ফেসবুক অ্যালগরিদম কিভাবে কাজ করে এবং এর ৮ টি বেস্ট প্র্যাকটিস ২০২২

ফেসবুক অ্যালগরিদম কিভাবে কাজ করে এবং এর ৮ টি বেস্ট প্র্যাকটিস ২০২২
শেয়ার করুন

ফেসবুক অ্যালগরিদম কিভাবে কাজ করে জানেন কি? ফেসবুক পেজে পোস্ট করছেন কিন্তু সেটি বেশি মানুষকে রিচ করছে না অথবা অডিয়েন্স সেটির সাথে এঙ্গেজ হচ্ছে না, এমন সমস্যার মধ্য দিয়ে বর্তমানে প্রায় সবাই যাচ্ছেন।  

কিভাবে আমরা এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে পারি? এই সমস্যা কাটিয়ে উঠার উপায় কি? আমাদের কি কি বিষয়ে জানতে হবে? সে ব্যাপারে আমরা অনেকেই সঠিক তথ্য গুলো জানিনা। 

কিন্তু ফেসবুক নির্ভর বিজনেস পরিচালনার ক্ষেত্রে এই তথ্যগুলো আপনার জানা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন, যদি সফল হতে চান। 

বর্তমানে ফেসবুক নির্ভর বিজনেস পরিচালনা আগের থেকে কঠিন হয়ে গেছে। এই সময়ে একটা পোস্ট করলে একটি মাত্র ০.০৭% অডিয়েন্স এঙ্গেজ করে এবং আপনি যদি ফেসবুক অ্যাড এর মাধ্যমে পোস্ট রিচ করাতে চান সেক্ষেত্রেও বেশকিছু জটিল হিসাব নিকাশ করতে হয়। 

এবং এই পরিবর্তনগুলো সমসাময়িক সময়ে এসেছে। যদিওবা এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া কিন্তু সময়ের সাথে তা আরো বেশি জটিলতর হয়ে যাচ্ছে। 

ফেসবুক বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া। তাই এটিকে ব্যবহার না করে বিজনেস’ প্রচারণার কথা চিন্তা করাটা সময় উপযোগী নয়। 

তাই চলুন জেনে নেয়া যাক ফেসবুক অ্যালগোরিদমের সেই সকল বিষয়গুলো যা এই প্ল্যাটফর্মটিকে আরো ভালোভাবে বুঝতে ও ব্যবহার করতে সাহায্য করবে। 

ফেসবুক অ্যালগরিদম কি? 

সহজ কথায় ফেসবুক অ্যালগরিদম হচ্ছে সেই প্রসেস যার মাধ্যম দিয়ে একজন ব্যক্তি যখন তার ফেসবুক ফিডে স্ক্রলিং করে তখন তার ইন্টারেস্ট এর উপর নির্ভর করে ফেসবুক তার সবচেয়ে পছন্দের পোস্টগুলোকে সবার আগে এবং তার পরে পর্যায়ক্রমে বাকি পোস্টগুলো তাকে দেখাতে থাকে।

এবং ফেসবুকের ২.৯ বিলিয়ন অডিয়েন্স প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ ইন্টারেস্ট এর উপর নির্ভর করে পোস্ট দেখতে পায় এবং এটি প্রত্যেকবার ঘটে যখন একজন ব্যক্তি তার নিজ ফিডে প্রবেশ করে।

এক কথায় ফেসবুকের অ্যালগরিদম নির্ধারণ করে কোন ধরনের পোস্ট, কিভাবে এবং কখন একজন ব্যক্তি তার নিউজফিডে দেখতে পাবে। 

যে কথাটি অবশ্যই মনে রাখা জরুরী সেটি হচ্ছে ফেসবুকের উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যবহারকারীদের জন্য এই যোগাযোগ মাধ্যমকে নিরাপদ, রিলেভেন্ট এবং ভ্যালুয়েবল করে তোলা। 

বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে পরিবর্তন আনা হয়েছে কোন বিষয়গুলো কিভাবে ব্যবহারকারীরা দেখবে এবং এটি বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন করা হয়েছে। 

সময়ের সাথে ফেসবুক অ্যালগোরিদমের পরিবর্তন

ফেসবুকের অ্যালগরিদম প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। কোম্পানি “ফেসবুক” বর্তমান নাম মেটা, তাদের একটি টিম প্রতিনিয়ত ফেসবুকের অ্যালগরিদমকে পরিবর্তন করে আসছে যাতে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটিকে ব্যবহারকারীদের জন্য আরও বেশি কার্যকর ও নিরাপদ করে তোলা যায়। 

এরই ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় তারা ইন্টারেস্ট থেকে বেশকিছু কিওয়ার্ড রিমুভ করেছে এবং কিছু নতুন কিওয়ার্ড যুক্ত করেছে।  

সংক্ষেপে দেখি নেয়া যাক সময়ের সাথে ফেসবুকের পরিবর্তনগুলো। 

সাল ২০০৯

ফেসবুকে সেই সকল পোষ্ট গুলোকে নিউজফিডের প্রথম স্থান করে দেওয়া হতো যে সকল পোস্টগুলা অডিয়েন্সরা সবচেয়ে বেশি লাইক করতো।

সাল ২০১৫

এই বছরে এসে ফেসবুক অতিমাত্রায় প্রমোশনাল পোস্টগুলোকে ডাউন গ্রেড করে অর্থাৎ সেসকল পোস্টগুলোর রিচ কমিয়ে দেয়।  যা অডিয়েন্স দেখতে পছন্দ করে সেগুলো দেখানোর জন্য নিউজফিডে সি ফাস্ট নামে একটি নতুন অপশন চালু করে।

সাল ২০১৬

এসময়ে ফেসবুক আবারো তাদের অ্যালগোরিদমে পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং সেই সকল পোষ্ট গুলাকে রাঙ্ক করা হয় যে সকল পোস্টে একজন অডিয়েন্স সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে। 

সাল ২০১৭

এবারে ফেসবুক তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নতুন একটি ফিচার চালু করে সেটি হচ্ছে রিএকশন ইমোজি।  এবং তাদের অ্যালগোরিদমে আবারও পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়। এ সময় ভিডিওকে গুরুত্ব দেয়া হয়।  সেই সকল ভিডিওগুলোকে বেশি মাত্রায় সবাইকে দেখানো হয় যে ভিডিওগুলা অডিয়েন্স প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখছে। 

সাল ২০১৮

এবারে ফেসবুক আরো একবার তাদের অ্যালগোরিদমে পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং সেই সকল পোস্ট গুলাকে প্রোমট করে যে সকল পোস্ট কনভারসেশন স্টার্ট করে এবং অডিয়েন্সের জন্য মিনিংফুল। 

সাল ২০১৯

এই বছরে এসে ফেসবুক তাদের অ্যালগোরিদমে পরিবর্তন করে এবং ১ থেকে ৩ মিনিট পর্যন্ত দীর্ঘ ভিডিও ভিউ হয় এমন ভিডিওগুলো কে অডিয়েন্স পছন্দ করছে বলে তারা মনে করে।  

একই সাথে কোন একজন অডিয়েন্সের বন্ধুবান্ধব অথবা কানেকশনে যারা রয়েছে তারা যে পোষ্ট গুলো দেখছে সে পোষ্ট গুলো একজন অডিয়েন্সকে দেখার জন্য পরামর্শ দেয়।

সাল ২০২০

এই বছরে ফেসবুক অডিয়েন্সদের ডাটার উপর তাদের(ব্যবহারকারির) নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত করার চিন্তা করে।  ফেসবুক সেই সকল পোষ্ট গুলোকে রাঙ্ক করে যে সকল পোষ্ট সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং মিথ্যা নয়। 

সাল ২০২১

এবারে ফেসবুক অডিয়েন্সদের ডাটার ওপর ব্যবহারকারীদের আরো বেশি নিয়ন্ত্রণ এনে দেয়।  একজন অডিয়েন্স যা দেখতে পছন্দ করে সেগুলো শুধুমাত্র তাকে দেখানো হয় এবং যা সে দেখতে অপছন্দ করে সেগুলোর না দেখার জন্য ফেসবুককে কমান্ড দিতে পারে।  

২০২১ সালের পরিবর্তনগুলোকে বুঝতে হলে নিচের লিংকে ক্লিক করে ভিডিওটি দেখুন। 

https://www.facebook.com/Engineering/videos/264352435037706/

2022 সালে ফেসবুক অ্যালগরিদম কিভাবে কাজ করছে

বর্তমান সময়ে ফেসবুক অ্যালগরিদমকে সেইভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেখানে একজন অডিয়েন্স তার পছন্দের কনটেন্ট গুলো দেখবে এবং কনটেন্টগুলো হতে হবে ইনফরমেটিভ। 

এবং তারা আরো বলেন নিউজ ফিড নামে আর কিছু থাকবে না। তার পরিবর্তে তারা শুধুমাত্র এটিকে ফিড নামে পরিচিত করায়। 

একজন অডিয়েন্স ফিডে কী দেখবে আর কি দেখবে না তার তিনটি প্রধান সিগন্যাল এর উপর নির্ভর করে।

একঃ কে পোস্ট করেছে

অডিয়েন্স যে পোস্টগুলো দেখতে পাবে সেগুলো হচ্ছে,  সে আসলে কার পোস্টগুলো বেশি দেখছে তার ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়।  এটি হতে পারে তার বন্ধু পোস্ট করেছে, হতে পারে কোন একটি বিজনেস পেজে থেকে পোস্ট হয়েছে।

আপনি সেই সোর্সের পোস্টগুলো বেশি দেখবেন সেই সোর্সের পোস্ট বেশি বেশি ফিডে আসতে থাকবে। 

দ্বিতীয়তঃ টাইপ অফ কনটেন্ট

অডিয়েন্স কোন ধরনের কনটেন্ট দেখতে বেশি পছন্দ করছে। এটি কি শুধুমাত্র লেখা অথবা ছবিসহ লেখা নাকি ভিডিও?  সে যে ধরনের কনটেন্ট বেশি দেখতে পছন্দ করবে তাকে সেই ধরনের কনটেন্ট বেশি বেশি দেখানো হবে। 

তৃতীয়তঃ পোষ্টের এঙ্গেজমেন্ট

যে পোস্টগুলো সবচেয়ে বেশি লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার পাবে সেই পোস্টগুলি একজন অডিয়েন্সের বেশি বেশি দেখার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

এছাড়া আরো অসংখ্য জটিল গাণিতিক হিসাব নিকাশ রয়েছে কিন্তু সহজভাবে বলতে গেলে ওপরের এই তিন পদ্ধতি দ্বারা অডিয়েন্সের জন্য নির্ধারিত হয় সে কোন পোস্ট দেখবে এবং কোন গুলো দেখবে না।

একই সাথে কোন একটি পোস্ট যদি ফেসবুক থেকে সাজেস্ট করে এবং সেটি যদি সে পছন্দ না করে তবে সেটি সে হাইড করে ফেলতে পারবে। 

এর বাইরেও কিছু কমন নিষিদ্ধ পোস্ট যেমন, নগ্নতা, ভায়োলেন্স, অথবা সেনসিটিভ ইনফর্মেশন রিলেটেড পোস্টগুলো ফেসবুক অডিয়েন্সদের দেখানোর জন্য নিরুৎসাহিত করে। 

যে 8 টি উপায়ে ফেসবুকের অ্যালগরিদমকে আপনার জন্য কার্যকরী করে তুলতে পারেন

বুঝতে হবে আপনার অডিয়েন্স কি দেখতে চায়

আপনার বিজনেস পেজের পোষ্টগুলো সবার কাছে পৌঁছে দিতে এবং তার সাথে অডিয়েন্স দের এনগেজমেন্ট আরো বাড়িয়ে তুলতে আপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে আপনার অডিয়েন্স ঠিক কোন ধরনের পোষ্ট দেখতে পছন্দ করছে।

এক্ষেত্রে দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ আপনার পোষ্টগুলো অবশ্যই হতে হবে মিনিংফুল এবং ইনফরমেটিভ। 

এবং এই বিষয়টি বোঝার জন্য আপনি অডিয়েন্স ইন্সাইটস ব্যবহার করতে পারেন অথবা বিভিন্ন ধরনের পোস্ট আপনার পেজে দেবার মাধ্যমে সেখানে কারা এবং কিভাবে এঙ্গেজ হচ্ছে সেটি তুলনামূলক পার্থক্য গুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারেন।  

যে ধরনের পোস্টের সাথে আপনার অডিয়েন্স সবচেয়ে বেশি এঙ্গেজ হবে এবং লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার এর মাধ্যমে সেটিকে সাপোর্ট করবে সে ধরনের পোস্ট বেছে নিবেন। 

সঠিক এবং সত্য তথ্য দেবার চেষ্টা করুন

ফেসবুক অথেন্টিক এবং একুরেট ইনফরমেশনগুলো কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বের সাথে প্রচার করে।  তাই যখন পোস্ট করবেন তখন পোস্টগুলোর অথেন্টিসিটি নিশ্চিত করার জন্য সঠিক রেফারেন্স এর সহায়তা নিবেন।

হেডলাইন গুলো  লিখবেন যা পড়ে ভিতরে কি সম্পর্কে বলা হয়েছে সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা আপনার অডিয়েন্স পায়। যদি হেডলাইনে সাথে ভেতরের কন্টেন্ট মিল না থাকে তাহলে সেগুলো অথেন্টিক হিসেবে ফেসবুক মনে না।

ভুয়া তথ্য, মিস ল্যান্ডিং ইনফর্মেশন, ডিপফেক ভিডিও, মেডিকেল ইনফরমেশন, পলিটিক্স ইত্যাদি তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে সাবধান থাকবেন।  

কারন আপনার ভুল তথ্যের কারণে আপনার পেজের কোয়ালিটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।  এবং সেক্ষেত্রে ফেসবুক যদি আপনার পেজের রিচ কমিয়ে দেয়। রিচ পূর্বের অবস্থায় নিয়ে যেতে আপনাকে যথেষ্ট কষ্ট করতে হবে এবং আপনি আদৌ সফল হবেন কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

ফেসবুকের অ্যালগরিদমকে ম্যানুপুলেট করবেন না

অনেকেই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ফেসবুক এর অ্যালগরিদম কে ম্যানুপুলেট করার মাধ্যমে তাদের পোস্টগুলো বেশি পরিমাণে রিচ করার পরিকল্পনা করেন এক্ষেত্রে সাবধান।  ফেসবুক এর অ্যালগরিদম এর বিপরীতে কাজ করার চিন্তাও করবেন না। চেষ্টা করবেন ফেসবুক এর অ্যালগরিদম এর সাথে মানিয়ে কাজ করার জন্য।  

আপনি যদি ফেসবুকের নিয়ম কানুন, তাদের যে কমিউনিটি পলিসি রয়েছে সেগুলোতে যথাযথভাবে মেনে চলে পোস্ট করেন তবে ফেসবুকের রেস্ট্রিকশন থেকে নিরাপদে থাকবেন এবং আপনার পেজের জন্য সর্বোচ্চ এবং এঙ্গেজমেন্ট পাবেন। 

অডিয়েন্সের সাথে এঙ্গেজ থাকুন 

আপনি যত বেশি অডিয়েন্সের সাথে এঙ্গেজ থাকবেন তত বেশি আপনার পোস্ট রিচ করবে।  আপনার পোস্ট গুলোকে ফেসবুক ততবেশি মিনিংফুল এবং অথেন্টিক মনে করবে এবং সেগুলোর ডিস্ট্রিবিউশন বাড়িয়ে দিবে।  

কেউ যদি আপনার পেজে কমেন্ট করে তবে আপনি তার কমেন্টের রিপ্লাই করুন।  কেউ যদি আপনাকে মেসেঞ্জারে কোন কিছু জানতে চায় তবে তার উত্তর দিন।

এমন ধরনের  পোস্ট করুন যে পোস্টগুলো পড়ে আপনার অডিয়েন্স কমেন্ট করার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠে।  ফেসবুক পেজের জন্য ইনফরমেটিভ আর্টিকেল লিখুন ছোট-বড় কোন ধরনের আর্টিকেল আপনার অডিয়েন্স পছন্দ করছে সেগুলো খুজে বের করুন।

অডিয়েন্সদেরকে একে অপরের সাথে এঙ্গেজ হতে সাহায্য করুন

আপনি এমন ধরনের পোস্ট আপনার পেজে করার চেষ্টা করবেন যে ধরনের পোস্টগুলো একজন অডিয়েন্স তার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করে এবং সে বিষয়গুলো নিয়ে তারা কথা বলে।

এই কৌশলের মাধ্যমে ফেসবুক সিগনাল পাবে যে আপনার পোস্টগুলো তাদের জন্য তথ্যবহুল এবং তারা সেটা পছন্দ করছে এবং অন্যদেরকেও সেটি পড়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে।  এই সিগন্যালটি ফেসবুকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্ট্রং সিগন্যাল। 

ফেসবুক রিল এবং স্টোরি ব্যবহার করুন

 

ফেসবুক সাম্প্রতিক সময়ে  রিল এবং স্টোরি প্রমোট করছে।  তাই আপনার পোস্টগুলো স্টোরি’তে শেয়ার করুন ফেসবুকের জন্য ছোট ছোট ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করুন। 

ফেসবুক রিল এবং স্টোরি ডিজাইন করা হয়েছে নতুন ধরনের কনটেন্টগুলো ডিসকভার করার জন্য অর্থাৎ যখন একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর নতুন একটি কনটেন্ট তৈরি করছে সে যদি সেটি তার রিল এবং স্টোরিতে শেয়ার করে তবে সেই পোস্টগুলা ট্রাকশন বেশি পাবে।

বেসিক পোস্টগুলো থেকে সরে যাবেন না

সব সময় যে চোখধাঁধানো গ্রাফিক ডিজাইন অথবা দারুন ভিডিও কনটেন্ট এর মাধ্যমে অডিয়েন্সদের এঙ্গেজ রাখতে হবে ব্যাপারটা এমন নয়। সাধারণ দু-এক লাইন লেখার মাধ্যমে আপনি ওদেরকে রাখতে পারেন। দেখা গেছে এমন অনেক অডিয়েন্স রয়েছে যারা শুধুমাত্র লেখা পড়তে পছন্দ করে। 

ফেসবুক পোস্টে রিচ বাড়ানোর জন্য শেয়ারের আশ্রয় নিন

বিশেষ করে ফেসবুকের বিজনেস পেজগুলোর জন্য শেয়ার একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যাল। তাই আপনি যখনই নতুন পোস্ট করছেন সেগুলো শেয়ার করার জন্য আপনার বন্ধুকে বা অফিসের এমপ্লয়ীদের বলুন। 

কারণ আপনার বন্ধু অথবা অফিসের এমপ্লয়ীরা যখন তাদের নিজের ফিডে এবং তাঁর বন্ধুদের সাথে এগুলো শেয়ার করবে তখন ফেসবুক মনে করবে সেই পোস্ট গুলো অডিয়েন্স পছন্দ করছে এবং সেগুলোর ডিসট্রিবিউশন বাড়িয়ে দিবে বাড়িয়ে দিবে। 

তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন এমন কোনো একাউন্ট থেকে পোস্ট শেয়ার করবেন না যে একাউন্ট ফেক। 

পরিশেষে

আপনাকে প্রতিনিয়ত ফেসবুকের অ্যালগরিদমের চেঞ্জ গুলোকে নজরে রাখতে হবে এবং ফেসবুকের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড কি বলে এবং কোন পোস্টগুলো ফেসবুক অ্যালগরিদম বেশি বেশি প্রমোট করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে সেই বিষয়গুলো। 

যখন এইগুলো আপনি জানবেন তখন এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারবেন।

মনে রাখবেন  কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আবশ্যিকভাবে যা কিছু নিষেধ তা এড়িয়ে যাবেন এবং যা কিছু করতে উৎসাহিত করা হয় সেগুলো বেশি বেশি করবেন। 

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

বিজনেসের জন্য ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) গাইড:  কি, কেন, কীভাবে?

বিজনেসের জন্য ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) গাইড: কি, কেন, কীভাবে?

শেয়ার করুনফেসবুক লাইভ (Facebook Live) কি? ফেসবুক লাইভ ফেসবুকের এমন একটি ফিচার যা একজন ইউজারকে তার বন্ধু, ফলোয়ার এবং পাবলিকদের...

একটি প্রফিটেবল ই-কমার্স বিজনেস শুরুর কমপ্লিট গাইডলাইন

একটি প্রফিটেবল ই-কমার্স বিজনেস শুরুর কমপ্লিট গাইডলাইন

শেয়ার করুনআপনি যদি উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন বা আপনার বিশেষ কোনো স্কিল থাকে (যেমন – ছবি আঁকা, কাস্টম ড্রেস তৈরী...

ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১ বিশ্লেষণ

ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১ বিশ্লেষণ

শেয়ার করুনবাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রনালয় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স(সংশোধিত) নীতিমালা ২০২০ এর পদক্রম অনুসারে ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১’ (Digital Commerce Operation...

আপনার মূল্যবান মতামত দিন

মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না। আবশ্যক ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত *

আগের মন্তব্য গুলো পড়ুন

সবার আগে মন্তব্য করুন