অনলাইন সেল বাড়াতে কিভাবে অফার, কুপন ও ডিস্কাউন্ট ব্যবহার করবেন।

অনলাইন সেল বাড়াতে কিভাবে অফার, কুপন ও ডিস্কাউন্ট ব্যবহার করবেন।

যত দিন যাচ্ছে  প্রোডাক্টের অনলাইন প্রচার প্রচারণায় প্রমোশনাল অ্যাডের খরচ বেড়ে চলেছে। পরিকল্পিত ভাবে প্রোডাক্টের প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন চালাতে সক্ষম না হলে অর্থের অপচয় ও দিনশেষে আপনাকে বিজনেসে লস গুনতে হবে।

সেলস বাড়ানোর জন্য অফার, ডিস্কাউন্ট ও কুপন বহুল প্রচলিত পুরনো একটি পদ্ধতি।এই পদ্ধতি দারুণ রকম কার্যকরী ও প্রমানিত। জানা প্রয়োজন এর সঠিক ব্যবহার। অনেকেই এই পদ্ধতি সম্পর্কে জানলেও এর বৈচিত্র্যময় ব্যবহার জানেন না।

তাহলে প্রোডাক্টের সেল বাড়াতে কিভাবে ব্যবহার করবেন এই পদ্ধতিগুলি।

ডিস্কাউন্ট মানেই সাশ্রয়

একটা গবেষণায় উঠে এসেছে, ডিস্কাউন্ট পাবার পরে কাস্টমারদের শপিংকার্ট পরিত্যাগ করার পরিমান কমে এসেছিল। এর মানে হলো ই কমার্স সাইটে এসে বেশির ভাগ কাস্টমার প্রথমবারেই তাঁদের কেনাকাটা সম্পন্ন করেছে।

২০১৩ সালে RetailMeNot একটা সার্ভে পরিচালনা করে যেখানে ১০,০০৯ জন অংশগ্রহন করে এদের মধ্যে ৫১ % মনে করে ডিস্কাউন্ট তাঁদের অনলাইন কেনাকাটায় দারুণ প্রভাবিত করেছে।

গ্রীষ্ম বা শীতকালীন সময় সেলার নতুন নতুন সব কালেকশন নিয়ে হাজির হন আমাদের সামনে। পছন্দ হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র বাজেটের কারনে আমরা সেগুলি কিনতে পারিনা।

ডিস্কাউন্ট এই ক্ষেত্রে অসাধারণ ভুমিকা রাখে সেল বাড়াতে। কিছু সামর্থ্যবান কাস্টমার ছাড়ের কারনে একটির জায়গায় দুইটি কেনেন, আবার কিছু কাস্টমার তার পছন্দের প্রোডাক্টটি কিনতে পারেন কারন এখন এটি তার বাজেটের মধ্যে।

সেলার ও কাস্টমার উভয়ই এখানে লাভবান হন। বিশেষ করে নতুন সিজনের জন্য প্রোডাক্ট তৈরি ও বেশি পরিমানে সেল বাড়াতে এই পদ্ধতি কার্যকরী।

একটু ভাবুন, আপনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন ব্র্যান্ড শপের দিকে দৃষ্টি পড়তে দেখলেন,আপনি যে ড্রেসটি খুব পছন্দ করেন সেটিতে ৫০% মূল্য ছাড় দিচ্ছে, আপনি অবশ্যই সেটা কিনতে চাইবেন।

অনলাইনেও ঠিক এমনটি হয়। তবে কাস্টমারকে সেই প্রমোশনাল ক্যাম্পেইনটিতে ধরে রাখাটা  চ্যালেঞ্জ।

www.haband.com একটি জনপ্রিয় অনলাইন শপ। তাঁদের প্রমোশনাল ক্যাম্পেইনটি ছিল  অভিনব।


Source: Haband

এধরনের প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন কাস্টমারদের  বিনোদন দেবার মাধ্যমে আকৃষ্ট করে, কারন এতে নতুনত্ব আছে আর যখন সে সর্বোচ্চ ছাড়টিতে পিন করতে পারে তখন তাঁরা খুশি হয়।

Source: Haband

দারুণ না ব্যাপারটা? আপনিও ট্রাই করুন।

ফ্রী অফারের পাওয়ার

ফ্রী অফারে কেনাকাটায় প্রভাবিত হবার যুক্তি হল, কাস্টমার ফ্রী পেতে বেশি ভালোবাসে যদিও ডিস্কাউন্টে বেশি মূল্য সাশ্রয় হয় তারপরেও তাঁরা ফ্রী পেলেই বেশি পরিমানে লাভবান হয় বলে মনে করেন।

একটি গবেষণা এটি প্রমান করেছে, তাঁদের হ্যান্ড লোশনের সেল বেড়ে দাঁড়ায় ৭৩%,  যখন তাঁরা একই মূল্যে একটি বোনাস প্যাক অফার করেছিল।

কেনাকাটার প্রচলিত ধারণা হল, কাস্টমার মনে করে তাঁরা মূল্যছাড়ের চেয়ে ফ্রী তে বেশি সাশ্রয় করতে পারে।কারন সেজন্য তাঁকে মূল্য পরিশোধ করতে হয়না।  

মেয়েরা সাধারণত অফার পেলে কেনাকাটা করতে আরও বেশি উৎসাহী হয়। দেখা গেছে একটির সাথে একটি ফ্রী বা দুটি কিনলে একটি ফ্রী এমন অফারেই তাঁরা বেশি কেনাকাটা করেছে।

কিন্তু অফার দিলেই কি কাস্টমার কিনবে? অফারটি হতে হবে পরিকল্পিত যা কাস্টমারের স্বার্থ রক্ষা করে।

ধরুন, আপনি একজন মেয়ে,  আপনি একটি লাল রঙের ড্রেস কিনেছেন এখন যদি এর সাথে ম্যাচিং লাল রঙের হিল জুতো অফার করা হয় তাহলে আপনি কিনবেন? এতে আপনার লাল রঙের ড্রেসের জন্য ম্যাচিং হিল জুতো কেনার টাকা বেঁচে গেল।  

অথবা, নীল রঙের ড্রেস কিনলে আকাশী রঙের আর একটি ড্রেস ফ্রী, তাহলে, আপনার দুটি ভিন্ন রঙের ড্রেস হয়ে গেলো একটির দামে, এবার কিন্তু আপনি ড্রেস কিনবেন।

ধরুন, একটি অনলাইন শপ আপনার ও আপনার স্ত্রীর জন্য জুতো কিনলে বাচ্চার জুতো ফ্রী অফার করছে, আপনি অফারটি নিতে চাইবেন কারন, অতিরিক্ত একজোড়া জুতো কেনার খরচ বেঁচে গেল।

অনেক সময় অফার পেলে কাস্টমার না চাইলেও  কেনে যা সে কিনবে বলে পরিকল্পনা করেনি।

নিজের ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করুন মাত্র ৫ মিনিটে

ব্যবহারে সহজ

কোডিং এর ঝামেলা নেই

খরচ সাধ্যের মধ্যে

সাইন আপ

 

কুপন কাস্টমারের মনে কেনার আনন্দ জাগায়।

৫৭% কাস্টমার তাঁদের কুপন ব্যবহার করে প্রথমবারেই  কেনাকাটা সম্পন্ন করেছে এবং ৬২% কাস্টমার সেই অনলাইন শপে বার বার শপিং করেছে যারা তাঁদের কাস্টমারদের আরও  কেনাকাটা করতে কুপন প্রদান করেছিল।

কোন একসময় ছিল, পত্রিকায় প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপনের সাথে কুপন জুড়ে  দেয়া হতো। কেউ সেই কুপনটি সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট প্রোডাক্টটি কিনলে মূল্য ছাড় পেতো।

অনলাইন শপে এই পদ্ধতি সেল বাড়াতে দারুণ প্রভাবক। আপনি যখন ভাবছেন কিছু কিনবেন আর কোন অনলাইন শপ যদি আপনাকে  কুপন দেয় তাহলে আপনি তার কাছেই কিনবেন।

আমরা কেবল নির্দিষ্ট একটি প্রোডাক্টের জন্য নির্ধারিত  একটা ছাড় দিতে দেখি কুপনে। কিন্তু আপনি যদি আপনার সব ক্যাটাগরির জন্য আলাদা পরিমান ছাড় একটি কুপনে দেন তাহলে বেড়ে যাবে কাস্টমারের কেনার পরিমান।

নিচের ছবি হতে একটি ধারনা পাবেন,

Source: JOANN

তথ্য রেফারেন্সঃ www.huffpost.com

আপনার অনলাইন বিজনেস সম্পর্কিত যে কোনো প্রশ্ন বা সমস্যা সমাধানে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে 0176668138 অথবা 01729241499 অথবা [email protected]

বিজনেসের জন্য ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) গাইড: কি, কেন, কীভাবে?

বিজনেসের জন্য ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) গাইড:  কি, কেন, কীভাবে?

ফেসবুক লাইভ (Facebook Live) কি?

ফেসবুক লাইভ ফেসবুকের এমন একটি ফিচার যা একজন ইউজারকে তার বন্ধু, ফলোয়ার এবং পাবলিকদের সাথে  লাইভ ভিডিও ব্রডকাস্ট করার সুবিধা প্রদান করে। এটির জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে যেখানে ফেসবুক এক্সেস থাকবে এবং আপনার ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। 

ফেসবুক অ্যাপ এবং ওয়েব ব্রাইজার দিয়ে “লাইভ” করা যায়। এক্ষেত্রে অ্যাপ ও  ব্রাউজার এর জন্য ফেসবুক লাইভ করার ধরন ভিন্ন হয়ে থাকে। আমরা স্টেপ বাই স্টেপ সেগুলো শিখবো। কেউ যখন ফেসবুক লাইভে ব্রডকাস্ট করে তখন  রিয়েল টাইমে তার ফলোয়ারগণ সেখানে রিয়াক্ট, কমেন্টস ও শেয়ার করতে পারে। 

ফেসবুক  লাইভ শেষ হবার পর সেটি রেকর্ডেড ভার্সন হিসেবে পেজে আপলোড করতে পারেন। পরবর্তী সময়ে  আপনার ফলোয়ার  বা ফ্রেন্ডস এটি দেখতে পারে। ফেসবুক লাইভ রিয়েল টাইমে অডিয়েন্সের সাথে যুক্ত হবার জন্য সেরা মাধ্যম। এটি ভিন্ন ভিন্ন পারপাসে ব্যবহার করা হয়ে থাকে যেমন,   

  • প্রশ্ন উত্তর পর্ব  
  • লাইভ ইভেন্ট ব্রডকাস্টিং  
  • প্রোডাক্টেড ডেমো দেখানো বা টিউটোরিয়াল দেখানো  
  • লাইভ মিউজিক বা কমেডি শো  সরাসরি প্রচার করতে  
  • বন্ধু বা পরিবারের সাথে সরাসরি অডিও ভিডিও কলে যুক্ত থাকতে  
  • এবং বর্তমান সময়ে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করার জন্য এটি বহুল ব্যবহৃত একটি ফিচার আর আজকের আলোচনার বিষয় মূলত এটি। 

ফেসবুক লাইভে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করার বেনিফিট কি? 

প্রথম,  বড় টার্গেট অডিয়েন্সকে রিচ করা যায়। ফেসবুকে ২.৯ বিলিয়ন এক্টিভ ইউজার রয়েছে আর আপনি এই বিশাল পরিমাণ অডিয়েন্সকে রিচ করতে পারেন লাইভের মাধ্যমে।   

দ্বিতীয়ত, ফেসবুক লাইভ ট্রেডিশনাল প্রি-রেকর্ডেড ভিডিও-র চেয়ে  অনেক বেশি এনগেজিং হয়ে থাকে। ভিউয়ার আপনাকে প্রশ্ন করতে পারে,  তার মতামত জানাতে পারে,  কমেন্ট এবং রিয়েক্ট করার মাধ্যমে  তাদের পছন্দ বা অপছন্দগুলো প্রকাশ করতে পারে সবার সম্মুখে।   

তৃতীয়ত, অডিয়েন্স দেখে আপনি সত্যিকার অর্থে আপনার বিজনেস দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন কিনা। আপনি তাদের  জন্য নতুন  কী প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অফার করছেন। প্রোডাক্ট ও সার্ভিস নিয়ে আপনার এক্সপার্টিজ তারা দেখে যা কাস্টমারদের আরো কেনাকাটার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। 

চতুর্থ,  আপনার যদি একটি দোকান থাকে অথবা আপনি ই-কমার্স বিজনেস করে থাকলে আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তবে সেখানে  ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারেন।

পঞ্চম,  ফেসবুক লাইভে নতুন প্রোডাক্ট দেখানো, সে বিষয়ে ডিটেলস  কাস্টমারদের জানানো, তাদের অবজেকশনগুলোকে  হ্যান্ডেল করে তাদেরকে আরো বেশি কেনাকাটায় উৎসাহিত করতে পারেন। 

প্রশ্ন হলো, কেন আপনি এটি ব্যবহার করবেন?

কারণ এটি সম্পূর্ণরূপে ফ্রী, ফলে এই ফিচারটি ব্যবহার করে বিশাল অডিয়েন্সদেরকে রিচ ও এনগেজ করতে আপনাকে একটি পয়সাও ব্যয় করা লাগেনা। 

এটি ব্যবহারে সহজ ফলে, যে কোন শ্রেণী পেশার মানুষ সহজে এর সুবিধা নিতে পারেন  এবং এর জন্য স্পেশাল কোন  ইকুপমেন্টের প্রয়োজন পড়ে না।

এটি দারুণ ইন্টারেক্টিভ, ফলে আপনি কাস্টমারদের আগ্রহ গুলো সম্পর্কে রিয়েল টাইমে অবগত হন যা কিনা  আপনার টার্গেট অডিয়েন্সদের সম্পর্কে বা মার্কেট সম্পর্কে একটি সম্মুখ ধারণা প্রদান করে। 

এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এটি পরিকল্পিত কোন রেকর্ড করা ভিডিও না।  যেহেতু সবকিছু রিয়েল টাইমে হচ্ছে বিধায়  কাস্টমার এটিকে বিশ্বাস করে। 

Facebook লাইভ সেলিং এর বেস্ট প্র্যাকটিস গুলো কি?

ফেসবুক লাইভ শুরু করার পূর্বে আপনাকে যা করতে হবে,

কন্টেন্ট প্ল্যানিং: 

কোন প্রোডাক্টগুলো আপনি লাইভে দেখাবেন সে প্রোডাক্টগুলোর ফিচার এবং বেনিফিটসগুলো কি কি,  আপনি অফার বা ডিসকাউন্ট দিচ্ছেন কিনা – সেগুলো নির্ধারণ করে নিবেন। প্রয়োজন মত একটি স্ক্রিপ্ট তৈরি করে নিবেন এবং লাইভ করার পূর্বে একটু রি-হার্শেল করে নিতে পারেন। ফলে লাইভ চলাকালীন সময়ে অনেক ইনফরমেশন আপনি গুছিয়ে বলতে পারবেন।

লাইভ করার সময় আগেই জানিয়ে দিতে পারেন: 

ফেসবুক লাইভে আপনি কি দেখাতে চলেছেন এবং কোন সময়ে লাইভ শুরু করবেন সেটি জানিয়ে একটি পাবলিক পোস্ট করতে পারেন। এছাড়াও সেই পোষ্টটি আপনি প্রমোট করতে পারেন যাতে একটি বড় অডিয়াস গ্রুপ আপনার লাইভের সময়সূচি জানতে পারে।

প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট সেটআপ করা:

যে ডিভাইস ব্যবহার করে আপনি লাইভ করবেন সে ডিভাইসের ক্যামেরা এবং সাউন্ড যেন সঠিকভাবে কাজ করে, একই সাথে লাইটিং টা যেন ঠিকঠাক থাকে। ভিডিও লাইভ স্টার্ট করার জন্য প্রয়োজন আপনি ট্রাইপড ব্যবহার করতে পারেন।

লোকেশন:

যেখানে আপনি লাইফ স্টিমিং পারফর্ম করবেন সে লোকেশনটি হইতে হবে নিরব এবং ব্যাকগ্রাউন্ড হতে হবে ভালো। এমন কোন ব্যাকগ্রাউন্ডে দাঁড়াবেন না যেটি আপনার প্রোডাক্টগুলোকে হাইলাইট করতে সমস্যা সৃষ্টি করে। 

লাইভ চলাকালীন সময়ে কি করবেন;

বি ইউরসেলফ:

আপনি জেনুইন থাকবেন, মানুষ আপনার  অথেন্টিসিটি এবং আপনার পার্সোনালিটি উপর নির্ভর করে আপনার ব্রান্ডের সাথে কানেক্ট ফিল করবে।

এঙ্গেজ থাকুন:

যখন ভিউয়ার লাইভের সাথে ইন্টারাক্ট করছে কমেন্টস এর মাধ্যমে, তাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন লাইভ এর মধ্যেই ।

ভ্যালুয়েবল ইনফরমেশন প্রোভাইড করুন:

যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসটি আপনি লাইভের মাধ্যমে সেল করছেন সেটির বেনিফিটস ফিচার হাইলাইট করুন। দেখেন আপনার প্রোডাক্টটি কিভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে এর বিল্ট কোয়ালিটি কতটা ভাল, এটি কিভাবে কাজ করে যা আপনার কাস্টমারকে তার চাহিদা সম্পর্কে সচেতন করবে।

লাইভ করার শেষে কি করবেন

রেকর্ডেড লাইভটি পাবলিশ করুন:

লাইভ শেষ হয়ে গেলে রেকর্ডেড লাইভ হিসেবে পোস্টটি পেজে পাবলিশ করে দিবেন এতে পরবর্তী সময়ে আপনার অডিয়েন্স সেটি দেখার সুযোগ পাবে।

কাস্টমার কুইরি ফলোআপ:

পাবলিশ করা লাইভটিতে পরবর্তী সময়ের কাস্টমার কমেন্ট করতে পারে সেগুলো প্রপার ফলোআপ করুন অথবা লাইভ দেখে কাস্টমার আপনার ইনবক্সেও মেসেজ করতে পারে – সেগুলো নিয়মিতভাবে চেক করুন এবং তাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন।

লাইভের রেজাল্ট এবং পারফরম্যান্স এনালাইসিস করুন: 

লাইভ শেষ করার পরবর্তী সময় অথবা কয়েকদিন পরে সে লাইভটির পারফরম্যান্স কেমন ছিল তা জানতে ভিউয়ার কত লম্বা সময় লাইভ টি দেখেছে, তারা লাইভে কি ধরনের প্রশ্ন করছে, কি ধরনের অডিয়াস এনগেজমেন্ট সেখানে হচ্ছে সেগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করুন। এবং পরবর্তী লাইভ করার সময় এই বিষয়গুলো কনসিডার করুন।

কিছু অ্যাডিশনাল টিপস,

ফেসবুক লাইভে সরাসরি প্রোডাক্ট ট্যাগ করে সেটি কাস্টমারদের কেনার সুযোগ করে দেবার জন্য ফেসবুক লাইভ শপিং ফিচার রয়েছে। আপনি একটু এডভান্স লেভেলে কাজ করতে গেলে এই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন। যা কাংখিত সেল জেনারেট করতে অনেক হেল্প করবে। 

কিভাবে ফেসবুক লাইভ শপিং ফিচারটি ব্যবহার করবেন তা নিয়ে বিস্তারিত গাইড বুক নিচের লিংকে ক্লিক করে ডাউনলোড করুন।

ডাউনলোড করতে লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/business/tools/live-shopping/get-started

অন্য ব্র্যান্ড বা বিজনেসের সাথে কোলাবারেশন করুন:

আপনি কো হোস্ট হিসাবে অন্য বিজনেসের সাথে কোলাবরেট করে লাইভ করতে পারেন। এটি ক্রস প্রমোশনাল অ্যাক্টিভিটির মধ্যে ধরা হয় যা আপনাকে আরো বড় অডিয়েন্সের কাছে নিয়ে যাবে।

কিভাবে ফেসবুক লাইভ করবেন?

ফেসবুক লাইভ মোবাইলের ফেসবুক অ্যাপ অথবা ডেক্সটপে ওয়েব ব্রাউজার থেকেও করতে পারেন। ক্রিয়েটর তার ফেসবুক পেজ, প্রোফাইল, গ্রুপ অথবা ইভেন্ট পেজ থেকেও লাইভ স্ট্রিম করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে মোবাইল এবং ওয়েব ব্রাউজারের লাইভ মেকিং প্রসেসের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।

ফোন ব্যবহার করে কিভাবে লাইভ করবেন?

স্টেপ ওয়ান:  

প্রথমে আপনার ফেসবুক পেজ, প্রোফাইল অথবা ইভেন্ট যেখান থেকে আপনি লাইক করতে চান সেখানে যান।

স্টেপ টু:

ক্লিক করুন “হোয়াটস ওয়ান ইওর মাইন্ড” লিখা এই অপশনে।

স্টেপ থ্রি: 

এবারে লাইভ ভিডিও অপশনটিতে ক্লিক করুন।

স্টেপ ফোর: 

ট্যাপ করার পরে দেখবেন সেখানে একটি অপশন রয়েছে, যেখানে আপনাকে ডেসক্রিপশন দিতে বলা হচ্ছে। সেখানে আপনার পছন্দমত ডেসক্রিপশন লিখুন। কোন ফ্রেন্ডকে ট্যাগ করতে চাইলে তাকে ট্যাগ করুন অথবা কোন পেজকে ট্যাগ করতে চাইলে ট্যাগ করতে পারবেন। লোকেশন দিতে পারবেন এবং আপনার ফিলিং এবং এক্টিভিটিজ সেখানে অ্যাড করতে পারবেন।

স্টেপ ফাইভ:

এবারে স্টার্ট লাইভ ভিডিও এই বাটনে ক্লিক করে লাইভ শুরু করুন।

স্টেপ সিক্স:  

যখন ভিডিওটি লাইভ হয়ে যাবে এরপরে আপনার লাইভ সেশনটি শেষ করতে চাইলে ফিনিশ নামে একটা অপশন আসবে সেখানে ক্লিক করে আপনি লাইভ শেষ করবেন। 

ওয়েব ব্রাউজার থেকে কিভাবে ফেসবুক লাইভ করবেন?

ওয়েব ব্রাউজার থেকে ফেসবুকে লাইভ করার জন্য আপনি যে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটারটি ব্যবহার করছেন সেটিতে যদি বিল্ট ইন ক্যামেরা থাকে তবে ভালো, না থাকলে একটি এক্সটার্নাল ক্যামেরা আপনাকে লাগিয়ে নিতে হবে। একই সাথে অডিও এর  জন্য যদি মাইক্রোফোন বিল্ট ইন থাকে তাহলে ভালো। যদি না থাকে তবে আপনাকে একটা অডিও ডিভাইস লাগিয়ে নিয়ে নিতে হবে। 

স্টেপ ওয়ান: 

ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ দিয়ে আপনার ফেসবুক হোম পেজ থেকে যদি লাইভ করতে চান তবে যেখানে ক্যাপশন বা স্ট্যাটাস দেওয়া হয় সেখানে ক্লিক করলে লাইক বা লাইক ভিডিও অপশন নামে একটি অপশন পাবেন।

টেপ টু:

সেখান থেকে গো লাইভ বা ক্রিয়েট লাইভ ভিডিও ইভেন্ট এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।

টেপ থ্রি:

লাইভ ভিডিওর ডিটেলস ক্যাপশনে দিবেন এবং  স্টার্ট করার টাইম সিলেক্ট করে দিবেন আপনি যদি কো হোস্ট  হিসেবে লাইভ ভিডিওটিতে কাউকে নিতে চান, তবে তাকে ইনভাইট করবেন।

স্টেপ ফোর:  

গো লাইভ  ভিডিওতে ক্লিক করলে লাইভটি স্টার্ট  হয়ে যাবে।

লাইভ ভিডিও টুলস

লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে অডিওসদের কানেক্ট করার জন্য অনেকগুলো ফিচারস বা টুলস রয়েছে। যেগুলো আপনার লাইভ ভিডিওকে আরও এনগেজিং এবং মিনিংফুল করে তুলতে সহায়তা করে। সেগুলো বিষয়ে জেনে নেয়া যাক,

লাইভ পোল:  

অনলাইন পোল বা জনমত জরিপের জন্য এই ফিচারটি  ব্যবহার করতে পারেন।

ফিচার্ড লিংক: 

আপনি একটা লাইভ স্ট্রিমে মাল্টিপল অথবা সিঙ্গেল ফিচার লিংক ব্যবহার করে ওয়েবসাইট বা অন্য কোন সোর্স কে প্রমোট করতে পারেন। 

লাইভ ইন স্টোরি:  

সমসাময়িক সময়ে ফেসবুক সরাসরি ফেসবুক স্টোরিতে লাইফ স্টিম করার সুবিধা দিচ্ছে যেটি কাস্টমারদের এঙ্গেজ করার জন্য দুর্দ্রান্ত একটি মাধ্যম।

লাইক কমেন্ট মডারেশন:

লাইভ স্ট্রিম চলাকালীন সময়ে কারা কমেন্ট করতে পারবে বা পারবে না তাদের কমেন্ট আপনি এলাও করবেন বা করবেন না এ সকল বিষয়ে আপনি মডারেট করতে পারবেন।  পাশাপাশি আপনার পক্ষ হয়ে অন্য কাউকে সেই কমেন্ট মডারেশন করার সুযোগ আপনি করে দিতে পারেন।

ফ্রন্ট রো:   

এই ফিচারটির মাধ্যমে আপনার পেইজের টপ ফ্যানদেরকে স্পেশাল একটা সেকশনে হাইলাইট করতে পারবেন।

ব্যাচ:  

কনটেন্টের সাথে এনগেজমেন্টের প্যাটার্ন অনুযায়ী আপনার ফ্যানরা ব্যাচ আর্ন করতে পারবে। 

ডোনেশন: 

আপনি ফেসবুক লাইভের এই ফিচারটি ব্যবহার করে ডোনেশন সংগ্রহ করতে পারবেন। ডোনেট বাটনে ক্লিক করে মানুষ নন প্রফিট অর্গানাইজেশনের জন্য অথবা কোন এমার্জেন্সি ইভেন্টের জন্য ডোনেশন দিতে পারবেন 

লাইভ উইথ:  

একি আপনাকে কো ব্রডকাস্টিং এর সুবিধা দেয় অর্থাৎ আপনি অন্য একজন গেস্ট  বা মাল্টিপল হোস্ট  নিয়ে লাইভ করতে পারবেন। 

লাইভ শপিং:  

এটি ফেসবুকের লিস্টেড  প্রোডাক্টগুলো নিয়ে ডিরেক্ট লাইভ স্ট্রিম এর মাধ্যমে সেল করার সুবিধা প্রদান করে।

সাবস্ক্রিপশন:

SaaS মডেলের কোন সফটওয়্যার এর জন্য অথবা কনটেন্ট, ব্লগ বা চ্যানেল সাবস্ক্রিপসনের জন্য আপনি এই স্পেশাল ক্যাটাগরি লাইফ টা করতে পারেন।

নিজের ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করুন মাত্র ৫ মিনিটে

ব্যবহারে সহজ

কোডিং এর ঝামেলা নেই

খরচ সাধ্যের মধ্যে

সাইন আপ

 

লাইভ ভিডিও পারফরমেন্স

ফেসবুক লাইভ ভিডিও পারফরম্যান্স এনালাইসিস টুলস আপনার লাইভ ভিডিওর পারফরম্যান্স সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে। এ তথ্যগুলো আপনাকে বুঝতে সহায়তা করে কিভাবে পরবর্তী ভিডিওগুলোর জন্য আপনি প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন এবং রেজাল্ট নিয়ে আসবেন।

ফেসবুক লাইভ ভিডিও পারফরম্যান্স এনালাইসিস গুলোর মধ্যে আপনি যে বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেবেন তা হচ্ছে,

  • ভিউ:  আপনার ভিডিওগুলো কতবার দেখা হয়েছে সেগুলো
  • অডিয়েন্স: কারা আপনার ভিডিও গুলো দেখছে এবং তাদের সংখ্যা কত
  • এনগেজমেন্ট:  ভিডিওটিতে আপনি কতগুলো লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার অর্জন করেছেন
  • ইম্প্রেশন:  কতবার ভিডিওগুলো আপনার অডিয়েন্সের সামনে প্রদর্শিত হয়েছে

আপনার লাইভ ভিডিওটি কতটা জনপ্রিয় এবং এটি কতটি কার্যকর ভাবে অডিয়েন্সদের এনগেজ করতে পারছে সে সম্পর্কে ধারণা দেয়। এ তথ্যগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ভিডিও গুলোর জন্য আইডিয়াল টাইম এবং ডেট নির্ধারণ করতে পারবেন আপনাকে আরো বেশি রিচ সাহায্য করবে।

ফেসবুক লাইভ ভিডিও পারফরমেন্স এনালাইসিস করতে আপনাকে ফেসবুক পেজে যেতে হবে > এবং সেখান থেকে ক্রিয়েটর  স্টুডিওতে ক্লিক করতে হবে > এখন ভিডিওটাতে ক্লিক করে >  লাইভ ভিডিওতে ক্লিক করতে হবে>  এখানে আপনার লাইভ ভিডিওগুলি লিস্ট দেখতে পাবেন। প্রতিটি ভিডিওর জন্য ইনসাইট পেতে হলে আপনাকে ইনসাইট বাটনে > ক্লিক করতে হবে।

কিছু দরকারি টিপস

ভিডিও অ্যানিলিটিক্স বা ইনসাইট থেকে পরবর্তী ভিডিওতে আরো ভালো করতে হলে আপনাকে নিয়মিত এনালিটিক্স  গুলো পর্যালোচনা করতে হবে। আপনাকে আপনার KPI গুলো নির্ধারণ করতে হবে। দলগতভাবে প্রতিটি বিষয় পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি পরবর্তীতে কি করতে চলেছেন। 

পরিশেষে 

ফেসবুক লাইভ বেচাকেনার জন্য নতুন নতুন  কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে এবং সেল বাড়াতে একটি শক্তিশালী ফিচার ।এটি আপনার অডিয়েন্সের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার এবং রিয়েল টাইমে তাদের সামনে আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস শোকেস করার একটি দুর্দান্ত উপায়।

ফেসবুক লাইভ ব্যবহার করে সফল হতে, সঠিক পণ্য নির্বাচন করুন, প্রস্তুত থাকুন, এনগেজিং  হন, আকর্ষণীয়  অফার দিন এবং লাইভ স্ট্রিমের পরে ফলোআপ করুন।

এই টিপসগুলি সঠিক ভাবে অনুসরণ করলে আপনি নিশ্চিত করতে পারেন যে আপনার ফেসবুক লাইভ সেলিং সফল হবে এবং আপনার বিজ্নেসকে আরো বড় করে তুলতে সহায়ক হবে।

একটি প্রফিটেবল ই-কমার্স বিজনেস শুরুর কমপ্লিট গাইডলাইন

একটি প্রফিটেবল ই-কমার্স বিজনেস শুরুর কমপ্লিট গাইডলাইন

আপনি যদি উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন বা আপনার বিশেষ কোনো স্কিল থাকে (যেমন – ছবি আঁকা, কাস্টম ড্রেস তৈরী করা, সৌখিন জিনিস তৈরী করা ইত্যাদি ) – তাহলে আপনি একবার হলেও ই-কমার্স বিজনেস শুরু করার চিন্তা করেছেন! সহজ মনে হলেও একটা ই-কমার্স বিজনেস শুরু করা কিন্তু কোন সহজ বিষয় নয়! 

আপনাকে পরিষ্কারভাবে জানতে হবে – একটি প্রফিটেবল ই-কমার্স বিজনেস গড়ে তুলতে কোন কোন বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ।

এই আর্টিকেলে আমরা জানবো সেই সকল বিষয়গুলো যা বছরের পর বছর ধরে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি স্পেশালিস্টরা বিজনেস পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন এবং যে বিষয়গুলো একটা ই-কমাস বিজনেসের জন্য অবশ্যই থাকতে হয়।

মনে রাখবেন, ই-কমার্স বিজনেস মূলত ট্র্যাডিশনাল বিজনেসের একটি ডিজিটাল ফর্ম। তাই ট্রেডিশনাল বিজনেসের কোর ফাংশনগুলোর সাথে ই-কমার্স বিজনেস ফাংশনের অনেক মিল থাকলেও এদের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। 

ট্রেডিশনাল বিজনেস এবং ই-কমার্স বিজনেসের মধ্যে পার্থক্য:

বিস্তারিত পড়ুন: Difference between Traditional Commerce and E-commerce

এখন একটি  ই-কমার্স বিজনেস শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় স্টেপ গুলো কী ও প্রতিটি স্টেপে আপনাকে কী করতে হবে সেই বিষয়ে জানবো 

১।আইডিয়া জেনারেশন ও মার্কেট রিসার্চ 

এই ধাপে আপনাকে এমন একটি নিশ প্রডাক্ট বেছে নিতে হবে যে প্রোডাক্ট সম্পর্কে আপনি খুব ভালোভাবে জানেন এবং বোঝেন। সেই প্রোডাক্টের মার্কেট ডিমান্ড কেমন সেটি নিয়ে রিসার্চ করতে হবে।

এই পর্যায়ে আপনার রিসার্চ এর বিষয়গুলো হবে,

  1. আপনার টার্গেট অডিয়েন্স (Target Audience)
  2. কম্পিটিটর  (Competitor)
  3. ইন্ডাস্ট্রি ট্রেন্ডস (Industry Trends)
  4. মার্কেট ল্যান্ডস্কেপ (Market Landscape)

চিত্র: market landscape 

মার্কেট রিসার্চ করার জন্য অনলাইনে অনেকগুলো টুলস রয়েছে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী টুলস ব্যবহার করে এ রিসার্চ গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কিছু মার্কেট রিসার্চ  টুলস উল্লেখ করা হয়েছে,

SurveyMonkey: এটি একটি অনলাইন সার্ভে এবং ফ্রম বিল্ডার টুলস। 

Google Analytics: এটি ওয়েব এনালিটিক্স টুলস যা কোন একটি বিষয় বস্তুর ওপরে  অনলাইন সার্চ সংক্রান্ত  পরিসংখ্যানগত ডেটা প্রদান করে। 

Moz Keyword Explorer: এটি একটি অনলাইন কি অর রিসার্চ টুল যা কোন একটি বিষয়বস্তুর ওপর সার্চ টার্মগুলো ও ভলিউম গুলোর  হিস্টোরিক্যাল ডাটা আপনাকে প্রদান করে। 

অনলাইন টুলস গুলো ব্যবহার করে আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেস করতে চান সেটির মার্কেট  ডিমান্ড টার্গেট গ্রুপের আইডিয়া এবং কাস্টমার কুইরি গুলোর হিস্টরিকাল ডেটা এনালাইসিস করে আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেস করছেন সেটি আপনাকে যথেষ্ট প্রফিট করতে সাহায্য করবে কিনা জানতে পারবেন। জানতে পারবেন টার্গেট অডিয়েন্সরা আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে কি ধরনের ইন্টারেস্ট রাখে। 

২।বিজনেস প্ল্যান 

hubspot.com এর একটি রিসার্চ মতে প্রায় ২০% Startup business ফেইল করে কারণ তাদের একটি পরিষ্কার বিজনেস প্ল্যান নেই। তাই একটি উইনিং বিজনেসের সবচেয়ে ক্রুশিয়াল পার্ট হচ্ছে একটি ক্লিয়ার বিজনেস প্ল্যান।

বিজনেস প্ল্যান একটি কোম্পানির বিজনেস অবজেক্টিভ কী সেটি নির্ধারণ করে।  সেই কোম্পানির কাঙ্ক্ষিত বিজনেস গোল অ্যাচিভ করার জন্য কিভাবে প্ল্যানিং করতে হবে সেটি  উল্লেখ থাকে। 

আপনি যদি ক্লিয়ার ভাবে না জানেন আপনার বিজনেসে আপনি কি করতে চলেছেন? তাহলে কিভাবে সেটি করবেন সে বিষয়ে আপনি ধারণা পাবেন না। তাই বিজনেস শুরুর আগে বিজনেসের প্ল্যান নিয়ে একটি প্রপার ডকুমেন্টেশন অত্যন্ত জরুরী। 

কিভাবে বিজনেস প্ল্যান করবেন? একটি বিজনেস প্ল্যান এর জন্য কি কি প্রয়োজন? এটি তৈরি করার জন্য দরকারি টিপস এবং টেমপ্লেট গুলো জানতে নিচে দেয় লিংকে ক্লিক করে বিস্তারিত পড়ুন।

 What is a Business Plan? Definition, Tips, and Templates  

চিত্র: বিজনেস প্ল্যান 

৩। লিগ্যাল এন্ড লজিস্টিক

বিজনেস এর এই ধাপে এসে আপনাকে বিজনেসের ধরন অনুযায়ী একটি মানানসই নাম পছন্দ করতে হবে।  নাম সিলেকশন হয়ে গেলে সেই নামের সাথে মিলিয়ে একটি বিজনেস ডোমেইন কিনে ফেলতে হবে। বিজনেস ডোমেইন নাম মূলত একটি বিজনেসের ইউনিক আইডি। গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে সহজেই অডিয়েন্স আপনার বিজনেস কে খুঁজে পেতে পারে।

আপনার বিজনেসের জন্য ডোমেন নেইম অ্যাভেলেবল আছে কিনা নিচের ওয়েবসাইটে গিয়ে চেক করুন, 

https://www.godaddy.com/en-ie

পছন্দের নামটি available থাকলে সেটি আপনার নিজের ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট কার্ড দ্বারা কিনে ফেলতে পারেন অথবা ডোমেন রিসেলারদের সাহায্য নিতে পারেন। কিংবা ডোমেইন কেনার জন্য প্রয়োজনে নিচের উল্লেখিত ওয়েবসাইটে রিকুয়েস্ট করতে পারেন,

https://deshicommerce.com/ 

DesiCommerce মূলত ই-কমার্স সলিউশন প্রোভাইডার, যেখানে আপনি একটি ই-কমার্স বিজনেস শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সেবা একটি সিঙ্গেল প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে পাবেন।

Domain Name পছন্দ করার সময় অবশ্যই নিম্ন উল্লিখিত বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিবেন,

  • নামটি যেন ছোট এবং শ্রুতি মধুর হয়।
  • আপনি যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে কাজ করছেন নামটি যেন তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। 
  • প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর জন্য যে কিওয়ার্ডগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডোমেইনে সেই কিওয়ার্ড থাকলে ভালো হয়। 

বিজনেস নাম সিলেকশন এর ক্ষেত্রে আপনি অনলাইন বিজনেস নেম জেনারেটরের সাহায্য নিতে পারে। https://namelix.com/   এই অনলাইন নেইম জেনারেটর আপনাকে একটি আদর্শ Business Name  কেমন হয় সে বিষয়ে প্রাসঙ্গিক ধারণা দেবে।  প্রয়োজন বোধে আপনি সেখান থেকেও নাম সিলেক্ট করতে পারেন। 

আপনার বিজনেসের জন্য আদর্শ ডোমেন নেইম কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে পরামর্শ পেতে, 

এরপরে আপনার বিজনেসের জন্য একটি ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করতে হবে। যদি পার্টনারশিপ বিজনেস হয় তাহলে পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট তৈরি করে নিবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন ভালো লইয়ারের সাথে পরামর্শ করে নিতে পারেন।

এবারে প্রয়োজন পড়বে একটি ব্যাংক একাউন্ট। আপনার সুবিধামতো কোন একটি ব্যাংকে একটি বিজনেস একাউন্ট খুলে ফেলবেন।  সেই সাথে মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা গুলো থাকাটা অতি জরুরী,  বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে বিকাশ রকেট এবং নগদ সবচেয়ে বেশি পপুলার।

৪। প্রোডাক্ট সোর্সিং

যদি আপনি নিজে প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচার না করেন তবে আপনাকে সাপ্লায়ার সোর্সিং করার প্রয়োজন পড়বে। সাপ্লাইয়ার সিলেকশন এর ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে মাথায় রাখবেন যেমন,

  • অর্ডার দিলে সে কত সময়ের মধ্যে সেটি আপনাকে ডেলিভার করবে।  
  • যে প্রোডাক্টটি নিয়ে কাজ করছেন সেই প্রোডাক্টটি সাপ্লাইয়ারের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে মজুদ রয়েছে কিনা অথবা যদি মজুদ না থাকে তবে প্রয়োজনে সে প্রোডাক্টগুলো সে এনে দিতে পারবে কিনা।  
  • তার বিজনেসের বয়স কত দিন ইত্যাদি। 

সাপ্লাইয়ার এর সাথে বিজনেসের ক্ষেত্রে অবশ্যই চেষ্টা করবেন ক্রয় সংক্রান্ত সকল রিসিভ ও ইনভয়েসগুলো যথাযথভাবে মেইনটেইন করতে। প্রোডাক্ট কোয়ালিটি যাচাই করে নিবেন। রিটার্ন বা রিফান্ড পলিসি কি হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে নিবেন।

এবং অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সাপ্লাইয়ের উপর নির্ভর করবেন না। ব্যাকআপ হিসাবে আরো দুই থেকে তিনজন সাপ্লাইয়ারকে পাইপ লাইনে রাখবেন।

সাপ্লাইয়ারের পছন্দের ক্ষেত্রে তার কমিউনিকেশন এবং প্রোডাক্ট কোয়ালিটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে। মনে রাখবেন দিনশেষে কোয়ালিটি প্রোডাক্ট দিয়েই মার্কেটে আপনাকে টিকে থাকতে হবে। আপনি যত ভালই কাস্টমার সার্ভিস দেন না কেন প্রোডাক্ট কোয়ালিটি যদি আপটু দা মার্ক না হয় তবে আপনি কোনভাবেই বিজনেস ধরে রাখতে পারবেন না।

৫। ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট 

ওয়েবসাইট একটি ই-কমার্স বিজনেসের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য টুলস।  মূলত ই-কমার্স মার্কেটিংয়ের প্রসেস ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট থেকেই শুরু হয়। ই-কমার্স বিজনেস পরিচালনা করতে হলে আপনার একটি অবশ্যই ইউনিক ওয়েবসাইট থাকতে হবে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেমন হতে হবে সেই ওয়েবসাইটটি? 

টেকনোলজি:

মার্কেটে দুই ধরনের মডেলে ই-কমার্স ওয়েবসাইট পাওয়া যায়।  

  • একটি হচ্ছে কাস্টম ডেভেলাপ ওয়েবসাইট,  
  • অন্যটি হচ্ছে SaaS ecommerce website।

কাস্টম ই-কমার্স ওয়েবসাইট বলা হয়, যে ওয়েবসাইটটি আপনি আপনার পছন্দ মত ফিচার, ডিজাইন, টেকনোলজি, ডেটাবেজ দিয়ে তৈরি করেন। কাস্টম ওয়েবসাইট অনেকগুলো টেকনোলজি ব্যবহার করে তৈরি করা যায় তার মধ্যে অত্যন্ত পপুলার ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) ও লারাভেল (laravel) । 

ডিজাইন ও  ডেভেলপমেন্ট চার্জ বা খরচ  

ডিজাইন ও ফিচার এর ভিন্নতা অনুযায়ী WordPress দিয়ে কাস্টম ওয়েবসাইট তৈরি করতে ২০ থেকে ৪০ হাজার পর্যন্ত খরচ পড়ে।  

লারাভেল টেকনোলজি দিয়ে তৈরি করলে এক লাখ থেকে শুরু হয় এবং ডিজাইন এবং  ফিচারের ভিন্নতা অনুযায়ী এটি বাড়তে পারে । তবে স্ট্যান্ডার্ড ফিচার সহ একটি লারাভেল ই-কমার্স ওয়েবসাইট ৫ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা বা এর চেয়েও বেশি হতে পারে।

হোস্টিং 

ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ডেভেলপমেন্ট চার্জ  ছাড়াও আরো অনেক ধরনের খরচ আছে।  যেমন: আপনাকে একটি হোস্টিং নিতে হবে। কত জিবি হোস্টিং আপনার জন্য আদর্শ সেটি নির্ভর করবে ওয়েবসাইট ডিজাইন এলিমেন্ট কি ধরনের এবং কতগুলো প্রোডাক্ট আপনার ওয়েবসাইটে থাকবে। ওয়েবসাইটে যদি ছবি এবং ভিডিওর সংখ্যা বেশি হয় তবে আপনাকে বেশি পরিমাণ হোস্টিং নিতে হবে।

প্রতি জিবি হোস্টিংয়ের জন্য বাৎসরিক ১৫০০-২০০০ টাকা খরচ হবে। এই খরচটি প্রতিবছর আপনাকে বহন করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের উঠানামার কারণে এই খরচ কম বা বেশি হতে পারে।

মেইনটেনেন্স

এরপরে রয়েছে মেইনটেনেন্স চার্জ । ওয়েবসাইট থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সচল রাখতে যেকোনো ধরনের ভাইরাস ও হ্যাকিং অ্যাটাক থেকে রক্ষা করতে এই মেন্টেনেন্স আবশ্যিকভাবে জরুরী।  কোম্পানি পলিসি এবং কাস্টমার রিকোয়ারমেন্ট ভেদে বিভিন্ন ধরনের মেনটেনেন্স ফি হতে পারে। এটি মাসিক হতে পারে, বাৎসরিক হতে পারে অথবা অর্ধ বাৎসরিক হতে পারে। 

সাধারণত ৩ হাজার থেকে ২০ হাজার পর্যন্ত মেনটেনেন্স ফি লক্ষ্য করা যায়।  ওয়েবসাইটের পরিধি এবং  ওয়েবসাইটে আপডেট  এর প্রকারভেদে এই খরচ বাড়তে বা কমতে পারে যা উল্লেখিত খরচের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।

 

নিজের ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করুন মাত্র ৫ মিনিটে

ব্যবহারে সহজ

কোডিং এর ঝামেলা নেই

খরচ সাধ্যের মধ্যে

সাইন আপ

 

কাস্টম ডেভেলাপ ওয়েবসাইট নাকি  SaaS Ecommerce Website? আপনার বিজনেসের জন্য কোনটি আদর্শ?

আপনার যদি একটি রানিং ই-কমার্স বিজনেস থাকে এবং তার সেলস ভলিউম যথেষ্ট ভালো থাকে, আপনি টেকনোলজি সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা রাখেন আপনার ওয়েবসাইটে কোন ফিচারগুলো থাকতে হবে কি ধরনের ডিজাইন আপনি চান সেসব বিষয়ে আপনার স্পষ্ট ধারণা থাকে  এবং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর জন্য ভালো পরিমাণ বাজেট থাকে, তাহলে কাস্টম ওয়েবসাইট ডেভেলপ করতে পারেন।  

কাস্টম ওয়েবসাইট ডেভেলপ করলে এর জন্য রেগুলার মেনটেনেন্স এবং ভবিষ্যৎ আপডেটের জন্য কোন একটি টেকনিক্যাল টিমের সাথে আপনাকে কানেক্ট থেকে কাজ করতে হবে।

তাই আমরা বলতে পারি আপনার বিজনেস টি যদি বড় হয়ে থাকে তবে কাস্টম ডেভেলপ ওয়েবসাইট আপনার জন্য আদর্শ হতে পারে।

আপনার বিজনেসটি যদি ছোট পরিসরে হয়ে থাকে বা আপনি কেবল শুরু করেছেন তাহলে আপনার জন্য SaaS Ecommerce Website আদর্শ। কারণ বিজনেসের শুরুতেই আপনি জানেন না আপনি ঠিকঠাক ভাবে সেটি পরিচালনা করতে পারবেন কিনা।  

আপনি জানেন না কাঙ্খিত প্রফিট লক্ষ্য অর্জনে আপনাকে কতদিন অপেক্ষা করতে হবে। যে ওয়েবসাইটটি তৈরি করবেন সেটি ব্যবহার করে বিজনেস পরিচালনায়  ফলাফল পাবেন কিনা – সে বিষয়ে আপনি নিশ্চিত নন।  

আর এগুলো নিশ্চিত না হয়ে যদি ওয়েবসাইট তৈরির পিছনে একটি মোটা অংকের টাকা ইনভেস্ট করে ফেলেন তাহলে ব্যবসার অন্যান্য ফাংশন যেমন: মার্কেটিং, প্রোডাকশন, লজিস্টিক এ সকল বিষয়ে আপনাকে বাজেট কমাতে হবে।  যা আপনার ব্যবসা পরিচালনাকে সীমিত করে ফেলবে।

তাই বিজনেস শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি যদি SaaS Ecommerce Website ব্যবহার করে ই-কমার্স বিজনেস শুরু করেন তবে খুবই স্বল্প খরচে একটি অ্যাডভান্স ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন।  এবং বর্তমান সময়ের SaaS Ecommerce Website গুলো যথেষ্ট পাওয়ারফুল যা আপনার বিজনেসকে বিগ ব্র্যান্ডে রূপান্তর হওয়া পর্যন্ত সাপোর্ট দিতে সক্ষম।  

এখানে বিশ্বের বিখ্যাত পাঁচটি ই-কমার্স ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইট লিংক উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো তাদের বিজনেস পরিচালনার জন্য SaaS মডেলের ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন,

ওপরের ওয়েবসাইটগুলো  পর্যালোচনা করলে দেখা যায় SaaS ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্র্যান্ডগুলো ইন্টারন্যাশনালি বেশ ভাল রকম ব্যবসা পরিচালনা করছেন।  তারা যদি সেটি করতে সক্ষম হন তাহলে আপনি নিজেও সেটি করতে পারবেন।

একটি মানসম্মত SaaS Ecommerce Website বেছে নিতে কোন কোন বিষয় কন্সিডারেশনে রাখবেন? 

একটি মানসম্মত ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। নিচে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো যেগুলো একটি মানসম্মত ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুঁজে নিতে আপনাকে সাহায্য করবে।

সহজ ইউজার ইন্টারফেস এবং ইজি টু ইউজ

সর্বপ্রথম যে বিষয়টি খেয়াল করবেন তা হলো ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি যেন ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়। আপনার মার্কেটিং এবং অপারেশনাল টিম কোন প্রকার টেকনিক্যাল নলেজ ছাড়াই ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি খুব ভালোভাবে ম্যানেজ করতে পারেন।

কাস্টমাইজেশন এবং ফ্লেক্সিবিলিটি

আপনার ওয়েবসাইটটি কি আপনাকে ডিজাইন লেআউট ফিচার আপনার ব্র্যান্ড আইডেন্টিটির সাথে কাস্টমাইজ করার সুযোগ দিচ্ছে কিনা এ বিষয়টিও আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।  কারণ প্রতিটি বিজনেসের  ধরন আলাদা সেজন্য তার অনলাইন স্টোর টি হতে হবে ইউনিক।

স্কেলেবিলিটি 

আপনার বিজনেসটি একসময়  ধীরে ধীরে বড় হবে। ভবিষ্যতে ই-কমার্স ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স কে কোনভাবেই কনসিডার না করে ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি কি স্কেলআপ করার সুযোগ দিবে কিনা  এ বিষয়টি আপনাকে  খেয়াল রাখতে হবে। 

মোবাইল রেস্পন্সিভনেস 

যে ওয়েবসাইটটি আপনি পছন্দ করবেন সেটিকে মোবাইল রেস্পন্সিভ হতে হবে।  কারণ বর্তমান সময়ের ম্যাক্সিমাম  অনলাইন শপিং মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে হয়। তাই আপনার কাস্টমার যেন ফোন থেকে আপনার ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করে অর্ডার প্লেস করতে কোনভাবেই সমস্যা বোধ না করে, সেটি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

ফিচারস এন্ড ফাঙ্কশনালিটি

এই অংশটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি  বিষয়। কিছু বেসিক ফিচার আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আবশ্যিক। এর বাইরেও অনেক এডভান্স লেভেলের ফিচার রয়েছে যেগুলো আপনার বিজনেসের জন্য গেম চেঞ্জার হতে পারে।  

তাই একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে বেসিক টু  অ্যাডভান্স কোন কোন ফিচার সেই ই-কমার্স ওয়েবসাইট আপনাকে অফার করছে সেটি দেখতে হবে। 

  1. প্রোডাক্ট শোকেসিং,  
  2. অর্ডার ম্যানেজমেন্ট,  
  3. ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট,  
  4. কাস্টমার লিস্ট,  
  5. এবান্ডেন্ড কার্ট , 
  6. অফার এন্ড ডিসকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট,  
  7. শিপিং এন্ড ডেলিভারি ম্যানেজমেন্ট,  
  8. ক্যাটেগরি ম্যানেজমেন্ট,  
  9. রিপোর্টিং,  
  10. SEO,  
  11. এনালিটিক্স,  
  12. ইউজার এক্সেস ম্যানেজমেন্ট,  

ইত্যাদি ফিচার গুলো সহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার রয়েছে যেগুলো একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো আপনাকে এনসিওর করতে হবে।

ওয়েবসাইটের জন্য ফিচার এন্ড ফাংশনালিটি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং ই-কমার্স স্পেশালিস্ট এর সাথে কথা বলতে ভিজিট করুন,

ইন্টিগ্রেশন ক্যাপাবিলিটি

দেখতে হবে ই-কমাস ওয়েবসাইটটি আপনাকে থার্ড পার্টি টুলস এন্ড API  ইন্ট্রিগেট করার সুযোগ দেয় কিনা যেমন: সিআরএম, একাউন্টিং সফটওয়্যার, পজ,ইমেল মার্কেটিং টুলস, এসএমএস মার্কেটিং টুলস ইত্যাদি। 

পেমেন্ট গেটওয়ে

অনলাইন পেমেন্ট রিসিভ করার জন্য পেমেন্ট গেটওয়ে থাকতে হবে।  যে কোন ব্যাংকের কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কাস্টমার যেন আপনাকে পেমেন্ট করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

কাস্টমার সাপোর্ট

ওয়েবসাইটি ব্যবহারকালীন সময়ে কোন টেকনিক্যাল প্রবলেম ফেস করলে কত দ্রুত সেটি সলভ করার জন্য সার্ভিস সাপোর্ট আপনি পাচ্ছেন সে বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। 

ট্রেনিং এন্ড এডুকেশন

ওয়েবসাইট আপনি তৈরি করেছেন কিন্তু সেটি  ব্যবহার করলে এর থেকে সর্বোচ্চ আউটপুট আপনি বের করে নিয়ে আসতে পারবেন এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ট্রেনিং দিচ্ছে কিনা সেটি কনসিডারেশনে নিতে হবে। 

SEO  ফ্রেন্ডলি

ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য ক্যাপাবল কিনা সেটি নিশ্চিত করতে হবে। একটি ভালো মানের SEO  ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট অর্গানিক ট্রাফিক  জেনেরেট করতে দারুণ রকম সহায়তা করে।  অর্গানিক ট্রাফিক একদিকে যেমন আপনার মার্কেটিং খরচ কমিয়ে দেয় একই সাথে কনভার্শন রেট বৃদ্ধি করে। 

লোডিং স্পিড

ওয়েবসাইট নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটি কত দ্রুত আপনার ডিভাইসে লোড হচ্ছে সেটি দেখতে হবে। ওয়েবসাইট লোডিং স্পিড স্লো হলে আপনি কাস্টমার হারাবেন। নিল প্যাটেলের মতে একটি আদর্শ ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম দুই থেকে তিন সেকেন্ডের মধ্যে।

ডেটা  পোর্টেবিলিটি

 আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটের সকল রকম ডেটা বিশেষ করে কাস্টমার এবং প্রডাক্ট রিলেটেড ডাটা গুলা আপনি ডাউনলোড করতে পারছেন কিনা, অথবা একটি সিস্টেম থেকে অন্য সিস্টেমে মাইগ্রেট করার সুবিধা দিবে কিনা এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

ট্রায়াল পিরিয়ড

একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট আপনার জন্য আদর্শ কিনা সেটি জানতে হলে প্রথমে এটি ব্যবহার করতে হবে। এটি একদিন কিংবা এক সপ্তাহ ব্যবহার করে আপনি বুঝতে পারবেন না আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাকি ভুল। কমপক্ষে তিন মাস থেকে ছয় মাসের একটি ট্রায়াল পিরিয়ড অফার করছে এমন একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটকে ভালোমত বুঝতে সাহায্য করে। 

ফিউচার আপডেট এন্ড ইনোভেশন

যে SaaS  ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি আপনি পছন্দ করবেন তারা কি ভবিষ্যতে এটিতে আরো  নতুন নতুন ফিচার যোগ করছে?  তারা কি নতুন ট্রেন্ড এন্ড টেকনোলজিকে এই ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত করছে?  এই বিষয়গুলো কন্সিডারেশনে রাখতে হবে। 

মনে রাখবেন একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট পছন্দ করার ক্ষেত্রে আপনার বিজনেস গোল টার্গেট অডিয়েন্স এবং কিছু স্পেসিফিক রিকোয়ারমেন্ট এর উপর নির্ভর করে।  তাই অবশ্যই একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে  এক্সপার্টদের পরামর্শ নিবেন।

আপনার বিজনেসের জন্য একটি আদর্শ ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে আমাদের ই-কমার্স কনসালটেন্ট এর সাথে যোগাযোগ করুন: 

৬। ব্র্যান্ডিং এবং ডিজাইন

বিজনেসের জন্য লোগো কাভার ফটো এবং প্রফেশনাল ডিজাইন পোস্ট সেই ব্র্যান্ডের ভিসিবিলিটি এবং এঙ্গেজমেন্ট বাড়িয়ে দেয়।  তাই এ সকল ব্র্যান্ডিং ম্যাটেরিয়ালসগুলো তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রফেশনালদের সহায়তা দিতে হবে। 

আপনার বিজনেসের ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিং স্ট্রেটেজি নিয়ে এক্সপার্টদের সাথে পরামর্শ পেতে,  

৭। মার্কেটিং স্ট্রাটেজি

আপনার যখন ব্র্যান্ড এলিমেন্ট ওয়েবসাইট এবং বিজনেস প্ল্যান তৈরি হয়ে গেছে এবারে আপনাকে মার্কেটিং স্ট্রেটেজিতে ফোকাস  করতে হবে। কোন কোন চ্যানেলে আপনি প্রমোশন করবেন সেগুলো নির্ধারণ করতে হবে, যেমন  ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইমেইল মার্কেটিং, এসএমএস মার্কেটিং প্লাটফর্ম ইত্যাদি।

প্রতিটি ইন্ডিভিজুয়াল মার্কেটিং প্লাটফর্মের জন্য আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন স্টাডিজি নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ একটি প্ল্যাটফর্মের জন্য যে স্ট্রেটেজি কাজ করবে সেটি অন্যটির জন্য নাও করতে পারে। 

ফোকাস করতে হবে কন্টেন্ট  মার্কেটিংয়ে।  বর্তমান সময়ে অডিও ভিজুয়াল কনটেন্ট অনেক বেশি এনগেজমেন্ট পাচ্ছে। মার্কেটিং স্ট্রেটেজি তৈরির ক্ষেত্রে আপনি এর উপরে ট্রেনিং গ্রহণ করে নিজে করতে পারেন অথবা কোন পরামর্শক নিয়োগ দিতে পারেন।  আপনি চাইলে কোন একটি মার্কেটিং এজেন্সির সাথে কোলাবরেট করে কাজ করতে পারেন। 

একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, আপনি যত বেশি থার্ড পার্টি এজেন্সির সাথে যুক্ত হবেন আপনার মার্কেটিং খরচ তত বাড়বে। 

৮। কাস্টমার সার্ভিস

ই-কমার্স বিজনেসের জন্য কাস্টমার সার্ভিস অপরিহার্য এবং অত্যাবশ্যকীয় একটি বিষয়। কাস্টোমারদের কুইরি, অবজেকশন, ফিডব্যাক, রিটার্ন ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে যতটা দ্রুত সম্ভব অরগানাইজ ভাবে সেবা নিশ্চিত করতে হবে। কাস্টমার যেন তার অ্যাভেলেবেল কমিউনিকেশন চ্যানেলগুলো ব্যবহার করে আপনাকে রিচ করতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। যেমন:  Messenger chat, Whatsapp, Email, Phone ইত্যাদি। 

৯।স্কেলিং এন্ড গ্রোথ

আপনাকে ক্রমাগত মার্কেট ট্রেন্ড সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। নতুন নতুন স্ট্রেটেজি,  প্রমোশনাল ট্রিক্স, advertising টেকনিক, প্রোডাক্ট ইনোভেশন ইত্যাদি বিষয়ে লার্নিং চালু রাখতে হবে। 

খুঁজে বের করতে হবে নতুন নতুন মার্কেট অপরচুনিটি এবং কলাবরেশনের মাধ্যমে ব্যবসাকে নতুন স্তরে নিয়ে যেতে হবে। 

পরিশেষে

মনে রাখবেন, নিজের একটি বিজনেস তৈরী করা খুবই উত্তেজনাপূর্ণ, আনন্দদায়ক কিন্তু কষ্টসাদ্ধ একটা কাজ। একটি সফল ই-কমার্স বিজনেস গড়ে তুলতে আপনাকে ক্রমাগত শিখতে হবে, পাশাপাশি  প্রয়োজন হবে ডেডিকেশন এবং অ্যাডাপটিবিলিটি। আপনার বিজনেস গোলের প্রতি ফোকাস থাকতে হবে এবং প্রতিনিয়ত কাস্টমারদের ভ্যালু প্রোভাইড করতে হবে । তবেই আপনি একটি প্রফিটেবল বিজনেস করতে পারবেন। 

নিজের ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করুন মাত্র ৫ মিনিটে

ব্যবহারে সহজ

কোডিং এর ঝামেলা নেই

খরচ সাধ্যের মধ্যে

সাইন আপ

কিভাবে অনলাইন বিজনেসে ফেসবুক মেসেঞ্জারের ব্যবহার করবেন।

কিভাবে অনলাইন বিজনেসে ফেসবুক মেসেঞ্জারের ব্যবহার করবেন।

বর্তমানে গড়ে ১.৩ বিলিয়ন ব্যবহারকারী প্রতিমাসে সক্রিয়ভাবে  ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করছে, তাঁর মানে ১.৩ বিলিয়ন কাস্টমার আপনার হাতের মুঠোয় ।

ফেসবুক মেসেঞ্জারে সম্ভবনাময় এমন একটি বিশাল বাজার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস বেচাকেনায় আপনি কিভাবে ব্যবহার করছেন?  

যদি বিজনেসের জন্য ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার না করেন, আপনি ভুল করছেন।

  • ৭৯% উদ্যোগতা বলছে ফেসবুক  মেসেঞ্জারে লাইভ চ্যাট বিক্রয় বৃদ্ধি,কাঙ্ক্ষিত প্রফিট ও কাস্টমারদের আস্থা অর্জনে ইতিবাচক ভুমিকা রাখে।
  • ৩৮% কাস্টমার বলছে ফেসবুক  মেসেঞ্জারে লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে সাপোর্ট দেয় এমন  উদ্যোগতাদের হতে তাঁরা কেনাকাটা করতে ভালোবাসে।

মেসেঞ্জার অ্যাপ্লিকেশানগুলি এখন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত যোগাযোগের কাজে সীমাবদ্ধ নয়।

নিলসেনের ফেসবুক মেসেজিং জরিপে দেখা গেছে, কাস্টমারদের সাথে বিজনেসের যোগাযোগের যতগুলি মাধ্যম রয়েছে তাঁর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফেসবুক মেসেঞ্জার।

  • ৫৩ শতাংশ মানুষ এমন কারো হতে কেনাকাটা করতে চায় যাদের সাথে সে সরাসরি মেসেজ পাঠানোর মাধ্যমে যোগাযোগের করতে পারে।
  • প্রতি মাসে ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহ ২ বিলিয়ন মেসেজ বিনিময় করছে।

কেন আপনি অনলাইন বিজনেসে ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করবেন?

ফেসবুক মেসেঞ্জারের গুরুত্ব পরিস্কার ভাবে বুঝতে সামাজিক  যোগাযোগ মাধ্যমগুলি ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সমসাময়িক প্রেক্ষাপট একটু খেয়াল করুন।

বিজনেস ইনসাইডারের মতে ,

যে শীর্ষ চারটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমরা নিয়মিত করি তাঁদের মোট ব্যবহারকারীর তুলনায় সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশানগুলি ব্যবহার মাসে প্রায় ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি।

আরও কিছু জরিপ দেখুন,

জরিপগুলি স্পষ্ট নির্দেশ করে, আপনার অনলাইন বিজনেসের জন্য যত দ্রুত সম্ভব ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার শুরু করা উচিত।

 

ইনস্ট্যান্ট রিপ্লে ও শুভেচ্ছা

কাস্টমার আপনার পেজটিতে প্রবেশ করা মাত্র অটোমেটিকভাবে মেসেঞ্জার সক্রিয় হয়ে যায়।

কাস্টমার কিছু জানতে চেয়ে আপনাকে টেক্সট করা মাত্র মেসেঞ্জার তাকে তাঁর নাম উল্লেখ করে একটি শুভেচ্ছা বার্তা দেয়।

এটি একটি অসাধারন ফিচার, মানুষ তাঁর নিজের নাম শুনতে ও দেখতে বেশি পছন্দ করে, তাই কাস্টমারের নাম উল্লেখ করে শুভেচ্ছা দিলে সে দারুণ খুশি হয়।

কাস্টমারের কিছু সাধারন প্রশ্নের উত্তর অটোমেটিকভাবে দিতে এই ইনস্ট্যান্ট রিপ্লে ব্যবহার করুন।

এটি চালু করার নিয়মঃ

How to turn on greeting text in Messenger

  1. From your Facebook Page, click Settings
  2. Click Messaging in the left column
  3. Under Response Assistant, toggle the bar to Yes for Show a Messenger Greeting
  4. Click Change
  5. Edit the greeting to be an appropriate message for your business
  6. Click Save

 

মেসেজ রেসপন্স টাইম

আপনি কত দ্রুত কাস্টমারদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন সেটি আপনার মেসেজ রেসপন্স টাইম।

ফাস্ট রেসপন্স টাইম মানে আপনি বিজনেসের প্রতি যত্নবান।

রেসপন্স রেট কম মানে আপনি কাস্টমারদের প্রশ্নকে যথেষ্ট  গুরুত্ব দেন না। এটি অনলাইন বিজনেসের জন্য নেতিবাচক দিক।

কাস্টমার আপনার পেজে মেসেজ দেবার ১ দিনের মধ্যে কমপক্ষে ৭৫% ম্যাসেজের উত্তর সময়মত না দিলে আপনার রেসপন্স রেট কম দেখাবে।

চাইলে রিপ্লে করার সময় নির্ধারণ করে দিতে পারেন তাতে করে উক্ত সময়ের মধ্যে আদান প্রদান হওয়া ম্যাসেজগুলি শুধুমাত্র রেসপন্স রেট নির্ধারণের জন্য ফেসবুক বিবেচনা করবে।  

পেজে একটিভ না থাকাকালীন সময় রিপ্লে দিতে কি করবেনঃ

How to set your messaging status to away

  1. From your Facebook Page, click Settings
  2. Click Messaging in the left column
  3. Under Response Assistant, toggle the bar to Yes for Stay responsive when you can’t get to your computer or phone
  4. Click Change
  5. Edit the greeting to indicate when the user can expect to hear back from you.
  6. Click Save
  7. Under Stay responsive when you can’t get to your computer or phone, click Change
  8. Click Schedule
  9. Select your timezone, then click Add Time
  10. Enter the times when your business is closed or you can’t respond to messages
  11. Click Save

 

নিজের ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করুন মাত্র ৫ মিনিটে

ব্যবহারে সহজ

কোডিং এর ঝামেলা নেই

খরচ সাধ্যের মধ্যে

সাইন আপ

 

মেসেঞ্জার কোডের ব্যবহার

মেসেঞ্জার কোড অনেকটা বার কোডের মত কাজ করে।মেসেঞ্জার কোডটির গ্রাফিক ফাইলটি আপনি আপনার ওয়েবসাইটে যুক্ত করুন ।

এতে করে কাস্টমার  এটি স্ক্যান করে আপনার সাথে সরাসরি ফেসবুক মেসেঞ্জারে যুক্ত হতে পারবে।

আপনার বিজনেস কার্ড লিফলেট বা পোস্টারে এই মেসেঞ্জার কোড দিয়ে রাখলে আপনার সাথে যোগাযোগের জন্য কাস্টমার আপনাকে খুব সহজেই ফেসবুকে খুঁজে পাবে।

 

মেসেঞ্জার লিংক

আপনি চান কাস্টমার আপনাকে প্রোডাক্ট সম্পর্কে প্রশ্ন করুক, আপনার কাছে কিছু জানতে চাওয়া মানে বিক্রয় হবার সম্ভবনা বেড়ে যাওয়া।

আপনার ওয়েবসাইটে মেসেঞ্জার লিংকটি দিয়ে রাখুন। এটি আপনার বিজনেস পেজের মেসেঞ্জারের সাথে যুক্ত হতে দারুণভাবে কাজ করে।  

যেমন দেশি কমার্সকে মেসেঞ্জারে খুঁজে পেতে হলেঃ m.me/deshicommerce  

 

অ্যাড দেবার সময় কল টু অ্যাকশান বাটন হিসেবে সেন্ড ম্যাসেজ ব্যবহার

প্রোডাক্টের অ্যাড দেবার সময় সেন্ড ম্যাসেজ বাটন ব্যবহার করুন। কাস্টমার অনলাইনে প্রোডাক্ট দেখে ম্যাসেজ সেন্ড করে, এটির অন্য অর্থ হল সে প্রোডাক্টটি কিনতে চায়, যদি আপনি তাঁর চাহিদা মেটাতে সক্ষম হন।

প্রোডাক্ট নিয়ে কাস্টমারের ভাবনা এবং সেটি কেনার আগ্রহ অনুমান করার জন্য মেসেঞ্জারে কথোপকথন খুবই কার্যকর।

 

কাস্টমার কেয়ার ও সাপোর্ট

বর্তমান সময়ে কাস্টমার সাপোর্ট দেবার জন্য ফেসবুক মেসেঞ্জার খুব জনপ্রিয়। তবে আপনার কিছু নিয়ম জেনে রাখা দরকার।

পাবলিক কমেন্টের জবাব প্রাইভেট ম্যাসেজে

কখনো কখনো প্রোডাক্ট ও সার্ভিস নিয়ে কাস্টমার পাবলিক কমেন্ট করে। অনেক সময় উত্তর দেবার ক্ষেত্রে গোপনীয়তা জরুরি হয়। সেক্ষেত্রে আপনি তাঁদের প্রশ্নের উত্তর প্রাইভেট ম্যাসেজে মাধ্যমে দিন।

তবে যেসকল উত্তর পাবলিক ভাবে দিলে আপনার বিজনেসের জন্য ইতিবাচক হয় সেটি অবশ্যয় পাবলিক করে দিবেন।

 

মেসেঞ্জারের মাধ্যমে কাস্টমার সাপোর্ট

কাস্টমার ইমেইলের চেয়ে  ফেসবুক মেসেঞ্জারে বেশি সময় অ্যাক্টিভ থাকে। তাই এই মাধ্যমটির দ্বারা তাঁদের সেবা দেয়া খুব সহজ।

মেসেঞ্জারে কাস্টমারের সাথে রিয়েল টাইম কথা বলা সম্ভব কিন্তু ইমেইলে সেটি বিষয়টি একটু ঝামেলা পূর্ণ।

রজার্স কমিউনিকেশনস, নামে একটি বড় কানাডিয়ান টেলিকম কোম্পানি, কাস্টমার সাপোর্ট চ্যানেল হিসাবে ফেসবুক মেসেঞ্জারকে ব্যবহার করেছিল।

এতে করে তাদের গ্রাহক অভিযোগ ৬৫% শতাংশ কমে যায় এবং গ্রাহকের সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পেয়েছিল ৬৫ % ।

ফেসবুক মেসেঞ্জারকে ব্যবহার করে কাস্টমার সাপোর্ট দিতে চাইলে বিজনেস ওপেন থাকাকালীন সময় অবশ্যয় কাস্টমারদের প্রতিটি প্রশ্ন ও অভিযোগের উত্তর যত দ্রুত সম্ভব দিতে হবে।

আপনার রিপ্লে করার গড় সময়ের উপর ভিক্তি করে ফেসবুক আপনার রিপ্লে টাইমের রেটিং নির্ণয় করে।

ফাস্ট রেসপন্স রেটিং আপনার বিজনেসের জন্য খুবই ইতিবাচক।

 

মেসেঞ্জার CHATBOT

CHATBOT হচ্ছে অটোমেটিক মেসেঞ্জার সফটওয়্যার, এর দ্বারা আপনি মানুষের সহযোগিতা ছাড়ায় কাস্টমারের প্রাথমিক প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং তাকে আপনার পণ্য ও সেবা কিনতে প্রভাবিত করতে পারবেন।

কাস্টমারদের সাথে যখন কথা হচ্ছে তখন আপনি হয়তো ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে আছেন অথবা বিজনেসের গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত কিন্তু আপনার কাস্টমার ঠিকঠাক আপনার লাইভ সার্ভিস পাচ্ছে।

এমন কয়েকটি মেসেঞ্জার সফটওয়্যার হল,  

mobilemonkey.com

manychat.com
itsalive.io

২০২৫ সালের মধ্যে CHATBOT এর মার্কেট  ১ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে আশা করে যাচ্ছে, এর অন্যতম কারন এটি কাস্টমার সাপোর্টের ক্ষেত্রে  উদ্যোগতাদের কাজ ৭০% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়।

এতে আলাদা করে কাস্টমারদের সমস্যা সমাধানে সময় দিতে হয় না।

 

লোকেশন শেয়ার

আপনার যদি একটি শোরুম থাকে তাহলে কাস্টমার আপনার শোরুমে সরাসরি কেনাকাটা করতে আসতে চাইবে। সে জন্য আপনার  শোরুম লোকেশন তাঁদের জানা দরকার।

ওয়েবসাইটে গিয়ে ঠিকানা বেরকরা অনেকে ঝামেলা মনে করে। আপনার কাছে ঠিকানা জানতে ম্যাসেজ করে।

এসময়  আপনি মেসেঞ্জার ব্যবহার করে কাস্টমারদের সাথে লোকেশন শেয়ার করতে পারেন।

তাতে কাস্টমার ঠিকানা তো পাবেই সাথে করে কিভাবে ঠিকানায় পৌঁছাবে এই রুট সম্পর্কেও জানবে।

 

আপনার অনলাইন বিজনেস সম্পর্কিত যে কোনো প্রশ্ন বা সমস্যা সমাধানে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে 0176668138 অথবা 01729241499 অথবা [email protected]

 

ফেসবুক অ্যাড এর রেজাল্ট বৃদ্ধি করতে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট ও ইউজ করার টিপস

কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল মানুষের কগ্নেটিভ বায়াসকে ম্যানুপুলেট করে তাদের কেনাকাটা সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে বিজনেস প্রোমোট করে সেলস বাড়াতে ফেসবুক অ্যাডস বরাবরই ইফেকটিভ রোল প্লে করে। 

তবে অনেকেই কমপ্লেইন করেন যে তারা সঠিকভাবে ফেসবুক অ্যাড ক্যাম্পেইন রান করালেও এক্সপেকটেড রেজাল্ট আসেনা। এটি কেন হয় জানেন? 

সোশ্যাল প্রুফ না থাকার কারণে! এই সোশ্যাল প্রুফের একটি উদাহরণ হলো কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল, যা ফেসবুক অ্যাডস থেকে বেস্ট রেজাল্ট পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আজকের লেখায় আমরা জানবো কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করার উপায় সম্পর্কে। এ উপায়গুলো জানার মাধ্যমে আপনারা ফেসবুক অ্যাড ক্যাম্পেইন সাকসেসফুল হবে  এবং আপনি আরো বেশি সেলস জেনারেট করতে পারবেন। 

সোশ্যাল প্রুফ কি? 

 

১৯৮৪ সালে রবার্ট সিয়াল্ডিনি তার লেখা বই “ইনফ্লুয়েন্স” এ সোশ্যাল প্রুফ টার্মটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন। সোশ্যাল প্রুফকে ইনফরমেশনাল সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সও বলা হয়, যা একজন মানুষের অন্যদের বিহেভিয়ার বা অ্যাকশন দেখে সে অনুযায়ী কাজ করার মেন্টালিটিকে বোঝানো হয়। 

এই সোশ্যাল প্রুফ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে হাইপড মার্কেটিং স্ট্র‍্যাটেজির মধ্যে একটি। একদম সহজ ভাষায় সোশ্যাল প্রুফ হচ্ছে কোনো বিজনেস বা  কোম্পানি থেকে প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস পারচেজ করার পর কাস্টমাররা যে বেনিফিট পেয়েছেন তা বিভিন্ন উপায়ে পটেনশিয়াল কাস্টমারদের সামনে প্রেজেন্ট করা। সোশ্যাল প্রুফের মূল উদ্দেশ্য হলো কোনো প্রোডাক্টের ভ্যালু বা পপুলারিটি কাস্টমারদের বোঝানো, যাতে করে তারাও সেই প্রোডাক্টটি পারচেজ করেন। 

সোশ্যাল প্রুফের কনসেপ্ট ক্লিয়ারলি বোঝার জন্য একটি উদাহরণ দেই। ধরুন, আপনি কোনো প্রোডাক্ট পারচেজ করার জন্য একটি ই-কমার্স সাইটে ভিজিট করলেন। তারপর সার্চ করে যে প্রোডাক্ট কিনতে চাইছেন সেটা খুঁজে বের করলেন। তারপর স্ক্রল করতে করতে দেখতে পেলেন ওই প্রোডাক্টটি পারচেজ করেছেন এমন দশজন কাস্টমার রিভিউ সেকশনে প্রোডাক্টটি সম্পর্কে পজিটিভ রিভিউ দিয়েছেন। 

এই রিভিউগুলো দেখার পর আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে প্রোডাক্টটি পারচেজ করবেন। একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, সাইটে থাকা পজেটিভ রিভিউগুলোই কিন্তু আপনাকে হেল্প করলো প্রোডাক্টটি পারচেজ করার ফাইনাল ডিসিশন নিতে। 

এখানে কাস্টমারদের রিভিউ বা ক্লাস্টমার টেস্টিমনিয়াল হচ্ছে একধরণের সোশ্যাল প্রুফ।  

সোশ্যাল প্রুফের আরো কয়েকটি টাইপ হলো পজিটিভ মিডিয়া কভারেজ, সেলিব্রিটি এনডোর্সমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার ইত্যাদি।

ফেসবুক অ্যাডে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল ইনক্লুড করা কেন এত ইম্পর্ট্যান্ট? 

সোশ্যাল প্রুফ হিসেবে ফেসবুক অ্যাডে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল ইনক্লুড করা কেন গুরুত্ব বহন করে? অনেক বিজনেস ওনার রয়েছেন যারা এই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননা। অথচ যদি অ্যাডে কয়েকজন কাস্টমারের পজিটিভ রিভিউ শেয়ার করা হয়, তাহলে তা সেল জেনারেট হওয়ার পসিবিলিটি বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। 

যখন ফেসবুক অ্যাডে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল অ্যাড করা হয়, তখন কাস্টমারদের সেই বিজনেস কোম্পানির প্রতি ক্রেডিবিলিটি ও ট্রাস্ট অনেক বেড়ে যায়৷ এখনকার দিনে অনলাইন বেইজড বিজনেসের সংখ্যা অনেক বেশি। শুধু ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমেই নয়, এখন ফেসবুকে কিংবা ইনস্টাগ্রাম ভিত্তিক বিজনেসের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। 

এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই দেখা যায়, একটি প্রোডাক্ট হয়তো অনেক জায়গায় এভেইলেবল থাকে। আবার এখন ফেইক প্রোডাক্টেরও অভাব নেই। এই অবস্থায় একজন কাস্টমার কোথা থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ করবেন সেই ডিসিশন নিতে হেল্প করে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল । 

কিভাবে? 

যখন একজন কাস্টমার কোনো প্রোডাক্ট কেনার সময় আরো অনেকজন কাস্টমারের পজিটিভ রিভিউ দেখতে পান, তখন সে প্রোডাক্টের কোয়ালিটি ও অথেন্টিসিটি নিয়ে তার মনে আর কোনো সন্দেহ থাকেনা। তখন তিনি সেই রিভিউয়ের ওপর ভরসা করেই প্রোডাক্টটি কিনে ফেলেন।

কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল সম্পর্কে কয়েকটি ইন্টারেস্টিং তথ্য 

  • ট্রাস্ট পাইলটের (Trust Pilot) একটি রিসার্চে দেখা গেছে, গোটা বিশ্বের প্রায় ৮৯ পারসেন্ট কাস্টমারই কোনো প্রোডাক্ট কেনার আগে অনলাইনে সেটির রিভিউ সম্পর্কে সার্চ করেন।
  • বিজরেট (Bizrate) দাবি করে, প্রায় ৫৫ পারসেন্ট কাস্টমার কোনো প্রোডাক্ট পারচেজ করার আগে অন্তত ৪টি রিভিউ পড়ার চেষ্টা করেন।
  • ব্রাইট লোকাল (Bright Local) এর মতে, ৭৯ পারসেন্ট কাস্টমার পারসোনাল রেকমেন্ডেশনের পাশাপাশি অনলাইনে থাকা পজিটিভ রিভিউগুলোও ট্রাস্ট করেন৷ 

শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে এমনও হয় যে কাস্টমারের হয়তো একটি প্রোডাক্ট কেনার প্রয়োজন নেই, কিন্তু তাও তিনি কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল দেখে ইমপ্রেসড হয়ে সেটি কেনেন। 

যেমনঃ দেশে যখন কোরিয়ান স্কিনকেয়ার আইটেমের হাইপ উঠেছিলো, তখন এই কাস্টমারদের পজিটিভ ফিডব্যাক দেখেই বহু মানুষ এই আইটেমগুলো কিনেছিলেন শুধুমাত্র নিজেরা একবার ইউজ করে দেখবেন বলে। এখনও কিন্তু আমাদের দেশে এই প্রোডাক্টগুলোর কদর কমেনি। 

সুতরাং যদি ফেসবুক অ্যাডে কাস্টমার রিভিউ অ্যাড করা হয়, সেটি অনেক মানুষকেই প্রোডাক্ট পারচেজ করতে ইনফ্লুয়েন্স করে। 

একই সাথে বলা যেতে পারে, ফেসবুক অ্যাডে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল অ্যাড করার মাধ্যমে একটি প্রোডাক্ট যে সত্যিকার অর্থেই সবাইকে বেনিফিট দিতে ক্যাপাবল, তা পটেনশিয়াল কাস্টমারদের সামনে সবচেয়ে ইফেকটিভ ওয়েতে তুলে ধরা যায়। এর ফলস্বরূপ বিজনেসে ধীরে ধীরে সেল বাড়তে শুরু করে। 

কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করবেন কিভাবে? 

কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করার সবচাইতে ইফেকটিভ উপায়গুলো হচ্ছে –

০১। কনটেস্ট অ্যারেঞ্জ করা 

কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করার সবচাইতে ইফেক্টিভ উপায় হচ্ছে টেস্টিমনিয়াল কনটেস্ট অ্যারেঞ্জ করা। অনেক সময় কাস্টমারদের কাছে একটি প্রোডাক্ট ভালো লাগলেও তারা সময়ের অভাবে কিংবা ইচ্ছা না থাকার কারণে প্রোডাক্টের রিভিউ দেন না। 

তাই যদি একটি কনটেস্ট অ্যারেঞ্জ করেন এবং সে কনটেস্টের উইনারের জন্যে কোনো রিওয়ার্ডের ব্যবস্থা থাকে, তাহলে আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ করা অনেক কাস্টমারই মোটিভেটেড হবেন প্রোডাক্ট সম্পর্কে নিজের পজিটিভ ফিডব্যাক শেয়ার করার জন্য। এই কনটেস্ট নিজের ই-কমার্স সাইটে অ্যারেঞ্জ করতে পারেন কিংবা ফেসবুক পেজেও করতে পারেন। 

যদি টেস্টিমনিয়াল কনটেস্ট অ্যারেঞ্জ করতে চান, সেক্ষেত্রে শুরুতেই কনটেস্ট সম্পর্কে খুঁটিনাটি সব ডিটেইল সম্পর্কে সবাইকে ক্লিয়ারলি জানান। যেমনঃ কনটেস্টের ডেডলাইন, কিভাবে পারসিটিপেট করতে হবে সেটির নিয়ম, কিভাবে উইনার সিলেক্ট করা হবে সেটির ইনফরমেশন ইত্যাদি। পাশাপাশি কনটেস্টে উইনার হতে চাইলে কি করা যাবে আর কি করা যাবেনা এ বিষয়টিও সবাইকে জানাতে হবে।  

একই সাথে যারা আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ করেছে, তাদেরকে পজিটিভ ফিডব্যাক শেয়ার করতে আরো একটু মোটিভেটেড করে তোলার জন্য কনটেস্টে উইনারের জন্য কি রিওয়ার্ডের ব্যবস্থা থাকছে সেটিও সবাইকে জানাতে পারেন। এভাবে যদি কনটেস্ট এরেঞ্জ করেন, তাহলে খুব সহজেই অনেকজন কাস্টমারের কাছ থেকে টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করতে পারবেন। 

০২৷ কাস্টমারদের টেস্টিমনিয়াল প্রোভাইড করার জন্য ইমেইল রিকোয়েস্ট 

কাস্টমারদের কাছ থেকে প্রোডাক্ট সম্পর্কে পজিটিভ ফিডব্যাক কিংবা টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করার একটি ট্রেডিশনাল এবং একই সাথে সুপার ইফেকটিভ উপায় হচ্ছে তাদেরকে ই-মেইল সেন্ড করা। যদি কাস্টমারদের কাছে সঠিকভাবে ই-মেইল সেন্ড করতে পারেন, তাহলে টেস্টিমনিয়াল পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। 

এই ই-মেইলে কি কি বিষয় উল্লেখ করতে হবে? 

যখন একজন কাস্টমারেরকে রিভিউ দেয়ার জন্য ইমেইল করবেন, তখন শুরুতেই তাকে ধন্যবাদ জানান আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ করার জন্য। 

এরপর কয়েকটি কোশ্চেন করুন যেগুলোর অ্যান্সার আপনি পরবর্তীতে টেস্টিমনিয়াল হিসেবে ইউজ করতে পারবেন। যেমনঃ 

  • আপনার কাছ থেকে কি উদ্দেশ্যে বা কোন সমস্যার সমাধান করতে ওই কাস্টমার প্রোডাক্ট পারচেজ করেছিলো? 
  • আপনার প্রোডাক্ট তাকে কতটুকু বেনিফিট দিয়েছে বা তার প্রবলেম কতটুকু সলভ করতে পেরেছে? 
  • আপনার প্রোডাক্টের কোন ফিচারগুলো কাস্টমারের কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে?  
  • কাস্টমার কি আপনার প্রোডাক্ট অন্যদের পারচেজ করতে রেকমেন্ড করবেন?  
  • আপনার প্রোডাক্ট কাস্টমার আবার পারচেজ করতে ইন্টারেস্টেড কিনা? 

এখন প্রশ্ন হলো,

কাস্টমাররা কোনো প্রোডাক্ট পারচেজ করার কতদিন পর এই ই-মেইল সেন্ড করবেন? 

আমার সাজেশন হলো তাদের পারচেজের অন্তত এক সপ্তাহ পর তাদের ফিডব্যাক জানতে চেয়ে ই-মেইল করা। কারণ বেশিরভাগ প্রোডাক্ট এক সপ্তাহ ইউজ করলেই কাস্টমারদের মনে এগুলোর প্রতি ফার্স্ট ইম্প্রেশন ক্রিয়েট হয়ে যায়। তাই এই সময়ের ভেতর ইমেইল করা হলে রিপ্লাই পাওয়ার চান্সও অনেক বেশি থাকে। 

সবসময় চেষ্টা করবেন ঠিক সময়ে কাস্টমারদের সাথে ইমেইলে কমিউনিকেট করতে। কারণ যদি খুব বেশি দেরি হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু রিপ্লাই পাওয়ার চান্সও কমে যেতে শুরু করবে। 

টেস্টমনিয়াল কালেক্ট করার জন্য ই-মেইলের বডিতে যদি কোনো সেপারেট লিংক প্রোভাইড করেন, তাহলে সেই লিংকে দেয়া ওয়েব পেইজটি যেন মোবাইল অপটিমাইজড হয়, সেটি নিশ্চিত করুন। 

এক্ষেত্রে পেজের ডিজাইন সিম্পল রাখুন এবং পেইজে থাকা টেক্সটের ফন্ট ও সাইজ যেন সবার জন্য সুবিধাজনক হয় সেদিকে নজর দিন৷ এতে করে বেটার ইউজার এক্সপেরিয়েন্স প্রোভাইড করা পসিবল হয় এবং কাস্টমাররাও রিভিউ দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। 

 

নিজের ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করুন মাত্র ৫ মিনিটে

ব্যবহারে সহজ

কোডিং এর ঝামেলা নেই

খরচ সাধ্যের মধ্যে

সাইন আপ

 

ফেসবুক অ্যাডসের ক্ষেত্রে কয়েকটি টিপস 

ফেসবুক অ্যাডস বর্তমানে প্রতিটি বিজনেসের সেল বাড়িয়ে তোলার এক মোক্ষম হাতিয়ার। কারণ এই অ্যাডসের মাধ্যমে একজন বিজনেস ওনার ফেসবুক ইউজারদের লোকেশন, এইজ কিংবা ইন্টারেস্টের ওপর ভিত্তি করে অডিয়েন্স টার্গেটিং করতে পারেন। 

কাস্টমার টেস্টিমনিয়ালের মাধ্যমে ফেসবুক অ্যাডস থেকে সেলস বাড়াতে এই টিপসগুলো ফলো করুন-

০১। যখন আপনি টেস্টমনিয়াল বেইজড ফেসবুক অ্যাড ক্যাম্পেইন রান করাতে যাবেন, তখন এমন অডিয়েন্সদের টার্গেট করুন যাদের সাথে আপনার বিজনেসের কোনো না কোনোভাবে ইন্টার‍্যাকশন হয়েছে। অর্থাৎ অডিয়েন্স টার্গেটিংয়ে এমন মানুষদের রাখুন, যারা আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ না করলেও আপনার ব্র‍্যান্ডকে অলরেডি কিছুটা হলেও চেনে। এতে করে অ্যাড ক্যাম্পেইন থেকে বেটার রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব হয়। 

যেমন ধরুন, একজন মানুষ আপনার ফেসবুক পেইজের পোস্টের কমেন্টে কোনো প্রোডাক্টের প্রাইস জানতে চেয়ে সে প্রোডাক্টটি আর কিনলেননা। এখন তিনি যদি আপনার পেইজের অ্যাড দেখতে পান এবং যদি সেখানে কাস্টমারদের পজিটিভ ফিডব্যাক তার নজরে আসে, তাহলে তার সেই প্রোডাক্ট পারচেজ করার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। 

০২। যখন অ্যাডসের জন্যে অ্যাড কপি লিখবেন, তখন সেটির টোন ও ল্যাংগুয়েজ যথাসম্ভব সিম্পল রাখুন। চেষ্টা করুন অ্যাড কপির লেন্থ খুব বেশি বড় না করে যে মেসেজটি দিতে চাইছেন সেটি পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তুলতে। এছাড়াও কাস্টমারদের পেইন পয়েন্টগুলো হাইলাইট করতে ভুলবেননা।  

০৩। ক্লায়েন্ট টেস্টিমনিয়াল যুক্ত ফেসবুক অ্যাডের কন্টেন্টে যতটুকু সম্ভব ক্রিয়েটিভি শো করুন। বিশেষ করে অ্যাডের ইমেজগুলোর ডিজাইন আই ক্যাচিং রাখার ট্রাই করুন৷ এক্ষেত্রে যদি আপনার গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কে নলেজ থাকে, তাহলে সেটি একটি বাড়তি অ্যাডভান্টেজ হিসেবে কাজ করবে৷ 

০৪। কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল সঠিকভাবে হাইলাইট করতে ক্যারোসেল ফরম্যাটে ফেসবুকে অ্যাডস ক্যাম্পেইন রান করান। একেকটি ক্যারোসেল অ্যাডে আপনি পাঁচটিরও বেশি ক্লায়েন্ট রিভিউ স্লাইড ফরম্যাটে অ্যাড করতে পারবেন। চাইলে রিভিউয়ের সাথে কাস্টমারের ফটোও অ্যাড করতে পারেন। এতে করে অডিয়েন্সের আপনার বিজনেসের প্রতি ক্রেডিবিলিটি আরো বাড়বে।

এভাবে অ্যাড রান করানোর মূল বেনিফিট হলো এই অ্যাডের মাধ্যমে কাস্টমার টেস্টিমনিয়ালগুলো খুব সহজেই টার্গেট করা অডিয়েন্সের চোখে পড়ে। এতে করে বেশি বেশি সেলস জেনারেট করাও পসিবল হয়। 

০৫। অ্যাড ক্যাম্পেইন রান করানোর পাশাপাশি ক্যাম্পেইনের রেজাল্ট ট্র‍্যাকিংয়েও জোর দিন৷ স্পেশালি অ্যাড কনভার্সন, সিটিআর এবং ফ্রিকুয়েন্সি -এ তিনটি সবসময় মনিটর করুন৷ এতে করে বুঝতে পারবেন অ্যাড ক্যাম্পেইন কতটুকু সাকসেসফুল হয়েছে। 

যাদের নতুন বিজনেস তারা কি করবেন?

যাদের বিজনেস নতুন, তারা কিভাবে কাস্টমার টেস্টিমনিয়ালের মাধ্যমে ফেসবুক অ্যাডস থেকে ভালো আউটপুট পেতে পারেন? জেনারেলি বিজনেসের শুরুর দিকে সেলের পরিমাণ সেভাবে থাকেনা বলে রিভিউও পাওয়া সম্ভব হয়না। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইট কিংবা ফেসবুক পেইজে ভিজিটরদের কমেন্ট টেস্টিমনিয়াল হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন। 

পরিশেষে 

কাস্টমার টেস্টিমোনিয়াল কে কখনোই অবহেলা করবেন।  কারণে কি কাস্টমারের কাছে আপনার বিজনেসটিকে আস্থাশীল করে তোলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।  পাশাপাশি কাস্টমার আপনার প্রোডাক্ট পছন্দ করছে কিনা অথবা তারা আপনার প্রোডাক্ট,  ব্যান্ড সম্পর্কে কি ধরনের চিন্তা পোষণ করে সে সম্পর্কে জানতে হলেও কাস্টমার টেস্টমনিয়াল প্রয়োজন।

ই কমার্স সেল বাড়াতে পারসুয়েসিভ প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লিখার টেকনিক 

ই কমার্স সেল বাড়াতে পারসুয়েসিভ প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লিখার টেকনিক 

যেকোনো ই -কমার্স বিজনেসের সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হচ্ছে কাস্টমারদেরকে প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস পারচেজ করার জন্য কনভিন্স করা। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ বিজনেস ওনারের যে মিসকনসেপসন থাকে সেটা হলো “প্রোডাক্টের ছবির সাথে কোনোভাবে একটু ডেসক্রিপশন অ্যাড করে দিলেই সেটি পটেনশিয়াল কাস্টমারকে অ্যাট্র্যাক্ট করে।” এ ধারণা থেকে তারা তাদের কন্টেন্টগুলো তেমন একটি গুরুত্ব দিয়ে লিখেন না, ফলে সেটি অডিয়েন্সদের কাছে গুরুত্ব পায় না এবং এর ইমপ্যাক্ট  সেলস এর উপর পড়ে। 

আপনি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে কতটা পারসুয়েসিভ বা কনভিনসিং ওয়েতে লিখছেন, তার ওপরেই একজন কাস্টমার আপনার সাইট থেকে পারচেজ করবেন কিনা সেই ডিসিশন নেয়। 

জানবো ই-কমার্স বিজনেসে কিভাবে প্রোডাক্টের জন্য পারসুয়েসিভ ডেসক্রিপশন লিখা যায় সেই বিষয়ে।  

প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন সেল জেনারেট করতে কতটুকু হেল্প করে?

প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন এমন একটি ব্র্যান্ড এলিমেন্ট যেটার কোয়ালিটি ভালো হলে বিজনেসের সেলস নাম্বার বৃদ্ধি পায়।যে ই-কমার্স সাইটে যত ডিটেইলড ভাবে প্রোডাক্ট সম্পর্কে তুলে ধরা হয়, সে সাইটের প্রতি কাস্টমারদের একটা আলাদা ট্রাস্ট গ্রো করে, যে ট্রাস্টই পরবর্তীতে তাদের পারচেজের ডিসিশন নিতে ইনফ্লুয়েন্স করে। তখন দেখা যায় ওই সাইট থেকেই ক্লায়েন্টরা রিপিটেডলি কেনাকাটা করেন। 

আবার যদি সাইটে যেনতেন ভাবে প্রোডাক্টের ইনফরমেশন পোস্ট করেন, তাহলে সেটি কাস্টমারদের জন্য কোন ভ্যালু অ্যাড করে না। নিলসেন নরম্যান গ্রুপের একটা রিসার্চ রিপোর্টে দেখা গেছে, যদি প্রোডাক্টের ডেসক্রিপশন সঠিকভাবে প্রোভাইড করা না হয়, অর্থাৎ যে ইনফরমেশনগুলো একজন কাস্টমারের পারচেজের ডিসিশনটা নিতে প্রয়োজন, সেগুলো যদি মিসিং থাকে, তাহলে ২০ পারসেন্টের মতো পারচেজ ফেইলিউর হতে পারে। অর্থাৎ এই পারচেজ ফেইলিউরের পেছনে প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনটা প্রোপারলি ক্রাফটিং না করা পটেনশিয়ালি রেসপনসিবল। 

ধরুন, নিজের কিচেনের জন্য অনলাইনে একটা ব্লেন্ডার পারচেজ করার আগে আপনি একটা ই-কমার্স সাইট ভিজিট করলেন। ওই দেখতে পেলেন, সেখানে প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনে ব্লেন্ডারের মডেলের নাম, প্রাইস এবং ব্লেন্ডারটা কোন দেশে ম্যানুফ্যাকচারড সেটা লেখা আছে। আপনি তখন ডিসিশন নিতে পারলেননা যে ওই ব্লেন্ডারটা কিনবেন কিনা! 

তারপর আপনি আরেকটা সাইট ভিজিট করলেন।  সে সাইটে ওই একই ব্লেন্ডারের ডেসক্রিপশনে দেখতে পেলেন সেখানে ব্লেন্ডারের মডেল, প্রাইস ইত্যাদির পাশাপাশি এটার সাহায্যে কী কী ব্লেন্ড করা যাবে এবং যাবেনা, এটা ইউজ করার বেনিফিটগুলো কী, অন্যান্য ব্লেন্ডারের চাইতে এটা কেন বেটার, কিভাবে এটা ক্লিন করতে হবে, কতদিনের গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি আছে ইত্যাদি সবই মেনশন করা আছে। এখন ন্যাচারালিই আপনি কিন্তু সেকেন্ড সাইটটা থেকেই ব্লেন্ডারটা কিনবেন, কারণ ওই সাইটে প্রোভাইড করা ডিটেইলড ইনফরমেশন দেখে আপনি বুঝতে পেরেছেন এই ব্লেন্ডারটাই আপনার প্রয়োজন, যা আপনাকে পারচেজ করার ডিসিশনটা নিতে হেল্প করেছে, যেটা প্রথম সাইটটা করেনি। 

এখন ভেবে দেখুন, যদি প্রোডাক্ট সম্পর্কে লিখতে যথেষ্ট এফোর্ট না দেন, তাহলে নিজের ই-কমার্স বিজনেসে কি এক্সপেকটেড সেলস জেনারেট করতে পারবেন? কখনোই নয়!

কাস্টমারদের কনভিন্স করার জন্য কিভাবে পারসুয়েসিভ প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লিখবেন? চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক সেই মাইন্ড ব্লোয়িং সেই রাইটিং হ্যাকসগুলো সম্পর্কে। 

১। কাস্টমারদের বোঝান, “আপনার প্রোডাক্টেই রয়েছে তাদের প্রবলেমগুলোর সল্যুশন”

আপনারা ই-কমার্স প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লেখার সময় “কাস্টমারদের প্রবলেম সলভ করতে হবে” – এই মাইন্ডসেট রাখুন। নিজের লেখায় কাস্টমারদের ডিমান্ডের বিষয়টা অবশ্যই মাথায় রাখুন।  

আপনি যদি চান কাস্টমাররা আপনার সাইট থেকেই প্রোডাক্ট পারচেজ করুক, তাহলে আপনাকে কাস্টমারদের পয়েন্ট অফ ভিউ বুঝে তারপরেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে ইনফরমেশন ইনক্লুড করতে হবে। অর্থাৎ আপনার প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনটা কাস্টমারদের পেইন পয়েন্ট কনসিডার করে ইউনিকভাবে লিখতে হবে, যাতে করে তারা বোঝেন আপনার প্রোডাক্টই তাদের প্রবলেম বা ডিমান্ড ফুলফিল করতে পারে এবং তাদের অ্যাকচুয়াল বেনিফিট দিতে পারে। 

যেমন ধরুন, আপনার সাইটে যদি ডেজার্ট তৈরির কোনো ইনগ্রেডিয়েন্ট থাকে, তাহলে ওই ইনগ্রেডিয়েন্টটা সম্পর্কে সাধারণভাবে লাইনের পর লাইন না লিখে এভাবে লিখতে পারেন, “যেকোনো ওকেশনে সবাইকে খুশি করতে ডিলিশিয়াস ডেজার্ট বানাতে চাইলে ইউজ করুন “x”  ইনগ্রেডিয়েন্ট। ” তারপর ওই ইনগ্রেডিয়েন্টের কোয়ালিটি ভালো না হলে সেটা যে ডেজার্টের টেস্ট নষ্ট করে দিতে পারে সেটা মেনশন করুন।  খেয়াল করে দেখুন, এভাবে লিখলে একজন কাস্টমার বুঝতে পারবেন যে ডেজার্ট বানানোর সময় ওই স্পেসিফিক ইনগ্রেডিয়েন্টটা ভালো না হলে তার বানানো ডেজার্ট কখনোই টেস্টি হবেনা। তখন আপনার সাইট থেকেই তার প্রোডাক্টটা পারচেজ করার ইন্টারেস্ট বেড়ে যাবে।

০২। প্রতিটা প্রোডাক্টের ডেসক্রিপশনে রাইমিক সিকুয়েন্স রয়েছে এমন ফ্রেজ রাখুন

 

প্রিংগেলস চিপস ছোট বড় সবার কাছে অত্যন্ত পছন্দের। “Once You Pop,You Can’t Stop” এই একটা রাইমিক লাইন দিয়ে ব্র‍্যান্ডটা জায়গা করে নিয়েছে কোটি কোটি মানুষের মনে। বলা হয়ে থাকে, রাইমিক সিকুয়েন্স রয়েছে এমন লাইনগুলো মনে রাখা আমাদের ব্রেইনের জন্য কম্পারেটিভলি অনেক ইজি। 

তাই যখন ই-কমার্স সাইটের জন্য প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লিখবেন, চেষ্টা করবেন  রাইমিক সিকুয়েন্স রয়েছে এমন কিছু ফ্রেজ অ্যাড করতে। এই ফ্রেজটাতে যদি কাস্টমারদের ডিমান্ডের পারস্পেকটিভটা ইনক্লুড করতে পারেন, তাহলে আরো বেটার। যেমনঃ যদি আপনি কোন একটি ব্র‍্যান্ডের বেবি বাউন্সারের ডেসক্রিপশন লেখেন, তাহলে রিদমিক ফ্রেজ হিসাবে লিখতে পারেন, “বেবি বাউন্সারে দোল খেতে খেতে, আপনার  বাবু ঘুমাবে শান্তিতে!” 

কাস্টমাররা যখন ডেসক্রিপশনটা পড়বে, তখন আপনার বিজনেস সম্পর্কে তাদের মাথায় একটা আইডিয়া সেট হয়ে যাবে। যা সেল জেনারেট করার পসিবিলিটি অনেকখানি বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম ।

০৩। প্রোডাক্টের ভালো দিকগুলো লেখায় রিপিট করুন 

কাস্টমারদের আপনার ই-কমার্স সাইট থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ করাতে চাইলে একটা প্রোডাক্টের সবচেয়ে অ্যাট্রাকটিভ বা বেনিফিশিয়াল ফিচারগুলো প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনে কয়েকবার মেনশন করবেন। গবেষণায় দেখা গেছে, যদি কোনো কন্টেন্টে একটা ভ্যালুয়েবল ইনফরমেশন বারবার রিপিট করা হয়, তাহলে তা পরবর্তীতে মানুষের অ্যাট্রাকশন বিল্ড আপ করতে হেল্প করে।

যদি আপনার প্রোডাক্টের এমন কোনো দিক থাকে যা কাস্টমারদের ডিমান্ড ফুলফিল করতে ইফেকটিভলি হেল্প করে, তাহলে অবশ্যই সে দিকটা লেখায় দুই থেকে তিনবার মেনশন করুন৷ যেমন ধরুন, আপনি ফেয়ারনেস ক্রিমের ডেসক্রিপশন লিখছেন, যেটা ৭ দিনে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে বলে ক্লেইম করে। 

এই ইনফরমেশনটা অবশ্যই আপনার পটেনশিয়াল কাস্টমারদের ডিমান্ড ফুলফিল করতে ক্যাপাবল। তাই যদি এটা আপনার প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনে রিপিটেডলি ইনক্লুড করেন, তাহলে দেখতে পাবেন আগের চাইতে অনেক বেশি সংখ্যক কাস্টমার ওই প্রোডাক্টটা পারচেজ করছেন। 

নিজের ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করুন মাত্র ৫ মিনিটে

ব্যবহারে সহজ

কোডিং এর ঝামেলা নেই

খরচ সাধ্যের মধ্যে

সাইন আপ

 

০৪। কাস্টমারদের ট্রাস্ট গেইন করতে প্রোডাক্টের নেগেটিভ সাইড মেনশন করার সৎ সাহস রাখুন

অনেকেই মনে করেন প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনে  শুধুমাত্র একটা প্রোডাক্টের পজিটিভ সাইডগুলো উল্লেখ করতে হয় । কিন্তু সত্যি বলতে প্রতিটা প্রোডাক্টেরই অন্তত একটা হলেও নেগেটিভ দিক থাকে। 

কাস্টমারদের ট্রাস্ট গেইন করতে চাইলে প্রোডাক্টের ডেসক্রিপশন লেখার সময় সবসময় ট্রান্সপারেন্সি মেনটেন করুন। এ কনসেপ্টটাকে ইংরেজিতে ব্লেমিশিং ইফেক্ট বলা হয়। অর্থাৎ কোনো প্রোডাক্টের ছোট্ট একটা ফ্ল তুলে ধরার মাধ্যমে কাস্টমারদের সামনে নিজের অথেন্টিসিটি তুলে ধরার মাধ্যমে তাদের ট্রাস্ট গেইন করা। 

ধরুন, আপনি কোনো একটা বিউটি ক্রিমের ডেসক্রিপশন লিখছেন। ওই ক্রিমটার অনেকগুলো ভালো দিক থাকলেও ক্রিমটা ওপেন করার ৬ মাসের মধ্যেই ইউজ করে ফেলতে হয়। এটা কিন্তু আপনার ক্রিমের একটা ফ্ল। এখন আপনি যদি প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনের সাথে এই ব্যাপারটা মেনশন করে দেন, তাহলে কাস্টমাররা বুঝতে পারবেন এটা আপনার বিজনেস হলেও আপনি কাস্টমারদের স্কিন ভালো রাখা নিয়ে সত্যিকার অর্থে কনসার্নড। তখন কাস্টমারদের আপনার সাইটের প্রতি বিশ্বাস জন্মাবে এবং স্বাভাবিকের চাইতে আপনার অনেক বেশি সেল জেনারেট হবে। 

০৫। লেখায় এনডোড প্রোগ্রেস ইফেক্ট অ্যাপ্লাই করুন 

কাস্টমারদের অ্যাট্রাক্ট করার জন্য যে টেকনিকগুলো সবচেয়ে বেশি ইফেকটিভ রোল প্লে করে, সেগুলোর মধ্যে একটা হলো এনডোড প্রোগ্রেস ইফেক্ট।এনডোড প্রোগ্রেস ইফেক্ট কি ?  

এনডোড প্রোগ্রেস ইফেক্ট হলো একজন মানুষকে এমন কোনো অ্যাডভান্সড রিওয়ার্ড দেয়া, যে রিওয়ার্ড পেলে ওই মানুষটা কোনো একটা স্পেসিফিক গোল অ্যাচিভ করতে আরো বেশি মোটিভেটেড ফিল করে এবং ইভেনচুয়ালি ওই গোলটা ফুলফিল করেও ফেলে। 

আপনারা হয়তো জেনে অবাক হবেন, এই টেকনিকটা অ্যাপ্লাই করে জনপ্রিয় ব্র‍্যান্ড স্টারবাকস দারুণ সাফল্য পেয়েছিলো। তারা তাদের কাস্টমারদেরকে প্রতিবার ড্রিংক পারচেজ করার পর রিওয়ার্ড হিসেবে একটা করে গোল্ড স্টার দিতো। এভাবে বারোটা গোল্ড স্টার পেলে ওই কাস্টমার একটা করে ফ্রি ড্রিংক পেতেন। মূলত ওই ফ্রি ড্রিংকটা পাওয়ার আশায় অনেক মানুষ স্টারবাকসের রিওয়ার্ড প্রোগ্রামে অংশ নেয়, যার ফলস্বরূপ স্টারবাকসের সেল অনেকগুণ বেড়ে যায়। তাই আপনিও যদি এমন সাকসেস পেতে চান, তাহলে প্রোডাক্টের ইনফরমেশন লেখার সময় এমন কোনো রিওয়ার্ডের প্রোগ্রাম তৈরি করতে পারেন। 

০৬। ডিসরাপ্ট দ্যান রিফ্রেম টেকনিক অ্যাপ্লাই করুন 

ডিসরাপ্ট দ্যান রিফ্রেম হচ্ছে এমন একটা স্পেশাল রাইটিং টেকনিক যেখানে একজন কাস্টমারকে কনফিউজড করে দেয়ার ট্রাই করা হয়। তবে কনফিউজড শব্দটা দেখে ভয় পাবেন না! কারণ এই টেকনিকে এমন ভাবে মানুষকে কনফিউজড করা হয়, যাতে করে পরবর্তীতে কাস্টমাররা প্রোডাক্ট পারচেজ করার ফাইনাল ডিসিশন নিতে পারেন। ডেভিস অ্যান্ড নোলস ১৯৯৯ সালে এই সুপার ইফেকটিভ টেকনিকটা আবিষ্কার করেন। 

এবার এই টেকনিকের একটা উদাহরণ দেই। আপনি এক ডজন কলমের প্রাইস ৬০ টাকা না লিখে যদি লেখেন, “১২ টি কলমের দাম ৫ টাকা”,  সেক্ষেত্রে কাস্টমারদের সংখ্যা আগের চাইতে বাড়বে। এটাই হলো ডিসরাপ্ট দ্যান রিফ্রেম টেকনিক।

০৭। কাস্টমারদের কনভিন্স করতে লেখায় পাওয়ার ওয়ার্ডস ইউজ করুন 

পাওয়ার ওয়ার্ড কী? একদম সহজ বাংলায় পাওয়ার ওয়ার্ড হচ্ছে এমন কিছু শব্দ যেগুলো একজন কাস্টমারের মাইন্ডে শক্ত প্রভাব বিস্তার করে। যদি আপনি আপনার প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশনে এই ওয়ার্ডগুলোর অন্তত একটাও ইউজ করেন, তাহলে একজন কাস্টমার বুঝতে পারবেন যে ওই প্রোডাক্টটা ইউজ করলে তিনি এক্সাক্টলি কেমন ধরনের বেনিফিট পেতে পারেন। 

পাওয়ার ওয়ার্ড বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ  আপনি যদি লেখায় বেস্ট, ফ্রি,ডিসকাউন্ট ইত্যাদি ওয়ার্ড ইউজ করেন, তাহলে সেগুলো দেখার পর একজন কাস্টমার মনে করবেন তিনি ওই প্রোডাক্টটা পারচেজ করলে অল্প টাকা খরচ করে বেশি বেনিফিট পেতে পারবেন। যেমন: যখন কোনো প্রোডাক্টে ডিসকাউন্ট দেয়া হয় এবং সেটা প্রোডাক্টের ডেসক্রিপশনে লেখা থাকে, তখন কাস্টমারদের ওই প্রোডাক্টটা পারচেজ করার টেন্ডেন্সি অনেক বেশি থাকে। 

আবার অনেক কন্টেন্টে পাওয়ার ওয়ার্ড হিসাবে কুইক কিংবা ফেইল প্রুফ ইত্যাদি ওয়ার্ডও ইউজ করা হয়। যখন একজন কাস্টমার এই ওয়ার্ডগুলো দেখেন, তখন তিনি মনে করেন যদি তিনি এই প্রোডাক্টটা পারচেজ করেন, তাহলে তিনি অল্প এফোর্টে বেশি ভ্যালু পেতে সক্ষম হবেন। যেমন ধরুন, কোনো হেয়ার ওয়েলের ডেসক্রিপশনে যদি উল্লেখ করা হয় এই হেয়ার অয়েল ইউজ করলে সবচেয়ে দ্রুত চুল গজাবে, তাহলে মানুষ সেই হেয়ার অয়েলটাই বেশি পারচেজ করবেন। কারণ এখানে সবচাইতে কম সময়ে চুল গজানোর গ্যারান্টি দেয়া হচ্ছে , যা অন্যান্য হেয়ার অয়েল দিতে পারবে না বলে কাস্টমাররা মনে করেন। 

পরিশেষে, 

এখন আপনারা নিজেদের ই-কমার্স সাইটের প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন ঠিক কিভাবে লিখলে তা কাস্টমারদেরকে প্রোডাক্ট পারচেজ করার ডিসিশন নিতে হেল্প করতে পারে তা বুঝতে পারছেন। সবসময় মনে রাখবেন, ই কমার্স বিজনেস বেশ কম্পিটিটিভ একটা ফিল্ড। তাই যদি পারসুয়েসিভ টোনে প্রোডাক্টের ইনফরমেশন সাইটে পোস্ট করতে না পারেন, তবে ক্লায়েন্টের সংখ্যা একদমই বাড়বেনা। তাই প্রোডাক্টের ডেসক্রিপশন লেখার সময় এই টেকনিকগুলো ফলো করে আপনার প্রতিযোগিতামুলক বাজারে এগিয়ে থাকুন। 

অনলাইনে আপনার প্রোডাক্টের সেল করার জন্য কিভাবে উপযুক্ত কাস্টমার খুঁজে পাবেন?

অনলাইন সেল বাড়ানোর জন্য সেলারের উচিত সম্ভব্য কাস্টমারের প্রতি মনোযোগ দেয়া। প্রোডাক্ট সেলের জন্য সঠিক কাস্টমার খুঁজে বের করে তাঁদের কাছে প্রোডাক্ট সেল করা ও পরবর্তী সেবা যথাযথভাবে প্রদানের মাধ্যমে কাস্টমারের সন্তুষ্টি অর্জন একজন সেলারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ।

অনলাইন বিজনেসের জন্য উপযুক্ত কাস্টমার খুঁজে বের করতে পারলে সফলভাবে প্রোডাক্টের মার্কেটিং করা যায়। এতে করে কম মার্কেটিং খরচে ভালমানের কাস্টমার যেমন খুঁজে পাবেন সাথে সেল বেড়ে যাবে ।

তাই একজন সেলারের মূল কাজ হওয়া দরকার তার বিজনেসের জন্য সঠিক কাস্টমার খুঁজে বের করে সেই কাস্টমারদের উপযোগী করে আপনার মার্কেটিং ও অ্যাড পরিকল্পনা করা।

তাহলে কিভাবে খুঁজে পাবেন আপনার বিজনেসের জন্য উপযুক্ত কাস্টমার?

কাস্টমারের দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার প্রোডাক্ট বা সেবা নিয়ে ভাবুন।

আপনার প্রোডাক্ট ব্যবহার করে কাস্টমার কি কি সুবিধা পাবে সেটি কাস্টমারদের বলুন।

আপনার প্রোডাক্ট কাস্টমার কেন পছন্দ করবে?
যে কারনে কাস্টমার প্রোডাক্টটি কিনতে চায় আপনার প্রোডাক্ট কি সেই উদ্দেশ্য পূর্ণ করতে সক্ষম?
একই প্রোডাক্ট অন্য অনেকেই সেল করছে তাহলে কেন আপনার কাছেই কাস্টমার সেটি কিনতে চাইবে?
সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অন্য সেলারদের সাথে আপনার পার্থক্য কোথায়?
কাস্টমার কেন আপনার উপর আস্থা রাখবে?

আপনি যখন প্রশ্নগুলির সমাধানে মনোযোগী হবেন তখন লক্ষ্য করবেন আপনার অনলাইন বিজনেসে বেচাকেনা ইতিবাচক দিকে মোড় নিতে শুরু করেছে। কারন আপনার কাছে দারুণ কিছু কাস্টমার আছে যাদের আপনার প্রোডাক্টের প্রয়োজন আছে আর তাঁরা সেটির জন্য উপযুক্ত মূল্য পরিশোধ করতে সক্ষম।

ধরুন আপনি লেদার প্রোডাক্ট নিয়ে অনলাইনে বিজনেস করছেন।

আপনার প্রোডাক্টগুলি কাস্টমার দেখা মাত্রই পছন্দ করে কারন আপনার ডিজাইন বর্তমান সময়ের ফ্যাশানকে মাথায় রেখে করা।
এখন কাস্টমার অফিসের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহন করার জন্য একটি লেদার ব্যাগ কিনতে চায়। আপনি তাঁদের বলুন আপনার ডিজাইন করা ব্যাগটি অফিসের কাজের জন্য কোন কোন সরঞ্জামগুলি বহন করতে সক্ষম।

আপনার প্রসেস করা লেদার অনেক ওজন নিলেও আকার নষ্ট হয় না, সেটি কতটুকু ওজন নিতে সক্ষম সেটি কাস্টমারকে বলুন।
লেদার ব্যাগটি আপনার কাছে কিনলে কাস্টমারকে ফ্রী জিপার রিপ্লেস সুবিধা দিবেন করে দিবেন যদি সেটি নষ্ট হয়,এই সুবিধা পজিটিভ ভাবে অন্যের থেকে আপনার বিজনেসকে আলাদা করে।

কাস্টমার আপনার উপর আস্থা রাখবে কারণ আপনি অতীতেও কাস্টমারদের সাথে কমিটমেন্ট রক্ষা করেছেন।

কারা কিনছেন আপনার প্রোডাক্ট ?

কাস্টমারের বয়স, পেশা, জাতি, তার আর্থিক অবস্থা, বর্তমান লাইফস্টাইল এই বিষয়গুলি খুব গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। এতে করে কাস্টমারদের জন্য ইফেকটিভ অ্যাড ডিজাইন ও সফল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালাতে পারবেন।

প্রোডাক্টের মার্কেটিং করতে গিয়ে অনেকেই জটিলভাবে প্রোডাক্টটি কাস্টমারের সামনে উপস্থাপন করে ফলে বেশিরভাগ সময় কাস্টমার সেটি বুঝতেই পারে না ।

আপনার প্রোডাক্টটি যদি হয় সকল শ্রেণীপেশার মানুষের জন্য তাহলে অ্যাড ডিজাইন করুন সহজ ভাষায়।ধরুন, আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় অ্যাড দেন তাহলে আপনার কাস্টমারের মধ্যে যারা ইংরেজি ভাষা জানে তাঁরাই সেটি বুঝতে পারবে বাকিরা কিছুই বুঝবে না। ফলে আপনি কাস্টমার হারাবেন। কিন্তু যদি অ্যাডটি হতো বাংলায় তাহলে সকল শ্রেণীপেশার মানুষের জন্য বুজতে সুবিধা হবে।

আবার অনেক সময় প্রয়োজনের সাথে তাঁদের লাইফস্টাইলকে মিলিয়ে চিন্তা করলে কিছু প্রোডাক্ট এমন কাস্টমারের কাছে সেল করা সম্ভব যার সরাসরি ব্যবহারকারী সে নিজে না।

ধরুন, আপনার প্রোডাক্টটি হল সেভিং ফোম ।আপনার টার্গেট পুরুষ কাস্টমার।

প্রথমে জানুন সেই পুরুষ কাস্টমারগুলির পেশা, ধরুন তাঁরা চাকরিজীবী।এই কাস্টমার গ্রুপটির কোন না কোন পরিবারে সৌন্দর্য সচেতন মেয়ে সদস্য অবশ্যই থাকবে।

আপনি তাঁদের সেভিং ফোম ও বিউটি ক্রিম কম্বো প্যাক অফার করুন প্রতিযোগিতা মুলক দামে । যারা একটু কেনাকাটায় অর্থ সাশ্রয় করার ব্যাপারে সচেতন দেখবেন এদের মধ্যে অনেকেই আপনার প্রোডাক্টটি কিনছে।

কারন এই দুইটি প্রোডাক্টের একটির জন্য আদর্শ ব্যবহারকারী সে নিজে আর অন্যটির জন্য উপযুক্ত ব্যবহারকারী তার পরিবারের মেয়ে সদস্য।

কেনাকাটায় কাস্টমারের আচরণ পর্যবেক্ষণ করুন

আপনার কাস্টমার কোন এলাকায় বসবাস করে?
দিন, মাস বা বছরের কোন সময়টিতে তাঁরা আপনার প্রোডাক্ট বেশি পরিমান অর্ডার করছে?
দিনের বেলায় কেনাকাটা করছে না রাতে কেনাকাটা করতে পছন্দ করছে?
কি ডিভাইস ব্যবহার করে কেনাকাটার সময়?
কেনার আগে তাঁরা আপনার কোন প্রোডাক্টগুলি বারবার দেখেছে?
ইতি পূর্বে তাঁদের কেনাকাটার ধরন কেমন ছিল?

এসব প্রশ্নের উত্তর আপনার কাছে থাকতেই হবে। নইলে আপনি আপনার প্রোডাক্টের অনলাইন মার্কেটিং সফল ভাবে করতে সক্ষম হবেন না।

ধরুন আপনার কিছু কাস্টমার গুলশান এলাকায় থাকে। তাঁরা এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে বেশি বেশি প্রোডাক্ট অর্ডার করে। তাঁদের অর্ডারগুলি আসে রাতের সময়। তাঁরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনার ই কমার্স সাইটে গিয়ে প্রোডাক্ট অফার করছে। তাঁদের পছন্দের প্রোডাক্টগুলি একটু দামি। এদের মধ্যে যারা আগে আপনার কাছে কেনাকাটা করেছে তাঁরা কার্ডে পেমেন্ট করেছিল।

নিজের ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করুন মাত্র ৫ মিনিটে

ব্যবহারে সহজ

কোডিং এর ঝামেলা নেই

খরচ সাধ্যের মধ্যে

সাইন আপ

 

এবার আপনি প্রোডাক্ট মার্কেটিং প্লান করুন, আপনার অ্যাডটি করুন এমনভাবে যেটি মোবাইলে সহজে ওপেন হয়, ভাষা ব্যবহারে রুচিশীল হন, ইমেইল মার্কেটিং বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করুন রাতের সময়। বিশেষ করে এপ্রিল মাসে একটু গুরুত্বদিয়ে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালান। তাঁদের কার্ড পেমেন্টে গিফট অফার করুন।
দেখবেন সেল আগের চেয়ে দিগুন বেড়ে গেছে।

আপনার অনলাইন বিজনেসের সফলতা নির্ভর করবে প্রোডাক্ট সেল করার জন্য আপনি কত ভালো কাস্টমার খুঁজে বের করতে সক্ষম তার উপর।

চমৎকার অফার ও মার্কেটিং চ্যানেলগুলির পূর্ণ ব্যবহার কাস্টমারের সাথে তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে যোগাযোগ শক্তিশালী করতে মূল ভুমিকা পালন করে।

অনেক সেলার এমন আছেন যাদের প্রোডাক্টটির জন্য উপযুক্ত কাস্টমার খুঁজে পাবার পদ্ধতি সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা তাঁদের জানা নেই। ফলে প্রোডাক্টটি কেনার জন্য উপযুক্ত না, এমন কাস্টমারের কাছে সেলার তাঁদের প্রোডাক্ট সেল করতে টাকা ও সময় দুটোই নষ্ট করে চলেছেন।

আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কারা আপনার প্রোডাক্ট কেনার জন্য উপযুক্ত আর তাঁদের কেনাকার ধরন কেমন। এটি আপনার অনলাইন বিজনেসে সফলতা এনে দিবে। বিজনেসে সফলতা বলতে আমরা প্রফিট ও ভালো কাস্টমারকে বুঝি।

আপনার অনলাইন বিজনেস সম্পর্কিত যে কোনো প্রশ্ন বা সমস্যা সমাধানে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে 0176668138 অথবা 01729241499 অথবা [email protected]

ফেসবুক বিজনেস পেজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়: যেগুলি জানা থাকলে আপনি বেশি বিক্রি করতে পারবেন

বর্তমানে অনেকেই ফেইসবুক পেজের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করছেন । সবাই বুস্টিং করছেন কিন্তু পণ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে অল্প কিছু মানুষের । কেন এমন হচ্ছে বা কেন এমন হয়?

উত্তর একটাই: পরিকল্পিত কৌশল এবং ফেসবুকের বিভিন্ন অপশনের সঠিক ব্যবহার ।

অনলাইনে ভালো বিক্রি করতে সাধারণ কিছু কৌশল (বেসিক স্ট্রাটেজি) জানা খুব জরুরি। আপনি যদি একটু সময় নিয়ে, গুছিয়ে কৌশল গুলো ব্যবহার করতে পারেন তবে অনলাইন ব্যবসায় সফল হওয়া খুব সহজ।

কাস্টমার রিভিউ

৮৫.৫৭% কাস্টমার অনলাইনে কোন প্রোডাক্ট কেনার আগে প্রোডাক্টের রিভিউ দেখে। সম্ভাব্য কাস্টমাররা কেনার আগে  দেখতে চায় অন্য কাস্টমাররা প্রোডাক্ট নিয়ে কী বলছে।

পণ্যটি কেনার পর ক্রেতার সাথে আপনার সম্পর্ক শুরু, তাঁদের বলুন পণ্যটি ব্যবহার করে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে।

পণ্যটি যদি পোশাক হয় তবে তাঁদের সেই পোশাক পরিহিত সবচেয়ে সুন্দর ছবিটি শেয়ারের জন্য বলুন।

এটি ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে সহায়ক ও পণ্যটির সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা দেয়।

 

 

ই কমার্স ওয়েবসাইট

ফেসবুকপেজে আপনার পণ্যটি দেখার পর ক্রেতা সেটি কেনার জন্য মনস্থির করলে  পণ্যটির সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী হয়।

ই কমার্স ওয়েবসাইট পণ্যে ও এর ক্রয় বিক্রয় নীতিমালা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে ক্রেতার নিকট তুলে ধরতে পারে যা কিনা পেজ দ্বারা সম্ভব হয়ে ওঠেনা।

ক্রেতা যত বেশি তথ্য পাবে ততো বেশি পণ্যটি কেনার সম্ভবনা বেড়ে যাবে।

কোন পণ্য নতুন এসেছে কোনটি আপনার শপ হতে বেশি বিক্রয় হচ্ছে ক্রেতা তা জানতে পারে যদি ই কমার্স সাইট থাকে।

অফার ও ডিস্কাউন্ট পেতে চাই না এমন ক্রেতা খুঁজে পাওয়া মুশকিল আর  ই কমার্স সাইট থাকলে এই সকল বিক্রয় কৌশল কার্যকারী ভাবে ব্যবহার করে বিক্রয় বাড়ানো যায়।

বাবশার মুলে ক্রেতা আর ই কমার্স সাইট ক্রেতাদের তথ্য তাঁদের পূর্ববর্তী কেনাকাটার রেকর্ড চমৎকার ভাবে সংরক্ষণ করে।

 

কাস্টমার সার্ভিস চ্যানেল হিসেবে ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার

জিজ্ঞাসা ও সমস্যা সমাধানের জন্য ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার ক্রেতাদের সাথে আপনার সম্পর্ক মজবুত করে । অনেক ক্রেতা আপনার উত্তর দেবার ধরন ও সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তরিকতাকে গুরুত্ব দেয় এটি পেজের  সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ধারনা প্রদান করে।

যা পরবর্তীতে আপনার পেজ হতে  কেনাকাটা করতে তাঁদের আরও বেশি আগ্রহী করে তোলে। কাস্টমার মনে করে তারা বিক্রেতার সংস্পর্শে আছে।  যে সকল পেজ দ্রুততম সময়ে কাস্টমার ফিডব্যাক দেয় তাঁদেরকে কাস্টমার সচেতন বাবসায়ি মনে করেন।

 

একটি পণ্যের একাধিক ছবি সম্বলিত পোস্ট

ফেসবুক পণ্যের একের অধিক ছবি ব্যবহার করে পোস্ট তৈরি করতে এই Carousel Ads ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিটি ছবির সাথে প্রয়োজনীয় call to action বাটন ব্যবহার করে পোস্ট করুন এতে ক্রেতা পণ্যটি বিভিন্ন আঙ্গিকে দেখার সুযোগ পাবে এবং খুব সহজে অর্ডার করতে পারবে।

এছাড়াও একই পণ্যের বিভিন্ন রং ও ডিজাইন থেকে পছন্দমতো পণ্যটি বেছে নিতে পারবে।  

 

নিজের ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করুন মাত্র ৫ মিনিটে

ব্যবহারে সহজ

কোডিং এর ঝামেলা নেই

খরচ সাধ্যের মধ্যে

সাইন আপ

 

কুইজ প্রতিযোগিতা

কুইজ প্রতিযোগিতা অনেক কাস্টমার ভালোবাসে।

আপনার পণ্য বা সেবা সাথে সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করুন। এতে আপনার পেজের এঙ্গেজমেন্ট বাড়বে। বিজয়ীদের জন্য পুরুস্কারের বাবস্থা রাখুন হোক তা স্বল্প দামি। পুরুস্কার পেতে ভালোবাসে সবাই।

পেজের এঙ্গেজমেন্ট বাড়ার অর্থ পেজের সাথে ক্রেতার যোগাযোগ বেড়ে যাওয়া। ফলে আপনার পোস্ট করা পণ্য ও সেবার বিজ্ঞাপন অধিক মানুষের কাছে পৌঁছাবে।

 

অফার তৈরি করুন

মূলত ছুটির দিনটিতে সবাই কেনাকাটা করতে পছন্দ করে আর অফার পছন্দ করে না এমন ক্রেতা খুঁজে পাওয়া মুশকিল।এইদিনে ফেসবুকে সর্বাধিক মানুষ সক্রিয় থাকে।  

সীমিত সময়ের জন্য কিছু এক্সক্লুসিভ পণ্যের উপর অফার দিতে পারেন। সাধারনত ক্রেতা অফার পেলে কেনার জন্য বেশি আগ্রহও প্রকাশ করে।The Economist Newspaper প্রতিবেদন মতে  ৭৩% বেশি বিক্রয় হয় যদি সেই পণ্যে অফার থাকে।    

অনলাইন ক্রেতাদের ৫০ শতাংশ কিছু কেনার আগে দেখে নতুন কি অফার আছে।

তাই ছুটির দিনগুলোতে আপনার ক্রেতাদের অফার ও ডিস্কাউন্ট দিয়ে কেনাকাটায় আরও  আগ্রহী করে তুলুন।

 

সময়

আপনার ক্রেতা কারা, তাঁদের বয়স, পেশা মাথায় রেখে ফেসবুক পোস্ট করুন।

অনলাইনে প্রচুর তথ্য আছে এই সম্পর্কিত কিন্তু আমাকে মাথায় রাখতে হবে  কোন দেশে পণ্য বিক্রয় করছি এবং আমাদের দেশে সাধারন মানুষ ও পেশাজীবীদের জীবনধারা কেমন।

বাংলাদেশে  রাত ১০.৩০ হতে ১.৩০০ পর্যন্ত ফেসবুকে বেশি সংখ্যক মানুষ সক্রিয় থাকে এই সময় দেয়া পোস্ট সবাই দেখে। আবার দুপর ২.৩০ হতে ৪.০০ পর্যন্ত অনেক মানুষ ফেসবুকে সক্রিয় থাকে।

সকাল ৯ টা হতে ১১.০০ টা এই সময়টাও ফেসবুক পোস্ট দেবার জন্য উপযুক্ত।  

 

ফেসবুক লাইভ

বর্তমান সময়ে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার প্রচারণা ও বিক্রয় দিনদিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এর মাধ্যমে  ক্রেতা পণ্যটি তাঁর ইচ্ছামত দেখার সুযোগ পায় একই সাথে পণ্যের বিস্তারিত ও মূল্য জানতে পারে।

এর একটি বড় সুবিধা হল ক্রেতাদের সাথে বিক্রেতার যোগাযোগ দৃঢ় হয়। একে অপরের চাহিদা সম্পর্কে জানতে পারে।

 

পরিশেষে

আপনার পরিকল্পিত কর্মপদ্ধতি ও অনলাইনে বেচাকেনার কৌশলগুলির যথাযথ ব্যবহার আপনার অনলাইন বাবসায়িক সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

 

১০ টি ইউনিক ফেসবুক ভিডিও এড এর উদাহরণ

১০ টি ইউনিক ফেসবুক ভিডিও এড এর উদাহরণ

ফেসবুক ভিডিও এড ফেসবুক মার্কেটিং-এ ব্যবহৃত সবচেয়ে আধুনিক ফিচার।  ফেসবুক ভিডিও এডের মাধ্যমে আপনি সর্বাধিক  রিঅ্যাকশন, কমেন্ট এবং শেয়ার পেতে পারেন। যে ভিডিওর এংগেজমেন্ট যত বেশি, তা থেকে অবশ্যই তত বেশি সেলস জেনারেট হবার সম্ভবনা তৈরি হয়। বর্তমান সময়ে অ্যাডভার্টাইজিং কৌশল হিসেবে ভিডিও এড এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী। এর কারণ কী?  

  • ভিডিও এড গুলোর উপরে ক্যাপশন এবং টেক্সট অ্যাড করা যায়, যার ফলে ভিডিও এর ভিউ গড়ে ১২% বেড়ে যায়। 
  • তাছাড়া ব্যবহারকারীরা বর্তমানে সাইলেন্ট  মুডে ফেসবুকের ভিডিও এড গুলো দেখতে পারে। যার ফলে দর্শকদের কাছেও এগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত ও বিরক্তিকর মনে হয় না। 
  • ফেসবুকের ভিডিওগুলি দৈনিক ৮ বিলিয়ন ভিউ পায়। এসব ভিডিও এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে আনা যায়।
  • পরিসংখ্যানে এসেছে, ২০২০ এর ওয়েব ট্রাফিকের প্রায় ৮০% ভিডিও থেকেই এসেছে। 

তাহলে, কিভাবে আপনার পরবর্তী ক্যাম্পেইনে সফলভাবে ফেসবুক ভিডিও এড ব্যবহার করবেন?

ফেসবুকে ভিডিও এড দেখানোর সবচেয়ে কার্যকরী কৌশল গুলো কী কী?

ভিডিও শব্দটা শোনার সাথে সাথেই আপনার মনে হতে পারে, আপনার প্রথম কাজ হল ক্যামেরা হাতে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া! কিন্তু তার আগে আরো কিছু কাজ রয়েছে। সেই সম্পর্কে বিস্তারিত বলার আগে চলুন দেখে নিই দশটি তুমুল জনপ্রিয় ফেসবুক ভিডিও এড। 

এই ভিডিওগুলি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে আমরা কিছু কমন বৈশিষ্ট্য দেখতে পাই। এইসব ভিডিও এড গুলো যে মূলনীতি কিংবা কৌশল এর আলোকে তৈরি করা হয়েছে তা অনুসরণ করে আপনি আপনার পরবর্তী ভিডিও এড ক্যাম্পেইন সফল ভাবে চালাতে পারবেন।

১. Jason Hornung (জ্যাসন হর্ণাং)

ভিডিও দেখতে লিংকে ক্লিক করুন

এই ভিডিওতে জ্যাসন হর্ণাং ফেসবুক এড এর উপর তার অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।  ভিডিওর শুরুতেই দেখবেন তিনি একটি হোয়াইট বোর্ডে লিখে লিখে তার ওয়েবসাইটের হোমপেজ এর ইন্ট্রোডাকশন দিচ্ছেন। 

এই ভিডিওটি এক মিলিয়ন অর্থাৎ ১০ লাখ বার দেখা হয়েছে এবং ২.৩ হাজার বার শেয়ার করা হয়েছে। এই জনপ্রিয়তার কারণ অনুসন্ধান করলে দেখা যায়:

সহজ সরল উপস্থাপন

জেসন তার কনসেপ্ট ভালোভাবে বোঝানোর জন্য একটি সিম্পল ডিজিটাল হোয়াইট বোর্ড ব্যবহার করেছেন। হোয়াইট বোর্ড জিনিসটা আমাদের সবার কাছে পরিচিত, যার ফলে দর্শকের স্বাভাবিকভাবেই মনে হয়েছে- জেসন আমাদের সারির একজন সাধারন মানুষ। ক্লাসে আমাদেরকে শিক্ষক যেভাবে বোঝান, ঠিক সেই পন্থাই তিনি অনুসরণ করেছেন। এর ফলে টপিকটি বোঝা এবং মনে রাখা সহজতর হয়েছে।

কল টু একশন ( CTA – Call to Action)

ভিডিও এর শেষের দিকে অডিয়েন্স কে ফ্রি ট্রেনিংয়ে সাইন আপ করার জন্য ইনভাইট করা হয়েছে। CTA  অডিয়েন্সকে নির্দিষ্ট ডিরেকশন দিয়ে দেয়, যার ফলে কনভার্সনের সুযোগ তৈরি হয়। আপনি যদি পুরো একটি ভিডিও এড দেখানোর পর আপনার প্রোডাক্ট পর্যন্ত পৌঁছানোর কোন রাস্তা তৈরি করে না দেন, তাহলে ভিডিও এর এংগেজমেন্ট বেশি হয়েও আপনার কোন লাভ নেই। যেমন ধরুন আপনার প্রোডাক্ট যদি হয় কোন কোর্স, তাহলে আপনি সেই কোর্সে সাইন আপ করার একটি বাটন CTA হিসেবে রাখবেন। এতে করে যে সকল অডিয়েন্স ভিডিও এড দেখে আপনার কোর্সে করতে আগ্রহী হবে, তারা খুব সহজেই সাইন আপ করতে পারবে।

২. ডিন গ্রাজিওসি (Dean Graziosi)

ভিডিও দেখতে লিংকে ক্লিক করুন

আপনার পক্ষে কি ড্রাইভিং করতে করতে আপনার প্রোডাক্ট অডিয়েন্স কে দেখানো সম্ভব? এরকম অবস্থায় কি পারবেন রাস্তার দিকে মনোযোগ ধরে রাখতে? নিশ্চয়ই ভাবছেন এ আবার কেমন প্রশ্ন! এটা কি কারো পক্ষে সম্ভব? হ্যাঁ এটা সম্ভব, তবে তা শুধুমাত্র Dean Graziosi এর পক্ষেই সম্ভব, কেননা তিনি একটি সেলফ ড্রাইভিং গাড়ি ব্যবহার করেছেন।   

আর তিনি তার বইগুলো বিনামূল্যেই দিয়ে থাকেন, গ্রাহকদেরকে কেবলমাত্র ডেলিভারি চার্জ দিতে হয়। তার ভিডিওতে ৪৩ হাজারেরও বেশি রিঅ্যাকশন দেখা গেছে, যার কারণ হতে পারে- 

সারপ্রাইজ করার মত কিছু তিনি করেছেন !

এমন ভিডিও তৈরি করুন যাতে সারপ্রাইজিং কিছু থাকে এবং দর্শক দীর্ঘদিন তা মনে রাখে। যদি আপনি এতটাই সাধারণ কিছু দেখান যা নিয়ে পূর্বে ই আরো হাজার হাজার ভিডিও তৈরি হয়েছে, তাহলে দর্শক তার প্রতি কখনোই আকৃষ্ট হবে না। তাই ইউনিক আইডিয়া বের করুন এবং তা খুব স্বাভাবিকভাবে উপস্থাপন করুন। নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে আসতে ভয় পাবেন না, কিন্তু মনে রাখবেন, কখনোই ভিডিও তৈরি করার জন্য বিপদজনক কিছু করার প্রয়োজন নেই।

অডিয়েন্স এর সমস্যার সমাধান

Dean তার নিস অডিয়েন্সদের সবচেয়ে বড় সমস্যা খুঁজে বের করে, সেই সমস্যার সমাধান করার মাধ্যমে তার প্রোডাক্টের এডভার্টাইজমেন্ট করেন! ব্যাপারটা দারুণ না? তাই চেষ্টা করুন অডিয়েন্সের সেই সমস্যা খুঁজে বের করতে যার সমাধান আপনার প্রোডাক্ট এর মধ্যে রয়েছে। যেমন ধরুন আপনার প্রোডাক্ট হলো “হেয়ার অয়েল”। এখন চুল নিয়ে মানুষ কি কি সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভোগেন সেইগুলো  খুঁজে বের করুন। তারপর আপনার “হেয়ার অয়েল” এর মধ্যে কী কী সমস্যা সমাধানে সক্ষম তা দর্শকের সামনে তুলে ধরুন।

৩. অ্যালেক্স মের (Alex Mehr), পি এইচ ডি

ভিডিও দেখতে লিংকে ক্লিক করুন

ফেসবুক ভিডিও এড এ ১ মিলিয়ন  ভিওর জন্য অনেক বেশি টাকা খরচ করে নির্দিষ্ট স্টেজে ভিডিও বানানোর প্রয়োজন পড়ে না! তার বাস্তব উদাহরণ অ্যালেক্স, যিনি কিনা Mentorbox (মেন্টরবক্স) এর সি ই ও। 

পার্কে কিংবা বিচে হাঁটতে হাঁটতে, এমনকি যেকোনো উপযোগী জায়গাতেই আপনি ফেসবুক এড এর জন্য ভিডিও ধারণ করতে পারেন। আর এর জন্য কোন প্রফেশনাল ক্যামেরারও প্রয়োজন নেই, আপনার স্মার্টফোনের ক্যামেরা একটু ভালো মানের হলে সেটাই যথেষ্ট! মনে রাখবেন –

লাইটিং ও সাউন্ড

আউটডোর ভিডিও শুট করার সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন কিনা অথবা রোদের তীব্রতা বেশি কিনা এসব বিষয় খেয়াল রাখবেন। ভিডিওতে যেন আপনার প্রোডাক্ট এর কালার এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য খুব স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায়। আউটডোর ভিডিও ধারণ করার ক্ষেত্রে সাউন্ডের ব্যাপারটাও লক্ষ্য রাখতে হবে। কেননা, আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের কোলাহল কিংবা বিরক্তিকর শব্দের কারণে আপনার মূল কথা শুনতে অডিয়েন্সের সমস্যা হতে পারে।

নিজের পরিচয় দিন

ভিডিওর শুরুতেই আপনার নিজের এবং আপনার ব্র্যান্ডের পরিচয় দিন। এটি অডিয়েন্স এর সাথে একটা ভালো কানেকশন তৈরি হয় সাথে বিশ্বাসের জায়গাটাও বাড়ে। যখন কোন ব্র্যান্ডের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরি হয় তখন মানুষ অবশ্যই জানতে চায় সেই ব্র্যান্ড এর পেছনে কে আছে। 

আপনার সাধারণ জীবনযাপন শেয়ার করতে পারেন

মানুষ হিসেবে আপনার নিত্যদিনের জীবন যাপনের কিছু অংশ তুলে ধরতে পারেন, যেমনটা এলেক্স করে থাকেন। এর ফলে আপনার কনটেন্ট অডিয়েন্স এর কাছে অথেনটিক মনে হবে। এবং অডিয়েন্সের সাথে আপনার ভালো একটা কানেকশন তৈরি হবে।

৪. গ্রান্ট স্টাইল ( Grunt Style)

ভিডিও দেখতে লিংকে ক্লিক করুন

গ্রান্ড স্টাইল তার ভিডিওতে ক্যামেরার পেছনের গল্প (Behind the scene) তুলে ধরেন। তার ভিডিওতে আপনি লক্ষ্য করবেন তার কর্মচারীরা কে কি করছে তা আপনি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন। 

এই কৌশলটি আপনার বিজনেসকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিবে, কেন বলতে পারেন? 

এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি

কাস্টমার কি আশা করে সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। কেমন লাগবে, যদি আপনার কোন পছন্দের প্রোডাক্ট তৈরির পেছনের কারিগরদের আপনি দেখতে পান কিংবা কিভাবে সেই প্রোডাক্টটি তৈরি হচ্ছে সেটা আপনি জানতে পারেন? এ ধরনের কনটেন্ট অবশ্যই আপনার ট্রাস্ট জিতে নেবে এবং আপনি কমেন্ট করতে উৎসাহ বোধ করবেন। অনেক ফেসবুক পেজে দেখা যায় প্রোডাক্টের প্যাকেজিং লাইভে এসে করতে। ঠিক তেমনি আপনি প্রোডাক্ট এর উৎপাদন প্রক্রিয়া কিংবা প্যাকেজিং এর ভিডিও ধারণ করে ফেসবুক ভিডিও এড বানাতে পারেন।

৫. সবজি দিয়ে জুস তৈরি ( Juicing Vegetables) 

ভিডিও দেখতে লিংকে ক্লিক করুন

১১ টি সবজির পুষ্টি একসাথে পাওয়ার অভিনব আইডিয়া বের করেছেন Drew Canole! স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি হিসেবে আপনি নিশ্চয়ই সেই আইডিয়াটা কি সেটা জানার চেষ্টা করবেন। 

এই ভিডিও ৪০ লাখের (৪ মিলিয়ন) বেশিবার দেখা হয়েছে। এই জনপ্রিয়তার পেছনের কারণ কি বলুন তো?

জটিল প্রস্তুত প্রণালী!

কাস্টমাররা কোন কিছু যতই পছন্দ করুক না কেন, বিভিন্ন কারণে তারা সেটা বাসায় বানানোর চেষ্টা করেনা। ড্রিও এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন। তিনি ১১ ধরনের সবজির সমন্বয়ে একটি গ্রিন জুস পাউডার তৈরি করেছেন, যা এই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে। আপনার প্রোডাক্ট কি কি মেটেরিয়ালস দিয়ে তৈরি হয়েছে তা আপনি অডিয়েন্সকে ভিডিও এড এর মাধ্যমে দেখাতে পারেন।   

নিজের ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করুন মাত্র ৫ মিনিটে

ব্যবহারে সহজ

কোডিং এর ঝামেলা নেই

খরচ সাধ্যের মধ্যে

সাইন আপ

 

৬. জন পেনবার্থি (Jon Penberthy)

ভিডিও দেখতে লিংকে ক্লিক করুন

জন অডিয়েন্সের মন সতেজ এবং উৎফুল্ল করার জন্য জন একটি রিসোর্টে তার ভিডিও ধারণ করেছেন। যার ফলে শত শত ভুলভাল ফেসবুক এড এর ভিড়ে মানুষ তার ভিডিওকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। তার অন্যতম একটি কারণ হলো মনোরম লোকেশন। 

চলুন দেখি এই পাঁচ মিনিটের ভিডিও কেন এত অর্থবহ?

একটি গল্পের মাধ্যমে সূচনা

অন্যমনস্ক হওয়ার হাজারো ছুতোর ভিড়ে আপনাকে এমন একটা বিষয়ের অবতারণা করতে হবে যা আপনার অডিয়েন্সের দৃষ্টি কিংবা মনোযোগ আকর্ষণ করবে। এমন কোন লাইনের মাধ্যমে শুরু করুন যা শুনলে এর পরবর্তী অংশ শোনার কিংবা দেখার ইন্টারেস্ট জাগে। যেহেতু অ্যাড মানুষ সহজে দেখতে চায় না, তাই আপনার ভিডিও এড এর শুরুটা একটু ইন্টারেস্টিং ভাবেই করতে হবে। 

আপনার ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দিন

আপনি যে বিষয়ের অবতারণা করেছেন সেটি কিভাবে সুসম্পন্ন করা যায় তার পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া বর্ণনা করুন। যেমন,  জন তার ভিডিওর ১.৪২ সেকেন্ডে তিনটি সিনারিও ব্যবহার করেছেন ফেসবুক এড এর পোটেনশিয়াল বোঝাতে। আপনিও যথাযথ উদাহরণ কিংবা মেটেরিয়ালস ব্যবহার করুন যাতে করে ভিডিও কম সময়ের হলেও আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে মোটামুটি বিস্তারিত বোঝা যায়। কেননা আপনার প্রোডাক্টটি আসলে কি করে তা যদি অডিয়েন্স বুঝতেই না পারে তাহলে তাদের মনে হবে কষ্ট করে এডটা দেখাই বৃথা।

৭. Wilco de Kreij

ভিডিও দেখতে লিংকে ক্লিক করুন

ভাইরাল হ্যাকিং এর উপরে এই ফেসবুক ভিডিও এডটি লঞ্চ করা হয়েছিল প্রায় আট মাস আগে এবং এর মধ্যেই এটি ২৬ লাখ ভিউ হয়েছে এবং ৫৬০০ বার শেয়ার হয়েছে।

আপনার ভিডিও যে সম্পর্কেই হোক না কেন, কিছু টিপস আপনার অবশ্যই মনে রাখতে হবে।  

সরাসরি মূল পয়েন্টে চলে যান

এই ভিডিওতে শুরুতেই “What is viral hacking?” এই প্রশ্নের অবতারণা করে সরাসরি এর উত্তর দেয়ার মাধ্যমে ভিডিও শুরু হয়েছে। মনে রাখবেন অডিয়েন্স কখনো অনর্থক বিজ্ঞাপন দেখে সময় নষ্ট করতে চাইবে না। তাই শুরুতেই মূল টপিকে চলে যান। 

একটি নির্দিষ্ট আইডিয়ার উপর ফোকাস করুন

এই ভিডিওটি লক্ষ্য করলে দেখবেন এখানে কেবলমাত্র ভাইরাল হ্যাকিং এর উপরেই ফোকাস করা হয়েছে। যদি আপনি অনেক বেশি ডিটেলস আলোচনা করেন এবং বিভিন্ন অপশন রাখেন তাহলে অডিয়েন্স তার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট অপশন বেছে নিতে কনফিউজড হয়ে যাবে। তাই কেবল একটিমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিংবা শুধু একটি নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট ফোকাসে রেখে ভিডিও বানান। 

আপনার অডিয়েন্সের সারিতে নেমে আসুন

আপনি যে তাদের মতই একজন সাধারণ মানুষ, এবং অনেক স্ট্রাগল করে এ পর্যায়ে এসেছেন, সেই গল্প তাদের সাথে শেয়ার করুন। মানুষ এই গল্প শোনার জন্য মুখিয়ে থাকে। সেই সুযোগকে কাজে লাগান। আপনার ব্র্যান্ডের উত্থানের গল্প তাদের সামনে তুলে ধরুন। সেই সাথে পার্সোনালিটি বজায় রেখে নিজের সত্তাকে তুলে ধরুন, কোন ফেইক পরিচয়ের আশ্রয় নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

৮. চ্যাটবুকস ( Chatbooks)

ভিডিও দেখতে লিংকে ক্লিক করুন

চ্যাটবুকস এর এই চমকপ্রদ ভিডিওটি প্রায় ৭ কোটি ২০ লাখ (৭২ মিলিয়ন) বার দেখা হয়েছে। যে সকল মায়েরা স্ক্রাপবুক তৈরি করার সময় বের করে উঠতে পারেন না তাদের জন্যই এটি তৈরি করা হয়েছে। কেবল বাচ্চার মায়েরা নয় বরং বাবারাও এটা থেকে উপকৃত হতে পারবেন। 

এই ভিডিওটি এতো দ্রুত সারা ফেলার কারণ হতে পারে- 

বুদ্ধি খাটানো

আপনার মেসেজটি সাধারণভাবে উপস্থাপন করার পরিবর্তে যদি এর বুদ্ধিবৃত্তিক উপস্থাপন সম্ভব হয়, তাহলে তা অবশ্যই দর্শককে বেশি আকৃষ্ট করবে। এর ফলে অজস্র সাধারণ মানের কন্টেন্টের থেকে আপনারটা আলাদাও মনে হবে। আপনি একজন সাধারণ মানুষ কিন্তু আপনার ব্র্যান্ড অসাধারণ! কেন আপনার ব্র্যান্ড অন্য সবার চেয়ে আলাদা সেটা বোঝাবার চেষ্টা করুন। 

ভিডিওতে টেক্সট এর ব্যবহার

Digiday এর একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রায় ৮৫% ফেসবুক ভিডিও এড সাউন্ড ছাড়াই দেখা হয়! সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ভিডিওতে টেক্সট অ্যাড করে দেন, তাহলে মিউট করা অবস্থাতেও আপনার ইনফরমেশন দর্শকের কাছে ঠিকই পৌঁছে যাবে। অনেক সময় দেখা যায় এড এর প্রতিটা সংলাপ স্ক্রিনে লেখা থাকে। আপনি সেটাও করতে পারেন অথবা অন্তত বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশনগুলো টেক্সট হিসেবে অ্যাড করে দিতে পারেন।

৯. স্কোয়াটি পটি (Squatty Potty)

ভিডিও দেখতে লিংকে ক্লিক করুন

স্কোয়াটি পটি তাদের ভিডিওতে মধ্যযুগীয় পরিবেশের “ইউনিকর্ন ট্রেন্ড” ব্যবহার করেছে দর্শকে আকৃষ্ট করার জন্য। মানুষ যাতে তাদের প্রোডাক্ট কেনার জন্য আগ্রহী হয় সেজন্য তারা কিছু কৌশল ব্যবহার করেছে, যেমন- 

টেকনিক্যাল টপিক গুলোর সৃজনশীল উপস্থাপন

আপনাকে যদি সরাসরি একটা টয়লেট সিট কিনতে বলা হয়, তাহলে আপনার আগ্রহ নাও জাগতে পারে। কিন্তু স্কোয়াটি পটি তাদের প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করেছে নেক্সট লেভেলে! গতানুগতিক টয়লেট সিটের বিপরীতে তাদের প্রোডাক্ট ব্যবহার কেন বেশি স্বাস্থ্য সম্মত এবং আরামদায়ক সেটা তারা তুলে ধরেছে। আপনি যদি আপনার প্রোডাক্টের কিছু অসাধারণ বৈশিষ্ট্যের সাথে সাথে সাইন্স এর আলোকে এর গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন তাহলে তা অডিয়েন্স কে বেশি নাড়া দেবে।

সোশ্যাল প্রুফ

ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টদের কিংবা পুরনো কাস্টমারদের দেওয়া রেটিং এবং রিকমেন্ডেশন আপনার প্রোডাক্টের মান বহুগুনে বাড়িয়ে দেয় এবং অডিয়েন্স এর কাছে একটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে। এই ভিডিওর ১.৫৩ সেকেন্ডে গেলে আপনি লক্ষ্য করবেন কিভাবে প্রিন্স সোশ্যাল প্রুফ ব্যবহার করেছেন। আপনিও আপনার কাস্টমারদের ভালো রিভিউ গুলো একত্রিত করে ফেসবুক ভিডিও এড এ সংযুক্ত করে দিতে পারেন।

১০. পার্পল ( Purple)

ভিডিও দেখতে লিংকে ক্লিক করুন

আপনার প্রোডাক্টের সেম ক্যাটাগরির হাজার হাজার প্রোডাক্ট প্রতিনিয়ত বাজারজাত করা হচ্ছে। তাহলে মানুষ এত প্রোডাক্টের ভিড়ে কেন আপনারটা কিনবে? আপনি কিভাবে প্রমাণ করবেন, আপনারটা অন্যদের চেয়ে আলাদা? 

কাস্টমারের সামনেই টেস্ট করে দেখান

পার্পল তাদের ভিডিওতে সরাসরি দেখিয়েছে- তাদের ম্যাট্রেস আপনার শরীরের প্রেসার ঠিকমতো নিতে পারছে কিনা। আপনার প্রোডাক্ট কতটা ভালো সেটা দর্শকের সামনে সরাসরি টেস্ট করে দেখাতে পারলে তাদেরকে কনভিন্স করা সহজ। যেমন- যারা স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট সেল করেন, তারা কিন্তু লাইভে এসে সেগুলো ব্যবহার করে দেখান। এতে করে দর্শক সেই প্রোডাক্ট গুলোর কার্যকারিতা সরাসরি দেখে বুঝতে পারেন। 

সারকথা

এতক্ষণ ধরে আমরা পর্যালোচনা করলাম কিভাবে এনগেজিং ফেসবুক ভিডিও এড তৈরি করা যায়। কিন্তু এড তৈরি করা এবং তাতে অনেক বেশি এনগেজমেন্ট হলেই আপনার কাজ শেষ নয়। বরং এই এনগেজমেন্ট গুলোকে কিভাবে সেলস এ কনভার্ট করা যায় সেটাই হলো মুখ্য বিষয়। সেজন্য প্রপার প্ল্যান তৈরি করা, সঠিক অডিয়েন্স টার্গেট করা এবং পর্যাপ্ত কল টু অ্যাকশন (CTA) বাটন রাখা প্রয়োজন। তাই, সবকিছু মাথায় রেখে আপনার পরবর্তী ফেসবুক ভিডিও এড ক্যাম্পেইন সাকসেসফুল করার জন্য আপনি প্রস্তুত তো?

ফেসবুক অ্যাডের রেজাল্ট বৃদ্ধি করতে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেকশন ও ইউজ টিপস

ফেসবুক অ্যাডের রেজাল্ট বৃদ্ধি করতে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেকশন ও ইউজ টিপস

কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল মানুষের কগ্নেটিভ বায়াসকে ম্যানুপুলেট করে তাদের কেনাকাটা সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে বিজনেস প্রোমোট করে সেলস বাড়াতে ফেসবুক অ্যাডস বরাবরই ইফেকটিভ রোল প্লে করে। 

তবে অনেকেই কমপ্লেইন করেন যে তারা সঠিকভাবে ফেসবুক অ্যাড ক্যাম্পেইন রান করালেও এক্সপেকটেড রেজাল্ট আসেনা। এটি কেন হয় জানেন? সোশ্যাল প্রুফ না থাকার কারণে!

এই সোশ্যাল প্রুফের একটি উদাহরণ হলো কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল, যা ফেসবুক অ্যাডস থেকে বেস্ট রেজাল্ট পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আজকের লেখায় আমরা জানবো কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করার উপায় সম্পর্কে। এ উপায়গুলো জানার মাধ্যমে আপনারা ফেসবুক অ্যাড ক্যাম্পেইন সাকসেসফুল হবে  এবং আপনি আরো বেশি সেলস জেনারেট করতে পারবেন। 

সোশ্যাল প্রুফ কি? 

১৯৮৪ সালে রবার্ট সিয়াল্ডিনি তার লেখা বই “ইনফ্লুয়েন্স” এ সোশ্যাল প্রুফ টার্মটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন। সোশ্যাল প্রুফকে ইনফরমেশনাল সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সও বলা হয়, যা একজন মানুষের অন্যদের বিহেভিয়ার বা অ্যাকশন দেখে সে অনুযায়ী কাজ করার মেন্টালিটিকে বোঝানো হয়। 

এই সোশ্যাল প্রুফ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে হাইপড মার্কেটিং স্ট্র‍্যাটেজির মধ্যে একটি। একদম সহজ ভাষায় সোশ্যাল প্রুফ হচ্ছে কোনো বিজনেস বা  কোম্পানি থেকে প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস পারচেজ করার পর কাস্টমাররা যে বেনিফিট পেয়েছেন তা বিভিন্ন উপায়ে পটেনশিয়াল কাস্টমারদের সামনে প্রেজেন্ট করা। সোশ্যাল প্রুফের মূল উদ্দেশ্য হলো কোনো প্রোডাক্টের ভ্যালু বা পপুলারিটি কাস্টমারদের বোঝানো, যাতে করে তারাও সেই প্রোডাক্টটি পারচেজ করেন। 

সোশ্যাল প্রুফের কনসেপ্ট ক্লিয়ারলি বোঝার জন্য একটি উদাহরণ দেই।

ধরুন, আপনি কোনো প্রোডাক্ট পারচেজ করার জন্য একটি ই-কমার্স সাইটে ভিজিট করলেন। তারপর সার্চ করে যে প্রোডাক্ট কিনতে চাইছেন সেটা খুঁজে বের করলেন। তারপর স্ক্রল করতে করতে দেখতে পেলেন ওই প্রোডাক্টটি পারচেজ করেছেন এমন দশজন কাস্টমার রিভিউ সেকশনে প্রোডাক্টটি সম্পর্কে পজিটিভ রিভিউ দিয়েছেন। 

এই রিভিউগুলো দেখার পর আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে প্রোডাক্টটি পারচেজ করবেন। একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, সাইটে থাকা পজেটিভ রিভিউগুলোই কিন্তু আপনাকে হেল্প করলো প্রোডাক্টটি পারচেজ করার ফাইনাল ডিসিশন নিতে। 

এখানে কাস্টমারদের রিভিউ বা ক্লাস্টমার টেস্টিমনিয়াল হচ্ছে একধরণের সোশ্যাল প্রুফ।  

সোশ্যাল প্রুফের আরো কয়েকটি টাইপ হলো পজিটিভ মিডিয়া কভারেজ, সেলিব্রিটি এনডোর্সমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার ইত্যাদি।

ফেসবুক অ্যাডে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল ইনক্লুড করা কেন এত ইম্পর্ট্যান্ট? 

সোশ্যাল প্রুফ হিসেবে ফেসবুক অ্যাডে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল ইনক্লুড করা কেন গুরুত্ব বহন করে? অনেক বিজনেস ওনার রয়েছেন যারা এই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননা। অথচ যদি অ্যাডে কয়েকজন কাস্টমারের পজিটিভ রিভিউ শেয়ার করা হয়, তাহলে তা সেল জেনারেট হওয়ার পসিবিলিটি বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। 

যখন ফেসবুক অ্যাডে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল অ্যাড করা হয়, তখন কাস্টমারদের সেই বিজনেস কোম্পানির প্রতি ক্রেডিবিলিটি ও ট্রাস্ট অনেক বেড়ে যায়৷ এখনকার দিনে অনলাইন বেইজড বিজনেসের সংখ্যা অনেক বেশি। শুধু ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমেই নয়, এখন ফেসবুকে কিংবা ইনস্টাগ্রাম ভিত্তিক বিজনেসের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। 

এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই দেখা যায়, একটি প্রোডাক্ট হয়তো অনেক জায়গায় এভেইলেবল থাকে। আবার এখন ফেইক প্রোডাক্টেরও অভাব নেই। এই অবস্থায় একজন কাস্টমার কোথা থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ করবেন সেই ডিসিশন নিতে হেল্প করে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল । 

কিভাবে? 

যখন একজন কাস্টমার কোনো প্রোডাক্ট কেনার সময় আরো অনেকজন কাস্টমারের পজিটিভ রিভিউ দেখতে পান, তখন সে প্রোডাক্টের কোয়ালিটি ও অথেন্টিসিটি নিয়ে তার মনে আর কোনো সন্দেহ থাকেনা। তখন তিনি সেই রিভিউয়ের ওপর ভরসা করেই প্রোডাক্টটি কিনে ফেলেন।

কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল সম্পর্কে কয়েকটি ইন্টারেস্টিং তথ্য 

  • ট্রাস্ট পাইলটের (Trust Pilot) একটি রিসার্চে দেখা গেছে, গোটা বিশ্বের প্রায় ৮৯ পারসেন্ট কাস্টমারই কোনো প্রোডাক্ট কেনার আগে অনলাইনে সেটির রিভিউ সম্পর্কে সার্চ করেন।
  • বিজরেট (Bizrate) দাবি করে, প্রায় ৫৫ পারসেন্ট কাস্টমার কোনো প্রোডাক্ট পারচেজ করার আগে অন্তত ৪টি রিভিউ পড়ার চেষ্টা করেন।
  • ব্রাইট লোকাল (Bright Local) এর মতে, ৭৯ পারসেন্ট কাস্টমার পারসোনাল রেকমেন্ডেশনের পাশাপাশি অনলাইনে থাকা পজিটিভ রিভিউগুলোও ট্রাস্ট করেন৷ 

শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে এমনও হয় যে কাস্টমারের হয়তো একটি প্রোডাক্ট কেনার প্রয়োজন নেই, কিন্তু তাও তিনি কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল দেখে ইমপ্রেসড হয়ে সেটি কেনেন। 

যেমনঃ দেশে যখন কোরিয়ান স্কিনকেয়ার আইটেমের হাইপ উঠেছিলো, তখন এই কাস্টমারদের পজিটিভ ফিডব্যাক দেখেই বহু মানুষ এই আইটেমগুলো কিনেছিলেন শুধুমাত্র নিজেরা একবার ইউজ করে দেখবেন বলে। এখনও কিন্তু আমাদের দেশে এই প্রোডাক্টগুলোর কদর কমেনি। 

সুতরাং যদি ফেসবুক অ্যাডে কাস্টমার রিভিউ অ্যাড করা হয়, সেটি অনেক মানুষকেই প্রোডাক্ট পারচেজ করতে ইনফ্লুয়েন্স করে। 

একই সাথে বলা যেতে পারে, ফেসবুক অ্যাডে কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল অ্যাড করার মাধ্যমে একটি প্রোডাক্ট যে সত্যিকার অর্থেই সবাইকে বেনিফিট দিতে ক্যাপাবল, তা পটেনশিয়াল কাস্টমারদের সামনে সবচেয়ে ইফেকটিভ ওয়েতে তুলে ধরা যায়। এর ফলস্বরূপ বিজনেসে ধীরে ধীরে সেল বাড়তে শুরু করে। 

কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করবেন কিভাবে? 

কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করার সবচাইতে ইফেকটিভ উপায়গুলো হচ্ছে –

০১। কনটেস্ট অ্যারেঞ্জ করা 

কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করার সবচাইতে ইফেক্টিভ উপায় হচ্ছে টেস্টিমনিয়াল কনটেস্ট অ্যারেঞ্জ করা। অনেক সময় কাস্টমারদের কাছে একটি প্রোডাক্ট ভালো লাগলেও তারা সময়ের অভাবে কিংবা ইচ্ছা না থাকার কারণে প্রোডাক্টের রিভিউ দেন না। 

তাই যদি একটি কনটেস্ট অ্যারেঞ্জ করেন এবং সে কনটেস্টের উইনারের জন্যে কোনো রিওয়ার্ডের ব্যবস্থা থাকে, তাহলে আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ করা অনেক কাস্টমারই মোটিভেটেড হবেন প্রোডাক্ট সম্পর্কে নিজের পজিটিভ ফিডব্যাক শেয়ার করার জন্য। এই কনটেস্ট নিজের ই-কমার্স সাইটে অ্যারেঞ্জ করতে পারেন কিংবা ফেসবুক পেজেও করতে পারেন। 

যদি টেস্টিমনিয়াল কনটেস্ট অ্যারেঞ্জ করতে চান, সেক্ষেত্রে শুরুতেই কনটেস্ট সম্পর্কে খুঁটিনাটি সব ডিটেইল সম্পর্কে সবাইকে ক্লিয়ারলি জানান। যেমনঃ কনটেস্টের ডেডলাইন, কিভাবে পারসিটিপেট করতে হবে সেটির নিয়ম, কিভাবে উইনার সিলেক্ট করা হবে সেটির ইনফরমেশন ইত্যাদি। পাশাপাশি কনটেস্টে উইনার হতে চাইলে কি করা যাবে আর কি করা যাবেনা এ বিষয়টিও সবাইকে জানাতে হবে।  

একই সাথে যারা আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ করেছে, তাদেরকে পজিটিভ ফিডব্যাক শেয়ার করতে আরো একটু মোটিভেটেড করে তোলার জন্য কনটেস্টে উইনারের জন্য কি রিওয়ার্ডের ব্যবস্থা থাকছে সেটিও সবাইকে জানাতে পারেন। এভাবে যদি কনটেস্ট এরেঞ্জ করেন, তাহলে খুব সহজেই অনেকজন কাস্টমারের কাছ থেকে টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করতে পারবেন। 

০২৷ কাস্টমারদের টেস্টিমনিয়াল প্রোভাইড করার জন্য ইমেইল রিকোয়েস্ট 

কাস্টমারদের কাছ থেকে প্রোডাক্ট সম্পর্কে পজিটিভ ফিডব্যাক কিংবা টেস্টিমনিয়াল কালেক্ট করার একটি ট্রেডিশনাল এবং একই সাথে সুপার ইফেকটিভ উপায় হচ্ছে তাদেরকে ই-মেইল সেন্ড করা। যদি কাস্টমারদের কাছে সঠিকভাবে ই-মেইল সেন্ড করতে পারেন, তাহলে টেস্টিমনিয়াল পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। 

এই ই-মেইলে কি কি বিষয় উল্লেখ করতে হবে? 

যখন একজন কাস্টমারেরকে রিভিউ দেয়ার জন্য ইমেইল করবেন, তখন শুরুতেই তাকে ধন্যবাদ জানান আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ করার জন্য। 

এরপর কয়েকটি কোশ্চেন করুন যেগুলোর অ্যান্সার আপনি পরবর্তীতে টেস্টিমনিয়াল হিসেবে ইউজ করতে পারবেন। যেমনঃ 

  • আপনার কাছ থেকে কি উদ্দেশ্যে বা কোন সমস্যার সমাধান করতে ওই কাস্টমার প্রোডাক্ট পারচেজ করেছিলো? 
  • আপনার প্রোডাক্ট তাকে কতটুকু বেনিফিট দিয়েছে বা তার প্রবলেম কতটুকু সলভ করতে পেরেছে? 
  • আপনার প্রোডাক্টের কোন ফিচারগুলো কাস্টমারের কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে?  
  • কাস্টমার কি আপনার প্রোডাক্ট অন্যদের পারচেজ করতে রেকমেন্ড করবেন?  
  • আপনার প্রোডাক্ট কাস্টমার আবার পারচেজ করতে ইন্টারেস্টেড কিনা? 

এখন প্রশ্ন হলো,

কাস্টমাররা কোনো প্রোডাক্ট পারচেজ করার কতদিন পর এই ই-মেইল সেন্ড করবেন? 

আমার সাজেশন হলো তাদের পারচেজের অন্তত এক সপ্তাহ পর তাদের ফিডব্যাক জানতে চেয়ে ই-মেইল করা। কারণ বেশিরভাগ প্রোডাক্ট এক সপ্তাহ ইউজ করলেই কাস্টমারদের মনে এগুলোর প্রতি ফার্স্ট ইম্প্রেশন ক্রিয়েট হয়ে যায়। তাই এই সময়ের ভেতর ইমেইল করা হলে রিপ্লাই পাওয়ার চান্সও অনেক বেশি থাকে। 

সবসময় চেষ্টা করবেন ঠিক সময়ে কাস্টমারদের সাথে ইমেইলে কমিউনিকেট করতে। কারণ যদি খুব বেশি দেরি হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু রিপ্লাই পাওয়ার চান্সও কমে যেতে শুরু করবে। 

টেস্টমনিয়াল কালেক্ট করার জন্য ই-মেইলের বডিতে যদি কোনো সেপারেট লিংক প্রোভাইড করেন, তাহলে সেই লিংকে দেয়া ওয়েব পেইজটি যেন মোবাইল অপটিমাইজড হয়, সেটি নিশ্চিত করুন। 

 

এক্ষেত্রে পেজের ডিজাইন সিম্পল রাখুন এবং পেইজে থাকা টেক্সটের ফন্ট ও সাইজ যেন সবার জন্য সুবিধাজনক হয় সেদিকে নজর দিন৷ এতে করে বেটার ইউজার এক্সপেরিয়েন্স প্রোভাইড করা পসিবল হয় এবং কাস্টমাররাও রিভিউ দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। 

নিজের ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করুন মাত্র ৫ মিনিটে

ব্যবহারে সহজ

কোডিং এর ঝামেলা নেই

খরচ সাধ্যের মধ্যে

সাইন আপ

 

ফেসবুক অ্যাডসের ক্ষেত্রে কয়েকটি টিপস 

ফেসবুক অ্যাডস বর্তমানে প্রতিটি বিজনেসের সেল বাড়িয়ে তোলার এক মোক্ষম হাতিয়ার। কারণ এই অ্যাডসের মাধ্যমে একজন বিজনেস ওনার ফেসবুক ইউজারদের লোকেশন, এইজ কিংবা ইন্টারেস্টের ওপর ভিত্তি করে অডিয়েন্স টার্গেটিং করতে পারেন। 

কাস্টমার টেস্টিমনিয়ালের মাধ্যমে ফেসবুক অ্যাডস থেকে সেলস বাড়াতে এই টিপসগুলো ফলো করুন-

০১। যখন আপনি টেস্টমনিয়াল বেইজড ফেসবুক অ্যাড ক্যাম্পেইন রান করাতে যাবেন, তখন এমন অডিয়েন্সদের টার্গেট করুন যাদের সাথে আপনার বিজনেসের কোনো না কোনোভাবে ইন্টার‍্যাকশন হয়েছে। অর্থাৎ অডিয়েন্স টার্গেটিংয়ে এমন মানুষদের রাখুন, যারা আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট পারচেজ না করলেও আপনার ব্র‍্যান্ডকে অলরেডি কিছুটা হলেও চেনে। এতে করে অ্যাড ক্যাম্পেইন থেকে বেটার রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব হয়। 

যেমন ধরুন, একজন মানুষ আপনার ফেসবুক পেইজের পোস্টের কমেন্টে কোনো প্রোডাক্টের প্রাইস জানতে চেয়ে সে প্রোডাক্টটি আর কিনলেননা। এখন তিনি যদি আপনার পেইজের অ্যাড দেখতে পান এবং যদি সেখানে কাস্টমারদের পজিটিভ ফিডব্যাক তার নজরে আসে, তাহলে তার সেই প্রোডাক্ট পারচেজ করার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। 

০২। যখন অ্যাডসের জন্যে অ্যাড কপি লিখবেন, তখন সেটির টোন ও ল্যাংগুয়েজ যথাসম্ভব সিম্পল রাখুন। চেষ্টা করুন অ্যাড কপির লেন্থ খুব বেশি বড় না করে যে মেসেজটি দিতে চাইছেন সেটি পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তুলতে। এছাড়াও কাস্টমারদের পেইন পয়েন্টগুলো হাইলাইট করতে ভুলবেননা।  

০৩। ক্লায়েন্ট টেস্টিমনিয়াল যুক্ত ফেসবুক অ্যাডের কন্টেন্টে যতটুকু সম্ভব ক্রিয়েটিভি শো করুন। বিশেষ করে অ্যাডের ইমেজগুলোর ডিজাইন আই ক্যাচিং রাখার ট্রাই করুন৷ এক্ষেত্রে যদি আপনার গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কে নলেজ থাকে, তাহলে সেটি একটি বাড়তি অ্যাডভান্টেজ হিসেবে কাজ করবে৷ 

০৪। কাস্টমার টেস্টিমনিয়াল সঠিকভাবে হাইলাইট করতে ক্যারোসেল ফরম্যাটে ফেসবুকে অ্যাডস ক্যাম্পেইন রান করান। একেকটি ক্যারোসেল অ্যাডে আপনি পাঁচটিরও বেশি ক্লায়েন্ট রিভিউ স্লাইড ফরম্যাটে অ্যাড করতে পারবেন। চাইলে রিভিউয়ের সাথে কাস্টমারের ফটোও অ্যাড করতে পারেন। এতে করে অডিয়েন্সের আপনার বিজনেসের প্রতি ক্রেডিবিলিটি আরো বাড়বে।

এভাবে অ্যাড রান করানোর মূল বেনিফিট হলো এই অ্যাডের মাধ্যমে কাস্টমার টেস্টিমনিয়ালগুলো খুব সহজেই টার্গেট করা অডিয়েন্সের চোখে পড়ে। এতে করে বেশি বেশি সেলস জেনারেট করাও পসিবল হয়। 

০৫। অ্যাড ক্যাম্পেইন রান করানোর পাশাপাশি ক্যাম্পেইনের রেজাল্ট ট্র‍্যাকিংয়েও জোর দিন৷ স্পেশালি অ্যাড কনভার্সন, সিটিআর এবং ফ্রিকুয়েন্সি -এ তিনটি সবসময় মনিটর করুন৷ এতে করে বুঝতে পারবেন অ্যাড ক্যাম্পেইন কতটুকু সাকসেসফুল হয়েছে। 

যাদের নতুন বিজনেস তারা কি করবেন?

যাদের বিজনেস নতুন, তারা কিভাবে কাস্টমার টেস্টিমনিয়ালের মাধ্যমে ফেসবুক অ্যাডস থেকে ভালো আউটপুট পেতে পারেন? জেনারেলি বিজনেসের শুরুর দিকে সেলের পরিমাণ সেভাবে থাকেনা বলে রিভিউও পাওয়া সম্ভব হয়না। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইট কিংবা ফেসবুক পেইজে ভিজিটরদের কমেন্ট টেস্টিমনিয়াল হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন। 

পরিশেষে 

কাস্টমার টেস্টিমোনিয়াল কে কখনোই অবহেলা করবেন।  কারণে কি কাস্টমারের কাছে আপনার বিজনেসটিকে আস্থাশীল করে তোলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।  পাশাপাশি কাস্টমার আপনার প্রোডাক্ট পছন্দ করছে কিনা অথবা তারা আপনার প্রোডাক্ট,  ব্যান্ড সম্পর্কে কি ধরনের চিন্তা পোষণ করে সে সম্পর্কে জানতে হলেও কাস্টমার টেস্টমনিয়াল প্রয়োজন।

লাইক-ফলো দিয়ে সাথে থাকুন

ক্যাটাগরি

জনপ্রিয় পোস্ট