিশেষ কোনো স্কিল থাকে (যেমন – ছবি আঁকা, কাস্টম ড্রেস তৈরী...

ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১ বিশ্লেষণ

ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১ বিশ্লেষণ

শেয়ার করুনবাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রনালয় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স(সংশোধিত) নীতিমালা ২০২০ এর পদক্রম অনুসারে ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১’ (Digital Commerce Operation...

গুগল ট্যাগ ম্যানেজার (Google tag manager) এর কাজ ও ব্যবহার

গুগল ট্যাগ ম্যানেজার (Google tag manager) এর কাজ ও ব্যবহার

শেয়ার করুনডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করলে অথবা ইন্টারেস্ট থাকলে আপনি হয়তো গুগল ট্যাগ ম্যানেজার (GTM) এবং ফেসবুক পিক্সেল সম্পর্কে শুনে...

আপনার মূল্যবান মতামত দিন

মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। আবশ্যক ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত *

আগের মন্তব্য গুলো পড়ুন

সবার আগে মন্তব্য করুন